আমেরিকায় গ্র্যাজুয়েট ( মাস্টার্স, পিএইচডি) লেভেলে Full Funded স্টুডেন্টদের জন্য পড়তে যাওয়ার জন্য ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচের গড় হিসেবটা এরকম। ধরি, ডলার রেট=৮৫ টাকা।
১. GRE এক্সাম ফি ২০৫ ডলার—- ১৭,৪২৫ টাকা।
২. TOEFLএক্সাম ফি ১৯০ ডলার— ১৬,১২৫ টাকা।
৩. ৪টা ভার্সিটিতে জিআরই স্কোর ফ্রি পাঠানো যায়। আরও দুইটাতে পাঠাতে গেলে ২৭ ডলার * ২ — ৪,৫৯০ টাকা
৪. ৪টা ভার্সিটিতে টোয়েফল স্কোর ফ্রি পাঠানো যায়। আরও দুইটাতে পাঠাতে গেলে ২০ ডলার* ২= ৩৪০০ টাকা
৫. গড়ে ছয়টা ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই বাবদ ফি ৬০ ডলার*৪ = ৩০,৬০০ টাকা
৬. ছয়টা ভার্সিটিতে ট্র্যান্সক্রিপ্ট ইস্যু+ কুরিয়ার—- ১৪,০০০ টাকা (প্রায়)।
৭. SEVIS ফি ৩৫০ ডলার—- ২৯,৭৫০ টাকা
৮. Visa ফি ১৬০ ডলার— ১৩,৬০০ টাকা
৯. প্লেন ভাড়া— ১,১০,০০০ টাকা (প্রায়)
১০. শপিং—– ২০,০০০ টাকা
১১. রিজার্ভ (সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য) ১৫০০ ডলার তথা ১,২৭,৫০০ টাকা
১২. No need of Block Money.
সর্বমোট= ৩,৮৭,১১৯ টাকা। টুকিটাকি মিলে চার লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, এখানে খরচ কমানো যেতে পারে যদি আপনি কৌশলী হন। যেমনঃ জিআরইতে যদি ফ্রি স্কোর পাঠিয়েই কাজ সেরে ফেলতে পারেন (যেখানে ফ্রি পাঠিয়েছেন সেখানেই অ্যাডমিশন) তবে ৪৬০০ টাকা খরচ কমে যাবে। একই কথা টোয়েফলের জন্যেও। অ্যাডমিশন এবং ফান্ডের আশ্বাস পাওয়ার পরই সেই ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করলে ফি বাবদ প্রায় ২৮,০০০ টাকা বাঁচানো সম্ভব (সেক্ষেত্রে শুধু একটা ভার্সিটির জন্য ৬০ ডলার ফি দিতে হবে)।
আবার যাদের WES ট্র্যান্সক্রিপ্ট ইভালুয়েশন প্রয়োজন তাদের এর পাশাপাশি আরও খরচ হবে প্রায় ২০,০০০ টাকার কাছাকাছি।
যারা ৪ লাখ টাকার কথা শুনেই ভয় পাচ্ছেন, আপনি যদি Running স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে প্রতি বছর কিছু স্টেপ কমপ্লিট করে কাজ এগিয়ে রাখতে পারেন।
এতে খরচের চাপ একবারে পড়বে না। যেমনঃ তৃতীয় বর্ষে জিআরই ( মেয়াদ ৫ বছর), চতুর্থ বর্ষে/মাস্টার্সে টোয়েফল (মেয়াদ ২ বছর) এভাবে কাজ এগিয়ে রাখতে পারেন। সেই সাথে টাকা জমানো। 🙂
©Shamim Sharif Romel