পৃথিবীতে এমন একটা কোম্পানী আছে যাকে বলা হয় – The Company thats owns the world। বলতে পারবেন সে কোম্পানীটির নাম কি?

কেউ হয়ত বলবেন, এমন কোন কোম্পানী আছে নাকি যেটা পৃথিবীর মালিক! আবার কেউ হয়ত বলবেন ফেসবুক, গুগল বা আমাজনের নাম।

The Company that owns the World বাক্যটা তাদের ক্ষেত্রে রুপক অর্থে ব্যবহার করা হলেও একেবার অসত্যও না। কারণ কোম্পানীটি সরাসরি ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ম্যানেজ করে এবং পরোক্ষ ভাবে বর্তমানে আরো ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার ম্যানেজ করে।

হ্যা অংকটা বিলিয়নে নয়, ট্রিলিয়নে। ১০০টির বেশি দেশে তাদের ব্যবসা আছে, অফিস রয়েছে ৭০টি দেশে। পৃথিবীর খুব কম সংখ্যক বিলিয়ন ডলারের কোম্পানী রয়েছে যাদের একটা বড় অংশের শেয়ার তাদের কাছে নেই। সেটা হোক আমেরিকার ফেসবুক, গুগল, টুইটার, আমাজন বা মাইক্রোসফট বা ভারতের বাইজুস, পেটিএম।

সুতরাং আপনি সেই কোম্পানীতে বিনিয়োগ করছেন মানেই আপনি বিশ্বের কয়েক হাজার টপ লিস্টের কোম্পানীতে একযোগে বিনিয়োগ করছেন।

মাত্র ৩৪ বছর আছে ১৯৮৮ সালে জন্ম নেওয়া কোম্পানীটি বিশ্বে অর্থনীতির মোড় যেকোন সময়েই আজ ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম, ফলে ২০১০ সালের অর্থনীতির মন্দাতে স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল তাদের পরামর্শ ও সহযোগীতার জন্য।

তো সে কোম্পানীটি কি? আমরা অনেকেই হয়ত তার নামটাও জানি না কিন্তু পরোক্ষভাবে আমাদের সব তথ্যই তাদের কাছে রয়েছে, যা হয়ত কোন একক কোম্পানী হিসাবে গুগল- ফেসবুকের কাছেও নেই।

কোম্পানীটির নাম – BlackRock, an american multinational asset management company. যা প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান CEO হলেন Larry Fink।

পৃথিবীতে এত অল্প সময়ে এত বড় সফল উদ্যোক্তা আর দুনিয়াতে দুইটি পাওয়া কঠিন। কারণ কোম্পানিটি মাত্র ৩৪ বছরের মাঝেই বিশ্বের সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার ম্যানেজ করে থাকে।

যেহেতু ব্লাক রকের ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, টিকটক সবগুলোর শেয়ারই কেনা রয়েছে তাই স্যোসাল সাইটের যুদ্ধে যেইই জিতুক যেভাবেই জিতুক সবচেয়ে বেশি লাভবান একজনই, সেটা Larry Fink.

Writer: Suman Saha