পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউ2022-10-23T21:55:07+06:00
  • PSTU

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

জ্ঞান চর্চা কে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার মুক্তচিন্তা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। জ্ঞানদান ও জ্ঞান সৃষ্টির বিদ্যাপীঠ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি দেশের চিন্তার আধার ও সত্যিকারের মানুষ গড়ার কারখানা এবং এই আর্দশকেই ধারণ করেই স্থাপন করা হয় দক্ষিনের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগনের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন এই অঞ্চলের উচ্চ শিক্ষা প্রসারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রতিষ্ঠানটির একটি দীর্ঘ পটভূমি বিদ্যমান। সর্বপ্রথম জনতা কলেজ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেসরকারি কৃষি কলেজ এবং তারপরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কাঠামো এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এফিলিয়েশনের আওতায় পটুয়াখালী কৃষি কলেজ নামে পরিচিত ছিল ।

২০০০ সালের ৮ জুলাই পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতেই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন তদানীন্তন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে শুরু করা হয় ক্লাস কার্যক্রম।

বরিশাল জেলা শহর থেকে ২৮ কি.মি দক্ষিণে বরিশাল – পটুয়াখালী মহাসড়কের লেবুখালী থেকে ৫ কি.মি. পূর্বে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত। বহিঃস্থ ক্যাম্পাস বরিশাল জেলার খানপুরা, বাবুগঞ্জে অবস্থিত।

FACULTY OF AGRICULTURE

Website- Faculty Of Agriculture
Review
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদার সাথে সামন্জস্য রেখে কৃষি ও সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০০ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোর উপরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল একাডেমিক কার্যক্রম হিসেবে কৃষি অনুষদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে পটুয়াখালী কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও মূলত ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্যাচের ছাত্র -ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বমানের সিলেবাস ও কারিকুলামে কৃষি অনুষদের ছাত্র- ছাত্রীদের পাঠদান করা হচ্ছে। কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে কৃষি বিজ্ঞানের নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করা হচ্ছে। দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত ল্যাবরেটরি, শিক্ষা উপকরণ সম্বলিত শ্রেণি কক্ষ ও প্রায়োগিক জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ কৃষিবিদ তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কৃষিতত্ত্ব, উদ্যানতত্ত্ব, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও ত্রবং কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পিত্রইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ – সামাজিক ও কৃষি উন্নয়নে পবিপ্রবির অগ্রনী ভূমিকা সকলের নিকট স্বীকৃত। কৃষি অনুষদের গ্রাজুয়েটবৃন্দ তাদের অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগিক দক্ষতায় ইতোমধ্যে দেশে – বিদেশে সুনামের সাথে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন।
এইবার ক্যাম্পাস এবং ফ্যাসিলিটি নিয়ে কথা বলি।
১.কোন সেশন জট নাই,আর আমাদের টিচাররা জট যাতে না পরে সে ব্যাপারে খুব সচেতন।
২.অনেক নামকরা & অভিজ্ঞ শিক্ষক আছেন।
৩. ল্যাব ফ্যাসিলিটি সন্তোষজনক।
৪. মোটামুটি প্রতি সেমিস্টারে ট্যুরের ব্যবস্থা আছে,তা ছোট হোক আর বড়।
৫. সপ্তম সেমিস্টারে পাবেন কান্ট্রি ট্যুর।
৬. অষ্টম সেমিস্টারে ইন্ডিয়া ট্যুর পাবেন ২০/২৫ দিনের।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কৃষি অনুষদ সর্বমোট ১৪ টি বিভাগ নিয়ে গঠিত ত্রবং ত্রই বিভাগুলোতে সর্বমোট ৮৭ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
বিদ্যমান বিভাগসমূহ হচ্ছে –

১. কৃষি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ
২. কৃষি রসায়ন বিভাগ
৩. কৃষি প্রকৌশল বিভাগ
৪. কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ
৫. কৃষি বনায়ন বিভাগ
৬. কৃষিতত্ত্ব বিভাগ
৭.পশুবিজ্ঞান বিভাগ
৮.কীটতত্ত্ব বিভাগ
৯.কৌলিতত্ত্ব বিভাগ
১০.বায়োটেকনোলজি বিভাগ
১১.উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ
১২. উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ
১৩. কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ
১৪. মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ

জব সেক্টর এবং কোথায় চাকরির সুবিধা তা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করা যাক

এগ্রিকালচারে অনার্স শেষ করে বাংলাদেশ
কর্ম কমিশনের (বিসিএস) চাকরি করার সুযোগ তো আছেই।
পাশাপাশি কৃষি ক্যাডারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে
★কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা
★মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
★কৃষি কর্মকর্তা পদ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুবিধা রয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষিবিদ নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কৃষিবিদদের কর্মক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করেছে সরকার।
আরও রয়েছে
★বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তর
★কৃষি তথ্য সার্ভিস
★ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল
★বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
★ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট
★পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট
★ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট
★ চা গবেষণা কেন্দ্র
★মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র
★বন গবেষণা কেন্দ্র
★ মসলা গবেষণা কেন্দ্র
★বন গবেষণা কেন্দ্র
★পশুসম্পদ অধিদপ্তর
★পানি উন্নয়ন বোর্ড
★রেশম উন্নয়ন বোর্ড এবং চিনিকল সংস্থায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ।

আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ
★ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো
★ FAO
★ ইউএসএইড
★ডিএফআইডি
★ড্যানিডা
★সিডা
★উইনরক
★ইরি
★আইএফডিসি
★অক্সফাম জিবি

বেসরকারি সংস্থাসমূহ
★সিনজেনটা
★ব্র্যাক
★ স্কয়ার
★অ্যাগ্রোবেট
★ লালতীর
★ইনতেফা
★NAAFCO গ্রুপ
★ন্যাশনাল অ্যাগ্রোফেয়ার
★প্রাণ
★প্রশিকা
★ আশা
★Haychem
★এসিআই
★কৃষিবিদ গ্রুপ
★অ্যাকশন এইড

আর দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তো রয়েছে-ই।

এছাড়া আরো বহু বহু সরকারি এবং প্রাইভেট সেক্টরে জবের সুযোগ আছে!
(যে সাবজেক্ট গুলো থেকে জব সেক্টরে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য থাকে এগ্রিকালচার তার মধ্যে উপরের কাতারেই আছে)।

Faculty of Computer Science & Engineering

Website- CSE

Review 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০০৩-২০০৪ সেশনে CSE অনুষদে ৪১ জন ছাত্র -ছাত্রী ভর্তি করে যাত্রা শুরু করে। এরপর প্রতি সেশনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়ে অদ্যাবধি এ অনুষদ থেকে ১৩ টি ব্যাচে মোট ৫৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী ডিগ্রী গ্রহণ করে কর্মক্ষেত্রে সুনামের সাথে কর্মরত আছেন।

সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগিতায় এই অনুষদে অত্যাধুনিক Advanced Computing Laboratory স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও উক্ত বিভাগের সহযোগিতায় মোবাইল গেমস ও  এপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে মোবাইল গেমস ও এপস ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি নামে আরও ত্রকটি ল্যাবরেটরি করা হয়েছে।

পবিপ্রবির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়) আওতায় সিত্রসই অনুষদে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ এবং কম্পিউটার এন্ড  কমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে দুটি উচ্চ প্রযুক্তির ল্যাবরেটরি স্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এছাড়াও, বাংলাদেশ এনার্জি রির্সাচ কাউন্সিল এর সহায়তায় ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে একটি গবেষণা ল্যাবরেটরি স্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই অনুষদ সর্বোমোট ৫ টি বিভাগ নিয়ে গঠিত এবং এখানে ২১ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।

বিভাগ সমূহ হচ্ছে –

১. কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি
২.কম্পিউটার এন্ড কমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ
৩.ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ
৪. ফিজিক্স এন্ড মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ
৫.ম্যাথমেটিক্স বিভাগ

Lab : মোট ল্যাব ৯ টি।

1.CIT lab – CSIT ল্যাবে মোট কম্পিউটার রয়েছে ৪০ টি।

2.PME lab : পিএমই ল্যাবে কোর্স রিলেটেড ল্যাব এক্সপেরেমেন্টার সকল সরঞ্জাম ও টুলস রয়েছে।

3.Advanced Computing lab: এ ল্যাবে ৫০ টি হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার ও ৩ টি LED, LCOS and Laser প্রজেক্টর রয়েছে।

4.EEE lab: সকল প্রকার এক্সপেরিমেন্টাল সরঞ্জাম, মাইক্রোপ্রসেসর, আরডুইনো টুলস রয়েছে। এক কথায় পারফেক্ট ল্যাব।

5.Virtual lab: এটি একটি ভার্চুয়াল ক্লাস রুম এবং কনফারেন্স রুম। সকল প্রকার ভার্চুয়াল কমিউনিকেশন টেকনোলজি রয়েছে। মোট ৪০ টি আসন রয়েছে। এটা সম্পূর্ন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত।

6.Mobile Apps and Games Development lab : এটি হচ্ছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ল্যাব। প্রায় ৫০ টি হাই পারফর্মেন্স ম্যাক কম্পিউটার রয়েছে। হাই কোয়লিটির গ্রাফিক্স এবং হাই কোয়ালিটির প্রসেসর সম্পৃদ্ধ গেমিং পিসি রয়েছে ল্যাবটিতে।

7. Computer Networking Lab: কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ল্যাবের কাজ মোটামুটি শেষের পথে। এখন উদ্বোধনের পালা। এই ল্যাবটিতে থাকবে প্রায় ৫০ টি হাই পারফরমেন্স কম্পিউটার, থাকবে অনেকগুলো নেটওয়ার্ক টেকনোলজি ডিভাইস।

8. Computer Software Lab: আরো দুইটি ল্যাব তৈরির কাজ শুরু হয়েছে অলরেডি। এর মধ্যে একটি ল্যাব হবে Computer Software Lab। অন্যটি হবে জেনারেল ল্যাব। এই দুইটি ল্যাবে কম্পিউটার থাকবে ৫০ টির বেশি। এই ল্যাবগুলোতে ছাত্রদের গ্রুপ বা টিমে ভাগ করে অলটাইম কাজ করার সুযোগ করে দেয়া হবে। এই ল্যাব দুটোর বাজেট চলে এসেছে এখন রুম নির্ধারন করে ল্যাব সেটাপের কাজ গুলো করা বাকি আছে।

এছাড়া ফ্যাকাল্টিতে নিজস্ব ডেটা সেন্টার রয়েছে।

কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং কমিউনিটি:

সিএসই ফ্যাকাল্টিতে কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে গড়ে উঠেছে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং কমিউনিটি। বর্তমানে ফ্যাকাল্টিতে বেশ কিছু Expert কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামার রয়েছে (Codeforces প্লাটফর্মের রেটিং অনুযায়ী)।

নিয়মিত বিভিন্ন প্রোগ্রামিং কনটেস্টের আয়োজন করা হয়ে থাকে। রানিং ব্যাচ গুলো থেকে প্রায় ১২ টি কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং টিম রয়েছে। বিভিন্ন ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং কনটেস্টে টিমগুলো নিয়মিত অংশগ্রহন করে আসছে এবং প্রতিবছরই কিছু ভাল পজিশন অর্জন করে আসছে টিমগুলো।

প্রতিবছর ACM ICPC ঢাকা রিজিয়ন কনটেস্টে সিএসই ফ্যাকাল্টি থেকে ৩/৪ টি টিম অংশগ্রহণ করে থাকে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক আয়োজিত প্রোগ্রামিং ক্যাম্পগুলোতে সিএসই ফ্যাকাল্টির জন্য ৪/৫ টা স্টল রাখা হয়ে থাকে।

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা ও জব সেক্টর:

গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা ১৩ টি ব্যাচ থেকে দেশের উচ্চ শিক্ষা ও জবের জন্য পবিপ্রবি সিএসই ফ্যাকাল্টির প্রায় ১৫০ জনের ( Alumni এর সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী) বেশি দেশের বাইরে (আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া, ভারতে) গিয়েছে।

গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে সরকারী জব করছেন প্রায় ৬০%. দেশের গুরুত্ব পূর্ন সরকারি সেক্টরগুলোর আইসিটি অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন আমাদের সিএসই গ্রাজুয়েটরা। বাংলাদেশ ব্যাংক সহ দেশের সবগুলো সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের আইটি সেক্টরে আমাদের গ্রাজুয়েটরা কর্মরত আছেন।

দেশের সেরা আইটি ফার্ম ও সফটওয়্যার কোম্পানিতে গুলোতে বেশ দাপটের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন পবিপ্রবি সিএসই গ্রাজুয়েটরা।

CSE ফ্যাকাল্টি পবিপ্রবির একটি ব্রান্ড ফ্যাকাল্টি। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই সাবজেক্টের সাথে তুলনা করলে উপরের সারিতেই রাখতে হবে পবিপ্রবি সিএসই ফ্যাকাল্টিকে। দেশের সব বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পবিপ্রবির অবস্থান সাস্টের সিএসই এর পরেই।

সবচেয়ে বড় কথা হল দেশের ৪ টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট) বাদে হাতে গোনা ৪/৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪/৫ টি ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে BSc ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সেই ৪/৫ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪/৫ টা সাবজেক্টের একটি হল PSTU সিএসই।

সাস্টের সিএসই,  MIST এর অ্যারোনোটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান প্রযুক্তি সিএসই BSc ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি পেয়ে থাকে।

কারণ এই সব ফ্যাকাল্টি বা ডিপার্টমেন্টগুলোর ইন্সফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশনের স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে। এর সদস্য হতে হলে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশনের অনেক কঠিন কঠিন শর্ত ও স্ট্যান্ডার্ড ফলো করতে হয়। যেটা পবিপ্রবি সিএসই ফ্যাকাল্টি করতে পেরেছে।

Faculty Of Animal Science & Veterinary Medicine

Website- https://pstu.ac.bd/faculties/ANSVM
Review

এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদটি পবিপ্রবির বহিঃস্থ ক্যাম্পাস যা বরিশাল শহর হতে প্রায় ১৫ কি.মি দূরে বরিশাল বিমান বন্দর সংলগ্ন বাবুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।

প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা সম্বলিত ত্রই বহিঃস্থ ক্যাম্পাসটি স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। বর্তমানে এই অনুষদে ১১ টি বিভাগে মোট ৪৭ জন শিক্ষক কর্মরত। এই অনুষদ হতে ৫ বছর মেয়াদী Doctor of Veterinary medicine (DVM) ও ৪ বছর ৬ মাস মেয়াদী B.Sc in Animal Husbandary ( Hons.) নামে ২ টি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

এই অনুষদে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫০ জন ( ডিভিত্রম – ৮ জন বিদেশী সহ ২৬৬ জন, বিত্রসসি ত্রত্রইচ ২৪৩ ত্রবং ত্রমত্রস ৪১ জন)। ইতোমধ্যে এ অনুষদ হতে ৬১১ জন শিক্ষার্থী Doctor of Veterinary Medicine (DVM) ডিগ্রী এবং B.Sc in Animal Husbandry (Hons.) এ ২১১ জন শিক্ষার্থী ডিগ্রি লাভ করে।

দেশের বিভিন্ন সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আন্তজার্তিক প্রতিষ্ঠানে এই অনুষদের শিক্ষার্থীরা সুনাম ও দক্ষতার সাথে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যায়ে উক্ত অনুষদ থেকে ৮৬ জন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

বর্তমানে উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে মেডিসিন, সার্জারী এন্ড অবসটেট্রিক্স বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল আধুনিকিকরণ উপ -প্রকল্পের আওতায় একটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও ল্যাবরেটরি নির্মাণ ত্রবং ভ্রাম্যমান প্রাণি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক চালু আছে৷

Doctor of Veterinary Medicine (DVM)

একজন ভেটেরিনারিয়ান হতে হলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পাস করার পর দেশের যে কোন স্বীকৃ্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাঁচ বছর(চার বছর একাডেমিক, এক বছর ইন্টার্নি) মেয়াদী ডিভিএম(ডক্টর অবভেটেরিনারি মেডিসিন) ডিগ্রী অর্জন করতে হবে।

নতুন চান্স পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা খুব কনফিউজড, যে কোন সাব্জেক্টের ভবিষ্যত কি।

Job Sector Govt

• Veterinary Surgeon (BCS)
•University Teacher
• Scientific Officer of BLRI, LRI.
• Project Development Officer
•Officer (Dairy farm, Goat farm, Poultry farm,
buffalo farm etc.)
• RVFC (Army)
•Lecturer (LTI, Technical college & Govt.
Veterinary College)
• General Cadre (Foreign affairs, ASP, Customs, Family Planning, Education, etc.)
• PSC Non-cadre Officer.
•NSI officer, NBR officer, ATO, etc.
• Govt Bankers.

International Organization

•UNDP Officer
• ICDDR’B Scientist
• FAO Officer
• WFP Officer
• JICA Officer
• Eco Health Scientist
• World Vission Officer
•Heifer Executive
•CARE Scientist
• PKSF Officer
• Solidarity Officer
• UNFPA Scientist

Non-Govt Jobs

• Technical Officer (Medicine & Feed)
• Product Executive (Medicine)
• Farm Officer
• Training Executive
• Research Officer (Food, Meat, etc)
• Veterinary Officer (Brac, Pran, Aftab, Megna
group etc)
• Livestock Officer ( Various NGOs)
• Business Development Officer
• Section Officer (Private organizations)
•Marketing Officer (Medicine & Feed)
• Lecturer (Private Technical College)
• Private Bankers etc & many more.

Website – Dairy Science

Website- Basic Science

Faculty of Business Administration

Website- Faculty Of Business Administration

Review

পবিপ্রবিতে গত ২০০৩-২০০৪ সেশনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা অনুষদ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এই অনুষদের নাম ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ। ব্যবসায়, প্রশাসন, শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে দক্ষ কারিগর ও সুযোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করা এ অনুষদের মূল লক্ষ্য।

এ অনুষদে ৬ টি বিভাগে মোট ২৫ জন শিক্ষক বিদ্যমান। ২৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন শিক্ষাছুটিতে আমেরিকায় রয়েছেন। এ অনুষদের মাধ্যমে ৪ টি বিষয়ে ( মেজর ইন মার্কেটিং, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ত্রবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস) বিবিএ  এবং  এমবিএ ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

এই অনুষদের অধীনে অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ডক্টরাল প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। সম্প্রতি এই বিভাগের সাথে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের “Upgrading Pangus and Tilapia Value Chains In Bangladesh ” শীর্ষক কোল্যাবোরেটিভ প্রকল্পের আওতায় অনুষদের তিনজন শিক্ষককে Double Degree Program এর অধীনে পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমানে এ অনুষদে একই বিভাগে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে “ECOPRAWN – Climate Friendly and climate – resilient prawn farming in Bangladesh ” শীর্ষক প্রকল্প চালু রয়েছে যেখানে আরও ২ জন পিএইচডি ছাত্র ভর্তি করা হবে। এ অনুষদ থেকে শুক্র ও শনিবার উইকেন্ডে ইএমবিএ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।

ইতোমধ্যে এ অনুষদে ৭২৩ জন শিক্ষার্থী বিবিএ ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বর্তমানে এ অনুষদের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৪৪। এ অনুষদে HEQEP ত্রবং AIF ( Academic Innovation Fund) ত্রর সহায়তায় ত্রকটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির Digital IT cum Language Lab রয়েছে।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে সর্বমোট ৬ টি বিভাগ বিদ্যমান এবং বর্তমানে ২৫ জন শিক্ষক এই অনুষদে কর্মরত আছেন।

বিদ্যমান বিভাগ সমূহ হচ্ছে –

১.ইকোনোমিক্স এন্ড সোসিওলজি বিভাগ
২. একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ
৩.ফিন্যাস এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ
৪.মার্কেটিং বিভাগ
৫.ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
৬.ল্যাংগুয়েজ এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগ

পবিপ্রবির বিবিএ নিয়ে লেখার শুরুতেই যেটা বলবো, সেটা হল আমাদের ভার্সিটির বিবিএ একটু ভিন্ন। এখন মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেমন ভিন্ন? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ হচ্ছে প্রোগ্রাম বিবিএ।

আমাদের ভার্সিটিতে মেজর সাবজেক্ট মানে আপনি কোন বিষয়ে গ্রাজুয়েট হবেন সেটা নির্ধারন হবে ৩য় বর্ষের শেষে। আর সেটা হবে আপনার আগ্রহ ও একাডেমিক রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে। আইবিএ ও প্রাইভেট ভার্সিটির প্রায় সব গুলোই এই প্যাটার্ন ফলো করে।

পবিপ্রবির বিবিএ তে ১ম বছরের শুরু থেকে ৩য় বর্ষ পর্যন্ত আপনাকে ফিন্যান্স, একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, ইকোনমিকস, ম্যথমেটিকস, ইংলিশ, স্টাটিসটিকসের­ বেসিক ও মোডারেট লেভেলের কোর্সগুলো পড়ানো হবে আর ফাইনাল ইয়ারে গিয়ে আপনার মেজরের বিষয়ের উপর অ্যাডভান্স লেভেলের কোর্সগুলো করিয়ে আপনাকে আরও দক্ষ করে তোলা হবে।

এখানে বর্তমানে “বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন” ফ্যাকাল্টির অধীনে ৪ টি ডিপার্টমেন্টে মেজর চালু আছে, এগুলো হলঃ

১. ফিন্যান্স এন্ড ব্যাঙ্কিং

২. মার্কেটিং

৩. একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম

৪. ম্যানেজমেন্ট

বলাবাহুল্য বিবিএ তে প্রতি সাবজেক্ট ই যুগোপযোগী ও চাহিদাসম্পন্ন। ফ্যাকাল্টি মেম্বার সবাই অত্যন্ত আন্তরিক ও বন্ধুসুলভ। ছাত্রদের প্রয়োজনে তাঁরা নিজেদের

সাহায্যের হাত বাড়াতে কার্পণ্য করেন না। বিবিএ তে বর্তমানে তোমরা যারা ভর্তি হবা তারা ফ্যাকাল্টির ১৮ তম ব্যাচ।

এখান থেকে পড়া শেষ করে সকল স্টুডেন্টস সম্মানের সাথে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে, ব্যাংক , টেলিকমিউনিকেশন ও অন্যান্য ফার্মে কর্মরত রয়েছে। এছাড়াওফ্যাকাল্টির যোগ্যতম ছাত্র যাঁরা,তাঁরা পবিপ্রবিতে টিচার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

পবিপ্রবির “বিজনেস স্টাডিজ” পরিবারে নতুন সদস্যদের জন্য রইলো অনেক শুভ কামনা।

Faculty of Fisheries

ফ্যাকাল্টি ওয়েবসাইট
Review

পবিপ্রবিতে ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে ১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর উক্ত বিভাগ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

এ অনুষদে ৫ টি বিভাগে বর্তমানে ২৬ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন, তাদের মধ্যে ৯ জন পিত্রইচডি অর্জন করেছেন ত্রবং ৬ জন শিক্ষা ছুটিতে পিত্রইচডি তে অধ্যয়নরত আছেন। নবীন এই অনুষদে ইতোমধ্যে একাডেমিক বিষয়ে নানান উৎকর্ষতা সাধনের পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্রেও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বর্তমানে অনুষদের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধায়নে DANIDA কর্তৃক অর্থায়নে ইউরোপ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্বনয়ে BANHFISH নামক প্রকল্প সমূহ ইউজিসি, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রমন্ত্রণালয়, WorldFish, ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স -সুইডেন এবং পবিপ্রবি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য দেশী – বিদেশী সংস্থার অর্থায়নে আরও ১৩ টি গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য দেশী -বিদেশী সংস্থার অর্থায়নে আরও ১৩ টি প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের FISH Safety Foundation ত্রর পরিচালনায় ও যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীদের নিরাপদ ও উন্নত জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে Fishing Safety Intervation Program (fishSafe 2025 Phase -1) চলমান রয়েছে।

বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় স্থায়িত্বশীল সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সাগরকন্যা কুয়াকাট্য়  একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী “Marine Fisheries Research Institute ” প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সমন্বিতভাবে সমুদ্র গবেষণায় ত্বরান্বিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।

বর্তমানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ৫ টি ডির্পাটমেন্ট নিয়ে গঠিত এবং উক্ত ডির্পাটমেন্টে ২৬ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।
বিভাগসমূহ হচ্ছে-

১. একুয়াকালচার বিভাগ
২.ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগ
৩.ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
৪.ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগ
৫.মেরিন ফিশারিজ এন্ড ওশেনোগ্রাফি

জব সেক্টরের দিকে নজর দেয়া যাক।

সরকারী সংস্থাসমূহ:

*বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান
*বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(BCS)
*মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়
*বাংলাদেশ মৎস্য সম্পদ গবেষণা কেন্দ্র (বিএফআরআই) ও এর শাখা ও উপকেন্দ্রসমূহ
*বাংলাদেশ মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র (বিএফডিসি) ও এর শাখা কেন্দ্রসমূহ
*বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (বিএআরসি বা বার্ক)
*সরকারি ব্যাংক
*ফিসারিজ ও ফিসারিজ সংশ্লিষ্ট একাডেমী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
এছাড়াও মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়কে সহায়তাকারী বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থা/দপ্তর সমূহে ফিসারিজ গ্রাজুয়েটদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

বেসরকারি সংস্থাসমূহ:

*বেসরকারি ব্যাংক
*বাংলাদেশরুরাল এ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি (ব্রাক)
*প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র
*গ্রামীণ ব্যাংক
*আরডিআরএস
*বাঁচতে শেখা
*টিএমএসএস
*এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্ট (আশা)

আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ:

*ওয়ার্ল্ড ফিস সেন্টার
*ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)
*ফাও (এফএও)
*ইউএনডিপি
*কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ
*কারিতাস বাংলাদেশ
*নেচার কনজারভেসন মুভমেন্ট
*এশিয়ান ওয়েটল্যান্ড ব্যুরো
*ডানিডা (ডিএএনআইডিএ)
*সোসাইটি ফর কনসারভেসন অব নেচার এন্ড এনভায়রনমেন্ট (এসসিওএনই)
*ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেসন অব নেচার এন্ড ন্যাচারাল রিসোর্স (আইইউসিএন)
*সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ বাংলাদেশ(এসএপি)

ব্যক্তিগত খাতসমূহ:

ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে ওঠা নিম্নে প্রদত্ত শিল্পসমূহে যোগদান করা যেতে পারে-
*মৎস্য খামার
*মৎস্য হ্যাচারি

আত্মকর্মসংস্থান:

*হ্যাচারি ও রেণু উৎপাদন
*পোনা ও টেবিল-সাইজ মৎস্য উৎপাদন
*মুক্তা উৎপাদন
*কাঁকড়া উৎপাদন
*বাহারি মাছের রেণু ও পোনা উৎপাদন
*মৎস্য খাদ্য উৎপাদন
*মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ

Faculty of Nutrition & Food Science

ফ্যাকাল্টি ওয়েবসাইট
Review

খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে সর্বোচ্চ জ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে পবিপ্রবিতে ৭ টি বিভাগ নিয়ে নিউট্রিশন ত্রন্ড ফুড সায়েন্স অনুষদের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই অনুষদের মোট ১৮ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।

খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টিগুন, পুশ্টির অভাবজনিত রোগ, খাদ্যের জৈব রসায়ন, প্রাণ রসায়ন, খাদ্য ও অনুজীব বিদ্যা, হাইজিন স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্যবিধান, জনস্বাস্থ্য, পথ্যব্যবস্থা বিদ্যা, খাদ্যের আমদানী রপ্তানী সম্পর্কিত আইন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে।

এ অনুষদ থেকে ৪ বছর মেয়াদী B.Sc NFS ( Hons.) ডিগ্রি দেয়া হয়।

৪ টি ব্যাচে মোট ১৯২ জন ছাত্র–ছাত্রী অধ্যয়নরত ত্রবং ইতোমধ্যে ৫ টি ব্যাচে মোট ২০৯ জন শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে পুষ্টিসেবা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

এই অনুষদে ২০১৬ সাল থেকে UNICEF Bangladesh ত্রর সার্বিক সহযোগিতায় Nutrition Internship Programme for the Student of Faculty Of NFS শীর্ষক একটি প্রকল্প চালু রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের Community Based Nutrition Programming হাতে কলমে শেখার সুযোগ তৈরি করেছে ।

অদ্য অনুষদে ৭ টি বিভাগ বিদ্যমান ত্রবং ১৯ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।

বিভাগসমূহ হচ্ছে –

১. বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড ফুড আ্যানালাইসিস
২. কমিউনিটি হেলথ এন্ড হাইজিন
৩. এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন
৪.ফুড মাইক্রোবায়োলজি
৫. ফুড টেকনোলজি এন্ড ইন্জিনিয়ারিং
৬.হিউম্যান নিউট্রেশন  এন্ড ডাইটেটিকস
৭. পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি এন্ড মার্কেটিং

ক্যারিয়ার:-

১. সরকারি (খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রনালয় এর অধীন বিভিন্ন পদে)
২. এনজিও
৩. ফুড ইন্ডাস্ট্রি
৪. হসপিটাল(পুষ্টিবিদ)
৫.বিসিএস তো আছেই।

কাজের ক্ষেত্রঃ

Govt. Sector:-

*Atomic Energy Commission,
*BSTI
*SME Foundation,
*University &College,
*Ministry of livestock,
*Food ministry,
*Ministry of Agriculture
*Polytechnical Institutes and so on.

International NGO:-

UN Organization: UNICEF, World Food Programme (WFP), World Health Organization (WHO), Food and Agriculture Organization (FAO), United Nations High Commissions for Refugees (UNHCR), United Nations Development Programme (UNDP).

Helen Keller International, Save the Children, Action Contre la Faim (ACF), Concern Worldwide, International Relief, etc.

National NGO:-

BRAC, DSK, SHED, NDP, Jagorani Chakra Foundation, SHIREE, Shushilan, Banchte Shekha, DORP.

*ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিঃ Fish,Meat,Poultry,Fats&Oils etc food processing industry

*ন্যাশনাল এন্ড মাল্টিন্যাশনাল ফুড কোম্পানী (Pran Nestle, Globe, Bashundhar foods, CI foods, Isphani foods, Ifad multi products Lt. Fu Wang foods Lt, Central Marketing Company, Dine cake, BD, PRAN, Akij Food & Beverage, Partex Beverage, Square Food & Beverage, Acme Food & Beverage, Transom Food & Beverage, Globe Beverage, Igloo, Polar, C.P Bangladesh, Golden Harvest, Sajib Food, Nabisco Biscuits, Olympia Biscuits, Coca-cola, Aftab Food, BRAC dairy, etc.

ডেইরি প্রডাক্ট ফার্ম

Milk Vita, Pran Dairy farm, Akij dairy, Araang Dairy, Newzealand Dairy, BRAC Dairy, etc.

এছাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের অধীন “Food Safety Authority ” তে উপরিচালক ও পরিচালকসহ অন্যান্য পদ এ যোগ দিতে পারবেন।

Faculty of Law And Land Administration

ফ্যাকাল্টি ওয়েবসাইট
Review

অধিক জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান চাহিদা ত্রবং অপ্রতুল ভূমির কারণে বাংলাদেশের টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি প্রশাসন, ভূমি নীতি ও আইন অধ্যয়ন ত্রবং অধিকতর জ্ঞান অর্জনের জন্য দেশকে এগিয়ে নেয়া জরুরী।

এ দেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন বিষয়ে কর্মরত জনবলের অধিকাংশরই এই বিষয়ের কোন ডিগ্রী নেই। তাই মূলত তারা ত্রই বিষয়ে ওয়াকিবহল নয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা অর্জনের জন্য ভূমি বিষয়ক স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সরকারি অফিসসমূহে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ওয়াকিবহাল জনগণ নিয়োগ বর্তমান সময়ের চাহিদা ও অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।

পবিপ্রবি ভূমি ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের উপর স্নাতক ও ম্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষা বর্ষ থেকে Land Management and Administration অনুষদের অধীনে ৫ টি বিভাগ ( Land Policy & Law, Land Administration, Geomatics, Geodesy, Land Record & Transformation) খোলা হয় ত্রবং Bachelor of Science in Land Management & Administration ( Hons.) কোর্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তি শুরু হয়।

পরবর্তীতে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ডিগ্রির নাম পরিবর্তন করে Bachelor Of Law (Hons.) in Law & Land Administration করা হয়। বর্তমানে ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনুষদের নাম পরিবর্তন করে Law & Land Administration ত্রবং ৫ টি বিভাগের পরিবর্তে ১ টি বিভাগ Law & Land Administration করা হয়।

অত্র বিভাগের অধীনেই আইন ত্রবং ভূমি প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

এটি মূলত আইনের ডিগ্রি মানে এলএলবি ডিগ্রি প্রদান করে।

প্রথমতঃ সরাসরি আইন পড়ে যে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন এখান থেকেও সেগুলো পারবেন। এ নিয়ে অনেকেই বিতর্ক ছড়াচ্ছে। বিষয়টা তারা না জেনে বা ইচ্ছেকৃতভাবে করছে।

উদাহরণস্বরূপ আপনারা চাকরির সার্কুলারে দেখবেন সার্কুলার প্রদানকারীরা ডিগ্রি মেনশন করে। স্পেসিফিক সাবজেক্ট খুব কম মেনশন করে। এটা দেখে আপনারা নিশ্চিত হতে পারেন।

দ্বিতীয়তঃ এখান থেকে পড়ে জেনারেল ক্যাডার, ব্যাংক জব সহ অন্যান্য সাধারণ প্রথম এবং দ্বিতীয় গ্রেডের জবগুলোতে আবেদন করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি বিসিএস ও পাচ্ছেন, বিজিএসও পাচ্ছেন। সোনার হরিণ বললে সেটা মন্দ হবে নাহ একদম। বাংলাদেশের সবচেয়ে দুটো সম্মানীয় পেশা।

তৃতীয়তঃ যেহেতু এই ডিগ্রিতে ল্যান্ড মানে ভূমিকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং সরকারের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি চালু হইছে। এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ভূমি সেক্টরগুলোতে এই আইনের ডিগ্রীধারীরা প্রাধান্য পাবে। এক্ষেত্রে এমনও হতে পারে ভবিষ্যতে এসিল্যান্ড, রেজিস্ট্রার, সাবরেজিস্টার ইত্যাদি ইত্যাদি নামি-দামি জব শুধু এই ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবে।

চতুর্থতঃ সব ধরণের সাধারণ বেসরকারি জবে আবেদন করতে পারবেন।

একটা বিষয় ক্লিয়ার করিঃ অনেক আসন থাকার পরও একজন শিক্ষার্থীকে ভার্সিটিতে চান্স পেতে যেমন অনেক কষ্ট করতে হয়, তেমনি জবের ক্ষেত্রে তার ৫ গুণ বেশি কষ্ট করতে হয়। কারণ তখন লক্ষ লক্ষ গ্রাজুয়েটরা অপেক্ষা করে চাকরির জন্য।

সেক্ষেত্রে আইনের ডিগ্রিধারীরা বহুবিধ সেক্টরে আবেদন করার সুযোগ পায়। সেজন্য আমার মনে হয় নিঃসন্দেহে এটা সেরা সাবজেক্ট ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে।

স্পেসিফিক কিছু বিশেষ জবের ক্ষেত্রসমূহঃ

১. বিচারক(জাজ)
২. বিসিএস ক্যাডার
৩. এডভোকেট
৪. আইনবিদ
৫. ব্যাংক জব
৬. লিগ্যাল এডভাইজার
৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
৮. আর্মিতে লিগ্যাল কোঠায় মেজর
৯.এনজিও
১০. ন্যাশনাল ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি

★ইত্যাদি ইত্যাদি বহুবিধ জব।

জীবন আপনার এবং সিদ্ধান্তও আপনার।আপনি কোন পেশায় যাবেন, কি করবেন, কিভাবে লাইফে সেটেল হতে চান দিনশেষে সব আপনার উপর নির্ভর করবে। তবে ওভারঅল এটা সত্য যে পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।

আল্লাহ যা দিছেন সেটা অবশ্যই ভালোর জন্য দিছেন। অতএব প্যারা নাই চিল এবং দ্রুত ভর্তি হয়ে যান আইন এবং ভূমি প্রশাসন অনুষদে।

Website- Geomatics

Website – Geodesy

Faculty of Environmental Science & Disaster Management

ফ্যাকাল্টি ওয়েবসাইট
Review

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবসৃষ্ট বির্পযয় মোকাবেলার শিক্ষায় সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানব হিতৈষী পেশাজীবী গড়ে তোলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ, পবিপ্রবি ত্রশিয়ার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বহুমুখী পাঠ্য বিষয় সম্বলিত ( Multidisciplinary) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি প্রদানের উদ্দেশ্যে বি.এস.সি ইন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (স্নাতক) কোর্সে ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে শুরু করে।

২৩ আগষ্ট ২০১১ খ্রি. তারিখ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশন ত্রর অনুমোদনক্রমে ” দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা” অনুষদ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন লাভ করে।

একটি নবীন ও বহুমুখী পাঠ্য বিষয় সম্বলিত ( Multidisciplinary) সম্ভাবনাময় অনুষদ হিসেবে CDMP ও HEQEP, UGC এর Academic Innovation Fund ত্রর সহায়তায় আন্তজার্তিক মানের অত্যাধুনিক সুযোগ -সুবিধা বিশিষ্ট ক্লাস রুম, নিজস্ব লাইব্রেরি, ও বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি সম্বলিত গবেষণাগারে একদল নিবেদিত প্রাণ উদ্যমী শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে এ অনুষদ হতে ৭ টি ব্যাচে ২৭৫ জন শিক্ষার্থী অর্নাস ডিগ্রী ত্রবং ১১০ জন শিক্ষার্থী মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

বর্তমানে এ সকল গ্রাজুয়েটদের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে, বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রণালয়, উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা কার্যালয়, আন্তজার্তিক সংস্থা ও সংগঠন এবং UN মিশন সহ বিশ্বের আরও অন্যান্য সেবাধর্মী দুর্যোগ প্রতিরোধী ও মানবহিতৈষী প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের জন্য অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অদ্য অনুষদে সর্বমোট ৫ টি বিভাগ বিদ্যমান এবং ২৫ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।

বিভাগ সমূহ হচ্ছে

১. ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স ত্রন্ড ইন্জিনিয়ারিং
২. ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
৩.ইর্মাজেন্সি ম্যানেজমেন্ট
৪.এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স
৫. জিও ইরফরমেশন সাইন্স ত্রন্ড আর্থ অবজারভেশন

শুরুতেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে কিছু বলা যাক। সিডর আর আয়লার মত ঘূর্ণিঝড়ে ধরাশায়ী প্রিয় মাতৃভূমিকে ভবিষ্যত আতংক থেকে বাঁচানোর জন্য এই সাবজেক্ট চালু হয়। তাছাড়া এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে।

এ বিষয়ে পড়ালেখা শেষে সরকারের

পরিবেশ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়,
ফায়ার সার্ভিস,
এলজিইডি,
ভূমি অধিদফতর,
পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ইত্যাদিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সুযোগ থাকছে বিভিন্ন

ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন

এনজিও,
ডোনার এজেন্সি,
একাডেমিক ও রিসোর্স ইন্সটিটিউটসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে-
সেভ দ্যা চিলড্রেন,
কেয়ার বাংলাদেশ,
অ্যাকশন এইড,
ইউএনডিপি,
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা,
বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি।

এছাড়াও
ডিজাস্টার,
সাইক্লোন_শেল্টার_ডিজাইন,
রেসিস্টেন্ট বিল্ডিং তৈরি,
দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ত্রাণ ও সাহায্য ব্যবস্থাপনা,
টিমওয়ার্ক বিল্ডিং

সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। বেতনের কথা বলতে গেলে এ পেশার শুরুতেই ভালো বেতন ধরা হয়। অার সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভেদে অভিজ্ঞতা ও পদোন্নতীর ভিত্তিতে সম্মানী আরও বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, এনজিও, ডোনার এজেন্সি, একাডেমিক ও রিসোর্স ইন্সটিটিউটসহ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও চাকরির শুরুতেই স্মার্ট বেতন দিয়ে থাকে।

এবার আসি এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের ক্ষেত্রে,

দিনে দিনে বাপক হারে চাহিদা বাড়ছে পরিবেশবিদের।দেশীয় চাকুরী বাজার থেকে শুরু করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা ও চাকুরী বাজার পর্যন্ত পরিবেশ বিজ্ঞান/প্রযুক্তি/প্রকৌশলীদের(Environmental Science/Technology/Engineering) অপার সম্ভবনারদ্বার খুলে যাচ্ছে।

সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে নানান প্রকল্প ও গবেষণা খাদ সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশকে কেন্দ্র করে। কিন্তু অনেকে জানেই না উচ্চ শিক্ষায় পরিবেশ বিজ্ঞান বলে একটা বিভাগ আছে।

বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পরিবেশ বিজ্ঞান নামক বিভাগ খোলা হয়। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ঢাবি, শাবিপ্রবি(সাষ্ট), যবিপ্রবি(যাষ্ট), বশেমুরবিপ্রবি এ Environmental Science এর যাত্রা শুরু হয়।

এখন দেশের অনেক নামি দামি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খুলছে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয় টি। সুতরাং একটু ভাল ফলাফল করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার সুযোগ পাওয়া অবাক কিছু নয়।

পরিবেশবিদের প্রধান কাজ হইল পরিবেশের সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করা, দূষণ রোধ করা,পরিবেশ কে দূষণের হাত থেকে রক্ষাকরা।প্রতিটা ইন্ডাস্ট্রিতে দূষিত ডাস্ট নির্গত হয়। আর এখানে পরিবেশবিদ দের ফলিত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে দূষণের থেকে পরিবেশ কে রক্ষা করতে হয়। তাই তৈরি করতে হয় নানা ধরনের পরিবেশ বান্ধব মডেল।

সৌর বিদ্যুৎ মডেল,
পারমানবিক বিদ্যুৎ মডেল, কিংবা
বায়োগ্যাস প্লান্ট মডেলিং,
ওয়াটার ফিল্টার মডেল,রিসাইকেলিং মডেল ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে হয় একজন পরিবেশবিদকে।
আবহাওয়া তথ্য প্রযুক্তি,
মহাকাশ নিয়ে গবেষণা, কিংবা
কৃষিক্ষেত্রে ও কাজের সুযোগ আছে একজন পরিবেশবিদ এর।

বর্তমানে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগের ভিত্তিতে তে তৃতীয় স্থানে আছে Environment related subject গুলি। Commonwealth অধিভূক্ত বেশিরভাগ নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই সাবজেক্টের scholarship ও আছে ব্যাপক ।

বুয়েট চুয়েটেও আছে স্নাতকত্তর পড়ার সুযোগ। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক মাল্টিন্যাশনাল এনজিও তে রয়েছে চাকুরির সেক্টর।

সর্বোপরি, একটা কথাই বলতে চাই আসলে পড়াশুনা নিজের কাছে।

যদি তুমি জানো, যদি তুমি পারো, যদি তুমি বোঝো তবে বিশ্ববিদ্যালয়ও বড় ফ্যাক্ট হয় না। চাকরি ব্যাপারটা এরকম তুৃমি দিনশেষে যদি প্রমান করো তুমি যোগ্য তবে চাকরি তোমাকে খুঁজে নিবে।

Share This Review with your Friends, Choose Your Platform!

Review Organised By Jobaer Mahmud Toyon with Engineer's Diary
Student of Patuakhali Science and Technology University


Want to Submit Review?

কৃষি অনুষদ – পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদার সাথে সামন্জস্য রেখে কৃষি ও সামুদ্রিক […]

কৃষিবিজ্ঞান সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত পরীক্ষার সার্কুলার হয়ে গেলো।অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন। […]

Title

Go to Top