রেলের উচ্চতাকে ‘ত্রুটি’ বলার সময় আসেনি, ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে :
সম্প্রতি পদ্মা সেতুর রেল ও সড়কপথে মাঝের উচ্চতা কম হয়েছে বলে সেতু বিভাগ রেল সংযোগ সড়ক নিয়ে আপত্তি জানায়।
এতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে সংযোগ সড়কের কাজ বন্ধ রেখে নতুন নকশা করে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর ত্রুটি ধরা পড়েছে, এটি এখনই বলার সময় আসেনি।
রেলসংযোগ প্রকল্পে খুব যে বড় ধরনের সমস্যা, তা নয়। আদৌ সমস্যা আছে কি না তাও বলা যাবে না, যতক্ষণ না এক্সপার্টরা ওপিনিয়ন (অভিমত) দেবেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে রেলসংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী পরিদর্শনকালে বলেন, ‘যেহেতু এটি ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা, সেহেতু আমাদের এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) আছেন, তাঁরা এটি নিয়ে বসবেন।
যদি নকশা কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং মতানৈক্য হয়, তবে আমরা আশা করছি তাঁরাই এটি পুনঃসংশোধন করতে পারবেন।
সেতু বিভাগ ও রেল বিভাগ ডিজাইন দিলেই পুনঃসংশোধন করা হবে। শুধু রেল নামার ও ওঠার সময় সমস্যার কথা উঠছে। এ ক্ষেত্রে সমন্বয় করা হবে।’
পরে মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চরে পদ্মা সেতুর রেললাইনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পুনর্বাসন সুবিধার চেক (এক কোটি ১২ লাখ টাকা) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা ও পায়রাবন্দর পর্যন্ত নেওয়া হবে।
আর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে।
পরিদর্শনকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় প্রকল্প, ত্রুটি শব্দটির সঙ্গে আমরা একমত নই। ত্রুটি তখনই হবে যখন এটি চূড়ান্তভাবে হবে।
এখনো প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, কিন্তু সংশয় যেটি দেখা দিয়েছে, এ রকম আরো দেখা দিতে পারে। পৃথিবীর যেকোনো প্রকল্পেই এমন হতে পারে। তবে এখনো নকশা চূড়ান্ত হয়নি, আমাদের কাছে সময় আছে।
যেহেতু এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তাই উচ্চতর পর্যায়ে আলোচনা করে সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সকল ইঞ্জিনিয়ার একত্রিত করা হবে এবং স্যাটেল করা হবে।’