আমার বাছাই করা দুর্বোধ্য সুন্দর সেরা একশো সিনেমা। এই একশো সিনেমা আপনাকে জানাবে, মানব মনের ঠিক কত শত অলিগলি। কতটা বিচিত্র হয় মানুষ। কতটা দুর্বোধ্য হয় তাদের মনস্তত্ত্ব। কতটা বিস্তৃত তাদের কল্পনাশক্তি। কত উদ্ভট উপায়ে তারা গল্প বলতে জানে। এবং বলে।

🎬 ১. Mulholland Drive (2001)
একজন যু্বতী অ্যাক্সিডেন্ট থেকে বেঁচে ফিরেছেন। সমস্যা হচ্ছে, তিনি স্মৃতি হারিয়েছেন। একটা অ্যাপার্টমেন্টে আশ্রয় নিয়েছেন। যে অ্যাপার্টমেন্টে তার সঙ্গে পরিচয় হয় আরেকজন যুবতীর। তিনি সফল অভিনেত্রী। তিনি অসহায় যুবতীকে সাহায্য করবেন। গল্প মোটেও অমন সহজ নয়, যতটা ভাবছেন। দুর্বোধ্য সব সিনেমার লিস্ট আমি সবসময় শুরু করি এই সিনেমা দিয়ে। আমার ভয়ংকর প্রিয় একটি সিনেমা। গল্পের এই দুই যুবতী আপনাকে প্রচুর ভোগাবে। আমি চাচ্ছি, এটা দিয়ে আপনার যাত্রা শুরু হোক। কারণ, এরপর যা আসবে, তা এই সিনেমার তুলনায় নস্যি।

🎬 ২. Triangle (2009)
একজন সিঙ্গেল মাদার সমুদ্র যাত্রায় বের হয়েছেন। কিছুদূর যাওয়ার পর একটা জাহাজের সন্ধান পেলেন। তারপর আপনি ঘুরবেন। এবং ঘুরবেন। সবকিছু শেষ হওয়ার পরও আপনি কিছুক্ষণ ঘুরবেন।

🎬 ৩. Interstellar (2014)
এই সিনেমায় একটা দৃশ্য আছে। বাবা যাচ্ছেন মহাকাশে, ফেরত আসতে পারবেন কিনা সন্দেহ, কন্যা বাবাকে যেতে দেবে না। কান্না করছে। আঁকড়ে ধরছে। বাবা জোর করে মেয়ের বিছানার কাছ থেকে উঠে চলে যাচ্ছেন। হঠাৎ কন্যার রুমের বুকশেলফের তাক থেকে একটা বই নিচে পড়ে গেল। এই দৃশ্যটা কিছুই না। আপনি সিনেমা দেখে শেষ করবেন। এই দৃশ্যটাই আপনার মাথায় গেঁথে থাকবে।

🎬 ৪. Inception (2010)
যদি অমন কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়, যেখানে আপনি স্বপ্ন দেখতে পারবেন, স্বপ্নের ভেতরই মানুষজনের চিন্তাভাবনা কিংবা আইডিয়া চুরি করতে পারবেন, আইডিয়া মাথায় গেঁথে দিতে পারবেন তবে? গল্প শুধু এটুকুন নয়। প্রচণ্ড ভালোবাসা, ইমোশন আর থ্রিলের মারাত্মক মিশ্রন।

🎬 ৫. Predestination (2014)
আপনি তাকে প্রচণ্ড ঘৃণা করেন, প্রচণ্ড ঘৃণা। সামনে পেলে চোখ উপড়ে তুলার মতোন ঘৃণা। কখনও যদি সময় আপনাকে ঐ ব্যক্তির মুখোমুখি করে দেয়, তখন কি আপনি তাকে হত্যা করতে পারবেন?

🎬 ৬. Memento (2000)
যখন আপনি একটা সিনেমা দেখতে বসেন, আপনি সব জানেন। চরিত্রগুলো থেকে বেশী জানেন। এই সিনেমা আপনাকে জানাবে, আপনি কিছু জানেন না। গল্পের এই চরিত্র ঠিক যতটুকুন জানে, আপনি ঠিক ততটুকুন জানেন। এর বাইরে একটা কানাকড়িও না। এই সিনেমার যুবক শর্ট টাইম মেমোরি লস অসুখে ভুগছেন। যখন আপনি এই সিনেমা দেখতে বসবেন, বুঝতে পারবেন, অসুখটা শুধু যুবকের নয়, আপনারও আছে।

🎬 ৭. Mr. Nobody (2009)
আমার ভীষণ পছন্দের সাবজেক্ট। এক বালক একটা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে। ট্রেন চলে যাচ্ছে। তার হাতে দু’টো অপশন। দু’টো জীবন। কিংবা চারটা। অথবা অসংখ্য। কোন জীবনটা বালক বেঁচে নেবে?

🎬 ৮. Shutter Island (2010)
সাল উনিশশো চুয়ান্ন। ইউ এস মার্শাল টেডি ও তার সহকারী চাক এসেছেন শাটার আইল্যান্ডে। ওখানকার একজন রোগী উধাও। তার আচার আচরণ হিংস্র, ভয়ংকর। যে কারোর ক্ষতি করতে পারে। ক্ষতি করার আগে তাকে খুঁজা দরকার। এই সিনেমার মতোন তিনশো ষাট ডিগ্রি এঙ্গেলে টুইস্ট দেওয়া সিনেমা খুব একটা নেই।

🎬 ৯. Passengers (2008)
একই নামে দুই হাজার ষোল সালের একটা সিনেমা আছে। ওটাও চমৎকার। কিন্তু ওটা দেখার ফাঁকে অনেকে এই দারুণ সাইকোলজিক্যাল মিস্ট্রি জনরার সিনেমাটা মিস করে ফেলেন। একদম মিস করবেন না। একটা বিমান দূর্ঘটনা থেকে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন সার্ভাইভারের মানসিক অবস্থার সাথে পরিচিত হোন। এবং ঝটকা খান। মাথার ভেতর কিছু ঝটকা থাকা ভালো।

🎬 ১০. The Uninvited (2009)
যুবতী দীর্ঘ সময় পর বাসায় ফিরেছেন। বাসার আবহাওয়া বদলেছে। মা মারা গিয়েছেন তারও আগে। আপাতত বাসায় বড়ো বোন, বাবা এবং তাদের দেখাশোনা করা একজন মহিলা। যুবতী যাকে পছন্দ করতে পারছেন না। যুবতী কিছু জটিল ঘটনার সম্মুখীন হবেন এখন। এই ঘটনাগুলো মর্মান্তিক। শেষ করে মন খারাপ হবে তা আর বলতে।

🎬 ১১. Primer (2004)
দুই যুবক আবিষ্কার করেছেন ছয় ঘন্টা অতীতে যাওয়ার মতোন একটা টাইম ট্রাভেল মেশিন। শেয়ার মার্কেটে চোখ বুজে ইনভেস্ট করার মতোন এমন সুযোগ তারা হারাবেন কেন? বলা হয়ে থাকে, যখন মানুষের কাছে কিছুই থাকে না, তখন চাওয়ার অনেক কিছু থাকে। কিন্তু যখন মানুষ সব পেয়ে যায়, তখন তার চাওয়ার কী থাকে জানেন? সিনেমাটা দেখুন। এই সিনেমা লিখেছেন, ইডিট করেছেন, টাকা ঢেলেছেন, অভিনয় করেছেন, মিউজিক দিয়েছেন এবং পরিচালনাও করেছেন শেইন।

🎬 ১২. Time Lapse (2014)
তিনজন বন্ধু খুঁজে পেয়েছেন অমন একটা ছবি তোলার ক্যামেরা, যেখানে আজকে দিনের ছবি নয়, ছবি উঠে আগামীকালের। আপনি বর্তমানে বসেই আগামীকালের ছবি তুলতে পারবেন। তিন বন্ধু এই ভয়ংরক ক্যামেরা ঠিক কোন কাজে ব্যবহার করবে? অনুমান করুন।

🎬 ১৩. The Uninvited Guest (2004)
একজন ব্যক্তি ফোন করবে বলে আপনার বাসায় ঢুকেছে। তারপর উধাও হয়ে গেছে বাসার ভেতর। এরচেয়ে ভৌতিক কিছু আর হয় না। সিনেমাটা শেষ করুন। সাইকোলজিক্যাল এই সিনেমাটা দুর্ধর্ষ ও জটিল।

🎬 ১৪. The Fountain (2006)
আমার সবচেয়ে পছন্দের রোমান্টিক একটা সিনেমা। ভালোবাসার সিনেমা সহজবোধ হয়- এই ধারণা ঠিক কতটুকুন ভুল, আপনি এই সিনেমা দেখে বুঝতে পারবেন। প্রতিবার এই সিনেমা আমায় কাঁদায়। প্রতিবার।

🎬 ১৫. 12 Monkeys (1996)
একটা ভয়ানক ভাইরাসে মানবজাতি প্রায় নিশ্চিহ্ন। গুটিকয়েক যারা বেঁচে আছেন, তারা চেষ্টা করছেন সময়ের সাথে লড়াই করার। বর্তমান সময় নয়, অতীত। অতীতের কোন সুতো কেটে দিলে পৃথিবী স্বাভাবিক হবে আবার?

🎬 ১৬. Under The Skin (2013)
প্রচণ্ড স্লো গতির এই সিনেমা আপনাকে দেখাবে, পৃথিবীর বাইরের কারোর জন্য আমাদের পৃথিবী দেখতে কেমন? মানুষ হিসেবে আমরা কেমন? অন্য কারোর দৃষ্টি থেকে নিজেকে দেখা হয়েছে কোনোদিন? তবে এই সিনেমা আপনার জন্য।

🎬 ১৭. Iravukku Aayiram Kangal (2018)
একটা রাত। একট হত্যা। অনেকগুলো সাসপেক্ট। অমন গল্প প্রায়শই দেখেন। কিন্তু এই গল্প একদমই আলাদা। এই গল্প আপনার মাথার ভেতর খেলবে- তা নয়। আপনার আস্ত মাথা নিয়েই খেলবে।

🎬 ১৮. Vanilla Sky (2001)
স্প্যানিশ সিনেমা ‘ওপেন ইউর আইস’-এর রিমেইক এই সিনেমার যুবকের অর্থবিত্তের কমতি নেই। যা চান, হাতের কাছে পান। উশৃঙ্খল, বাঁধনহীন, মুক্ত। এই যুবক শীঘ্রই আটকাবেন কোথাও। আপনিও আটকাবেন।

🎬 ১৯. Enemy (2013)
আপনার মতোন দেখতে আরও একজন একটা ভিন্ন জীবন যাপন করছে কোথাও। সমস্যা নাই। সমস্যা তখন দেখা দেবে, যখন আপনারা একে অপরের মুখোমুখি হবেন। এই সিনেমার যুবক হয়েছেন।

🎬 ২০. Source Code (2011)
এক যুবক ঘুম ভেঙে উঠে দেখলেন তিনি ট্রেনে। জানালার কাছের সিটে বসে। একটা বোমা বিষ্ফোরণ হয়। তারপর যুবক পুনরায় চোখ খুলে দেখতে পান, তিনি ঐ ট্রেনে। জানালার কাছের সিটে বসে। তারপর…

🎬 ২১. No Smoking (2007)
অনুরাগ কশ্যপ দুই হাজার সাত সালে এই সিনেমা বানিয়েছেন। দুই হাজার বাইশে বসেও এই সিনেমা হজম করা কষ্ট। একজন যুবক প্রচুর সিগারেট খান। তার চারপাশের কেউ পছন্দ করে না বিষয়টা। যুবককে তারা প্রায় বাধ্য করেন, সিগারেট ছাড়তে। তারপর এই গল্প ওয়াশরুমের বেসিনের গর্ত দিয়ে ঢুকে সাইবেরিয়া হয়ে কোথায় কোথায় যে যাবে, আপনি ধারণা করতে পারবেন না।

🎬 ২২. Memoir of a Murderer (2017)
অ্যালঝাইমারে ভোগা একজন বৃদ্ধ বরফে ঘেরা একটা রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন। যে গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছে, ঐ গাড়ির পেছন দিক থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। যদিও ড্রাইভার দাবী করল তা হরিণের রক্ত। কিন্তু বৃদ্ধ স্পষ্ট বুঝলেন, এটি হরিণ নয়। বৃদ্ধ জানলেন, কারণ বৃদ্ধেরও একটা গল্প আছে। কোরিয়ান এই সিনেমার প্রতিটা মুহূর্ত টানটান উত্তেজনায় ভরপুর।

🎬 ২৩. 2001: A Space Odyssey (1968)
সাই-ফাই সিনেমা বানানোর আগে যে সিনেমাটা আপনার ফার্স্ট ক্লাসের ফার্স্ট সাবজেক্ট হবে, এটি ঐ সিনেমা। কুবরিক নির্মাণ করেছিলেন। সাল উনিশশো আটষট্টিতে বসে যে সিনেমা তিনি বানিয়েছেন, দুই হাজার বাইশে বসেও আপনি টের পাবেন না এই সিনেমার বয়স পঞ্চাশ বৎসর।

🎬 ২৪. The Machinist (2004)
ক্রিশ্চিয়ান বেলের শরীর নিয়ে খেলাধুলা বাদ দিয়ে সিনেমার গল্পে মনোযোগ দিতে পারেন। একজন ব্যক্তি অনেকদিন না ঘুমিয়ে আছেন। না ঘুমিয়ে একটা ব্যক্তি কতদূর যেতে পারে?

🎬 ২৫. Mirage (2018)
দুটো সময়। একটা টিভি। দুইজন মানুষ। একজন নারী ও একজন বালক। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন তারা। বালকটা একটু পর মারা যাবে। নারী বাঁচাতে পারবেন বালককে। কিন্তু তারপর একটা ঝামেলা শুরু হবে। ঝামেলাটা কী?

🎬 ২৬. Primal Fear (1996)
উনিশ বৎসরের একজন যুবক আটক হয়েছেন একজন ব্যক্তিকে বর্বরতম উপায়ে হত্যার অপরাধে। একজন উকিল এই কেইসটা দেখবেন। কারণ তিনি জানেন, যুবক নির্দোষ। তিনি কেইসটা জিতলেন। গল্প শেষ। গল্প কি শেষ?

🎬 ২৭. The Body (2012)
মর্গ থেকে একটা লাশ উধাও হয়েছে। মর্গের সিকিউরিটি কোনো একটা অজানা কারণে ভয়ে কুপোকাত। জ্ঞান হারিয়েছেন। কোমায় আছেন। লাশটা কোথায়? এরচেয়ে মারাত্মক থ্রিলার খুব কম দেখেছি আমি।

🎬 ২৮. Angel Heart (1987)
একজন প্রাইভেট ডিটেক্টিভ কাজ খুঁজে পেয়েছেন। একজনকে খুঁজে বের করতে হবে। ডিটেক্টিভ যাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, সেই মারা যাচ্ছে। স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। কেউ খুন করছে, খুব নৃশংসভাবে। একটা সহজ সাধারণ গোয়েন্দাগিরির গল্প কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, আমি দেখতে বসার আগে একটুও অনুমান করতে পারিনি। আপনিও পারবেন না।

🎬 ২৯. The Skin I Live In (2011)
এই সিনেমা দ্বিতীয়বার দেখা যায় না। এই সিনেমা প্রথমবার দেখেই হজম করা যায় না।

🎬 ৩০. Mother! (2017)
হিম একজন লেখক। তার স্ত্রীর নাম হার। বাচ্চা-কাচ্চা নেই। তাদের ছোট্ট সংসার। একদিন ঐ বাড়িতে অতিথি এলো একজন। এবং অতিথির স্ত্রী। এবং তাদের সন্তানও। এবং তারা সর্বনাশ করে ছাড়লো বাড়ির। মেটাফোরিক্যাল এই সিনেমা আমার অত্যাধিক অত্যাধিক অত্যাধিক প্রিয়। এটা ফেলে রাখবেন না।

🎬 ৩১. Nocturnal Animals (2016)
বিষণ্নতা যদি একটা কাব্য হয়, এই সিনেমা হচ্ছে মহাকাব্য। একজন নারী, ব্যস্ত স্বামী নিয়ে যার সুখের (!) সংসার। একটা কন্যাও আছে। অর্থবিত্তের কমতি নেই। নারীর ঠিকানায় একদিন একটা উপন্যাস আসে। উপন্যাসটা লিখেছেন নারীর প্রাক্তন প্রেমিক/স্বামী। উপন্যাসটা উৎসর্গ করা হয়েছে নারীকে। আপনি এই সিনেমা দেখবেন, কারণ আমি আপনাকে জানাচ্ছি- প্রিয় মানুষটির বিশ্বাসঘাতকতার সবচেয়ে ভয়ানক নির্মম কঠোর ও শৈল্পিক প্রতিশোধ নিতে জানে কে, জানেন? জি, একজন লেখক।

🎬 ৩২. Dhuruvangal Pathinaaru (2016)
দীপক রিটায়ার্ড একজন পুলিশ অফিসার। তিনি একটা গল্প বলবেন। ঐ গল্প আপনাকে শুনতে হবে। কারণ গল্প শেষে আপনি চেয়ার উল্টে পড়ে যাওয়ার মতোন একটা টুইস্ট পাবেন।

🎬 ৩৩. Black Swan (2010)
একজন যুবতীর মাথার ভেতর ঢুকুন। তার পারফেকশন, ত্যাগ, প্যাশন- পরিচিত হোন। এক ভয়াবহ দুর্ধর্ষ মনস্তাত্ত্বিক যাত্রায় আপনাকে স্বাগতম।

🎬 ৩৪. Lucid Dream (2017)
সন্তান, পরিবার, স্বপ্ন, আশা- কতদূর যেতে পারবেন?

🎬 ৩৫. The Prestige (2006)
নারী ম্যাজিকের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। পানিভর্তি বাক্স তৈরী। নারীর হাতে দড়ি দিয়ে গিঁট বাঁধা হলো। বাক্সে ফেলা হলো। নারী দড়ি খুলতে পারবেন না। এবং জাদুকরী এই সিনেমার জটও অত তাড়াতাড়ি আপনি খুলতে পারবেন না।

🎬 ৩৬. Witness For The Prosecution (1957)
আগাথা ক্রিস্টির গল্প। শেষ করে আবার দেখতে বসবেন, তা আর বলতে।

🎬 ৩৭. Mumbai Police (2013)
এসিপি এন্টনি ফেরত আসছেন। সদ্য একটা কেইস সলভ করেছেন। মার্ডারারকে ধরে ফেলেছেন। আসার পথে একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়। তিনি স্মৃতি ভুলে যান। নতুন করে কেইসটা শুরু করা দরকার। ভয়ানক সুন্দর সিনেমা।

🎬 ৩৮. The Others (2001)
আপনি যা দেখছেন, ভুল দেখছেন। এটিই এই সিনেমার স্পয়লার। স্পয়লার জেনে ফেলার পরও আপনি সঠিক জায়গায় গিয়ে চমকাবেন। এটিই এই সিনেমার বিশেষত্ব।

🎬 ৩৯. 13b (2009)
একটা টেলিভিশন সিরিয়ালে যা ঘটছে, তা আপনার জীবনেও ঘটতে শুরু করল। আপনি প্রতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করা শুরু করলেন। আগামীকাল আপনার সাথে কী ঘটবে? যারা বলেন, ইন্ডিয়ানরা হরর বানাতে জানে না, এটি তাদের জন্য।

🎬 ৪০. Fight Club (1999)
একজন যুবক ইনসোমনিয়ায় ভুগছেন। পরিচিত হয়েছেন আরেকজন যুবকের সঙ্গে। তারা দুইজন মিলে কিছু কাজ করবেন। সিনেমার নাম দেখে অন্য কোনো জনরা মনে করবেন না। এটা আপনার মাথায় ঢুকে যাবে।

🎬 ৪১. Lost Highway (1997)
কেউ একজন চুপিসারে আপনার বাসার সামনে একটা ভিডিও টেপ রেখে যাচ্ছে। ঐ টেপে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আপনার বাসা। কেউ একজন আপনার বাসায় ঢুকছে চুপিচুপি। লিঞ্চের সবচেয়ে দুর্বোধ্য সিনেমা এটি।

🎬 ৪২. Table No. 21 (2013)
একজোড়া কাপল একটা গেইম খেলবেন। গেইমের রুলস একটাই। সত্য বলতে হবে। ইফ ইউ লাই, ইউ ডাই। শুরু করুন। শেষে একটা প্রচণ্ড ধাক্কা অপেক্ষা করছে।

🎬 ৪৩. Kahaani (2012)
ভিদ্যা ভাগচী তাঁর স্বামীকে খুঁজতে এসেছেন কোলকাতায়। তিনি প্রেগন্যান্ট। এই প্রেগন্যান্ট মহিলা একশো বাইশ মিনিট ধরে আপনাকে নিয়ে ঘুরবে। তার গল্পের অংশ হোন।

🎬 ৪৪. Taxi Driver (1976)
যে সিনেমা দিয়ে স্করসেজি একটা টোন সেট করেছিলেন। একটা স্বর। মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে যতগুলো সিনেমা আমি দেখেছি, ট্র্যাভিস চরিত্রটা আমাকে ভুগিয়েছে সবচেয়ে বেশী।

🎬 ৪৫. The Usual Suspects (1995)
এই সিনেমাকে বলা হয় মিস্ট্রি থ্রিলার জনরার সিনেমাগুলোর ভেতর ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট। এবং এই সিনেমার এন্ডিং দেখেই আমি প্রথমবার জেনেছিলাম, গল্প এইভাবেও শেষ করা যায়। মারাত্মক।

🎬 ৪৬. Psycho (1960)
উনিশশো ষাট সালের একটা সিনেমায় এই লেভেলের টুইস্ট দেওয়ার ক্ষমতা আছে এই একজন ব্যক্তির। হিচকক।

🎬 ৪৭. American Psycho (2000)
প্যাট্রিক ধনী পুরুষ। সুন্দর। স্মার্ট। সুদর্শন। আপনি অপেক্ষা করুন। এই ব্যক্তি আপনার গা হিম করে দেবে একটু পর।

🎬 ৪৮. Andhadhun (2018)
একজন পিয়ানোবাদক। যিনি মনে করেন, চোখ বন্ধ থাকলে মিউজিক ফিল হয় বেশী। তিনি ইচ্ছাকৃত অন্ধ হওয়ার অভিনয় করেন। উনার জন্য একটা টানটান অন্ধকার অপেক্ষা করছে। প্রস্তুত হোন। বলিউডের সবচেয়ে স্মার্ট থ্রিলার।

🎬 ৪৯. Awe! (2018)
যখন কয়েকপিস গল্প, এক সুতোয় বাঁধা পড়ে। সুতোটা খুলবেন?

🎬 ৫০. Arrival (2016)
পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে কিছু এলিয়েনের। তাদের ভাষা আমাদের জানা নেই। তাদের ভাষা বুঝা দরকার। তারা কেন এসেছে? এই সিনেমার আসল এলিয়েন হচ্ছে পরিচালক। তিনি আপনাকে বোকা বানাবেন।

🎬 ৫১. Donnie Darko (2001)
টাইম ট্রাভেল, টাইম লুপ, প্যারালাল ওয়ার্ল্ড বিষয়ক যে মুভি/সিরিজগুলো আমরা এখন গিলি, এই মুভি/সিরিজগুলো যে মুভিটাকে কোনোদিন পাশ কাটিয়ে এড়িয়ে যেতে পারেনি- ওটি ডনি ডার্কো। আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় কুবরিকের স্পেস অডিসির পর সাই-ফাই জনরায় এই মুভি সবসময় দ্বিতীয় স্থানে থাকে।

🎬 ৫২. Orphan (2009)
একজোড়া দম্পতি একটা শিশু দত্তক নিয়েছেন। এই নিষ্পাপ আদুরে শিশু সম্পর্কে তারা কিচ্ছুটি জানেন না। আপনিও জানেন না।

🎬 ৫৩. The Orphanage (2007)
ওয়ান অফ দ্য বেস্ট হরর এভার মেইড। চিরাচরিত নিয়মে ভয় দেখাবে না। কেমন যেন বিষণ্ণ, কাতর কাতর ভয়। প্রচণ্ড সুন্দর এই সিনেমা।

🎬 ৫৪. Looper (2012)
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত। তিনটা একসাথে ওপরে ছুঁড়ে দেওয়া হলো। একটার ভেতর একটা ঢুকে গেল। একটা আরেকটা খেয়ে ফেলল। জটিল না?

🎬 ৫৫. The Illusionist (2006)
বিভ্রম যারা তৈরী করে তাদেরই জাদুকর বলা হয়। এই সিনেমার গল্পটা প্রেমের। দেখতে বসুন। বিভ্রমে পড়তে বাধ্য।

🎬 ৫৬. The Butterfly Effect (2004)
বলা হয়, পৃথিবীর কোনো এক কোনায় একটা প্রজাপতির হালকা ডানা ঝাপটানোর ফলে পৃথিবীর অন্যকোথাও ভয়ংকর ঘুর্ণিঝড় হওয়া সম্ভব।

🎬 ৫৭. Exam (2009)
একটা কক্ষ। আটজন পরীক্ষার্থী। আশি মিনিট সময়। উত্তর লিখতে হবে একটাই। কোনো প্রশ্ন নেই। অংশ নেবেন এই উদ্ভট পরীক্ষায়?

🎬 ৫৮. Moon (2009)
পৃথিবী থেকে দূর, বহুদূর একজন মহাকাশ থেকে ফেরত আসার অপেক্ষায় আছেন। তিন বৎসর পর। কিন্তু একটা সমস্যা হয়েছে। তিনি তাকে খুঁজে পেয়েছেন।

🎬 ৫৯. Coherence (2013)
আটজন বন্ধু খেতে বসেছেন একসাথে। হঠাৎ বিদ্যুত চলে গেল। তারপর পুরো নব্বই মিনিট আপনার মাথার তার একটা একটা করে ছিঁড়ে দেওয়া হবে অন্ধকারে।

🎬 ৬০. Timecrimes (2007)
সময় যখন আপনার সাথে খেলতে শুরু করে, আপনিও সময়ের সাথে খেলতে শুরু করুন।

🎬 ৬১. Phobia (2016)
একটা দূর্ঘটনার পর যুবতী বাসার বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অ্যাগারোফোবিয়ায় ভুগছেন তিনি। কিন্তু ভয়টা কি শুধুই বাসার বাইরে? রাধিকার অনবদ্য অভিনয়, দুর্দান্ত একটা গল্প।

🎬 ৬২. In The Tall Grass (2019)
স্টিফেন কিং-এর গল্প। হররের সাথে হালকা প্যাঁচগোছ। লম্বা লম্বা ঐ ঘাসের ভেতর ঢুকে পড়ুন। অনেক বিস্ময় অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

🎬 ৬৩. Identity (2003)
সাধারণত একটা সিনেমাকে তিন পার্ট করা হলে প্রথম দুই পার্ট আগ্রহ জাগায়, শেষ পার্ট ঐ দুই পার্টের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যায়। এই সিনেমা উল্টো। গতানুগতিক ধারার একটা গল্প শেষ পার্টে আপনার মাথা কামড়ে ধরবে। আগাথা ক্রিস্টির গল্প। তিনি গল্প সহজ ভঙ্গিতে বলতেই জানেন না।

🎬 ৬৪. The Lighthouse (2019)
ঝড়ো আবহাওয়া, একটা একা আইল্যান্ড, দুইজন মানুষ, একাকীত্ব, অপরাধবোধ, কাম, লোভ, মিথ, উন্মাদনার এ এক মহাসমুদ্র। এই সিনেমা আমাকে প্রতিবার ডুবায়। আপনাকেও ডুবাবে। শুধু একটু সিনেমা সংশ্লিষ্ট পয়েন্টগুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে আগে।

🎬 ৬৫. Karthik Calling Karthik (2010)
কার্থিক একলা মানুষ। শান্ত। সভ্য। ভদ্র। নির্ঝঞ্ঝাট। সমস্যা হচ্ছে, রাতে ফোন আসে। ফোনের ওপাশে একটা কণ্ঠস্বর। এটা ওটা বাতলে দেয় তাকে। কার্থিক বদলায়।

🎬 ৬৬. The Innocents (1961)
সিনেমার জনরা হরর। আপনি ভয় পাবেন। তারচেয়েও বড়ো কথা, আপনার মাথা এলোমেলো হবে। কারণ, শুধু ভয় দেখানোই এই সিনেমার উদ্দেশ্য নয়।

🎬 ৬৭. Us (2019)
সাইকোলজি, হরর, মেটাফোর। গল্পটা কেমন যেন। স্যাঁতসেঁতে, থম ধরানো, গাঢ় মায়া মাখা সৌন্দর্য।

🎬 ৬৮. Get Out (2017)
একজন প্রেমিক দাওয়াতে এসেছেন প্রেমিকার বাসায়। গায়ের রঙে পার্থক্য থাকলেও প্রেমিকার পরিবার খুব আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানালো প্রেমিককে। কিন্তু প্রেমিককে কে জানাবে, জাস্ট বিকজ ইউ আর ইনভাইটেড, ডাজেন্ট মিন ইউ আর ওয়েলকাম।

🎬 ৬৯. The Platform (2019)
একটা বড়ো বিল্ডিং। যার প্রতি তলায় দুইজন করে মানুষ থাকে। রুমের মাঝখান বরাবর গোল ফাঁক দিয়ে ওপর থেকে খাবার নেমে আসে। পর্যাপ্ত খাবার। কিন্তু তারপরও মানুষ মানুষের মাংস কেন খায় জানেন? এই সিনেমা দেখুন। গলা অবধি ডিপ মেসেজ ভরপুর এই স্প্যানিশ সিনেমার প্রতিটা মুহূর্ত অর্থপূর্ণ।

🎬 ৭০. Paprika (2006)
এই অ্যানিমে থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে ইনসেপশন বানানো হয়েছিল। অ্যানিমেগুলো ভীষণ আদুরে হয়, স্যাঁতসেঁতে হয়, বিষাদে আচ্ছন্ন হয়। এটি দেখার পর বুঝবেন, কতটা জটিলও হয়।

🎬 ৭১. Tenet (2020)
টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে অনেক জানা হয়েছে, এইবার জানুন ইনভারশন সম্পর্কে। যুবককে সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে। তাও সামনের দিকে না গিয়ে উল্টো দিকে উল্টো পায়ে হেঁটে। কোনো মানে হয়?

🎬 ৭২. Vodka Diaries (2018)
বলিউড মাঝে মাঝে সাইকোলজিক্যাল জনরায় কিছু দুর্দান্ত বানিয়ে ফেলে। আর অডিয়েন্সের কারণে তা চুপিসারে থেকে যায় কোথাও। এটা ঐসব জঞ্জাল ঘেঁটে খুঁড়ে বের করা চমৎকার একটা সিনেমা।

🎬 ৭৩. Kaun (1999)
যুবতী বাসায় একা। বাইরে একজন সিরিয়াল কিলার ঘুরছে শহরজুড়ে। যুবতী ভয় পাচ্ছেন খুব। হঠাৎ দরজায় কলিংবেল। তারপর?

🎬 ৭৪. The Gift (2015)
গিফট, উপহার, সবসময়ই সুন্দর। আকর্ষণীয়। আনন্দময়। কিন্তু যে গিফট আপনি কোনোদিন নিতে পারবেন না। চরম অস্বস্তিকর একটা গল্প।

🎬 ৭৫. Kothanodi (2015)
যারা চরকিতে নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’ সিরিজ দেখছেন, ভাস্কর হাজারিকা ঐ কাজ করেছেন দুই হাজার পনের সালে। চারটি রুপকথা, চার প্রকার ভয়, চার কিসিমের অস্বস্তি।

🎬 ৭৬. It Follows (2014)
হরর বলতে কিন্তু আচমকা ভয় পাওয়া নয়, ভয়ে চুপসে যাওয়াও নয়। মাথার ভেতর একটা ঘন আতংক ঢুকে বসত করা যখন শুরু করে, ঐ গল্পটাই আমার কাছে প্রকৃত হরর। এই সিনেমার গল্পটা হচ্ছে, কেউ একজন আপনাকে অনুসরণ করছে। শেষ। এটিই গল্প।

🎬 ৭৭. Misery (1999)
সদ্য অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া একজন লেখক এবং তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসা তারই লেখার একজন ভক্ত- এই দুইজন মিলে কী কী কাণ্ড করতে পারে অনুমান করুন। গল্পটা স্টিফেন কিং-এর। এইবার অনুমান করুন।

🎬 ৭৮. Saint Maud (2019)
একজন নারী শুনিয়েছিলেন, তিনি ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পান তার মাথায়। এবং ঐ কণ্ঠস্বর ভালোবেসে ফেলেছেন খুব। পরিচালক ঐ নারীর সঙ্গে আলাপের পর এই গল্প লিখতে বসেন।

🎬 ৭৯. Angel’s Egg (1985)
এই অ্যানিমেতে একটা দৃশ্য আছে। আমার খুব পছন্দের দৃশ্য। বিল্ডিং-এর ওপর হাঙ্গরের ছায়া পড়েছে। শহর রক্ষাকারীরা ঐ ছায়া ধ্বঃস করার জন্য অনর্গল তীর ছুঁড়ছে। বিল্ডিং ভেঙে যাচ্ছে তীরের আঘাতে। ছায়া স্বাচ্ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছে সামনে। আমার ব্যক্তিগত পছন্দের সবচেয়ে দূর্বোধ্য সুন্দর অ্যানিমের লিস্টে এটি প্রথম স্থানে থাকে।

🎬 ৮০. Vivarium (2019)
একজোড়া কপোত-কপোতি বাসা খুঁজছেন, থাকার। খুঁজে পেয়েছেন। এবং আটকা পড়েছেন। সহজ সরল গল্প ধারণা নিয়ে দেখতে বসলে আপনিও আটকাবেন।

🎬 ৮১. The Call (2020)
দুইজন তরুণী, দুইটি ভিন্ন সময়, একটি ফোনকল। টানটান থ্রিল। পারফেক্ট ইমোশন।

🎬 ৮২. Andhaghaaram (2020)
একজন ডাক্তার, যিনি নিজের রোগীর হাতে আক্রমনের শিকার হয়ে কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন। একজন অন্ধ যুবক, যিনি সৎ। একজন হতাশ যুবক, যিনি অপরাধবোধে ভুগছেন। তিন গল্প এক হলো একটা টেলিফোনের ভেতর। কিভাবে?

🎬 ৮৩. Blue Velvet (1986)
যুবক হসপিটাল থেকে বাসায় ফেরার পথে একটা জায়গায় ঘাসের ওপর একটা কাটা কান পড়ে থাকতে দেখলেন। কার কান? কে কাটলো? কেন কাটলো? প্রশ্নের উত্তরের পেছনে ছোটেন যুবক। আপনিও ছুটুন।

🎬 ৮৪. Pi (1998)
সবকিছু জেনে ফেলার চেয়ে কোনোকিছুই না জানা অনেকসময় দারুণ আনন্দের, দারুণ স্বস্তির, দারুণ ভালো লাগার বিষয়।

🎬 ৮৫. Room (2019)
একজোড়া নিঃসন্তান দম্পতি তাদের নতুন বাসায় একটা রুম খুঁজে পেয়েছেন। যেখানে গিয়ে মনে মনে কিছু চাইলে তা পাওয়া যায়। তারা চাইলো। পেলো। সবকিছু চাওয়ার পরও মানুষের কী চাওয়ার থাকে? ভাবুন।

🎬 ৮৬. Fracture (2007)
একজন বৃদ্ধ, তার যুবতী স্ত্রী। যিনি পরকীয়া করছেন। বৃদ্ধ জেনে ফেললেন। এবং এক রাত্তিরে গুলি করে মেরে ফেললেন স্ত্রীকে। কনফেস করলেন, আমি আমার বউকে গুলি করেছি। যেখানে অন্য সিনেমা শেষ হয়, এই সিনেমা মাত্র শুরু।

🎬 ৮৭. Prisoners (2013)
এক পুলিশ, এক হতাশ পিতা ও এক উন্মাদ পিতার আড়াই ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকার খোঁজাখুঁজির গল্প। দম আটকে আসার মতোন সুন্দর।

🎬 ৮৮. Dogtooth (2009)
তিন ভাই বোন। পিতা-মাতা যাদের জন্ম থেকে একটা বাড়ির ভেতর আটকে রেখেছেন। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের চোখ দিয়ে আমাদের পৃথিবীটা একটু দেখুন।

🎬 ৮৯. Goodnight Mommy (2014)
মা ফিরেছেন হসপিটাল থেকে। সারা মুখে ব্যান্ডেজ। পুত্রের ধারণা, তিনি মা নন। অন্য কেউ। এই সিনেমা ভয়ের পাশাপাশি আপনাকে কাঁদাবে।

🎬 ৯০. The Lobster (2015)
আপনাকে সমাজ কিভাবে দেখে? আপনার জীবন, আপনার সংসার, আদৌ আপনার? নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে? আপনি একজন স্বাধীন মানুষ। সত্যি? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন।

🎬 ৯১. Perfect Blue (1997)
যারা ব্ল্যাক সোয়ান দেখেছেন, তারা এই অ্যানিমের গল্পের সাথে ঐ সিনেমার গল্পের মিল পাবেন। দু’টোই দুর্দান্ত। এটি অবশ্য একটু বেশী সুন্দর।

🎬 ৯২. Anomalisa (2015)
ফ্রিগোলি সিন্ড্রোমে যারা ভোগে, তারা তার আশপাশের মানুষদের চেহারা কণ্ঠস্বর আলাদা করতে পারে না। সবার এক চেহারা, এক কণ্ঠস্বর। এই অ্যানিমেডেট সিনেমার ভদ্রলোক এই অসুখে ভুগছেন। কাউকে আলাদা করতে পারছেন না। একটা অস্বস্তিকর সময়ে তিনি হঠাৎ একটা কণ্ঠস্বর শুনতে পান। অন্যরকম। ভিন্ন। তারপর?

🎬 ৯৩. The Cabinet of Dr. Caligari (1920)
সিনেমা জগতে ট্রু হররের যাত্রা শুরু হয়েছিল এই সিনেমা দিয়ে। কিউবিজম আর্টে ভর্তি এই সাইলেন্ট সিনেমা বর্তমান সময়ের হরর ক্লাসের গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট।

🎬 ৯৪. Midsommar (2019)
এই সিনেমা বানিয়েছেন অ্যারি এস্টার। গল্পের প্রয়োজন নেই। নামটার ওপর ভরসা করে দেখতে বসুন।

🎬 ৯৫. The Killing of a Sacred Deer (2017)
একজন কার্ডিয়াক সার্জন, যিনি গোপন অপরাধবোধে ভুগছেন। একজন কিশোর, যিনি ঐ সার্জনের ভুলে হারিয়েছেন আপনজন। তারা কী করবেন? উইয়ার্ড, ডিপ মেটাফোরিক সিম্বল, ধর্ম, মানবতা, প্রতিশোধে আচ্ছন্ন একটি গাঢ় বিষাদের গল্প।

🎬 ৯৬. Thittam Irandu (2021)
যুবতী একজন দায়িত্ববান পুলিশ। একদা বাস ভ্রমণে পরিচয় হয়েছে একজন যুবকের সাথে। তারপর ভালোবাসা। বিবাহও ঠিক হয়েছে। কিন্তু যুবতীর মাথা খাচ্ছে একটা কেইস। ছোটবেলার বান্ধবীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন পর ডেডবডি খুঁজে পাওয়া গেল। কিন্তু একটা ‘কিন্তু’ আছে। খুব অতিরিক্ত মিস্ট্রি থ্রিলার না দেখা/পড়া থাকলে, এই সিনেমার টুইস্ট আপনি আন্দাজ করতে পারবেন না।

🎬 ৯৭. Basic Instinct (1992)
ভদ্রলোক খুন হয়েছেন। ভদ্রলোকের প্রেমিকা একজন লেখিকা। সমস্যা হলো, লেখিকার একটা উপন্যাসে ঠিক যে উপায়ে খুন করা হয়েছিল একটা চরিত্র, ভদ্রলোককেও একই উপায়ে খুন করা হয়েছে। তাই মেইন সাসপেক্ট লেখিকা প্রেমিকা। কিন্তু এত সহজে বুঝি মার্ডার মিস্ট্রি সলভ হয়?

🎬 ৯৮. The Night House (2020)
তরুণীর হাসবেন্ড সুইসাইড করেছেন। সুইসাইডের কিছুদিন পর তরুণী হাসবেন্ডের ফোনে অন্য একটা যুবতীর ছবি দেখতে পান, যে দেখতে অনেকটাই তরুণীর মতো। তবে কি হাসবেন্ড পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন? গল্প খুব প্রেডিক্টেবল, না? দেখা শুরু করুন।

🎬 ৯৯. The Life of David Gale (2003)
একজন ব্যক্তি আটকা পড়েছেন একটা মার্ডার কেইসে। তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। তিনি মৃত্যুর আগে একটা গল্প বলবেন। জি না, মোটেও কোনো টিপিক্যাল সিনেমা নয় এটি। নাম দেখে হতাশ হওয়ারও কারণ নেই। আমি আপনাকে ভরসা দিচ্ছি, আপনি এই সিনেমা দেখতে বসুন। আপনি বিস্মিত হবেন, চমকাবেন, মুগ্ধ হবেন। হতে বাধ্য।

🎬 ১০০. Churuli (2021)
যখন উপরের সিনেমাগুলো দেখতাম, ভাবতাম- সব তো সেই কবেকার সিনেমা। এখন কেন অমন দুর্দান্ত কিছু বানানো হয় না। যেটা মাথায় ভনভন করবে, গা শিউরে উঠবে, মগজের ভেতর ঢুকে যাবে চমক, বিস্ময়, মুগ্ধতা। আমার আফসোস পূরণ করল এই সিনেমা। গল্পটা হচ্ছে দুইজন ব্যক্তির, যারা খুঁজতে এসেছেন একজন অপরাধী। গ্রামটার নাম চুরুলি। যাত্রাপথে একটা সাঁকো পড়ে মাঝখানে। সাঁকো পার হওয়ার পর এই গল্প শুরু। শুধুই শুরু। খোঁজ করুন, যদি শেষের দেখা পান।

সংগ্রাহক: সাখাওয়াত হোসেন
(২৩.০৪.২০২২)