১। ঢাকার সব মার্কেটগুলোর সাপ্তাহিক বন্ধ আলাদা আলাদা দিনে হতে হবে। যেমন ধরুন নিউমার্কেট মঙ্গলবার বন্ধ হলে বসুন্ধরা সিটি রবিবার বন্ধ। যমুনা ফিউচার পার্ক সোমবার… ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ।
২। উপরের ১ নাম্বার বিষয়টা সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতের জন্যেও করতে হবে।
৩। ঢাকার ভেতর বিশাল সাইজের পাজেরো গাড়ির কোনো দরকার নেই। এটা রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়। সরকারি কর্মকর্তাদের কিচ্ছতাসাধনের জন্য বলা হয়। ওদিকে ঢাকার ভেতর সাহেবরা 2477cc গাড়ি নিয়ে চলাচল করেন শ্রেফ ভাবের জন্য। যে যত বড় সাহেব, তার গাড়ির ইন্জিন তত বেশি তেল খায়।
অফিস আদালতের নিজেস্ব বাস সার্ভিস থাকবে। এলাকায় এলাকায় বাস ঘুরে ঘুরে পিক করবে। বাসে ওঠা মাত্র অফিস আওয়ার কাউন্ট হবে 😜
৪। আলাদা আলাদা অফিসের হলিডে যেমন আলাদা আলাদা, তেমন আলাদা আলাদা অফিসের ওয়ার্কিই আওয়ার আলাদা আলাদা হবে। যাতে পিকওয়ার বিষয়টি ইজি হয়।
৫। ঢাকার ভেতরের স্কুল কলেজের জন্যেও উপরের সিস্টেম থাকবে।
৬। প্রতিদিন লক্ষ মানুষ ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকাতে আসে অফিসিয়াল ফাইলপত্র নিয়ে হেড অফিসে। হেড অফিসগুলো সবই ঢাকাতে।
ডিজিটালাইজেশন ভালমত করতে হবে। ফাইলপত্র ইন্টারনেটে চালাচালি হবে। কাগজের চাপ কমাতে হবে।
উপরের কোনোকিছুই করে কোনোকিছুই হবে না যদি এই ১৬ কোটি মানুষের দেশে কেবল একটাই সত্যিকার মেগাসিটি থাকে। সকলকিছু ঢাকাতে। চাকরির ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে সব।গরু ছাগলের প্রজনন গবেষনা কেন্দ্র বলেও যদি কিছু থাকে, দেখবেন সেটাও এই ঢাকাতে।
ডিসেন্ট্রালাইজেশন না করে, আর ঢাকার বাইরে ভাল মানের কর্মসংস্থান তৈরি না করলে কোনোকিছু করেই কিছু হবে না।
ঢাকাতে এখন গাড়ির গড় গতিবেগ ৪ কিমি প্রতি ঘন্টাতে এসে ঠেকে গেছে…. পিকআওয়ারে !
এটা লজ্জার! এর চেয়ে দ্রুত মানুষের হাটার গতি !
হাটার জন্য যে ফুটপাথ, সেটা হকারের দখলে! আপনি এই ঢাকার সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ জায়গা মতিঝিলের কথাই চিন্তা করুন।
আপনার, আপনার পরিবারের মানুষের শরীর ও মনের উভয়েরই জন্য এই শহর ভয়ংকর হয়ে যাচ্ছে।
এই শহরে কেউ মজার জন্য থাকে না। থাকে নিরুপায় হয়ে, কেউ বাধ্য হয়ে, আবার কেউ জোর করে।
ঢাকা এখন রীতিমত গবেষণা লেভেলের বিষয় হয়ে যাচ্ছে। দেশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে এই শহর নিয়ে গবেষণা করে এরপর কিছু করা উচিৎ। আউট অফ দা বক্স সলিউশন ছাড়া অসম্ভব রীতিমত।
লেখকঃ ফয়সাল শোভন
তড়িৎকৌশলী