শাহেদুর রহমান রনিঃ অনলাইন ও অফলাইনে বই সেল করি। এটা নিয়ে কত কথা যে প্রায়ই শুনতে হয় বলার বাইরে।
কেন জব করিনা? ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দোকানদারি করি! ব্যবসা করলে এতো লেখাপড়া করার কি দরকার ছিল আরো কতো সব কথা।
নিজের করতে ভালো লাগে এমন একটা কাজ করতেছি তাতেও মানুষের সমস্যা। গত এক বছরে কখনো এসব নিয়ে আমি কিছু লিখি নি। এসব লিখতে ভালোও লাগে না।
বিজনেসটা শুরু করেছি এক বছরের চেয়ে মাস খানেক বেশি সময় হলো। বিজনেস শুরুর কয়েকমাস পরেই করোনা চলে আসে।
দেশ পুরোপুরি লকডাউন। তারপর আজ পর্যন্ত স্কুল কলেজ বন্ধ। শুরুতেই প্রচন্ড ধাক্কা খেতে হয়।
তারপর এতো হাজার হাজার বই, কোনটা রেখে কোনটা তুলবো, কোনটা চলবে, কিভাবে সেল বাড়াবো, কাস্টমার বাড়াবো এসব নিয়ে হাজারো চিন্তা।
করোনার মাঝামাঝি সময়টায় সারারাত জেগে অনলাইনে অর্ডার কালেক্ট করতাম, তারপর দিনে নিজেরা বই ডেলিভারি করতাম। একটা, দুইটা করে শতশত কুরিয়ার করেছি, হোম ডেলিভারি করেছি। দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে পৌঁছায় নি বন্ধু লাইব্রেরীর বই।
আস্তেআস্তে অনেক কিছু জানলাম, শিখলাম। লেখক, প্রকাশনী থেকে শুরু করে কতকত মানুষের সাথে পরিচয়, নতুন করে সম্পর্ক। এভাবেই চলে যাচ্ছে!
আজকে গত এক বছরের হিসাব করলাম। এই করোনার মধ্যেও গত এক বছরে আলহামদুলিল্লাহ সেল করেছি প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মতো। যেটা আমার কাছে অনেক বিশাল কিছু।
তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে আমরা নতুন আরো একটা শপ নিচ্ছি। যেখানে আরো নতুন অসংখ্য বই পাবেন। সেইসাথে বইয়ের পাশাপাশি থাকবে গিফট ও স্টেশনারি সামগ্রী। কুরিয়ারে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনারা সেসব নিতে পারবেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো একটা ওয়েবসাইটও করে ফেলতে পারবো সামনে। স্বল্পমূল্যে সকলের হাতে বইয়ের ভালোবাসা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে যে যাত্রা শুরু সেটাতে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই।
পৃথিবী বইয়ের হোক!
– শাহেদুর রহমান রনি
সাবেক শিক্ষার্থী
কুয়েট