সাইন্টিফিক আর্টিকেল প্রকাশ করা আশীর্বাদ হয় যখন তা ইথিক্যাল গাইডলাইন অনুসরন করে প্রকাশিত হয় । ইথিক্যাল গাইডলাইন অনুসরন না করে আর্টিকেল প্রকাশ করলে সেই আর্টিকেলটি ক্যারিয়ারের জন্য গলার ফাঁস হতে পারে ।
বাংলাদেশী গবেষকদের ইথিক্যাল গাইডলাইন অনুসরন না করতে পারার প্রধান কারন হলো শিক্ষার অভাব এবং এ সম্পর্কে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা নেই । গবেষক হিসাবে আমাদের শুরুটা নতুন । ফলে অনেক সময় না জানার কারনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে আমরা তুচ্ছ মনে করি ও ভূল হলে তা ধামাচাপা দিয়ে অথবা পেশী ও রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে চাপিয়ে দিতে পছন্দ করি ।
সাইন্টিফিক আর্টিকেল প্রকাশ করার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
১. গবেষণায় অংশগ্রহনকারী সকল সিগনেফিক্যান্ট অথারকে সংযুক্ত করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা । অনেক সময় অনেক গবেষক গবেষণার কাজটি শুরু করেন কিন্তু বিভিন্ন কারনে কাজটিতে সিগনেফিক্যান্ট কন্টিবিউশন করতে পারেনি তাকে একনলেজমেন্টে রাখা হয়েছে কি না তাও নিশ্চিত করা । এই বিষয়ে কনফিক্ট অব ইন্টারেষ্ট তা সকলে বসে বা একটি প্যানেল তৈরী করে তার মিমাংসা করা । মিমাংসা না হলে ‘কনফিক্ট অব ইন্টারেষ্ট’টি মানুস্ক্রিপ্টটি সংযুক্ত করা । এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখছি অন্যটি একটি পোষ্টে ।
২. গবেষণা মানুস্ক্রিপ্টটি ড্রাফট করার সময় থেকে প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সকল অথারকে সংযুক্ত করা ।
৩. গবেষণা মানুস্ক্রিপ্টটি সাবমিট করার আগে সব অথার তাতে সম্মত কি না তা নিশ্চিত করা
৪. জার্ণালে সাবমিট করার সময় খেয়াল রাখা গবেষণা মানুস্ক্রিপ্টটিতে সকল অথারের নাম, আ্যাফিলিয়েশান ও ইমেইল ঠিক আছে কি না
৫. জার্ণাল থেকে রিভিউয়ারের কমেন্ট পাওয়ার পর তা সকল অথারের সাথে শেয়ার করা হয়েছে কি না এবং রিভিশন সাবমিট করার সময়ও সকল অথারের নাম, আ্যাফিলিয়েশান ও ইমেইল ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া
৬. জার্ণালে একসেপ্ট হওয়ার পরে ফাইনাল প্রুফ সকল অথারের সাথে শেয়ার করা এবং তা নিশ্চিত হয়ে সাবমিট করা । কারন আর্টিকেল প্রেস থেকে প্রকাশিত হবার পরে ঐ আর্টিকেলে সংশোধন করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না যদিও corrigendum করা সম্ভব ।
ইথিক্যাল গাইডলাইন অনুসরন না করে পাবলিকেশান করলে আপনার সবচেয়ে পছন্দের ছাত্র ও গবেষক আপনার শত্রুতে পরিনত হতে পারে অথবা ছাত্রের কাছে প্রিয় শিক্ষকটি হতে পারে তার প্রধান শত্রু ।
Muhammad A Halim