ইংরেজি ‘ডক্টর’ শব্দটি মূলত ল্যাটিন ভাষার। এর অর্থ হলো ‘শিক্ষক’ বা ‘প্রশিক্ষক’। মধ্যযুগের দিকে, ইউরোপে যারা ল্যাটিন ভাষা পড়াতো, তাদের একটি লাইসেন্স লাগতো, যার নাম ছিলো Licentia Docendi, এবং এই লাইসেন্টিয়াএ ডোসেন্ডির ইংরেজি অনুবাদ হলো License to Teach, অর্থাৎ শেখানোর লাইসেন্স। এই লাইসেন্সটিকেই ডাকা হতো Doctoratus, যার ইংরেজি হলো Doctorate, এবং এ লাইসেন্স যার থাকতো, তাকে বলা হতো ডক্টর, এবং ডক্টর মানে হলো শিক্ষক!

তখনকার দিনে ডক্টর ছিলেন চার্চের পাদ্রীরা, যারা বাইবেল পড়াতেন ও ব্যাখ্যা করতেন। চার্চের অনুমতি ছাড়া কেউ ডক্টরেট ডিগ্রি বা শেখানোর লাইসেন্স পেতেন না। কিন্তু খ্রিস্টানদের পোপ, ১২১৩ সালে ঘোষণা করেন যে, আজ থেকে চার্চের পাশাপাশি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ও শেখানোর লাইসেন্স বা ডক্টরেট ডিগ্রি দিতে পারবে।

এই ঘোষণার আগেও প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাথোলিক চার্চের অনুমতি নিয়ে কিছু ছাত্রকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিতো। কিথ এলান, তাঁর ‘Changing doctoral degrees: an international perspective’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে, পৃথিবীর প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রিটি দেয়া হয় ১১৫০ সালের দিকে, প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে।

তখনকার দিনে, খ্রিস্টানদের এই ডক্টরেট ডিগ্রির মতো আরেকটি ডক্টরেট ডিগ্রি মুসলিমদেরও ছিলো। নাম ছিলো ইযাজাহ। ডক্টরেট দেয়া হতো খ্রিস্টানদের চার্চ থেকে, আর ইযাজাহ দেয়া হতো মুসলিমদের মাদ্রাসা থেকে। কিন্তু দুটিরই অর্থ ছিলো এক: শেখানোর লাইসেন্স। যার ডক্টরেট ও ইযাজাহ আছে, তিনি শিক্ষকতা করতে পারবেন।

তবে অধ্যাপক জর্জ মাকদাইসির মতে, ডক্টরেট ডিগ্রির প্রচলন ঘটেছে মুসলিমদের ইযাজাহ ডিগ্রির অনুকরণে। এ কথা তিনি তাঁর ‘Scholasticism and Humanism in Classical Islam and the Christian West’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। মাকদাইসি ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

সতেরো শতকের দিকে, জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই ডক্টরেট ডিগ্রি বা শিক্ষকতার লাইসেন্সের একটি নাম দিলো ‘Doctorate of Philosophy’ বা PhD (Philosophiae Doctor), এবং বাংলাদেশের বহু পাগল এই ‘Philosophy’ শব্দের অর্থ করে থাকে দর্শন! কিন্তু এই ফিলোসোফি সেই ফিলোসোফি নয়। ডক্টরেট অব ফিলোসোফিতে যে-ফিলোসোফি শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা মূলত গ্রীক ভাষায় শব্দটির মূল অর্থকে নির্দেশ করে। অর্থটি হলো: Love of Wisdom বা জ্ঞানের প্রতি মোহ। অর্থবিত্ত, ক্ষমতা, ও পদপদবী নয়, যে-ব্যক্তির জ্ঞানের প্রতি মোহ জন্মেছে, সে-ব্যক্তিই পিএইচডি! কিন্তু আমি দেখছি, ছাগলেরাও ইদানিং দলবেঁধে পিএইচডি নিচ্ছে।

ফিলোসোফি শব্দটি ব্যবহারের পেছনে অন্য কারণও আছে। ইউরোপে তখন ইতিহাস, গণিত, দর্শন, সামাজিক বিজ্ঞান, ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সকল বিষয়কেই একত্রে ফিলোসোফি বলা হতো, এবং কলা অনুষদ বা ‘ফ্যাকাল্টি অব লিবারেল আর্ট’, মূলত ‘ফ্যাকাল্টি অব ফিলোসোফি’ নামে পরিচিত ছিলো। এজন্য কেউ দর্শনে ডক্টরেট না করলেও, তার ডক্টরেট ডিগ্রিকে ‘ডক্টরেট অব ফিলোসোফি’ বলা হতো। সংক্ষেপে তারা এটিকে লিখতো:

Dr. Phil.

তবে কিছু কিছু জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়, পরবর্তীতে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ডক্টরেটগুলিকে দর্শনের ডক্টরেট থেকে আলাদা করার জন্য ‘Doctor Rerum Naturalium’ বা ‘Doctor of Natural Sciences’ শব্দগুচ্ছটির ব্যবহার শুরু করে। এটিকে সংক্ষেপে লেখা হয়:

Dr. rer. nat.

এবং একইভাবে, কেউ সামাজিক বিজ্ঞান বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডক্টরেট করলে, লেখা হয় Dr. rer. pol., আইন বিষয়ে করলে, লেখা হয় Dr. jur., ইত্যাদি। সুতরাং জার্মানিতে যা Dr. Phil বা Dr. rer. nat. বা Dr. jur., ইংরেজি বিশ্বে তা PhD বা DPhil; বিষয় যাই হোক না কেন।

ঊনিশ শতকের দিকে, আমেরিকায় আরেক ধরণের ডক্টরেট ডিগ্রির প্রচলন ঘটে। এগুলোকে বলা হয় পেশাদার বা প্রোফেশোনাল বা ভোকেশোনাল ডক্টরেট ডিগ্রি। এদের একটি হলো ‘Doctor of Medicine’, যার ল্যাটিন নাম ‘Medicinae Doctor’, সংক্ষেপে লেখা হয় M.D., এবং আরেকটি হলো ‘Juris Doctor’ বা J.D.।

এমডি হলো চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, যা আমেরিকানরা ধার করেছে মূলত স্কটল্যান্ড থেকে, এবং জেডি হলো আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। এ ডিগ্রিগুলো আমাদের এমবিবিএস ও এলএলবির সমান, কিন্তু দুটোই ডক্টরেট ডিগ্রি।

এই অনেক ঘরানার ডক্টরেট ডিগ্রির একটি হলো গবেষণামুখী ডক্টরেট বা রিসার্চ-ডক্টরেট, এবং পিএইচডি বলতে গড়-মানুষেরা এখন এটিকেই বোঝে। গড়-মানুষদের ধারণা, এটিই একমাত্র পিএইচডি, এবং এ ডিগ্রি যার আছে তিনি অমরত্ব লাভ করেছেন। সাংবাদিক ও প্রোপাগান্ডিস্ট ডক্টরেটদের অনেক অবদানের একটি হলো এটি। প্রবন্ধটির শিরোনামে আমি যে-ছাগলদের কথা বলেছি, সে-ছাগলেরা, পিএইচডির ধারণা তাদের থেকেই রপ্ত করেছে, এবং এ ডিগ্রি অর্জন করতে, তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সর্বশক্তি নিয়ে।

কে পিএইচডি পাবে, ও কে পিএইচডি দেবে, এ নিয়ে পৃথিবীতে খুব বেশি আলোচনা হয় নি। এ প্রসঙ্গে আমি একটু ভিটগেনস্টাইনের কথা বলতে চাই। ভিটগেনস্টাইনের সুপারভিশনে ক্যাম্বরিজে একটি ছাত্র পিএইচডি করছিলো। তার থিসিসের বিষয়বস্তু ছিলো— ‘লিগ অব নেশনস বা প্রাক্তন জাতিসংঘ কেন ব্যর্থ হয়েছিলো’।

ছাত্রটি একদিন ভিটগেনস্টাইনকে জানালো— এ বিষয়ে আসলে আমার মৌলিকভাবে কিছু বলার নেই। আমি যা থিসিসে লিখবো, তা ইতোমধ্যে অনেকেই বলে গেছেন। পিএইচডির খাতিরে হয়তো একটি মোটা থিসিস লেখা হবে, কিন্তু এটি কোনো জ্ঞান উৎপাদন করবে না। শুধু লেখার জন্যই এটি লেখা হবে।

ভিটগেনস্টাইন বললেন— থিসিস লেখার দরকার নেই, তোমার যে এ উপলব্ধিটুকো হয়েছে, শুধু এজন্যই তোমার একটি পিএইচডি পাওয়া দরকার। আমি তোমাকে পিএইচডি ডিগ্রি দেবো।

পৃথিবীর অধিকাংশ পিএইচডিই এখন কেবল ডিগ্রি নেয়ার উদ্দেশ্যে করা। জ্ঞানের কোনো শাখায় এসব ডিগ্রির তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ অবদান নেই। এগুলোর প্রায় সবই অন্যের কাজের পুনরুক্তি ও অনাবশ্যক এক্সটেনশন। এরকম পিএইচডি এক লাখ উৎপাদিত হলেও সভ্যতার কোনো উপকার হয় না।

এখানে আমি আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। ভিটগেনস্টাইন বিএ পড়ার সময় যে-থিসিসটি লিখেছিলেন, সে-থিসিসটি বই আকারে বেরিয়েছিলো। সে-বইটিকেই ক্যাম্বরিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর পিএইচডি থিসিস হিশেবে ধরেছিলো, এবং বার্ট্রান্ড রাসেলের সুপারিশে তাঁকে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছিলো। বাংলাদেশে ছাত্ররা যে সাজিয়ে গুছিয়ে থিসিস লিখে ও প্রিন্ট করে, তা পল ডিরাক দেখলে— নিজের থিসিসটিকে তিনি খালে ফেলে দিতেন।

বহু পিএইচডিপ্রত্যাশী, এখন থিসিসের বাঁধাই ও মলাট দিয়ে এর বিষয়বস্তু ঢেকে রাখতে চান। তিনি জানেন যে— এটির ভেতরে কিছু নেই, এটি কিছু শূন্যের সমাহার। এর পাতায় পাতায় ফুটনোট। এর পাদটীকা, অর্থাৎ পায়ে টীকা আছে, কিন্তু কপালে কোনো টীকা নেই।

এটি কোনো জ্ঞান উৎপাদন করে নি, এটি পড়লে মনে কোনো আলোর বিচ্ছুরণ ঘটবে না। এটি সবজি ক্ষেতে গজানো বিরক্তিকর ঘাস; যা মাঝে মাঝে ছাগল এসে খেয়ে যায়।

তাই এটিকে ঢেকে রাখতে হবে সুন্দর মলাট দিয়ে, বাঁধাই করতে হবে উৎকৃষ্ট কারিগর দিয়ে। মানের যখন অবনমন ঘটে, সৌন্দর্য তখন মুখ্য হয়ে পড়ে। মানহীনতা ঢাকতে, পিএইচডি শ্রমিকেরা আশ্রয় নিচ্ছেন ভালো মানের কাগজ, ভালো মানের প্রিন্ট, ও ভালো মানের মলাটের। এ পরিশ্রমটুকোর জন্যই তাদের পিএইচডি দেয়া হচ্ছে।

এটি যে মুদ্রিত আবর্জনা, এটি যে কেরোসিনের সলতে, তা ওই পিএইচডিপ্রত্যাশী, ও তার সুপারভাইজর জানেন।

তারপরও এটিকে তারা প্রকাশ করেন। এটিই তাদের জীবিকা। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা, ময়লা সাফ করে জীবিকা নির্বাহ করেন, আর এই পিএইচডি শিল্পীরা, ময়লা উৎপাদন করে রুটির সংস্থান করেন।

সম্প্রতি আফ্রিকায়, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বয়স ও ক্ষমতায় তার চেয়েও বড় এক বুড়ো ছাত্রকে, পিএইচডি দান করে রুটি হাতিয়ে নিয়েছেন। ছাত্রটিও খুশি। কারণ, তার কোনো কিছুর অভাব ছিলো না; শুধু নামের আগে একটি ড এ বিসর্গ সে লাগাতে পারছিলো না। তার এ অভাব ঘুচে গেছে।

চোরের অপবাদ একসময় দখলে ছিলো গ্রামের সিঁধেল চোরদের; কিন্তু চোরদের অতীত গৌরব এখন ডক্টরেটদের দখলে। সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়, এমন দুই চোরকে গৌরবজনক শাস্তি প্রদান করেছে।

তারা চুরি করেছিলো এক বিখ্যাত মনীষীর লেখা। অভিনয় করতে করতে তাদের এমন উন্নতি হয়েছে যে, তারা এখন মিশেল ফুকো, বার্ট্রান্ড রাসেল, রুশো, বার্কলে, বার্গসন, হেগেল, কান্ট, হিউম, হবস, নিটশা, ও সাঁত্রের চরিত্রে অভিনয় করছে। এ প্রতিভা নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়।

কিন্তু শাস্তি যাদের প্রাপ্য ছিলো, তারা না পেয়ে পেলো আহাম্মকেরা। আহাম্মক দিয়ে যে গবেষণা হয় না তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বুঝতে রাজি নয়, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও চালাচ্ছে অভিজ্ঞ আহাম্মকেরা। এক পাল আহাম্মক দেখাশোনা করছে আরেক পাল আহাম্মকের, এ এক ট্র্যাজেডি।

লুতফুল কবির নামের একজনকে মনে পড়ছে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক। ২০১৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি পান, কারণ খুব শ্রমসাধ্য একটি পিএইচডি থিসিস তিনি লিখেছিলেন (কোনো কাজের ৯৮ শতাংশ নকল করা সত্যিই শ্রমসাধ্য ব্যাপার)। তার থিসিসের শিরোনাম ছিলো:

“Tuberculosis and HIV Correlation and Co-infection in Bangladesh: An Exploration of Their Impacts on Public Health”

মুশকিল হলো, থিসিসটি একদিন, সুইডেনের গোটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোনাস নিলসনের নজরে আসে। নিলসন দেখতে পান,!

লুতফুল কবির নামের খাটি বাঙালি শিল্পীটি তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রায় হুবহু মেরে দিয়েছেন, এবং ভাগিয়ে নিয়েছেন পিএইচডি ক্ষুব্ধ নিলসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জনাব আখতারুজ্জামানকে চিঠি লিখে এর বিচার চান। বিচারক হিশেবে উপাচার্য আখতারুজ্জামানের সুখ্যাতি কে না জানে?

লুতফুল কবিরকে প্রথম আলো জিগ্যেস করেছিলো, কেন আপনি এমনটি করলেন? লুতফুল কবির জবাব দিয়েছিলেন, কোনো গন্ডগোল হয়ে থাকলে তার দায়ভার আমার সুপারভাইজর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের; এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। পরে একদিন, প্রথম আলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে যায়, এবং লুতফুল কবিরের থিসিসটিকে খুঁজে বের করে। তারা দেখতে পায়, কে বা কারা যেন লুতফুল কবিরের শিল্পকর্মটিতে বেশ ঘষামাজা ও সংযোজন-বিয়োজন করেছে! গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক মো. নাসিরউদ্দীন মুন্সীর বক্তব্য ছিলো এরকম:

“অতি সম্প্রতি আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের পিএইচডি অভিসন্দর্ভে কিছু ঘষামাজা আমাদের নজরে এসেছে। চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠায় কেউ অবৈধ প্রক্রিয়ায় এই কাজটি করেছেন। ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।”

লুতফুল কবিরের সুপারভাইজর ছিলেন অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ। রউফ সাহেব কি তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেছিলেন? তিনি কি সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর লুতফুল কবিরকে জানিয়েছিলেন কাকে বলে গবেষণা? সম্ভবত না।

গবেষণা তাদের মুখ্য বিষয়বস্তু ছিলো বলে মনে হয় না। তাদের লক্ষ্য ছিলো- কীভাবে কয়েক হাজার শব্দ এক করে কিছু বাক্য লেখা যায়, এবং তা ছাপিয়ে ভাগিয়ে নেয়া যায় একটি পিএইচডি। লুতফুল কবির এ কাজে দারুণ সফলতা দেখিয়েছেন, এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি কতোটা ব্যর্থ, তাও দেখিয়ে গেছেন। লুতফুল কবিরকে আমি অভিনন্দন জানাই।

— মহিউদ্দিন মোহাম্মদ
(ছাগল ও তার পিএইচডি ডিগ্রি: প্রথম খন্ড)