আজ আপনারা যেটাকে অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন, আগামীতে সেটা সম্ভব হতেও পারে। অতীতে অনেক পদার্থবিজ্ঞানী অনেক কিছুইকেই তো অসম্ভব বলে বাতিল করে দিয়েছিলেন, যেটা এখনকার বাচ্চারাও শুনলে হাসবে। যেমন একজন বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী উইলিয়াম থমসন এর কথাই বলা যাক। উনি ছিলেন সেযুগের শ্রেষ্ঠ এবং উনি “লর্ড কেলভিন ” নামে সম্মাননা পান। সম্ভবত ভীক্টরিও যুগ সেটা। বিজ্ঞানী থমসন ১৮৯০ সনের দিকে বলেছিলেন “বাতাসের থেকে বেশি ভারি বস্তু বাতাসে কোনদিন উড়বেনা “। অর্থাৎ “এরোপ্লেন ” আবিষ্কার কখনোই সম্ভব নয় উনি সেটা মানতেন। উনি এটাও বলেছিলেন, পদার্থবিজ্ঞানে যা কিছু আবিষ্কার হবার ছিলো তার সব কিছুই হয়ে গেছে, আর কিছুই আবিস্কারের নেই। কথাগুলি শুনে আজ আপনারা উনাকে হয়ত কতটাইনা বোকা মনে করছেন। আজ আমরা এমন কোন দেশের নাম বলতে পারবো কি ? যে দেশে কোন এয়ারপোর্ট নেই অথবা এরোপ্লেন চোখেই দেখেনি ! অসংখ্য নতুন নতুন আবিষ্কার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের চারিপাশে যা পদার্থবিজ্ঞানের কল্যাণেই আজ আমরা পেয়েছি এবং আগেকার দিনে আনেক নামিদামি খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরাও সেসব কখনো মাথাতেই আনতে পারেননি। আমি উইলিয়াম থমসনের মতো আরো কিছু বিজ্ঞানীদের উদাহরণ আপনাদের দিতে পারবো, যাদের কথা শুনলে আরো বেশি হতবাক হবেন। যেমন, বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড বলেছিলেন : পারমাণবিক বোমা বা এটমিক বোমা বানানো কখনওই সম্ভব নয়। অথচ আজকের দিনে আমরা হাইড্রোজেন বোমা বানানো নিয়ে ব্যস্ত ; যেটা পারমানবিক বোমার থেকে অনেকগুণ বেশি শক্তিশালী। এমনকি বিখ্যাত আইনস্টাইন দাদুও ১৯৩০ সালের দিকে বলে বেড়াতেন পারমানবিক বোমা বানানো সম্ভব নয়, সম্ভব নয়, সত্যিই অসম্ভব। অথচ উনার সেই বিখ্যাত সূত্র E=mc2 থেকেই আমরা জানতে পারেছি যে পদার্থ ভেঙে শক্তি চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং শক্তি জড়ো হয়ে পুনরায় পদার্থে রুপ নিতে পারে। আমার এই স্ট্যাটাস লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের নিয়ে, যারা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের স্ট্যাটাস দেখে হাসাহাসি করে বলেন এই ব্যাটা ফিজিক্সে পড়ে পাগলদের খাতাতে নাম লিখিয়েছে ; আপনাদের বলছি শুনুন ভাই। আজ থেকে ১৫ বছর আগে কখনো ভেবেছিলেন যে এন্ড্রয়েড ফোন কলে অন্যকে ভিডিও বার্তা পাঠাতে পারবেন ? ভাবেননি। টেলিপোর্টেশন বা ওয়ার্মহোল বা টাইম মেশিন এসব প্রযুক্তি নিয়ে লিখলেও আপনারা ভাবেন এসব প্রযুক্তি নিয়ে আসা বাস্তবে সম্ভব নয়, এসব শুধু সিনেমা আর রুপকথার গল্পেই মানাই অথবা স্ট্যাটাস দাতা উইড মাইরা গ্যাঁজাইতাসে। কিন্তু আগামীতে এর থেকে বেশিকিছু আবিষ্কার করে ফেলতে পারবে আমাদের পরবর্তী জেনারেশন। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবেন বিজ্ঞানীরা পারবেনা ? বিজ্ঞানীরা আজ ক্ষুদ্র কনাকে টেলিপোর্ট করে দূরে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন। গুগলে সার্চ দিলেই দেখবেন চীন কোয়ান্টাম স্যাটেলাইট বানিয়ে ফেলেছেন, ভুতুড়ে টেলিপোর্টেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষুদ্র কণাকে নদীর এপার থেকে ওপারে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন । কাল হয়ত আপনাকেও টেলিপোর্ট করে বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে পাঠানো সম্ভব হবে আলোর গতিতে। আজ আমরা হয়ত ভিনগ্রহে বাসা বাঁধতে চাচ্ছি এটা শুনে আপনারা চেঁতিয়ে উঠে বলেন বিজ্ঞানী ব্যাটারা ভন্ড। অথচ ভবিষ্যতে হয়ত ওয়ার্মহোল দিয়েই আমরা চলে যেতে পারব দূরের কোন গ্যালাক্সির অন্য কোন গ্রহে। বিগব্যং থিউরি আজ অনেক পুরাতন হয়ে গেছে ভাই! আধুনিক এম থিউরি, স্ট্রিং থিউরি আমাদের বলছে ওয়ার্মহোল থাকাটা স্বাভাবিক এবং খুঁজে পাওয়াটাও হয়ত সম্ভব। কিন্তু কবে, কিভাবে বিজ্ঞানীরা পারবে এসব উত্তর আজ হয়ত আমি আপনাদের দিতে পারছিনা তাই আমি গাঞ্জা খাই। কিন্তু আজ আপনারা যেটা ভাবছেন সেটা হয়ত সেই থমসন, আইনস্টাইনের উক্তির মতোই হাসির উদ্রেক ঘটাবে আপনার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এটা তো মানতেই হবে বস্ । হয়ত ৪০০ বছর পর সমস্ত মানব জাতিই পৃথিবী ছেড়ে অন্য কোন গ্যালাক্সির অন্য কোন পৃথিবী 2 তে চলে যাবে। ভীন গ্রহ থেকে মানুষেরা পৃথিবী 1 এ বেড়াইতে আসবে, বিয়ের পর হানিমুনে আসবে, রেখে যাওয়া নিদর্শন দেখতে আসবে, হয়ত আসবে শিক্ষাসফর করতে !

-Arindam Ghosh

(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here – https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )