সাস্টে আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য বিভাগে আসন সংখ্যা ৩০। তবে কোনো কারণে ভর্তি পরীক্ষায় একই মার্ক একাধিক জন পেলে তাদের সিরিয়াল নম্বর একই দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে ৩০ জন এর ও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়।
সাস্ট আর্কিটেকচার এক্সাম দিতে গেলে অ্যাপ্লাই করতে হবে বি-২ ইউনিট এর জন্য।
বি-১ ইউনিট = সকল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং সাব্জেক্ট
বি-২ ইউনিট = বি-১ এর সকল সাব্জেক্ট+ আর্কিটেকচার
অর্থাৎ, বি-২ তে এক্সাম দিলে বি-১ এর নির্ধারিত সময়ের পরীক্ষার পরেই এক্সট্রা ১ ঘন্টা ড্রয়িং এক্সাম দিতে হয় & রেজাল্ট আসবে ২ টা, বি-১ এর জন্য একটা রেজাল্ট এবং বি-২ এর জন্য আরও একটা রেজাল্ট আসবে।
*বি-১ এ ভালো মার্ক না পেলে বি-২ তে রেজাল্ট আসবে না
*মূল এক্সামের পর এক্সট্রা ১ ঘন্টা যে ড্রইং এক্সাম দিতে হয় সেই পরীক্ষার কোশ্চেন প্যাটার্ন সম্পর্কে দেয়া হলো।
কোশ্চেন প্যাটার্ন (আর্কিটেকচার এক্সাম)
১. পাঁচটা জ্ঞান মূলক প্রশ্ন থাকবে( এইটা মূলত কমন সেন্স এর উপর। হালকা পাতলা কমন সেন্স, তার সাথে একটু ব্যাসিক জ্ঞান থাকলে ৫ এ ৪/৫ পাওয়া যাবে)
২. পোস্টার ড্রইং ( একটা থিম থাকবে তার উপর নিজের চিন্তা থেকে একটা পোস্টার আঁকতে হবে, মার্কিং এর ক্ষেত্রে তোমার চিন্তাটাকে কত সুন্দর ভাবে বোঝাতে পেরেছে এটাকে গুরুত্ব দেয়া হবে। থিম হতে পারে, ‘শিশু নির্যাতন বন্ধ কর’ ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ …. সামাজিক সমস্যামূলক)
৩. ফিগার ড্রয়িং। (একটা থিম থাকবে এমন… জেলের মাছ ধরা, ছোট বাচ্চার খেলা করা, গ্রামের বধু কলসি নিয়ে, কৃষক ধান কাটছে… মূলত একটা ফিগার কতটুকু বাস্তব ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারছ এইটাই দেখা হবে, কৃষকের কাস্তে ধরার ধরণ,; মাথা, শরীর, পা এই সব এর অনুপাত ঠিক আছে কি না এইসব দেখা হবে)
৪. পার্সপেক্টিভ ( একটা থিম দেয়া থাকবে এমন, গ্রাম্য মেলা, শপিং সেন্টার এমন। কাছে-দূরে ব্যাপার গুলো সহজে ফুটিয়ে তোলাই মেইন উদ্দেশ্য।)
অনেকে আর্কিটেকচার কোচিং করে, অনেকে কোচিং না করে আর্কিটেকচার বই পড়ে, অনেকে ইউটিউব থেকে শেখে। বাজারে অনেক প্রকাশনীর বই পাওয়া যায় যেমন: আর্কিটেকচার বিচিত্রা,জয়কলি। এগুলোতে খুব ভালোভাবে অনেক কিছু বুঝানো আছে যা অনেক হেল্পফুল।
মূলত দেশে যত আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্ট আছে, প্রায় সবগুলোতেই কিছু কমন জিনিস এর উপর ড্রইং এক্সাম হয়। শুধু মান বন্টন একটু আলাদা হয়। কোনো কোনো ভার্সিটিতে কিছু এক্সট্রা টপিক থাকতে পারে। কোনো কোনো ভার্সিটিতে আর্কিটেকচার এক্সট্রা এক্সামই হয়না।
পার্সপেকটিভ, কম্পোজিশন, পোস্টার, ফিগার ড্রয়িং এই জিনিস গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারলেই এনাফ, কোথা থেকে বুঝলে এইটা ইম্পোর্ট্যানট না। শুধু প্রচুর প্র্যাক্টিস দরকার। তার সাথে দরকার কমন সেন্স। আগে থেকে ড্রয়িং এ ভালো হইলে, খুব বেশি পরিশ্রম দরকার হয়না।
সময় থাকে মাত্র ১ ঘন্টা & সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, বি-১ ইউনিটের পরীক্ষায় ও ভালো মার্ক্স তুলতে হবে তাছাড়া চান্স সম্ভব না।
খুব সুন্দর আঁকানোর চেয়ে, লজিক্যাল ড্রইং ই বেশি গুরুত্ব পায়।
আতিক ইশরাক
স্থাপত্য বিভাগ(১৩ তম ব্যাচ)
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করে রাখেন, নইলে আবার এসব জিজ্ঞেস করেই মেসেজ দিবেন