আবেদনের নিয়ম:

আবেদন করতে হবে ওয়েবসাইটের (bpsc.teletalk.com.bd /// www.bpsc.gov.bd) মাধ্যমে।

প্রথমে সাধারণ, প্রফেশনাল অথবা যৌথ (সাধারণ ও প্রফেশনাল) ক্যাডারের মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে হবে।

পরবর্তী ধাপে বিপিএসসি-১ ফরমের প্রথম অংশে নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, কোটা, বর্তমান কাজের ধরন, বৈবাহিক অবস্থা,

জাতীয়তা, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, যোগাযোগের নম্বর এবং পরীক্ষার কেন্দ্রের ঘর পূরণ করতে হবে।

দ্বিতীয় অংশে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং তৃতীয় অংশে ক্যাডার তালিকার পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে।

আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রার্থীর ৩০০ বাই ৩০০ পিঙ্লে ও সর্বোচ্চ ১০০ কিলোবাইট আকারের রঙিন ছবি এবং ৩০০ বাই ৮০ পিঙ্লে ও সর্বোচ্চ ৬০ কিলোবাইট আকারের স্ক্যান করা স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে।

আবেদন ফরম পূরণের পর Application Preview তে সব তথ্য ঠিক আছে কি না যাচাই করতে হবে এবং Validation Code দিয়ে আবেদন সাবমিট করতে হবে।

Applicant’s Copy ডাউনলোড বা প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রাপ্ত User ID ব্যবহার করে টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে।

প্রথমে BCSUser ID লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে প্রাপ্ত পিন নম্বরসহ BCSyespin লিখে আবার ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

পরীক্ষার ফির সমপরিমাণ টাকা কেটে ফিরতি এসএমএসে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেওয়া হবে, যা পরবর্তী সময়ে প্রবেশপত্র ডাউনলোডসহ বিভিন্ন কাজে লাগবে।

আবেদনের যোগ্যতা:

ক্যাডার ভেদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ভিন্ন। আবেদনকারীর বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর।

সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে চাকরিরত প্রার্থীদের কর্তৃপক্ষের অনুমতিসহ আবেদন করতে হবে।

সাধারণ প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি ৭০০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত বা তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ফি ১০০ টাকা।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মানবণ্টন:

৩৫তম বিসিএস থেকে মানবণ্টনে পরিবর্তন এসেছে। নেওয়া হচ্ছে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫ নম্বর, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়ে ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ২০, ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ১০, সাধারণ বিজ্ঞানে ১৫,

কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ১৫, গাণিতিক যুক্তিতে ১৫, মানসিক দক্ষতায় ১৫ নম্বর এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনে থাকবে ১০ নম্বর।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

৩৩তম বিসিএসে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম রিদওয়ান ইসলাম জানান, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণ অংশে ভুল সংশোধন বা শুদ্ধকরণ, সমার্থক-বিপরীতার্থক শব্দ, সন্ধি, প্রত্যয়, সমাস, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ ও বাক্য সংকোচন থেকে প্রশ্ন আসে।

সাহিত্য অংশে প্রাচীন যুগ থেকে চর্যাপদ, মধ্যযুগ থেকে মঙ্গল কাব্য, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-এসব বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে।

আধুনিক যুগ থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মধুসূদন দত্ত, জীবনানন্দ দাশ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমান, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ,

আল মাহমুদ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এসব কবি-সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম থেকে বেশি প্রশ্ন আসে।

ব্যাকরণ অংশের জন্য ড. সৌমিত্র শেখরের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, আর সাহিত্যের জন্য ড. হুমায়ুন আজাদের লাল নীল দীপাবলি ভালোভাবে পড়তে হবে।

ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য:

২৯তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম তরিকুল ইসলাম জানান-

Parts of speech, Right forms of verb, Appropriate word or Appropriate preposition, Transformation of sentences, Synonyms, Antonyms, Phrases and Idioms থেকে প্রশ্ন আসে।

এ অংশে ভালো করতে হলে গ্রামারে ভালো দখল থাকতে হবে।

Literature -এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়কাল, খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকদের উক্তি, কবিতার লাইন, জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা পড়তে হবে।

যেমন-৩৫তম বিসিএসে প্রশ্ন হয়েছে-to be, or not to be, that is the question’- is the famous dialogue from? এ অংশে ভালো করার জন্য উল্লেখযোগ্য কবি-সাহিত্যিকদের কবিতার পঙ্ক্তি, নাটকের সংলাপ, উপন্যাসের চরিত্র, প্রেক্ষাপট ভালোভাবে পড়তে হবে।

★ গাণিতিক যুক্তি:

৩১তম বিসিএসে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম ফারহানা জাহান উপমা জানান, পাটিগণিতে ঐকিক নিয়ম, লসাগু, গসাগু, শতকরা, লাভ-ক্ষতি,

সুদকষা, অনুপাত-সমানুপাত, বীজগণিতে মূলদ ও অমূলদ সংখ্যা, উৎপাদক নির্ণয়, সমীকরণ, অসমতা, সূচক ও লগারিদমের সূত্রের প্রয়োগ,

জ্যামিতিতে রেখা, কোণ, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজসংক্রান্ত উপপাদ্য, পরিমিতিতে সেট, বিন্যাস, সমাবেশ ও সম্ভাব্যতা থেকে প্রশ্ন আসে।

অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির বোর্ড বইয়ের প্রতিটি নিয়মের অঙ্ক সমাধান করলে ভালো করা যাবে।

বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতার জন্য একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বই দেখতে হবে। কম সময়ে সমাধানের জন্য বারবার চর্চা করতে হবে।

মানসিক দক্ষতা:

বানান শুদ্ধিকরণ ও ভাষার প্রয়োগ, সমস্যার সমাধান, সম্পর্ক নির্ণয়, গাণিতিক যুক্তি অভীক্ষা, ভারবাল রিজনিং থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে।

যেমন-কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে হঠাৎ করে আপনার পোশাকটি বিশ্রীভাবে ছিঁড়ে নষ্ট হয়ে গেল। এ অবস্থায় কী করবেন?

এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হলে বারবার চর্চা করতে হবে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী রিক্রুটিং গাইডের এ অংশ অনুশীলন করলে ভালো ফল পেতে পারেন। ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল দেখলে কাজে দেবে।

সাধারণ জ্ঞান : বাংলাদেশ:

২৯তম বিসিএসে ট্যাক্স ক্যাডারে প্রথম তানিয়া সুলতানা জানান, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস, সংবিধান, ভৌগোলিক অবস্থা, ঐতিহ্য,

কৃষ্টি ও সভ্যতা, শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা, অর্থনীতি, অর্থনৈতিক সমীক্ষা এবং বিভিন্ন সম্পদ, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে।

যেমন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৪ অনুযায়ী গড় সাক্ষরতার হার কত? বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই সহায়ক হবে।

সাধারণ জ্ঞান : আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো, আঞ্চলিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট, বিশ্ব রাজনীতি, আলোচিত যুদ্ধ, বিতর্কিত দ্বীপ,

লাইন সীমারেখা, প্রণালি, বিভিন্ন দেশ, মুদ্রা ও রাজধানী, আন্তর্জাতিক দিবস, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন, পুরস্কার, সম্মাননা, খেলাধুলা, বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাগুলো থেকে প্রশ্ন আসে।

যেমন-WIPO -এর সদর দপ্তর কোথায়? ব্রিকসের সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কোথায়? প্রস্তুতির জন্য বাজারে প্রচলিত সাধারণ জ্ঞান ও গাইড বইয়ের পাশাপাশি পড়তে হবে পত্রপত্রিকার আন্তর্জাতিক পাতা।

ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

বাংলাদেশর ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পরিবেশ, প্রকৃতি, বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ভূমিকম্প, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, সুনামি, খরা) ও ব্যবস্থাপনা থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে।

যেমন-প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোন পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে?

সাধারণ বিজ্ঞান

ফারহানা জাহান উপমা জানান, পদার্থের অবস্থা, এটমের গঠন, এসিড, ক্ষার, লবণ, শব্দ ও তরঙ্গ, শক্তির উৎস, রূপান্তর, তড়িৎ কোষ, ট্রান্সফরমার,

এক্স-রে, তেজস্ক্রিয়তা, কসমিক রে, হিগ-বোসন কণা, আপেক্ষিক তত্ত্ব, জেনেটিক্স, জীববৈচিত্র্য, সালোক সংশ্লেষণ, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, খাদ্য ও পুষ্টি-এসব বিষয় থেকে প্রশ্ন বেশি থাকে।

প্রশ্ন হতে পারে গোয়েন্দা বিভাগে কোন রশ্মি ব্যবহৃত হয়? হিমোগ্লোবিন কোন জাতীয় পদার্থ?

কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি

তরিকুল ইসলাম জানান, কম্পিউটারের ইতিহাস, অঙ্গসংগঠন, প্রকারভেদ, অপারেটিং সিস্টেম, ই-কমার্স, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট,

স্মার্টফোন, ক্লাউড কম্পিউটিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক (ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম), সাইবারক্রাইম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান (গুগল, মাইক্রোসফট,

আইবিএম, ওরাকল) এসব বিষয় থেকে প্রশ্ন হতে পারে। যেমন-টুইটার কত সালে চালু হয়? কম্পিউটারের মেমোরি তৈরি হয় কী দিয়ে?

নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন

রিদওয়ান ইসলাম জানান, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন সম্পর্কীয় বিভিন্ন প্রবন্ধ, পত্রিকার সম্পাদকীয়, বেসরকারি সংস্থার এ-সংক্রান্ত প্রকাশনা,

বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিবেদন পড়লে ভালো করা সম্ভব এ অংশে। প্রশ্ন আসতে পারে, সরকার ও সুশাসন, মৌলিক শিক্ষা, শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা,

মূল্যবোধের শিক্ষা, সরকারের ভূমিকা থেকেও। যেমন-‘সুশাসন’ শব্দটি সর্বপ্রথম কোন সংস্থা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে? সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি কী?

সহায়ক বইপত্র

ভালো করার জন্য বোর্ড বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পড়তে হবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, গণিত, বিজ্ঞান,

সামাজিক বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, তথ্যপ্রযুক্তি বই। গণিত, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির জন্য একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড বইও পড়তে হবে।

সাধারণ জ্ঞানের জন্য নতুন বিশ্ব, আজকের বিশ্ব প্রভৃতি বই ছাড়াও তথ্যভিত্তিক মাসিক,

যেমন-কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড সহায়ক হবে। বাজারে প্রফেসরস, ওরাকল, বিসিএসসহ বেশকিছু প্রকাশনীর গাইড বই পাওয়া যায়।

বিগত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করলেও কাজে দেবে।

বিসিএস যাদের লক্ষ্য, তারা প্রশাসন ক্যাডার প্রাপ্তদদের ৯টি প্রশ্নের উত্তর জেনেই শুরু করুন প্রস্তুতিঃ

১. কতটুকু সময় ধরে পড়তে হবে?
উত্তর: পরীক্ষার ৪-৫ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশুনা করতে হবে।

বিসিএস নিয়ে সিরিয়াসলি চিন্তা করে থাকলে অন্য জায়গায় মনোযোগ দেওয়া বাদ দিন! চাকরিতে যুক্ত থাকলে, সম্ভব হলে ছেড়ে দিন। ছাড়তে না পারলে অন্তত দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা সময় পড়াশুনার জন্য বের করুন।

২. কোচিং করব কি করব না?
উত্তর: যারা প্রথমবার বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বা যারা একান্তই নিজে নিজে পড়ার একটা ব্যবস্থা করতে পারছেন না, তারা কোচিং নিয়ে চিন্তা করতে পারেন।

চাকরির সাথে যুক্ত হলে পড়ার জন্য সময় বের করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ভালো একটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।

৩. কীভাবে পড়াশুনা শুরু করতে হবে?
উত্তর: আপনি যে বিষয়ে বেশি দুর্বল সে বিষয়টা আগে ধরুন।

দুর্বলতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন। সাহায্যের প্রয়োজন হলে পরিচিত অভিজ্ঞজনদের কাছে সাহায্য নিন।

৪. গ্রুপ স্টাডি করব কি করব না?
উত্তর: গ্রুপ স্টাডি করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করবেন। ফ্রেন্ড সার্কেলদের নিয়ে বা ছোট-বড় ভাই-বোনদের নিয়ে গ্রুপ স্টাডি শুরু করুন।

ইদানিং অনেকেই ফেইসবুকে গ্রুপ স্টাডি করে থাকেন। পদ্ধতি জেনে নিয়ে সময় ও টপিক নির্দিষ্ট করে প্রতিদিন গ্রুপ স্টাডি করা যেতে পারে।

৫. গ্রুপ স্টাডি করে কী লাভ?
উত্তর: গ্রুপ স্টাডির লাভগুলো নিম্নরূপ:
১. বারবার অনুশীলন করে নিজেকে ঝালাই করে নেওয়া যায়
২. বই-পুস্তকে থাকা ভুলগুলো শুধরিয়ে নেওয়া যায়
৩. পড়াশুনায় আগ্রহ বাড়ে

তবে কাজের চেয়ে কথা বেশি হলে গ্রুপ স্টাডিতে সময় অপচয় হতে পারে। তাই সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

৬. গাইড বইয়ের সবটাই কি পড়তে হবে?
উত্তর: বিসিএস পরীক্ষার রয়েছে বিশাল বড় সিলেবাস।

বিসিএস-এ সবটা পড়া কারো পক্ষেই সম্ভব না। এখানে কেউ ১০০% প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যায় না! তাই বিসিএস-এ কী কী পড়তে হবে এটা জানা যেমন আবশ্যক তেমনি কী কী বাদ দিতে হবে এটা জানাও আবশ্যক!

বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলেই এ বিষয়ে ধারণা পেয়ে যাবেন।

৭. গণিত ও ইংরেজিতে ভালো করার উপায় কী?
উত্তর: এ প্রশ্নের উত্তর আপনি ছোটকাল থেকেই শুনে আসছেন। প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় এ দুটো সাবজেক্টকে দিন।

এভাবে একমাস নিজেকে অনুশীলনে-চর্চায় ঝালাই করে নিন। পূর্বের ‘আপনি’ আর একমাস পরের ‘আপনি’র মাঝে তফাৎ খুঁজুন। আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন।

৮. পড়াশুনায় মন বসানো যায় কীভাবে?
উত্তর: আপনার যদি শুধু পরীক্ষার আগের রাতে পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে কোনো পরীক্ষার আবেদনই বাদ রাখবেন না। সবখানেই অ্যাপ্লাই করুন আর ধুমসে পরীক্ষা দিন।

দেখবেন পড়ায় আগ্রহ বেড়ে গেছে! আগ্রহ বেড়ে গেলে তা কন্টিনিউ করুন। পড়াশুনা কিন্তু নিয়মিত করবেন। মাঝে থেমে গেলে চলবে না। তাহলে আবার পড়াশুনায় আগ্রহ কমে যাবে। যে চাকরি আপনি এতগুলো বছর আরামে করবেন তার জন্য না হয় এই কটা দিন কষ্ট করলেন!

৯. আমাকে দিয়ে কি বিসিএস হবে?
উত্তর: হবে! Nothing is impossible! মনে রাখুন, বিসিএস কেবল মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষা না, এটা ধৈর্য যাচাইয়েরও পরীক্ষা।

ধৈর্য ধরে পড়াশুনা চালিয়ে যান। আপনার যা আছে তাকেই ধার দিয়ে দিয়ে তীক্ষ্ণ করে তুলুন। প্রথমবার না হোক, পরেরবার আপনার জয় শুনিশ্চিত! জয় হবেই আপনার।

আরো পড়ুন ১২ ধাপে বিসিএস ক্যাডার