আমার প্রস্তাব হলো ৪ বছরের অনার্সই হউক টার্মিনাল ডিগ্রী। এরপর যোগ্যতা প্রমান সাপেক্ষে লিমিটেড আসনে মাস্টার্স করবে। এতে হলের আবাসিক সংকট অনেকটা কেটে যাবে। কার অগ্রাধিকার বেশি? মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের? না প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের? প্রথম বর্ষেই যে একবার হোঁচট খায় সে আর দাঁড়াতে পারে না। আমাদের প্রথম বর্ষের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীদের আসলে হলে থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এতে socialization শেখার সুযোগ হয়। সবাইকে দিতে না পারলেও যাদের প্রয়োজন তাদের সবাইকে হলে সিট দেওয়া উচিত। শুনেছি সরকারি কর্মকর্তাদের ১৮০০ ফ্ল্যাট ঢাকা শহরে খালি পরে আছে। এইগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে দিতে পারে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় এইগুলো ভাড়া নিতে পারে।
আমার দ্বিতীয় প্রস্তাব হলো আবাসিক হলে সকল প্রকার দলীয় রাজনীতি সপূর্ণ নিষিদ্ধ করে অন্তত আগামী ৩টি বছর দেখুন। ৬৩ বছরতো ছাত্র রাজনীতি দেখলেন। আর ৩ বছরের জন্য দলীয় ছাত্র রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস দেখতে পারবেন না? আফসুস থাকবে কেন? আগামী ৩ বছর সকল রাজনৈতিক দলকে বলব ছাত্রদের মাঝে রাজনীতি ইঞ্জেক্ট করা থেকে বিরত থাকুন। ছাত্ররা হউক রাজনীতি সচেতন। এই যে ক্যাম্পাসে নানা সেমিনার, আলোচনা হচ্ছে আর এইগুলোতে যে তিল ঠাই নাই এর মাধ্যমে কি রাজনীতি হচ্ছে না। এই রকম দলান্ধ মুক্ত রাজনৈতিক সচেতনতামূলক কর্মকান্ড জারি থাকুক।
এর ফলে আবাসিক হল চালানো অনেক সহজ হয়ে যাবে। হলে কোন প্রকার ঝামেলা না থাকলে ছাত্ররাই দুয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কাজ করে হল চালাতে পারবে। এতে শিক্ষকদের অনেক কর্মঘন্টা বেঁচে যাবে। দল ভিত্তিক বা দলীয় লেজুড়বৃত্তি ভিত্তিক শিক্ষক রাজনীতিও একইভাবে বন্ধ থাকুক। দেখবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যরকম সুন্দর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।
– কামরুল হাসান মামুন