#কম_সিজিপিএ_নিয়ে_সফল_যারা
#এইচএসসি_১৮
পথচলার এখনো হয়নি’ক শেষ
প্রাপ্তি যে বাকী আছে অশেষ!
এস.এস.সিতে A+ পাওয়া আমিও এইচ.এস.সি.তে A+ পাইনি। জিপিএ 4.90 তে থমকে গিয়েছিলো।
স্ট্রং ডাইরিয়া নিয়ে ২দিন বেডরেস্টে থেকে কেমেস্ট্রি ২য় পত্রের পরীক্ষা দিতে যাওয়া আর কেমেস্ট্রিতে A- পাওয়া, ফাইনালি A+ মিস হওয়া….. সবকিছু আমার তাক্বদীরেরই অংশ ছিলো।
প্রাইমারী বা হাইস্কুলে ফি বছর ফার্স্ট গার্ল হওয়া আমি, আবার মেডিকেলে চান্স না পাওয়া আমি, ডাক্তার হতে না পারা বা ভার্সিটিতে ডিপার্টমেন্ট/ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হতে না পারা আমাকে প্রথম চেষ্টাতেই বায়োলজিক্যাল সাইন্সে ফুলব্রাইট পিএইচডি স্কলারশীপ পাওয়ার সুযোগটা আল্লাহ্ তাঁর বিশেষ অনুগ্রহেই দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ্!
আসলে আমরা চাই এক, হয় আরেক! তবে এই “আরেক”টাই যে আমাদের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকর সেটা আমরা সবসময় সহজে বুঝতে পারি না বলে হতাশ হই!
জীববিজ্ঞানে, আরো ভালোভাবে বললে প্রাণিবিজ্ঞানের প্রতি সীমাহীন দুর্বলতা থাকা আমি যখন দেখতাম, আসলে ভাল জেনে, বুঝে বা কেবল বেসিক নলেজে দক্ষ হলেই ভার্সিটিতে ফার্স্ট হওয়া যায় না! যদি “টু দ্যা পয়েন্ট” তোতাপাখির মত মুখস্ত করে ওজনদার খাতা জমা দেয়া না যায়! এই কাজটাই আমার আজন্ম অপছন্দের ছিলো! আমি ভার্সিটি লাইফে একবারের জন্যও কোন প্রশ্ন নোট করে মুখস্ত করিনি
আমি সব টপিক জাস্ট পড়তাম, বিভিন্ন বই হোক বা শিট, যা পড়তাম, বুঝে-শুনে পড়তাম আর নিজের মত করে গুছিয়ে লিখতাম।
যার কারণে সারাবছর মুখস্ত করার প্যারাটা আমার কাছে ছিলো না
পরীক্ষাকে সিরিয়াসলি নিতাম এক/দেড় অথবা বড়জোড় দুদিন আগে
সব টপিক ২/৪ বার করে চোখ বুলিয়ে যেতাম আর পরীক্ষার হলে বসে চুপচাপ লিখতাম, ব্যাস এটুকুই
তবে শান্তনা এই যে, ক্লাসের অনেক ভালো রেজাল্টধারীকে (সব ভালো রেজাল্টধারী নকল করে, ব্যাপারটা তেমন না, তাদের অনেকে আসলেই জিনিয়াস!) অনেকে নকল করতে দেখলেও; আমার কখনো নকল করা লাগে নাই
আমি আমার পঠিত সব বিষয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট রাখতাম, কিন্তু মুখস্তের চেষ্টা করতাম না।
প্রশ্ন যত সহজ/কঠিন হোক না কেন, কনসেপ্ট ক্লিয়ার থাকায় সাধারণত আমার ফুল আন্সার হতো; যেহেতু আমি মুখস্ত করতাম না, সুতরাং খাতা হতো স্লিম
অনার্স- মাস্টার্সে আমার রেজাল্ট ছিলো CGPA 3.55 (4.00) এবং GPA 3.75 (4.00), যেটা খারাপ না হলেও আহামরি ভালো না।
তখন আমি বুঝেছি, মেডিকেলে না পাঠিয়ে আল্লাহ্ আমার প্রতি যথেষ্ট ইহসান করেছেন
যেহেতু আমার পড়াশোনার ধরণ মুখস্তবিদ্যার না বরং সৃজনশীলতার।
ছোট ভাই-আপুরা! বিশ্বাস করো, তুমি/তোমরা সেটাই পেয়েছো, যেটা তোমাদের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকর। এখন মন না মানলেও একটু ধৈর্য ধরো, সময়ের জন্য কিছু উত্তরের আকাঙ্খা তুলে রেখো…. একদিন সন্তুষ্ট হবে নিশ্চই!
#আমি জান্নাতুন নাঈম। চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ হতে গত আগস্টে “ফিশারিজ এন্ড লিমনোলজি” ব্রাঞ্চ হতে এম.এস. কমপ্লিট করেছি। এবছর ফেব্রুয়ারীতে পিএইচডি করার জন্য তুর্কী বুর্সলারী স্কলারশীপের আবেদন করি। ২৩শে এপ্রিল ভাইবা দিয়ে ফাইনালি ২৪শে মে সিলেকশন মেইল পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ্!
Jannatun Nayeem
Atomic Energy Centre, Ctg. Bangladesh Atomic Energy Commission
(If you want to share yours, Just Inbox or Post in our groups)