গুচ্ছ অন্তর্ভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তি হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ কম-বেশি সবারই থাকে। সে হিসেবে নিচে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হলোঃ
❤️পরিচিতিঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আসন সংখ্যায় ৪র্থ বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় । শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক থেকে বর্তমানে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।
👉বশেমুরবিপ্রবির অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোঃ
১। বাংলাদেশের একমাত্র ভার্সিটি যেখানে সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
২। বশেমুরবিপ্রবি আসন সংখ্যায় দেশের ৪র্থ বৃহত্তম ভার্সিটি।
৩।করোনা পেন্ডামিকের কারণে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো যা জট ছিলো তা বাদে এমনিতে সেশনজট নেই।
৪।বশেমুরবিপ্রবির ক্যাম্পাস দেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্রহশালা।
৫।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বৃক্ষরোপন জাতীয় ১ম স্থান অর্জন।
৬।রোবো-কার্নিভাল প্রতিযোগিতায় ইইই বিভাগ বুয়েট কে ছাপিয়ে ১ম স্থান অর্জন।
৭।পূর্বে প্রতিবছর ৩০০০+ শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হতো। গতবছর মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্যে এ সংখ্যা কমিয়ে ১৫০৫ জনে নিয়ে আসা হয়েছে। আশা করা যায় এবছর’ও এরকম বা এর থেকে কমসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।
👉বিভাগ ও অনুষদ সমূহঃ
বশেমুরবিপ্রবিতে বর্তমানে ৭ টি অনুষদের অধীনে ৩৪ টি বিভাগ রয়েছে।
👉অনুষদ গুলোঃ
প্রকৌশল অনুষদ।
বিজ্ঞান অনুষদ।
জীববিজ্ঞান অনুষদ।
কলা অনুষদ।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ।
আইন অনুষদ।
👉ক্যাম্পাসঃ
প্রায় ৫৫ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় অবকাঠামো গুলির মধ্যে রয়েছে একাডেমিক ভবন,প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন, ক্যাফেটারিয়া, মসজিদ,মন্দির, ভিসির বাসভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য দুইটি ডরমিটরি, কর্মচারীদের কোয়ার্টার, পানি শোধনাগার, সীমানা প্রাচীর ইত্যাদি।
👉বর্তমানে ছাত্রদের ৫০০ আসন বিশিষ্ট ০৩টি হল এবং ছাত্রীদের ২৫০ আসন বিশিষ্ট দুটি হল রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রয়েছে বাসের ব্যাবস্হা।
এখানে রয়েছে আধুনিক ল্যাবরেটরি এবং দ্রুত গতির ইন্টারনেট (ব্রডব্যান্ড ও ওয়াই ফাই) সংযোগের ব্যবস্থা। গড়ে তোলা হয়েছে ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব।
👉নতুন অন্তর্ভুক্ত হবে এমন অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একাডেমিক ভবন-২, ছাত্র ও ছাত্রীদের ২টি হল, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন, কর্মচারীদের কোয়ার্টার, বঙ্গবন্ধুর মুরাল, মেইন গেট, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবনের সম্প্রসারণ, দৃষ্টিনন্দন জলাধার, জিমনেশিয়াম নির্মাণ, পুকুর খনন ইত্যাদি।
👉আবাসিক হল পরিচিতি-
👉ছাত্র হলঃ
বিজয় দিবস হল
স্বাধীনতা দিবস হল
শেখ রাসেল হল।
👉ছাত্রী হলঃ
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল।
শেখ রেহেনা হল।
👉গ্রন্থাগারঃ
একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরিঃ
একটি দুই তলা ভবনে লাইব্রেরিটি অবস্থিত। অসংখ্য একাডেমিক বই ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন লেখকদের বিখ্যাত সব বই।পুরো ভবনটি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। গ্রন্থাগারে অবস্থিত কম্পিউটার ল্যাবে প্রায় ১৪০ টি কম্পিউটার রয়েছে।
👉সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডঃ
বাঁধন – বশেমুরবিপ্রবি ইউনিট।
বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সংগঠন।
বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি-বশেমুরবিপ্রবিসাস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।
👉সাংস্কৃতিক ক্লাবঃ
সাদাকালো সঙ্গীত ক্লাব।
বশেমুরবিপ্রবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি।
রংধনু সাংস্কৃতিক ক্লাব।
👉প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে কাশফুল, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তার দুই ধারে, খেলার মাঠে, লেকপাড়ে, আইন চত্বর, কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ, বাঁধন চত্বর, ক্যাম্পাসের হলগুলোর আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের গাছ ক্যাম্পাসকে পরিণত করেছে সবুজের বাগানে।
👉শেষকথাঃ
একঝাঁক প্রাণবন্ত, চঞ্চল নতুন মুখ দেখার অপেক্ষায় আছে ৫৫ একর । প্রতিবছর নতুনদের আগমন মেতে ওঠে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয় মানেই ক্যাম্পাস, বিশ্ববিদ্যালয় মানেই বন্ধু, আড্ডা, বড় ভাইয়া-আপুদের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর বিস্তৃত পরিসরে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরা। রয়েছে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরার অফুরন্ত সুযোগ।এই অনুভূতিগুলো আসলেই বিরল।প্রিয় ক্যাম্পাস, বন্ধু, আড্ডা এবং নিজেকে মেলে ধরার মধ্যে জীবনের তৃপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রিয় বশেমুরবিপ্রবি তোমাদের নতুন মুখের সাথে পরিচিত হওয়া এবং নতুন এক বন্ধনের অপেক্ষায় আছে।
ছবি সংগৃহীতঃ BSMRSTU Photographic Society & The Beauty Of Bsmrstu Campus