হিংস্র সিংহটি অসাড় দাঁড়িয়ে আছে। কুমিরটিকে দেখে মনে হচ্ছে এইমাত্র খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। বনে বাস করা প্রাণীগুলোকে একসাথে একই ঘরে ভেতর দেখে কয়েক মিনিট ভ্রম হতে পারে। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে প্রাণীগুলোর প্রাণ নেই। এমন অদ্ভুত এক প্রাণী জাদুঘর আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগে। বিভাগের লম্বা ঘরটির মধ্যে পাখি, পতঙ্গ কিংবা সরীসৃপ ব্যবহার হচ্ছে শিক্ষা ও গবেষণার উপাদান হিসেবে। কোনোটি রাখা হয়েছে কাঁচের পাত্রে, ফরমালিনে ডুবিয়ে। আবার কোনোটি অবিকল জীবিত অবয়বে। জাদুঘরটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষিত আছে। যা বাংলাদেশের অন্য কোনো প্রাণিবিদ্যা জাদুঘরে নেই। আর জাদুঘরটিতে ঢুকলে দেখা মিলবে, রঙিন পাখার ময়ূর তার সামনে পেঁচানো ফনা তোলা বিষধর সাপ আর পাশেই কুমির। সঙ্গে রয়েছে পশুপতি সিংহ আর হাজার রকমের মাছ, সামুদ্রিক কোরাল, শঙ্খ, শামুক, ঝিনুক। একসঙ্গে এত প্রজাতির প্রাণীর দেখা মেলা কল্পনাতীত। এগুলোর মধ্যে অনেক প্রাণী এরই মধ্যে অবলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু অতি সহজেই এসব বিলুপ্তপ্রায় দুর্লভ প্রাণীর দেখা মেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ‘অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে’। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৬৯ সালে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর নামানুসারেই এটির নাম রাখা হয়েছে ‘অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান মেমোরিরাল মিউজিয়াম’। জাদুঘরটি এতটাই সমৃদ্ধশালী যে এটিকে বাংলাদেশে প্রাণিবিদ্যার ক্ষেত্রে অদ্বিতীয় জাদুঘর বলা হয়ে থাকে। এটি এমনই এক জাদুঘর যেখানে কুমির, ঘড়িয়াল, অজগরসহ নানা সাপ, ময়ূরসহ নানা পাখি, বানর প্রভৃতি বহু প্রাণীর মমি করা দেহাবশেষ রাখা আছে। এগুলো আপনি জাদুঘরটির চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখতে পাবেন। তবে প্রাণীগুলো ঠিক কবে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছে, তা আপনি জানতে ও বুঝতে পারবেন না। তবে প্রাণীগুলো দেখলে আপনার কাছে এতটাই জীবন্ত মনে হবে যে আপনি বুঝতে পারবেন না। এ ছাড়া জাদুঘরটিতে দেখা মিলবে- পরিফেরা পর্ব থেকে কর্ডাটা পর্যন্ত প্রায় ৪৪২ প্রজাতির এক হাজার ৫৪৩টি প্রাণীর প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণ করা দেহ। এদের মধ্যে পাখি, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী সব ধরনের প্রাণীই রয়েছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, বিরল প্রজাতির জীবন্ত ফসিল পেট্রোমাইজন ও মেক্সিন, ১৯ প্রজাতির ৩৩টি কোরাল এবং ৪৫ প্রজাতির মলাস্কাল সেলও আছে। এখানে মানুষের কঙ্কালের পাশাপাশি রয়েছে হাতি ও ঘোড়ার কঙ্কালও। এসব প্রাণীর মধ্যে ১৪২ প্রজাতির ফসিল রয়েছে যা বর্তমানে দুর্লভ। এখানে কিছু প্রাণীকে শুকনো অবস্থায় আবার কিছু সংরক্ষণ করা হয়েছে ফরমালিন দিয়ে। এ ছাড়া শুধু রাজশাহী নগর ও সংলগ্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৯৬ প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে। এই দুই দিন ছাড়া বাকি পাঁচদিন আপনি জাদুঘরটি দেখতে যেতে পারেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সব সময় জাদুঘরটি খোলা থাকে। জাদুঘরটি দেখার জন্য দর্শনার্থীদের কাছ থেকে কোনো ফি নেওয়া হয় না।
 @Newaz Sharif Rofi.
University of Rajshahi.(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here – https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )