কভিড সংক্রমণের যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তাতেও কম বয়সীদের জন্য এক বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মত বিধি নিষধ রাখার কোন যুক্তি নেই। বরং দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টিকার ব্যবস্থা করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।

মনে রাখবেন কওমি মাদ্রাসা কিন্তু খোলা। প্রায় ১৪ লক্ষ শিক্ষার্থী গত ছয় মাসের বেশি কওমি মাদ্রাসায় ক্লাস করছেন, আবাসিক এতিমখানায় থাকছেন, পড়ছেন। কোন ক্যাজুয়াল্টির কথা আমারা শুনিনি। হ্যাঁ সেখানকার শিক্ষকদেরো টিকা দিন, বৈষম্যহীন ভাবে।

বিশ্ববিদ্যালয় হলের শিক্ষা বিষয়ক গুরুত্বের বাইরেও আরেকটা গুরুত্ব আছে। সেটা টিউশানি ভিত্তিক অর্থনীতি। দেশের ৮৫.১% শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এর একটা বড় খাত হচ্ছে টিউশানি। হাজার হাজার ছেলে মেয়ে টিউশানি করে নিজে চলে, পরিবার চালায়। এসব অর্থনীতির উপাদান না বুঝেই আপনারা এম্পি মন্ত্রী হয়ে বসে আছেন।

আপনারা দেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিন্ম বিত্ত ও প্রান্তিক গরিব মানুষের জীবনের কষ্ট দুঃখ বুঝেন না, পরিতাপের বিষয় যে এই করোনাকালের ব্যাপক কর্মহীনতায়ও আপনারা মানুষের অর্থনৈতিক বিকাশের বিষয়গুলোকে কেয়ার করতে ব্যার্থতা দেখাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে, শিক্ষকদের দ্রুত টিকার ব্যবস্থাকরে হল খুলে দিন, ক্লাস চালু করেন। শিক্ষার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। প্রশ্নফাঁস, সহজ প্রশ্ন, লাগামহীন পাশ মার্ক দিয়ে আপনারা গত এক যুগে এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভিতর থেকে ধ্বংস করেছেন। এর কফিনে পেরেক দিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছেন।

লেখকঃ ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব

পুরকৌশলি