-“না তেমন একটা সমস্যা নেই”
-“আপনি ঠিক বলছেন তো ডাক্তার?”
-“না মানে একটা ভালব একটু ফুটা দেখা গেলো। ব্যাপার না। এটা ঠিক হয়ে যাবে। ওর সমস্যা হার্টে না। ওকে সাইকাট্রিস্ট দেখান”
বাবার মন টা খুব ই খারাপ। বের হল হাসপাতাল থেকে ছেলেটাকে নিয়ে। ছেলেটা এইদিকে বাবা কে টানছে বাসায় যাওয়ার জন্য। এই ছেলের ব্যাপারে একটু জানানোর দরকার। এই ছেলে হল সহজ বাংলা ভাষায় বাদরের হাড্ডি। পুরো দুনিয়াকে মধ্য আংগুল দেখিয়ে নিজের মত করে চলে। নিজের হাসে,অপরকে হাসায়। ক্রোধ,প্রতিশোধ কোন কিছুই কম নাই এর মাঝে। ক্লাসে তেলাপোকা এনে স্যারের পায়ে ছাড়া, ক্লাস বাংক দিয়ে বাইরে চলে যাওয়া, টিফিন টাইমে প্রতিটা ক্লাসে যেয়ে সবার খোজ খবর নেওয়া, কোন বন্ধুর সমস্যা হল এগিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ভালো মন্দ কোন কিছুই তার জন্য বাদ নেই। দুনিয়া সম্পর্কে বুঝতেও চাইতো কম। বেশি বেশি জানতেও চাইত না। বলত “বেশি জানলেই সমস্যা। বেশি জানলে বেশি বুঝলে সাধারণ জিনিসকেও অনেক কম্পলিকেটেড মনে হয়।” ওর এক বাক্যে ১০ টা শব্দ থাকলে হয়ত সেখানে ৮ টাই থাকতো গালি। ঝড় বাতাসে পা পিছলানোর ভয় তোয়াক্কা করে পাহাড়ের চূড়া থেকে নদীতে ঝাপ দেওয়ার মত সাহস রাখে সে। সেই ছেলেটি পড়াশুনার ব্যাপারেও সর্বদা মধ্যমা ই ব্যাবহার করেছে। হার্টের প্রবলেম টা জন্মগত ছিলো কী না তা সে জানে না। কিন্তু একটি মেয়ের দেওয়া কষ্টেই তার আজ এই অবস্থা এইটাই সে ভাবে।
.
এসএসসি পরীক্ষায় পিছনের জনের খাতা দেখতে যেয়ে ধরা খায় সে। স্যার তার খাতা নিয়ে যায়। সত্যি বলতে ওইদিন তার প্রিপারেশন ও ভালো ছিল না। আগের রাতে একটু বেশি ই মধ্যমা দেখিয়েছে এই সাবজেক্ট কে। এসএসসি এর রেসাল্টের সময় ও যখন নিজের মার্কশিটের দিকে তাকিয়ে ছিলো সেখানে অন্যরা একজন আরেকজন কে জড়িয়ে ধরে বলছিল “মামা গোল্ডেন পাইছি”। ও ওর মা কে নিয়ে চুপ চাপ বাসায় চলে আসে। এখন পর্যন্ত ঠিক ই ছিলো সব। বিপত্তি তখন ই লাগলো যখন একদিন ওর মা ওকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলল বাবা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কলেজে তো তোকে পরীক্ষা ই দেওয়াতে পারলাম না
ও অবাক হয়ে শুধু দেখতে লাগলো ওর বাবার কষ্ট। ওর মা এর চোখের পানি। অবাক হয়ে দেখতে লাগলো ওর বাবা প্রতিদিন ওই কলেজে গিয়ে একটা বার ভর্তির ফাক খুজছেন। ছেলেটি নিজেও অবাক। ওর বন্ধুরা প্রায় সবাই ওইখানে পড়ছে। ও ই পিছিয়ে আছে। কেনো জানি ওই সময়টাতে ওর চোখে ওর বাবার দৌড়াদৌড়ি আর মায়ের চোখের পানি গুলো বিষের মত লাগলো। ধিক্কার দিতে শুরু করল নিজেকে। পাগলটার মাথায় পাগলামী কখন যে কী নাড়া দেয়!!! কেমন করে জানি বাদর ছেলেটি একদম নিশ্চুপ বনে গেলো। যেই কলেজে ভর্তি হল ওই কলেজের ব্যাপারে তার বিন্দু মাত্র ইন্টারেস্ট ছিল না। শুধু কলেজ যেত আর আসতো। বাসে বসে সে পড়া শুরু করল। কোচিং এ হা করে পড়া গিলতে শুরু করল। কম্পিউটার গেমিং এ আসক্ত ছেলেটি ভুলে যায় কম্পিউটার শেষ কবে চালু করেছিল। নাহ। খাটতে হবে। ছেলেটিকে দেখে তার পুরানো বন্ধু গুলো ও আশ্চর্য হয়ে গেলো। “এইটা তুই? তোর এই অবস্থা কেন? আর আতেল হইলি কবে থেইকা?”। সব কিছু ঠিক ঠাক ছিলো। কিন্তু চঞ্চল এই ছেলেটির একাগ্রচিত্ততা বেশিদিন থাকতে চাইলো না। আস্তে আস্তে আবার ঢিলে দেওয়া শুরু করল। ও বুঝতে পারলো যে আবার আরেকজনের জন্য নিজেকে শুধরাতে হবে। কারণ নিজের জন্য সে নিজে শুধরাবে? জীবনেও না। ওর এতোকিছু দেখার সময় কখনোই ছিল না। এইদিকে বাবা মা ও ওর উপর আশা ছেড়ে দিয়েছে। ওকে একটা বকা,ঝাড়ি কিছুই দিত না। মাঝে মাঝেই মা কে হায় হুতাশ করতে দেখত। ছেলেটি ভাবল একটা জীবন সাথী খুজি যার জন্য হয়ত পড়াশুনা টা চালিয়ে যাব। পাগল ছেলে। আর কোন উপায় কী পেলো না? কী জানি। যা পেলো সেটাকে নিয়ে ই ব্যাস্ত থাকতে চায়। ছেলেটি প্রেমের দিকে ঝোক দিতে গেলো। কিন্তু ওর ধারণা ছিল না যে এইটা আরেক ধ্বংষের লাইন। এই বয়সের মেয়ে।আজ ভালো লাগে তো কাল লাগে না। আর ও পড়াশুনা নিয়ে বেশি জোড় দিতো বলে মেয়েরা আস্তে আস্তে সরে যেতে শুরু করে। ওর মনে কষ্টের পাহাড় জমে। নিজের দোষ খুজে পায় না। যা যা দরকার সব ই তো মেয়েকে দিচ্ছে। তাও কেন এমন হচ্ছে? ভাবলো যে নাহ। এটা নাহ। অন্য কোন মেয়ে হয়ত হবে তার পার্টনার। এই ফাকে কয়েকটি বান্ধবী ও জুটিয়ে নিল। আতেল হোক আর যাই হোক। ছেলেটি তার লেজটি গুটাতে শিখে নি এখনো। এইভাবে অনিচ্ছাসত্ত্বেও আরো কিছু ছ্যাকা খেয়ে ছেলেটি একদম ভেংগে পড়ল। আর ওইদিকে ওর ই বন্ধুমহলের কিছু স্মার্ট ছেলে ওকে লুইচ্চা পদবীতে ভুষিত করল। কীভাবে কীভাবে যেনো মোটামোটি সবাই যেনো গেলো ব্যাপারটা। খুব ই খারাপ একটা প্রভাব পড়া শুরু করল তার উপর। আবার এদিকে রাতে পরীক্ষার আগে তার মোবাইলে ফোন আসে। না না কোন মেয়ে কল দেয় নি। একটি বড় ভাই কল দিয়ে থ্রেট দেয়। পরীক্ষার আগের রাতে এই ধরনের অবস্থায় কেউ পড়লে হয়ত অনেকেই ভেংগে পড়ত। কিন্তু এইসব তো সে ছোটকাল থেকেই করে আসছে। নাচতে নাচতে পরীক্ষা দিতে যায়। ৪০ এ ৩২ পায়। কলেজে ওর কিছু ক্লাসমেট ওর সাথে পড়াশুনা নিয়ে কম্পিটিশন এর ঘোষনা দিয়েও অনেক বড় উপকার করে ওর। দেখতে দেখতে চলে আসে এইচএসসি
এইচএসসি এর সিট পড়ে ওর কলেজের সামনেই এক স্কুলে। ও কেন্দ্র দেখতে যায় নি। ভাবে ধুর একবারে গিয়ে পরীক্ষার হলেই বসে পড়ব নে। প্রথম পরীক্ষার দিন তার বাবা ভাবলো আরে গাড়ি তো আছেই। দেড়িতে রউনা দিলেই বা কী। কিন্তু রাস্তার জ্যাম তাকে অসস্তিতে ফেলে দিলো। কেনোনা ১০ টা প্রায় বেজে গেছে। আর ওইদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। খুব। ১০ টা বাজার ৫ মিনিট পর ও কেন্দ্রে পৌছাল। গিয়ে দেখল অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। ও একটা ছাত্র কে জিজ্ঞাসা করল ১০০৩ নাম্বার রুম টা কুনদিকে। ও বলল যে জানে না। খুব বৃষ্টি তাই ভীড় ও বেশি। সে একটু আশ্চর্য হল এটা ভেবে যে ছেলেগুলা স্কুল ড্রেস পড়া কেনো? এইচএসসি এর সময় না স্কুল বন্ধ থাকে? সে আর তার আব্বু চলে গেলো অফিস রুমে। স্যার বলল “এইচএসসি কেন্ডিডেট? কই এই স্কুলে তো কোন সিট পড়ে নি। দেখি এডমিট কার্ড। আরে এ তো গভঃ লেবোরেটরী কিন্তু এই স্কুল তো গভঃ বয়েজ। আপনার কেন্দ্র তো ঢাকা কলেজের ওইদিকে।”
ঘড়িতে বাজে ১০ঃ১৫। বের হল বাবা কে নিয়ে। পুরো রাস্তা জ্যাম। খুব বৃষ্টি। বাবা আর ছেলের একবার চোখাচোখি হল। শুরু হল দৌড়ানো। রাস্তায় মানুষ কে জিজ্ঞাসা করা হল কোথায় স্কুলটা। বলে দিলো সামনে যেতে থাকেন। ছেলে বাবা দৌড়াচ্ছে। হঠাত ছেলের কী জানি হল। পিছনে তাকিয়ে দেখলো তার ভুলের জন্য তার ৫৫ বছর বয়সের বাবা এই বৃষ্টিতে ভিজে এতোদূর রাস্তা দৌড়াচ্ছে। হঠাত মনে পড়ল যে এইবারো গোল্ডেন মিস হলে হয়ত তার ভালো ভার্সিটি তে ভর্তির স্বপ্নটাও যাবে। ওর কষ্ট,শ্রম সব যাবে। সব। সব সব সব সব।
“বাবা কাদা অনেক ঠিক ভাবে পা ফেলো।”
বাবার আওয়াজে বাস্তবতায় ফিরল। কলেজের কাছাকাছি এসে চিনে নিলো গলি। ঢুকার পর ভিতরে যেতেই দেখলো মস্ত বড় একটা গেইট। তারা ভাবলো এইতো এইটাই। ঘড়িতে তখন ১০ঃ৩০। ঢুকার সময় দেখলো দুপাশে গার্ডিয়ান বসে আছে। বৃষ্টি ততক্ষণে শেষ। পরে জানা গেলো এইটা গার্ডিয়ান দের ছাউনী। কেন্দ্র আরো দূরে। এগিয়ে যেয়ে ঢুকল গেইট দিয়ে। আর এইদিকে সবার আওয়াজ তাদের কানে আসল
-“ওমা এই ছেলে এতো লেইট?”
-“আল্লাহ! ছেলের কী হবে এখন? ও তো পাশ ই করবে না”
-“ঠিক ই আছে। সব নিজেদের খামখেয়ালির ফল। জাহান্নামে যাক গে।”
হলে ঢুকার আগে ছেলেটি আরেকবার তার বাবা কে দেখে নিল। ভিজে একাকার। দৌড়িয়ে ক্লান্ত। চোখে অবসাদ,দুঃখের ছাপ। দাঁড়িয়ে থাকতেও যেনো খুব কষ্ট হচ্ছে। ছেলেটির চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো নিজের উপর রাগে,দুঃখে। দৌড়িয়ে হলে ঢুকল।
বসল পরীক্ষা দিতে ছেলেটি। ১০ঃ৩২ বাজে। হিসাব করল কত সময় আছে তার। আর প্রতিটা প্রশ্নের জন্য কত মিনিট লাগবে। আর ওইদিকে স্যার মেডামদের হাজারো প্রশ্ন। কেনো দেড়ি করলা,কী হল,কী পরীক্ষা দিবা…..ব্লা ব্লা ব্লা। খাতায় নাম রোলের বৃত্ত ভরাট করার পর হল আরেক বিপত্তি। ম্যাডাম এসে বলে “দেখি বাবা কী পুরণ করলা। ১……১ মিলেছে। আবার ১…..১ মিলেছে।………….” সব শেষে ঘড়িতে বাজে ১০ঃ৪৫। “বিসমিল্লাহ” বলে বাড়তে থাকল কলম দোলানোর গতি। মাথায় ঘুরতে থাকল তার স্বপ্ন,তার বাবার ক্লান্তি,মায়ের চোখের পানি,কলেজ জীবনের ত্যাগ,শ্রম আর অবশ্যই তার পাওয়া লুইচ্চা খেতাব”। লিখতে লিখতে কানে আসলো স্যার বলছে “আর ২ মিনিট সময় আছে”। ছেলেটি বলল “ম্যাডাম আমি ৩২ মিনিট লেইট।আমাকে ৫ টা মিনিট দিন”। ম্যাডাম স্যার তাতে নারাজ। বলল “তুমি ভুল করেছো পরে এসে। আমাদের কিছুই করার নেই”। কাকুতি মিনতির পর এক স্যার বলল ঠিক আছে সবার খাতা নেওয়ার শেষে ওর টা নেও।
পরীক্ষা শেষ। সবাই মৌমাছি এর ঝাকের মত তাকে ঘিরে ধরল
-“মামা পাশ করবি তো?”
-“মামা কত ছাড়সোস?”
-“মামা দেড়ি হল কেন?”
ছেলেটি মুচকি হেসে বলল “আল্লাহর রহমতে সব উত্তর ই করেছি। এক নাম্বার ও ছাড়ি নি। ৩ নাম্বারের প্রশ্নে ১.৫ আর ৪ নাম্বারের প্রশ্নে ২ পৃষ্ঠা করে লিখেছি”। সবার আশ্চর্যজনক উক্তিতে ছেলেটি একটুও বিচলিত হয় নি।
রসায়ন-১ এর পরীক্ষা খুব খারাপ হওয়াতে সে ৪ রাত না ঘুমিয়ে পড়ে রসায়ন-২ তে মেকাপ দেওয়ার জন্য। এইটা যে মেইন সাবজেক্ট। এইটায় মিস হলে যে সব শেষ।
দিল এইচএসসি এর রেসাল্ট। নাহ আল্লাহর রহমতে আশানুরূপ রেসাল্ট ই পেয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর এর ভর্তি পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে বলল যে মোটামুটি ভালোই পরীক্ষা হয়েছে। বাবার মুখে একটু হাসি কী সে দেখতে পেলো? জানে না সে। কারণ মেডিকেলে পাবলিক না এসে প্রাইভেট আসার কারণে মুখে না বললেও বাবা তার একটু বিচলিত। রেসাল্ট দেওয়ার পর জানতে পারল সে প্রথম সাবজেক্ট এই চান্স পেয়েছে। বোঝা নামল মাথা থেকে। কিন্তু একটা চিন্তা থেকেই যায়। যদি না পায় প্রথম সাবজেক্ট? বাকি সাবজেক্ট তার খুব একটা ভালো লাগে না। প্রথম টা ছাড়া। যাই হোক। বুয়েটের পরীক্ষা দিতে যেয়ে ওর হাত কেপেছে,শরীর শিহরিত হয়েছে। আরে এ যে তার স্বপ্ন যে এইখানে পড়বে। রেসাল্ট দেওয়ার পর জানতে পারে তার চান্স হয় নি। স্যার এর কাছ থেকে ফোন পেয়ে প্রথম কথাই ছিল তাদের “হ্যা বল। কত হইসে পজিশন?” সব শুনার পর বলেছিল “তুই চান্স পাস নি? তুই? তোর চেতে ১/৪ ট্যালেন্ট ও পাইসে।তুই পাস নাই?” ছেলেটির পর দিন ছিল ঢাকা ভার্সিটি এর পরীক্ষা। নার্ভ যথাসম্ভব শক্ত রেখে ঝাপিয়ে পড়ে পরীক্ষা হলে। কিন্তু বিধি বাম। নাহ। এইটাতেও হল না। মাথায় যেনো বাজ পড়ল তার। অনুভূতিহীন হয়ে গেলো। ঢাকার বাইরে কোথাও পরীক্ষা দিল না। শেষ একটি ভার্সিটি তে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময়ে তার মাথায় হাজারো চিন্তা। কোথাও কী পড়তে পারবে সে? পাগল পাগল লাগছিল তার নিজেকে। নাহ। এইবার আল্লাহ আর তাকে নিরাশ করল না। আর কত? “God don’t give burden to a soul which he cant bear” । আল্লাহ নিজ হাতে তাকে বাংলাদেশের আরেকটি শ্রেষ্ঠ ভার্সিটি তে চান্স পাইয়ে দিল। তারপর সে জানতে পারল যতগুলা ভার্সিটি তে পরীক্ষা দিয়েছে বুয়েট ছাড়া বাকি সব গুলোতেই তার ডাক এসেছে। ছেলেটি মুচকি হাসলো।
আজো ছেলেটির মনে পড়ে। সেই যুদ্ধের কথা,সেই শ্রমের কথা সেই যাত্রার কথা। চা খেতে খেতে এইসব স্মৃতি মনে পড়লে মুচকি হেসে আবার কাজ শুরু করে। “এই শুন। দোস্ত ওই প্রোগ্রামে WA খাইসি। দেখায়া দে তো একটু?”
-“কুনটা মামা? দেখি? আরে এইডা? আমারে ভাবসোস টা কী? আশা করলি কেমনে আমি এইডা পারুম? ভাগ”
-Mahedee Zaman
CSE, IUT