সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই- ”আব্বা টাকা দাও। ভ্যানভাড়া লাগবে ৬ টাকা। “ স্যারের বাড়ি পর্যন্ত গেলে যাওয়া আসা ৮ টাকা লাগে। মোড়ে ভ্যান থেকে নেমে বাকি রাস্তাটুকু হেঁটে গেলে ৬ টাকাতেই হয়ে যায়।
কিন্তু বাবা বলেন – ”দৈনিক ৬ টাকা করে দিলে কত লাগবে হিসাব আছে? ১৮০ টাকার মতো। আমি বাবা অতো টাকা দিতে পারবো না।”
ক্লাস ১০-এ পড়ুয়া ছেলেটি প্রতিবাদের সুরে বলে বেতনের টাকাও তো দাও না।আবার হারিকেন জ্বালিয়ে বেশিক্ষণ পড়লেও তেল খরচের হিসাব।
বাবা বলেন- “ আমি এতকিছু বুছি না বাপু, আজকে দিলাম আর দিতে পারবো না। আশে পাশে কোন মাষ্টারের কাছে পড়।” ছেলেটা চুপ করে থাকে।
মা হঠাৎ করেই বলে উঠেন – সেটাই তো হবে। সংসারের খরচটাও ঠিক মতো যোগাড় করতে পারে না, ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচও দিতে পারে না। তাহলে ছেলেকে দিয়ে রাজমিস্ত্রি করালেই পারে।
বাবার রাগান্বিত কন্ঠ- এই তো উল্টা-পাল্টা কথা। আমি কি জুয়া খেলি? নেশা করি ? আমি পরিবারের জন্য চেষ্টা করি না?
মার কন্ঠে- হ্যাঁ, এতোই যখন পারে তাহলে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ কেন হবে?
বাবা- ঋণ কি সাধে করি? চিন্তা করে দেখো দিনে কতগুলো ওষুধ ‍কিনতে হয়। সপ্তাহে কত টাকা কিস্তি দিতে হয়। এভাবে চলতে থাকে বাক বিতন্ডা। ছেলেটি এসব শুনে অভ্যস্ত । তবুও নিজেকে অপরাধী মনে হয় তার । নিরবে বইখাতা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ভাবতে থাকে একটা বিকল্প দরকার। একটা সাইকেল থাকলে মন্দ হতো না।প্রাইভেট থেকে ফিরে মাকে বলে -মা একটা সাইকেল কিনা যায় না? আমার কাছে ২০০টাকা আছে। মা অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে বলেন হুম,তোর বড় মামাকে বলে দেখি। মা মানুষ মাধ্যমে ইমনের বড় মামাকে ডেকে পাঠায় । বড় মামা আসে। মা বিষয়গুলো মামাকে বলেন।মামা বলেন দেখি কি করা যায়। বাড়িতে আপ্যায়নের জন্য তেমন কিছু না থাকায় ইমনের মা তার মামাকে মুড়ি খেতে দেয় । মামা চলে যায়। কয়েকদিন বাদে মামা একটা সাইকেল এনে দিল। সাইকেলটার দাম ৫০০টাকা। কোন এক ভদ্রলোক ১৫ বছরের একটা পুরোনো সাইকেল বিক্রি করে দেয় পুরাতন লোহা ক্রেতার কাছে। আর মামা সেটায় কিনে ফেলেন। পরে ইমন তার কাছের ২০০ টাকা দিয়ে সাইকেলটা ঠিক করে তার কাজে ব্যবহার করে।তার চোখেমুখে হাসি। সকালে আর আব্বাকে বিরক্ত করা লাগবে না। ইমনের খুশি দেখে মা আড়ালে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছেন। এবার ইমনে আসন্ন টেস্ট পরীক্ষাকে সামনে রেখে ইংরেজী প্রাইভেটের কথা বলে।মা-বাবা একে অপরের দিকে তাকায়। মা বলেন তুই যে ৬টা বাচ্চাকে পড়াস তাদের মধ্যে একজন আসছে না কয়েকদিন থেকে। বাচ্চাটা না আসলে এমনিতেই তোর মাসে ৫০টাকা কম আসবে।তার উপর আবার আরেকটা প্রাইভেট? আব্বা অনেকক্ষণ পর বলে তোমার এক দূর সম্পর্কের নানা ভালো ইংরেজী পড়ান। ৪ কি.মি. দূর হবে। তোমার তো সাইকেল আছে তুমি যেতে পারবা। ইমন রাজি হয়। খুশিও হয়। দূর সম্পর্কের নানা,ফ্রিতে তো আর পরাবে না।কিছু টাকা লাগবে। ইমন বুদ্ধি বাহির করতে ব্যস্ত। কি করে টাকা যোগাড় করা যায়? সকালের প্রাইভেট স্যার ইমনকে প্রতিদিন দেরী করায়। কারণ স্যারের বাড়িতে যে গরুটা আছে তার দোহন কার্যের সময় বাছুরটাকে আটকে রাখার দায়িত্ব ইমনের। সেদিন স্যার বলেন গরুটার জন্য ঘাস পাওয়া যাবে কই? ইমন বলে যে স্যার আমাদের গ্রামে বস্তায় করে ঘাস বিক্রি হয়। ৫ টাকা প্রতি বস্তা। আপনি চাইলে স্কুল থেকে আসার সময় আনতে পারেন।কিন্তু স্যার উল্টা ইমনকেই দায়িত্ব দিলেন যে তুই প্রতিদিন কিনে আনিস,আমি মাসে ১৫০টাকা দিয়ে দিব। ইমন বিপদে পড়ল। বাড়িতে এসে মাকে বলল,তার মা লজ্জা ভেঙ্গে বললেন আমরাই এক বস্তা করে ঘাস কেটে দিই তাহলে ১৫০টাকাতে তোর কিছুটা উপকার আসবে। ইমন মন খারাপ করলেও সম্মতি জানায়। সময় যায় এস.এস.সি পরীক্ষা শুরুর দিন চলে আসে। সকালে উঠে মা ইতঃস্তত হয়েই ইমনের কাছে গিয়ে বলে বাবা একটা ভুল হয়ে গেছে।চাল নাই,তোর আব্বা তো দোকানে চলে গেছে। তুই এক কাজ কর তোর আব্বার কাছে যা,দোকান থেকে চাল আন। ইমন বলে , আমার তো পড়া শেষ, এখনি যাচ্ছি। ইমন আগ্রহ দেখায় কারণ সে চাচ্ছিল পরীক্ষার আগমুহূর্তে তার বাবার সাথে দেখা হোক। পরীক্ষা শেষ হয়, ইমন পাশ করে। ইমনকে অনেকেই পরামর্শ দেয়,তোর বাবার তো অনেক কষ্ট এতবেশি পড়াতে পারবে না। তুই পলিটেকনিকে ভর্তি হয়ে যা।তাহলে পাশ করে করে খেতে পারবি।জানি তুই ভাল ছাত্র,কিন্তু তোর বাবার তো সে সামর্থ্য নাই। তোকে অনেকদূর পড়াবার। ইমনের বাবার কাছে পরামর্শটা ভালো লাগে। তার বাবা আসলে মানুষ হিসাবে অনেক ভালো,কিন্তু অভাবের কারণে কিছু বলতে বা করতে পারে না। বাহিরের চাকচিক্য বজায় রাখতে হয় সমাজের কটাক্ষ থেকে রক্ষার জন্য। ইমনের বাবা তার মাকে আর তার ছোট চাচাকে বিষয়টা জানায় । ছোট চাচা পরামর্শটাকে মেনে নেয় না। আর তার মা অনিচ্ছাও প্রকাশ করে না আবার ইচ্ছাও প্রকাশ করে না। অসুস্থ মানুষ তিনি। অনেক ক্ষতি সংসারের তার জন্য।তাই উনি মুক্তি চান। ইমনের শহরে যাওয়ার একদিন আগের কথা,রাতে ছোট চাচা বাধা হয়ে দাড়ালে তার বাবা আর জেদ করে না। সব ছেড়ে ইমন ভর্তি হয় উপজেলার সরকারী কলেজে।ইমন নতুন কয়েকটা ছেলেমেয়ে পেয়েছে পড়ানোর জন্য। গ্রামে এস.এস.সি পাশের পর প্রাইভেট শিক্ষকের বেতন মাসে ১০০টাকা বা ১৫০টাকা হয়ে যায়। ইমন প্রাইভেট পড়ায় আর নিজে পড়ে,তারই এক প্রাইভেট স্যার একদিন তাকে ডেকে অনেক কথা বলে,অনেক স্বপ্ন দেখায়। ইমন স্বপ্ন দেখে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। মা-বাবাকে তার স্বপ্নের কথা বলে। মা চোখের পানি ফেলে বলে বাপরে এতটা স্বপ্ন আমাদের দেখতে নাই।তুই পারবি? এত টাকা কই পাবি? ইমন ভাবে তাই তো। আবার একদিন স্যার ডেকে বলেন,তখন ইমন তার মা’র কথা বলে। স্যার তাকে সাহস দেয়। বলে সব ঠিক হয়ে যাবে।ইমন আবার মাকে বলে,মা এবার ইমনকে বলে আচ্ছা তুই ভালো রেজাল্ট করলে আমি তোকে শহরে পাঠাবো।ইমন ভাবে ভালো রেজাল্টের আগেই তো কোচিং শুরু করতে হয়।তবে সে কিছু বলে না। সেভাবে আগে সেদিন আসুক।ইমন একটা বাড়িতে পড়ানোর ডাক পায়।২০০টাকা মাস বেতন। ইমন রাজি হয় ,বিকালে ছোট ছেলে-মেয়েদের পড়ায় আর সন্ধ্যায় বাড়িতে যেয়ে পড়ায়। সন্ধ্যায় পড়ায়ে ইমনের লাভ হয়েছে, তার মুড়ি-চা খাওয়াটা হয়ে যায়।দিন যায়,হারিকেনের আলোতে ইমন টিকে উঠতে পারে না। আবার সেই স্যার বললেন,ইমন আমার বাড়ির একটা ঘর সাবলেট দিব। তোমার ২ ক্লাসমেট ওখানে থাকবে। তুমি আমাকে বেতন যা দাও ওটা বাড়ি ভাড়া দিও আর আমাকে দিতে পারলে দিও না পারলে না দিও। ইমন রাজি হয়। ৪কি.মি. দূরে স্যারের বাড়িতে থাকে। ক্লাসমেট দু’জন পাশের মেসে খা্য় আর ইমন প্রতিদিন সাইকেলে করে বিকালে বাড়িতে আসে,ছেলে-মেয়েদের পড়ায় আর পরের দিনের দুপুর পযন্ত খাবার নিয়ে চলে যায়। রাতে খেয়ে পানি দিয়ে রাখে ভাতে।সকালে আর দুপুরে ঐভাত পিঁয়াজ বা একটু একটু গন্ধ হওয়া তরকারি দিয়েই খায়। এইচ.এস.সি পরীক্ষা। ইমন পড়ানো বাদ দিয়েছে। তার বাবা,মা ,কলেজ পড়ুয়া এক জাততুতো বোন বা অন্য কেউ খাবার এনে দিয়ে যায়। প্রাণিবিজ্ঞান পরীক্ষার আগের রাতের ঘটনা। বিকাল থেকেই আকাশ খারাপ। ইমনের মা পল্লী ফোনের দোকান থেকে তার রুমমেটের ফোনে ফোন দেয়, ”বাবা আজকে খাবার পাঠাবো কি করে?” ইমন বলে খাবার তো আছে,ওগুলোই হবে। রাতে অনেক ঝড় হয়।ঝড় একটু থামলে ইমনের দুই ক্লাসমেট পাশের মেসে খেতে যায়। ইমনও টিফিন ক্যারিয়ারটা খোলে। কিন্তু খাবারের প্রচন্ড গন্ধ বের হয়।ইমন খেতে পারে না। বাথরুমে যেয়ে সবগুলো ফেলে দিয়ে বাটি ধুয়ে আনে। ক্ষুধার্ত ইমনের দু’চোখ গড়িয়ে পানি পড়ে। বন্ধুদের বলেনা কথাটা। পরেরদিন ইমনের মা আসে খাবার নিয়ে পরীক্ষার আগে, ইমন খায় পেট পুরে। পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি আসে । যেহেতু আর পড়ানোর কাজ নেই তাই ইমন বন্ধুদের প্রাকটিকাল খাতা এঁকে ও লিখে দেয় পরীক্ষার পরের কয়টা দিন।কিছু টাকা পায়। ইমন জেদ ধরে কোচিং করার জন্য। তার বাবা-মা কিছুতেই রাজি হয় না। ইমন বলে কিছু টাকা ঋণ করে দিতে, যদি সে চান্স না পায় তাহলে সে গার্মেন্টসে কাজ করে টাকা শোধ দিবে। আর যদি চান্স পায় তাহলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শিক্ষা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করবে। সবাই ইমনের বাবাকে বুঝায়,ইমনের বাবাও ইমনের আগ্রহ দেখে রাজি হয়। ইমন শহরে যায় । তার কাছে মোবাইল নাই। বাড়িতে কথা বলতে পারে না ঠিক মত। নতুন পরিবেশে কাউকে বলে বাড়িতে তাদের মোবাইল নম্বরটাও সেভাবে দিতে পারে না। গোসল করতে বাথরুমে গেলে ইমন কাঁদে।
মা’র অসুস্থ মলিন মুখ, আদরের ছোট্ট পিচ্চিগুলো,বাবার কষ্টে ক্লান্ত মুখটা ইমনের সামনে ভেসে ওঠে। রমজান মাস আসে , সেহেরীতে মেসে খায়। ইফতার করে পানি দিয়ে,মাগরিবের নামাজ পড়ে ১২ টাকায় শুধু ঝোল দিয়ে খিচুরি খায়। দেহের শক্তি কমতে থাকে,চোখ দু’টো ভিতরে ঢুকে যায়। এতদ্বসত্তেও কোন কথায়ই বাড়িতে জানায় না ইমন। ইমন চান্স পায় । দু’চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। মা’র মুখে হাসি,বাবা মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়। বোনটার চোখে পানি। ইমন কাঁদে। মনে করে সেদিনগুলোর কথা,মা-বাবার ঝগড়া, না খেয়ে পার হওয়া দিনগুলো। মেসের বাথরুমে যেয়ে কান্নার কথা। ভর্তি হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরু করে নতুন জীবন। টিউশনি। ঋণের টাকা শোধ করার যুদ্ধ। মা-বাবার আর ঝগড়া হয় না,গ্রামে তাদের মর্যাদা বেড়েছে। ইমনের সেই সাইকেলটা আসে তার সাথে। চড়ে বেড়ায় শহরের এপ্রান্তে-ওপ্রান্তে,বড়ি-বাড়ি ছাত্র-ছাত্রী পড়ায়। মা’র বোনের শাড়ি কিনে,বাবার কাপড় কিনে। নিজের খাওয়া হলো কিনা, শরীর ঠিক আছে কিনা কোনকিছুর প্রতি বিন্দু মাত্র-ভ্রুক্ষেপ নেই তার। পড়ার নেশাটাও কম নয়।এর মাঝে সে কিছু কাজ করে,সেটা সমাজের-মানুষের-অনুজ কোন ইমনের জন্য। মানুষ অনেকক্ষেত্রেই ইমনকে মেনে নিতে পারে না,কারণ তারা ভাবে এখানে ইমন কেন আসবে? ইমন ফিরে চায় না পিছনে। কিন্তু মাঝে থমকে দাাঁড়ায়।কখনো কান্নায় চোখ ভিজে যায়,কখনো আনন্দে মুচকি হাসে।



ইমন বাড়ি ফিরছে। শেষ তার স্বপ্ন আঁকা।সর্বাঙ্গে ধারণ করছে বাস্তব স্বপ্ন। মা-বাবা ইমনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।গ্রামের সবকিছুই ইমনের জন্য আজ শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে বসে আছে। ইমনের মনে আবার অতীত ভেসে আসে “একদিন তার চাচা তাকে পলিটেকনিক পড়তে দেয়নি। চাচা তোমাকে ধন্যবাদ দিব না,আজকের জন্য তুমি অনেক করেছো। ইমনের বাড়িতে ২৮জন মানুষ। প্রত্যেক মানুষকে ইমন একবার করে স্মরণ করে । ছোট্ট বাচ্চাগুলো আজকে ইমনের কাছে আসবে।কোলে উঠতে উদগ্রীব।কিন্তু মা’র মুখের দিকে তাকাতেই ইমনের মুখ কেমন শুকনা হয়ে আসে। মা দু’চোখ ভিজিয়ে কাঁদছে, বাবা আড়াল করে চোখ মুছছে, ইমন কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। ইমন এতকষ্টের কথা একদিনও বাবা-মা’কে বলেনি। মাকে জড়িয়ে ধরে ইমন।হু হু করে কাঁদতে থাকে , কপালটাতে একটা চুমু একে দেয় মা।বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছোট বাচ্চার মত ফুফিয়ে কাঁদে। ইমন জানে না কত কষ্ট পুষিয়ে রেখেছে তার বাবা। মাথা উঁচু করে ইমনকে যেন বলতে চান “আজ আমি সফল” ।ইমন কাঁদে। তার বুকে চাপা কিছু কষ্ট সে বলতে পারে না।…………………(অসমাপ্ত)

এমরান হোসেন
মেকা ‘০৯

RUET

(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here – https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )