দেশে ৪র্থ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।

কলেজটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটের মাধ্যমে ২০১৮-১৯ সেশনে ২য় ব্যাচে ভর্তি করানো হবে।

বাংলাদেশের একটি নির্মাণাধীন সরকারি স্নাতক পর্যায়ের প্রকৌশল কলেজ। এটি বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে দুর্গাপুর নামক স্থানে অবস্থিত। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলে এটি হবে বাংলাদেশের চতুর্থ প্রকৌশল কলেজ। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধিভুক্ত ও এটি চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করবে।

ইতিহাস

২০১০ সালে একনেকের এক সভায় বরিশালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের জন্য অনুমোদন গৃহীত হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এর প্রশাসনিক অনুমোদন ও ভূমি অধিগ্রহনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয় ও নির্মাণ কাজের জন্য ৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্প ব্যায় ৯১কোটি ৫৪লাখ টাকায় উন্নীত হয়। ২০১২ সালে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে চরকাউয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুরে ৮ একর জমিতে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে প্রশাসনিক ভবন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন, কম্পিউটার ভবন, নেভাল আর্কিটেক্ট ভবন, লাইব্রেরী, ক্যাফেটেরিয়া সহ ২টি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রী নিবাসের অবকাঠামো নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।। এছাড়া নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে দু’টি ছাত্রাবাস ও দু’টি শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভবন। এখানে চার বছর মেয়াদী সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স, নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬০ জন করে মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে বর্তমানে শুধু ইইই ও সিভিল বিভাগে ভর্তি করানো হবে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রবর্তি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কারিগিরি শিক্ষার ক্ষেত্রে আন্ডার গ্রাজুয়েট পর্যায়ের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এতদিন ছিল না। ২০০৮সালে বরিশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটটিকে পূর্ণাঙ্গ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রূপান্তরের কার্যক্রম শুরু হলেও দুদফায় প্রকল্প মেয়াদ বৃদ্ধি করেও তার অবকাঠামোর নির্মান কাজ চলতি অর্থবছরেও শেষ হচ্ছে না। সে হিসেবে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটির নির্মান কাজের অগ্রগিত কিছুটা সন্তোষজনক বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহাল মহল। বরিশাল ইঞ্জনিয়ারিং কলেজ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন মাইল ফলক হতে পারে বলে মনে করছেন স্থাণীয় শিক্ষাবীদ সহ অভিভাবক মহলও।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম

এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএর ভিত্তিতে এ কলেজে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারে ও ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।

একাডেমিক কার্যক্রম বছরে ২টি সেমিস্টারে ক্রেডিট পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। এই প্রকৌশল কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত। এখানে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। প্রকৌশল বিষয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়েও পাঠদান করা হয়।

 

বিভাগঃ

তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ (EEE)
পুরকৌশল (সিভিল) বিভাগ
নেভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং

সাফল্যঃ

Barishal Engineering College - BEC

সম্প্রতি কুয়েটের সি.এস.ই ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত BITFEST-2019 এ বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে Team AGORA অংশগ্রহন করে ।আমাদের কলেজ থেকে এটিই প্রথম কোনো লাইন ফলোয়ার রোবট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।প্রতিযোগিতায় ১৮ টি দলের মধ্যে আমাদের কলেজ ৯বম স্থান অর্জন করে।

Gepostet von Barishal Engineering College – BEC am Freitag, 6. September 2019

আবেদনের নিয়মাবলি

  • ১। ঢাবি ভর্তি ওয়েবসাইটে ( http://admission.eis.du.ac.bd/index.php?act=information/get_notices/tec) ভর্তির সাধারন নির্দেশাবলি থাকবে।
  • ২। প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তির আবেদন করার জন্য ঢাবি ভর্তি ওয়েবসাইটে আবেদন/লগইন বাটনে ক্লিক করতে হবে
  • ৩। আবেদন/লগইন বাটনে ক্লিক করার পর এইচ এস সি এবং এস এস সির পরীক্ষার রোল ,পাসের সন ও বোর্ডের নাম প্রদান করে অগ্রসর বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং পরবর্তী পাতায় প্রার্থীর এইচ এস সি ও এস এস সি এর তথ্যাবলি দেখা গেলে নিশ্চিত করেছি বাটনে ক্লিক করতে হবে ।
  • ৪। উল্লেখিত Equivalence ID এইচ এস সি ও এস এস সি এর রোল এর স্থানে ব্যাবহার করে যথা নিয়মে টাকা জমা দেয়ার রশীদ গ্রহন করতে হবে ।

 

ভর্তি পরীক্ষা

  • ১ । পরীক্ষা এম সি কিউ পদ্ধতিতে হবে ও সময় ১ ঘন্টা ২০ মিনিট।
  • ২ । মোট ১২০ টি প্রশ্ন হবে ১২০ নম্বরের ।
  • ৩ । ইংরেজী ১৫,গনিত ৩৫,রসায়ন৩৫,পদার্থ ৩৫
  • ৪ । পাশ নম্বর ৪০ ও কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই।
  • ৫। ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না ।

ফলাফল

  • ১ । মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে অর্জিত মেধাস্কোর অনুসারে মেধা তালিকা করা হবে যেখানে SSC পরীক্ষার প্রাপ্ত জি পি এ (৪র্থ বিষয় সহ) এর ৮ গুন ও HSC এর ১২ গুন ।
  • ২ । ৪৮ এর কম পেলে মেধাস্কোর করা হবে না ।
  • ৩ । ফলাফল এস এম এস ও ঢাবি ওয়েবসাইটে ৩ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে।

সংযুক্তিঃ

    1. বিগত বছরের প্রশ্ন ২০১৫-১৬ঃ  https://www.facebook.com/download/preview/194515384437393
    2. প্রশ্ন ২০১৬-০১৭https://www.facebook.com/download/preview/148925512424326
    3. 2017-18: PDF, Photo Album- 1, Album 2 
    4. 18-19 Link
    5. এক ফোল্ডার এ সব প্রশ্ন
    6. ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ 
    7. ময়মনসিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ 
    8. বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ 
    9. নিটার রিভিউঃ 
    10. স্টেক রিভিউঃ 
    11. Shohidul Haque Engnr. College Facebook page
    12. ভিল রিভিউঃ
    13. ইইই রিভিউঃ 
    14. সিএসই রিভিউঃ 
    15. টেক্সটাইল রিভিউঃ 
    16. আইপিই রিভিউঃ 
    17. ফ্যাড রিভিউঃ 
    18. Technology Unit Review 
    19. ঢাবি ওয়েবসাইটঃ 
    20. প্রযুক্তি ইউনিট নোটিশ লিংকঃ 
    21.  DU Technology Unit Official Admission & Information Desk  join us