যেই সিস্টেমের বিবর্তন নাই সেই সিস্টেম পচে যেতে বাধ্য। জীব কিংবা জড়, প্রতিষ্ঠান কিংবা টেকনোলজি যা কিছুই ধরিনা কেন সেগুলো যদি সময়ের সাথে পরিবেশ বা ডিমান্ডের সাথে খাপ খাইয়ে পরিবর্তিত হয়ে যুগোপযোগী না হয় সেটির অধঃপতন অবধারিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ এর অধ্যাদেশের কথাই ধরা যাক। এইটাকে এমন একটি ডিভাইন অধ্যাদেশে পরিণত করেছি যে এইটা সেই ৭৩ এর পরে আর কখনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

এটাকে একদম ধর্মগ্রন্থের মত বিবেচনা করেছি। অথচ চালু হওয়ার পরে দেখা উচিত ছিল এই অধ্যাদেশের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কি আরো ভালো চলছে? শিক্ষকরা কি শিক্ষকরা এই অবাধ স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করছে?

করলে সেটাকে রোখার জন্য অধ্যাদেশের পরিবর্তন আনা উচিত ছিল। এই অধ্যাদেশ ব্যবহার করে শিক্ষকরা কি শিক্ষক হওয়ার চেয়ে বেশি রাজনীতিবিদ হয়ে যাচ্ছে? শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা যেমন মানের ডিন পাচ্ছি তা কি ঠিক নাকি একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে যোগ্যতম শিক্ষককে ডিন বানানো উচিত?

ভিসি যেইভাবে নির্বাচিত এবং শেষে মনোনীত হওয়ার পদ্ধতি ৭৩ এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি তাতে কি আমরা ভালো মানে ভিসি পাচ্ছি? সমস্যা কোথায়? এই প্রশ্নটা কেউ করছে না।

সমাধান কিভাবে আসবে যদি প্রশ্নই না করি? বিশ্বের কোথাও ভোটের মাধ্যমে ভিসি বা ডিন নির্বাচন হয়? জনপ্রিয় শিক্ষকরা কি অপ্রিয় কিন্তু জরুরি নিয়মনীতি চালু করতে পারবে?

দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের উপর। বছরের পর বছর আমাদের সরকারেরা অযোগ্য, অসৎ ভিসি নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছে অথচ জনগণ এটি মেনে নিচ্ছে। ভিসিরা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ না করে অন্যান্য আকাম কুকামে বেশি আত্মনিয়োগ করছে। কই সমাজেতো এইসব নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না।

যথেষ্ট প্রতিবাদ হচ্ছে না। তাই সময় এসেছে এইসব পচা গান্ধা নিয়ম পরিবর্তন করে বৈশ্বিক নিয়ম চালু করা। যেই নিয়মে বিশ্বের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উত্তর উত্তর আরো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হচ্ছে।

কেবল একজন আন্তর্জাতিক মানের একজন ভালো একাডেমিক এবং সাথে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অভিজ্ঞ একজনকে ভিসি নিয়োগ দিন। শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন নীতি যুগোযোপযোগী করুন। যেই প্রার্থীদের ইতিমধ্যে পিএইচডি বা পোস্ট-ডক আছে তাদের বেশি করে নিয়োগের নিয়মনীতি করুন।

আমাদের ছাত্রদের আবাসিক ব্যবস্থা বিশ্বমানের করুন দেখুন আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কি ম্যাজিক্যাল হয়। এদেরকে আর বনসাই বানিয়ে রাখবেন না।