যখন জওহরলাল নেহরুর মত একজন রাজনীতিবিদ, হোমি ভাভার মত একজন বিজ্ঞানী আর জাহাঙ্গীর রতনজি টাটার মত একজন ব্যবসায়ী একত্রিত হয় তখন মিরাকেল ঘটে। এই ত্রিরত্নের মিলনেই ভারতে অনেক সেরা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়।
তারই একটির নাম টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ। এটি যেন তৃতীয় বিশ্বে এক টুকরো উন্নত বিশ্ব। এটির ফলেই ভারতের অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী হয় বিদেশে সেটলড হননি আর হলেও ফিরে এসেছে।
এই রকম দুইয়েকটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির মাধ্যমেই ভারতে reversed brain drain শুরু হয়। ছবিতে বিজ্ঞানী, প্রধানমন্ত্রী আর ব্যবসায়ীর দাঁড়ানোর স্টাইল দেখেছেন? কোন রকম নমঃনমঃ ভাব আছে? আছে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বন্ধুত্বের বন্ধন।
আফসুস আমাদের দেশে জওহরলালও নেই, নেই হোমি ভাভার মত বিজ্ঞানী আর জাহাঙ্গীর রতনজি টাটার মত ব্যবসায়ীতো আরো নেই। এই জাহাঙ্গীর রতনজি টাটা ফ্রান্সের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে ভারতে স্থায়ীভাবে চলে আসেন।
আর আমাদের ব্যবসায়ীরা পারলে নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বিদেশী নাগরিকত্ব নেয়। গত ৫০ বছরে একজন ব্যবসায়ী টাটা ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ সেন্টারের মত সেন্টার তৈরিতে এগিয়ে আসেনি।
উল্টো শিক্ষাকে ইন্ডাস্ট্রি বানিয়ে জনগণের টাকা কিভাবে আরো বেশি করে চুষে নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিদেশে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া যায় সেই ধান্দা করেছে।
আমাদের রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী ও ব্যবসায়ী সবাই খুবই mean! এরা বড় কাজ করে অমর হতে জানেনা। কারণ এদের আত্মা বড় না, দৃষ্টি প্রসারিত না। এরা কেবল চোখের সামনের লাভই দেখে। অন্ধ কৃপণ কেহিকা।
– কামরুল হাসান মামুন