ধাপ-১: লক্ষ্য নির্ধারণ (Goal setting)করো:

প্রথমে ভালো করে জানো, কেনো
তুমি বিসিএস দিবে, কোন ক্যাডার
পেলে চাকরি করবে, তোমার আর কী কী
বিকল্প আছে ইত্যাদি। ভেবে লক্ষ্য
স্থির করো।

ধাপ-২: জেনে নাও বিসিএস পরীক্ষাটা
কী:

বিসিএস হলো বাংলাদেশ সিভিল
সার্ভিস এর সংক্ষিপ্ত রূপ। বিসিএস
পরীক্ষা নেয় বাংলাদেশ পাবলিক
সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)।

এ পরীক্ষায় যারা টিকে, তাদেরকে
বিপিএসসির সুপারিশক্রমে মোট ২৮ টি
ক্যাডারে ১ম শ্রেণির গেজেটেড
কর্মকর্তা নিয়োগ দেন গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য
রাষ্ট্রপতি মহোদয়।

ধাপ-৩: ক্যাডারগুলো সম্পর্কে জানো ও
পছন্দক্রম ঠিক করো:

General cadres: Administration, Foreign
Affairs, Taxation, Police, Audit & Accounts,
Customs & Excise, Cooperatives, Economic,

Food, Information, Family Planning, Postal,
Railway Transportation & Commercial, Ansar
& Trade.
Technical cadres: Roads & Highways, Public
Works, Telecommunications, Public Health
Engineering,

Forest, Health, Railway
Engineering, Livestock, Fisheries, Statistics,
General Education, Technical Education,
Information, Agriculture & Food.

[বি.দ্র:
আমার ক্ষেত্রে ছিলো: Foreign Affairs>
Administration> Police> Customs & Excise>
Economic> Audit & Accounts> Taxation>
Information> Railway Transportation &
Commercial> Food> Family Planning>
Postal> Cooperative> Ansar> Trade.

আমার টেকনিক্যাল দেয়ার সুযোগ ছিলো না]

ধাপ-৪: ভাবতে থাকো তুমি তোমার
পছন্দের চাকরি পেয়ে গেছো:

এটা হলো
অবচেতন মনকে এক ধরনের নির্দেশনা।
এটা (আল্লাহ পাকের ইচ্ছায়) তোমার
লক্ষ্যে পৌঁছতে সহায়তা করে। সেভাবে
নিজেকে প্রস্তুত করতে চেষ্টা করো।

ধাপ-৫: কয়েকটা বিষয় মনে রাখো
-বিসিএস পরীক্ষায় কোনো দুর্নীতি হয়
না

-তোমার Political view চাকরির ক্ষেত্রে
কোনো প্রভাব ফেলে না
-ঠিকমতো পড়লে তোমার চাকরি হবেই
(ইনশাল্লাহ)

-প্রিলিতে ৭০% পেলে চান্স পাবেই
(ইনশাল্লাহ); রিটেনে ৫০% এ পাশ, ৬০%
পেয়ে তুমি প্রথম পর্যন্ত হতে পারো,
ভাইভা তে ৪০% এ পাশ।
-তুমি অনেক বার পরীক্ষা দিতে পারবে।
কিন্তু এক বারেই যদি পাওয়া যায়
এতোবারের আশায় বসে থাকবে কেনো,
প্রথমেই খুব ভালো করে পরীক্ষা দা্ও

“বিসিএস মেধাবীদের জন্য নয়, এটি
ধৈর্যশীল মেধাবীদের জন্য।”

[বি.দ্র:
এটি পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড.
সা’দত হোসেন স্যার এর একটি উক্তি]

ধাপ-৬: পরীক্ষা সম্পর্কে জানো:

বিসিএস এ থাকে Preliminary(200marks)> written(900)> viva
(200)> medical test & Police verification>
gazette publication> Appointment
Preliminary শুধু পাশ করতে হয়। এই নম্বর
পরে আর কোনো কাজে লাগে না।

পাশ নম্বর নির্ধারণ হয় কতো জন নিবে তার
উপর ভিত্তি করে। written+viva নিয়ে
ফাইনাল রেজাল্ট তৈরি হয়।

আরো পড়ুন বিসিএস নিয়ে সাম্যক ধারণা ও সিলেবাসঃ

ধাপ-৭: শুধু Preliminary এর জন্য প্রস্তুতি না্ও, বাকি সব ভুলে যা্ও:

প্রিলিতে
থাকে ২০০ নম্বরের MCQ; বাংলা,
ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান,
বিজ্ঞান, মানসিক দক্ষতা, ভূগোল। একটা
ভুলের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা যাবে।

প্রস্তুতি নাও এভাবে:

-টাকা নিয়ে সোজা নীলক্ষেত চলে যাও
>প্রিলির যেকোনো সেট বই কিনো।
-এমনিতেই বিষয়ভিত্তিক যেসব বই
বাসায় আছে, সেগুলোও রেখে দাও,
কাজে লাগবে
>আগের বছরগুলোর প্রশ্নগুলো পড়ো
>দেখো preparation ছাড়া কতো পা্ও, 70%
পেতে আর কতো লাগে। ৭০% পেতে বাকি
যতো থাকে, তার জন্যই তুমি preparation
নিবে

>তোমার strength ও weakness বের করো
>strength গুলো ভালো করে practice করো,
weakness গুলোকে শিখে strength এ
পরিণত করো

>Model question এর একটা বই কিনে
practice করো । এতে ভুল উত্তর দেয়ার
অভ্যাস দূর হবে (ইনশাআল্লাহ)।
>Preliminary পরীক্ষার form fill up করো
>পরীক্ষা দা্ও
>পাশ করো (দোয়া করি)।

ধাপ-৮: Written এর প্রস্তুতি না্ও:

-আবার নীলক্ষেত যা্ও
>রিটেনের যেকোনো সেট বই কিনো।
>খেয়াল করো অনেকগুলো টপিকস আছে
যেগুলোতে প্রায় full marks পা্ওয়া যায়;
যেমন- গণিত, ব্যাকরণ। এগুলোর উপর জোর
দা্ও।
>তোমার যে বিষয়ে দখল বেশি তার উপর
জোর দা্ও
> বাকিগুলোও ভালো করে পড়ো
>ভালো করে পরীক্ষা দাও: সুন্দর করে
অনেক বেশি বেশি করে লিখবে, যতো
পারো চিত্র, তথ্য, ফ্লো-চার্ট, কোটেশন
ইত্যাদি দিবে

>৫০% পাশ মার্কস, কিন্তু মনে রেখো,
রিটেনে শুধু পাশ করলে চলবে না, ভালো
নম্বর পেতে হয়। সুতরাং অনেক নম্বর পা্ও
(দোয়া করি)।

ধাপ-৯: Viva-র প্রস্তুতি:

-আবার নীলক্ষেত যা্ও
>ভাইভার বই কিনো।
>ভাইভা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা
না্ও
>প্রতিদিন এক ঘন্টা করে বিবিসি
শোনো
-প্রতিদিন জোরে জোরে english news
paper reading পড়ো

>তোমার পছন্দের ক্যাডারগুলো সম্পর্কে
জানো
তোমার নিজের সম্পর্কে জানো:
তোমার নাম, বাবা, মা, নিজ জেলা,
নিজ বিষয়, ভার্সিটি, ডিপার্টমেন্টের
প্রধান, শখ ইত্যাদি সম্পর্কে জানো

>মনে রাখো :
-ভাইভাতে তুমি পারো বা না পারো
তার থেকে তুমি কীভাবে জবাব দাও তা
বেশি গুরুত্বপূর্ণ
-মানুষকে এক দেখাতেই বলা যায়, সে
কেমন

-যারা ভাইভা নিচ্ছে, তুমি হয়তো শেষ
জীবনে তাদের মতো কিছু হতে চা্ও;
সুতরাং তাদের মন থেকে সম্মান করো
-যারা ভাইভা নিচ্ছে, তারা চায় তোমার
সাথে গল্প করতে, বর্তমান জেনারেশনটা
কেমন, তা বুঝতে

-হাশিখুশি লোকদের সবাই পছন্দ করে
-তোমাকে বকা দেয়ার উদ্দেশ্য, তুমি
কীভাবে রিএক্ট করো, তা দেখা; সুতরাং
স্বাভাবিকভাবে হাসলেই, তার সমাধান
হয়ে যাবে

আরো পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ও পরবর্তী জীবনে কিছু করণীয়
>ভদ্র পোশাক পরে ভাইভা দিতে যেও
>ভাইভাটা সুন্দর করে দা্ও।
>ভাইভা ভালো করো (দোয়া করি)।

ধাপ-১০: Medical test & Police verification

সাধারণত সবারই ভালো হয়। তাই এখন
তুমি ফ্রি। ইচ্ছামতো আনন্দ করো, ঘুরে
বেড়া্ও। পাশাপাশি বেশ কিছু টাকা
হাতে রাখো; নতুন কোনো জায়গায়
পোস্টিং হলে, সেক্ষেত্রে বেশ কিছু
কেনাকাটা (পোশাক, লাগেজ, খাট,
তোষক ইত্যাদি) লাগতেই পারে।

ধাপ-১১: Gazette প্রকাশ মানে তোমার,

“চাকরিটা এখন হয়ে গেছে, বেলা
শুনছো….” গা্ওয়ার সময় হয়ে গেছে। তবে
আলহামদুলিল্লাহ বলতে ভুলো না।

 

ধাপ-১২: চাকরিতে যোগদান করো আর
হয়ে যাও একজন বিসিএস ক্যাডার
কর্মকর্তা (দোয়া করি,ফি আমানিল্লাহ)

(মোঃ মিলন মিঞা)

আরো পড়ুন বিসিএস ক্যাডার হতে চাইলে