আমি প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেলে চান্স পাইনি। ওয়েটিং লিস্টে ছিলাম। সেইবারের মত ভর্তি হই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, আপ্ল্যাইড ফিজিক্সে। কিন্তু মন টেকেনি। ৫ দিন ক্লাস করে চলে আসলাম। বাসায় বললাম, আবার মেডিকেলের জন্য চেষ্টা করব। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে আমার বাবা মা আমার সকল সিদ্ধান্তে আমার পাশে ছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়েই ভর্তি বাতিল করে মেডিকেলের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। শুরু হল এক বছরের এক অনিশ্চিত যাত্রা।
একজন সেকেন্ড টাইমার মেডিকেল পরীক্ষার্থীর জন্য এই এক বছরের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। লক্ষ্য অর্জনে একাগ্রতা যেমন এসময় বাড়ে। একই সাথে সব হারানোর একটা ভয়ও কাজ করে। আমি দেখতাম আমার বন্ধুরা ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস শুরু দিয়েছে, অনেকেই আবার ছিল মেডিকেলেই। খুবই কষ্ট লাগতো, ওই একটা বছর ডিপ্রেশনের সাথে কম লড়াই করিনি। সকল হতাশা লুকিয়ে রেখেই পড়তে বসতাম। কি পরিমান শ্রম দিয়েছি এখনো ভাবতে অবাক লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেবিলে বসে থাকতাম, কত শত প্রশ্ন সলভ করেছি কোন হিসাব নেই। মাঝে মাঝে এত খারাপ লাগতো যে মনে হত আমার পক্ষে আর সম্ভব না। কিন্তু তখনই মনে করতাম আমি কেন শুরু করেছি। মনে বিশ্বাস রেখেছি যে আমি পারবোই।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বেশ ভাল দিলাম। বের হয়ে শুনলাম, সবারই বেশ ভাল হয়েছে। প্রশ্ন মিলাতে যেয়ে দেখলাম, কয়েকটা ভুল করেছি। আমার মধ্যে ভয় ঢুকে গেল যে এবারও হয়ত হবে না। এরপরের দুইদিন যে কি দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম বলতে পারবো না। লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতাম। রেজাল্টের দিন দুপুরে মোবাইলে মেসেজ আসলো। আমার নামের নিচে পজিশনের জায়গায় লেখা- ০০১। আম্মু আমাকে আমার আপুসহ জড়িয়ে ধরেছিল। আমি এক বছর যে পরিশ্রম করেছি, সৃষ্টিকর্তা তার ফল দিলেন ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থানের মাধ্যমে।
রোল ১ হবার বিড়ম্বনা কম না। সবসময় ভাইভা আমাকে দিয়ে শুরু হয়। টিচাররা সবসময় ক্লাসে এসে আমাকেই প্রথমে খুঁজেন। ক্লাস পালানোর তো প্রশ্নই আসেনা! তারপরেও খুবই গর্ব হয় যখন নিজেকে আমার প্রাণপ্রিয় ব্যাচ বাঁধভাঙা বাহাত্তরের মুখপাত্র ও প্রতিনিধি হিসেবে দেখি। রোল ১ হবার কারণে শিক্ষকদেরো সান্নিধ্যে আসা যায়। এটা এমন একটা সুযোগ যেটা পাবার সৌভাগ্য সকলের হয়না।
আমি মনে করি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাবার জন্য যেই গুণটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল ধৈর্য। এর পাশাপাশি দরকার পরিশ্রমের। আমাদের মধ্যে অনেকেই অসম্ভব মেধাবী আছে কিন্তু শুধুমাত্র পরিশ্রম ও চর্চার অভাবে তারা ভর্তি পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ে। জীবনে সফল হতে পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের কোন বিকল্প নেই। আর হ্যা, আমি মিরাকেলে বিশ্বাস করি। অতএব চেষ্টা চালিয়ে যাও, নিজের সামর্থ্যের উপর আস্থা হারিয়ো না আর বিশ্বাস রাখো যে তোমার জন্যও একটি মিরাকেল অপেক্ষা করছে।
I didn’t get chance the first time I tried for medical college. I was in the waiting list. I got admitted into University of Chittagong, the subject being applied physics. But my heart wasn’t into it. I left after 5 days. I told at home that I’d again try for the medical admission test. I consider myself very lucky that my parents were always by my side in every decision. Taking a great risk I cancelled my admission and started preparing for the exam. A yearlong journey towards uncertainty began.
The experiences a second time medical admission test examinee has to go through this one year isn’t merry. Your perseverance for achieving your goal increases. But at the same time the fear of losing everything sets in too. I saw that many of my friends had started their classes in universities, some of them in medical colleges. It was heartbreaking. I had to fight depression all the time. Facing all the disappointments, I sat for studying. It still amazes me that how much effort I had to put in. I had to sit at the table for hours. I’ve lost count how many hundreds of questions I’ve solved. Sometimes it was so unbearable that I thought I can’t go on anymore. But then I remembered why I’ve begun in the first place. I’ve always had the belief that I’d succeed.
The exam went pretty well. After the exam, I heard that it had went well for everyone. While checking out the answers, I found out that I’ve got some wrong. Inevitably the thought came that I’d fail this time too. I can’t explain in how much anxiety I were for the next 2 days. I cried in secret. On the day of the results, a text came in my phone in the afternoon. Beneath my name, the position read- 001. My mother hugged me along with my sister. The labour I had given throughout the year was repaid by God with the first position in medical admission test.
Being roll 1 has its demerits. All the viva exams start with me. The teachers always look for me in class. And to bunk a class is totally out of the question! Nonetheless I feel very proud when I see myself as the spokesperson and representative of my beloved K-72 batch. You also build a close relationship with the teachers because of being roll 1. It’s a rare blessing not enjoyed by many.
In my opinion, to get chance in medical admission test the one quality one should possess is patience. Besides this, industry is also required. We have many talented individuals among us but only due to lack of hard work and practice many of them lag behind. To be successful in life there’s no alternative to hard work and self confidence. And yes, I do believe that miracles can happen. So keep trying no matter what, don’t lose faith in your abilities and always believe that a miracle is waiting for you too.
Iffat Kamal Bappy
DMC K-72
First position in Medical Admission Test 2014-15