“ইন্টার এক্সামটা শেষ করেই ছুট্টে গেলাম ঢাকা। কোচিং করতে হবে যে। ট্রেডিশনের সাথে তাল মিলিয়ে আমিও ‘উদ্ভাসে’ ভর্তি হয়েছিলাম ১৪০০০ টাকা দিয়ে। যাক একটা তো অন্তত আইডেন্টিটি তৈরি হলো! শত হলেও আমি এখন একজন ‘উদ্ভাসিয়ান’! সাথে আবার আইডি কার্ড ও আছে! মনে মনে একটা চাপা আনন্দ অনুভব করতাম!
.
এতক্ষন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ই ছিল। বিপত্তিটা বাজলো তখন ই যখন কোচিং এ গিয়ে কিছুই বুঝতাম না! কিসব যে পড়াইত বড় ভাইরা! আমি তো প্রতি ক্লাসেই শেষ বেঞ্চের আগের বেঞ্চে বসতাম আর ‘কার রেসিং’ + ‘ক্লাস অব ক্লানস’ এ ডুবে থাকতাম। তখন আমি বুঝে গেসি যে আমারে দিয়া হবেনা। পাবলিক ভার্সিটি নট ফর ইউ আরহান সাহেব! কিন্তু রেজাল্ট যে বাসায় মেসেজে এসে যেত এটাই ছিল প্রব। তখন করলাম কি প্রথম শিফটের পোলাপানদের থেকে এন্সার শিটের পিক নিতাম! ব্যাস আমাকে আর পায় কে!
.
এভাবে মোটামুটি আমার উদ্ভাস লাইফের ১ মাস কেটে যায়। বাসায় কিছুই বুঝতে দেইনি। এমন ভাব নিচ্ছিলাম যে, সেই পড়ালেখা করছি কোচিং এ! সাইন্স মানেই যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার না এটা আসলে আমি তখনি বুঝতে পারলাম এবং বুঝে গেলাম আমাকে অবশ্যই কিছু করতে হবে। এভাবে আর হচ্ছে না। কারন আরহান সাহেবের বাবার প্রাইভেটে পড়ানোর মত অত টাকা নাই আর আরহান সাহেব ও প্রাইভেটে পড়বে না তাকে পাবলিক পেতেই হবে
.
আম্মুর কাছ দিয়া টাকা এনে সেদিন ই জিকে+বাংলা+ইংরেজি বই কিনে এনে ঘরে বসে শুরু করে দিলাম ‘ডি’ ইউনিটের পড়াশোনা। জানতাম চাপ আসবে। হলোও তাই। ততোদিনে আমার প্রায় দেড় দুই মাস শেষ। আমার ফ্রেন্ডরা সবাই এগিয়ে আছে। আমার বাসা দিয়াও প্রেসার আসলো যে সাইন্সের স্টুডেন্ট হয়ে এসব বই পড়ো কেন? এসব দিয়া কি হবে? আমি কিন্তু তখন বুঝে গেছি এদের কথায় কান দিলে আমার ই লস! আমি করতাম কি উদ্ভাসে বাংলা বই নিয়ে যেতাম আর লুকিয়ে লুকিয়ে অইটাই পড়তাম। দেন ভাব্লাম কোচিং ই করব না আর। কোচিং যাওয়াও দিলাম বাদ।
.
ঘরে বসেই নিচ্ছিলাম ‘ডি’ ইউনিট প্রিপারেশন। তো আসলো সেই স্বপ্নের দিন। ঢাবি ডি ইউনিট এক্সামের দিন। দিলাম ভালই এক্সাম। উইদাউট ইংরেজি। ফলাফল: স্কোর ভাল কিন্তু ইংরেজিতে ফেল! তখন আমি আবার রাজশাহীতে। এক্সাম দিতে গেছি। মানসিক অবস্থাটা নিশ্চয় অনুমান যোগ্য। আর সাইন্সের ফর্ম তোলা বলতে আমি জাস্ট মেডিকেল + ঢাবি ক তুলসিলাম।
.
.
যাহোক একে একে জবি+জাবি+ ঢাবি সব কিছুর ই ‘আর্টস’ এর ইউনিট এর রেজাল্টে আমি অকৃতকার্য। ততদিনে বাবা মোটামুটি বুঝে গেসিল যে হবেনা আমারে দিয়া। রাবির এক্সাম দিলাম মোটামুটি দেন দিতে গেলাম চবির এক্সাম। আমাকে বাসা দিয়া ‘রাবি+ চবি’ এর ফর্ম কিনতে দিতে চাচ্ছিল না। একরকম জোর করেই কিনেছিলাম। এর পরের ঘটনা মোটামুটি সহজ। রাবির রেজাল্ট দিল। সাব্জেক্ট পাইলাম আলহামদুলিল্লাহ! চবিতেও সাব্জেক্ট পাইলাম! মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার সেই কোচিং করা ফ্রেন্ডদের থেকেও আগে এমনকি আমাদের ব্যাচ এর সবার আগে আমি ‘পাবলিক ভার্সিটি’ নিশ্চিত করলাম আলহামদুলিল্লাহ্‌!
.
.
এখন কথা হল পুরো পরিবার তোমার বিরুদ্ধে গেলেও হাল ছাড়া যাবেনা। বাধা আসবেই। সেইটা জয় না করলে মজাটা কই? গো এহেড ইনশাআল্লাহ গুড টাইম উইল কাম ইভেনচুয়ালি!”
.
.
Arib Arhan
Department of Public Administration

University of Rajshahi.

(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here – https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )