২য় বার ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য
শেয়ার করে টাইম লাইনে রাখতে পার।
লেখা: Tusar Mamun

প্রথমবার তো স্বপ্ন সফল হল না। তাই বলে কি থেমে থাকবে??? বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনেও তো ব্যর্থতা ছিল তাই বলে কি তারা সফল হন নি। আসলে সফলতার জন্য দরকার হয় কঠিন মনোবল আর কঠোর সাধনা। এই দুটি জিনিস যদি তোমার থাকে তবে তুমি সফল হবেই।
এত গেল সফলতা ব্যর্থতার গল্প। তোমার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হল তার কি হবে??? এমন স্বপ্ন আমারও হয়েছিল কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণী আর কঠিন সাধনায় সফল হয়েছি। আমি অবশ্য ২য় বার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেইনি। দিয়েছিলাম মেডিকেলে। প্রথমবার মেডিকেলে ওয়েটিং ছিল। বুয়েটের মেরিট লিস্টেও কোন স্থান পায়নি। ওয়েটিং এ ছিলাম (WRE পাওয়ার মত)।

দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেওয়াটা একটা চ্যালেন্জ কারন একবার ব্যর্থতার গ্লানি আর পারিপার্শ্বিক চাপ। তাই নিজেই নিজের সকল প্রতিকুলতাকে কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রেখে তোমার যাত্রা শুরু করতে হবে। আজ আমরা সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।

সিদ্ধান্ত গ্রহন:
সিদ্ধান্ত গ্রহন দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারন তোমাকে অনেক কিছু ভেবে সিদ্ধান্তটা গ্রহন করতে হবে। একদিকে একটা বছর নষ্ট হওয়ার দুশ্চিন্তা আর অন্য দিকে কোন কলেজে ভর্তি হলে সেটার ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। তাই তোমাকে অনেক ভেবে চিন্তে আগাতে হবে। আর এজন্য কিছুটা সময় নিয়ে সিদ্ধান্তটা গ্রহন কর। যেন মাঝপথে থেমে যেতে না হয়। আর হ্যা, তোমার সিদ্ধান্তটা তোমাকই নিতে হবে।

খোজ খবর নেওয়া:
সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর তোমাকে জানতে হবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। এটা জানার পর তোমাকে সেই বিশ্ববিদ্যালগুলোর ভর্তি পরীক্ষার খুটিনাটি বিষয়গুলোর সম্পর্কে ভালভাবে ধারনা নিতে হবে। যেমন : কোন ইউনিটে প্রশ্নের ধরন কেমন কতগুলো আসন রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

টার্গেট করা:
সব খোজ খবর নেওয়ার পর নির্বাচন করবে তুমি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ইউনিটে ভর্তি হতে চাও। একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার পর তুমি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে পছন্দের ক্রম অনুসারে সাজাবে।

কম্পিটিশন নিয়ে মাথা না ঘামানো:
অনেকেই আছে যারা কিনা কম্পিটিশনের দোহাই দিয়ে নিজেই নিজেকে হতাশাগ্রস্থ করে। তাদের জন্য বলি, প্রতি বছর যে পরিমান শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেয় তাদের ৮০ ভাগই স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষা দেয়, প্রস্তুতি দিয়ে নয়। আর একটা কথা হল যারা কিনা প্রথমবার পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের চেয়ে তো তোমার প্রস্তুুতি অনেক গুন ভাল তাহলে চিন্তা কিসের।

পূর্বের ভূলগুলো খুজে বের করা:
প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষার সময় তোমার কি কি ভূল ছিল বলে তোমার মনে হয় তা খুজে বের করা। হয়ত তোমার মনে হতে পারে এই ভুলটা না হলে আরো ভাল কিছু হতে পারত। এসব ভুলগুলো খুজে বের করে সমাধান করার চেষ্টা করবে।

পড়াশোনা শুরু করা:
সব খোজ খবর পছন্দ নির্বাচন করার তুমি এখন পড়াশোনা শুরু করতে পার। তবে পড়াশোনা শুরু করার ক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয়গুলো আগে শুরু করবে। মানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কমন বা পড়তেই হবে যে বইগুলো।
শুধু পড়াশোনা দিয়ে সব সময় সফল হওয়া যায় না। কিছু বিষয় থাকে যেগুলো তোমার পড়াশোনাকে আরো কার্যকারী করে তোলে।

তাহলে শুরু করে দাও তোমার মিশন। তোমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার জন্য আমরা সাথে আছিই।

তুষার মামুন
শিক্ষার্থী, এমবিবিএস (২য় বর্ষ)

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।

এই লেখাটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো