বায়োলজি ক্লাস হচ্ছে। ছেলে-মেয়ে কমবাইন্ড ক্লাস।একেবারে পিন পতন নিরবতা। হঠাৎপিছনের বেঞ্চে বসা দুইটা ছেলে কথা বলতে শুরুকরে। বায়োলজি টিচার ছিলেন খুব কড়া। দেখামাত্রই ছেলে দুটো কে দাঁড় করান।তাদের দুটো অপশন দেন, হয় ছেলে-মেয়ে সবারসামনে কান ধরে হাই বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ;নয়তো চিরতরে ক্লাসথেকে বেরহয়ে যেতে হবে।
একথা শুনে ঐদুজনের একজন সাথে সাথে কান ধরে দাঁড়িয়েযায়।কিন্তু অন্যজনের আত্মসম্মান বোধ খুব বেশি,এতগুলো মেয়ের সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা তারপক্ষে সম্ভব না।সে,সোজা ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ল।সেই যে বের হল, আর কোনদিন ঢুকে নি।স্যারের উপর রাগ করে,অপশনাল সাবজেক্ট বায়োলজি বাদ দিয়ে কম্পিউটারনিয়ে নিল।এরপর দেখতে দেখতে উচ্চ মাধ্যমিকশেষ। ফলাফলের(ডিভিশন) ভিত্তিতে চান্স হলময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে।ডাক পড়লভাইভা বোর্ডে।
কিন্তুু বিধি বাম, তাকে ভাইভাবোর্ড থেকে বের করে দেয়া হল।কারন টাসিম্পল, উচ্চ মাধ্যমিকে যার বায়োলজি ছিলনা, সে কিভাবে মেডিকেলে পড়বে???তারপর,মন খারাপ করে ভর্তি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগে।সেদিনের এই ছেলেটা কেজানেন?
ইনি হলেনউচ্চ মাধ্যমিক প্রাণি বিজ্ঞান ও উচ্চ মাধ্যমিক উদ্ভিদ বিজ্ঞান বই দুটির লেখক “গাজী আজমল”স্যার।২০১০ সালেনটরডেম কলেজেরর বেস্ট টিচারএওয়ার্ডপ্রাপ্ত।বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই, হার্টে ‘পেইসমেকার’বসানো…কিন্তুু বার্ধ্যক্য এখনওতাঁকে স্পর্শকরতেপারে নি।যেমন হাসতেপারেন,তেমনিহাসাতেও পারেন.