রিভিউ লিখার আগে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কিছু কথা বলি। ইঞ্জিনিয়ারিং এ ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে ম্যাথ আর রিয়েল লাইফ প্রবলেমের সমাধান করা হয়। এখানে যেই ইঞ্জিনিয়ারিং থাকুক না কেন ম্যাথ সর্বোচ্চ পরিমাণ করতে হবে৷ এইটা শুধু ম্যাথ কোর্সের ম্যাথ না সব কোর্সেই ম্যাথের পার্ট থাকবে৷ ইন্জিনিয়ারিং এ ক্যালকুলাস এর ব্যবহার প্রতি পদে লাগবে। কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিংও এর বাইরে নয়। নামে বিভ্রান্ত হয়ে এই সাবজেক্টকে কেমিস্ট্রির সাথে তুলনা করলে ভুল হবে। কারণ এইখানে কেমিক্যাল শব্দের চেয়ে ইন্জিনিয়ারিং শব্দটি বেশি গুরুত্ব বহন করে।

কেমিক্যাল মানেই কেমিষ্ট্রি আর রি-অ্যাকশন মুখস্থ করা,সত্যিই কি তাই? বেশিরভাগ মানুষ একজন কেমিকৌশলীর সাথে একজন কেমিষ্টকে গুলিয়ে ফেলে। অনেকেই ভাবে কেমিক্যালে পড়া মানেই কেমিষ্ট্রি পড়া আর বই ভর্তি কেমিষ্ট্রির বিক্রিয়া মুখস্থ করা,যা সম্পূর্ণই ভুল একটি ধারণা।বিশ্বাস করো আর না করো,লে-২/টা-১ পর্যন্ত আমাকে একটিও নতুন বিক্রিয়া শিখতে হয় নি ! এই একটি ছবিই কিন্তু সব বলে দিচ্ছে,কেমিকৌশলে বিক্রিয়া মুখস্থ করতে হয় না !!

যারা পদার্থবিজ্ঞানে ভালো তাদেরও কেমিকৌশল পড়তে আসা উচিত, কারণ কেমিকৌশলে physical chemistry শেখানো হয়,যেটা পড়তে কোন বিক্রিয়া মুখস্থ করা লাগে না !! কাজেই বিক্রিয়া মুখস্থ করার কোন ভয় নেই, বরং কেমিকৌশলে পড়লে তোমরা জানতে পারবে রসায়নের বিক্রিয়া মুখস্থ করার বাইরেও এ দুনিয়ার raw material গুলোকে ব্যবহার উপযোগী করার অসাধারণ একটি জগত আছে।

তাহলে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আর কেমিষ্টের মধ্যে পার্থক্যটাই বা কি? একজন কেমিষ্টের তুলনায় একজন কেমিকৌশলী অনেক গুণ বেশি স্কিলড। একজন কেমিষ্ট কেবলমাত্র ল্যাবরেটরি স্কেলে কাজ করতে জানেন। বাতাসের হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেনের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া তৈরি হয় আর এই অ্যামোনিয়াই ইউরিয়া সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। একজন কেমিষ্টকে এক টেষ্টটিউব ভর্তি অ্যামোনিয়া তৈরি করতে বললে তিনিবেশিরভাগ মানুষ একজন কেমিকৌশলীর সাথে একজন কেমিষ্টকে গুলিয়ে ফেলে। অনেকেই ভাবে কেমিক্যালে পড়া মানেই কেমিষ্ট্রি পড়া আর বই ভর্তি কেমিষ্ট্রির বিক্রিয়া মুখস্থ করা,যা সম্পূর্ণই ভুল একটি ধারণা।

বিশ্বাস করো আর না করো,লে-২/টা-১ তা পারবেন,কিন্তু তাকে যদি বলা হয় প্রতিদিন ১০০০০০ টন ইউরিয়া তৈরি করতে তিনি তা পারবেন না ! আর এখানেই কেমিকৌশলীর যাদু। একজন কেমিকৌশলী ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল/কমার্শিয়াল স্কেলে কাজ করতে জানেন। প্রতিদিন ১০০০০০ টন ইউরিয়া তৈরি করার জন্য রি-অ্যাক্টরের আকার/প্রয়োজনীয় খরচ হিসেব করা,এই উৎপাদন প্রক্রিয়ার ডিজাইন করা-সকিছুই একজন কেমিকৌশলী পারবেন। কিন্তু একজন কেমিষ্ট ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল/কমার্শিয়াল স্কেলে কাজ করায় মোটেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন।

কেমিকৌশলের field টা কোথায়? যে কোন ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল প্রোডাকশনে (যেখানে কোন একটি chemical process involved) কেমিকৌশল ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। কেমিকৌশলের মূল কাজ হল একাধিক raw material থেকে এক/একাধিক process এর মাধ্যমে একটি ব্যবহার-উপযোগী ও প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট তৈরি করা। এজন্য কেমিকৌশলীদের chemical engineer না বলে বরং process engineer বলাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত। বিশ্বের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে chemical engineering নামটি পরিবর্তন করে process engineering করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কেমিকৌশলের field অনেক বেশি diversified।

এতটাই diversified যে আমরা বলি chemical engineering is the branch of engineering where engineering is versatile। যেকোন কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রি, সার কারখানা, ওষুধ কোম্পানি, পেট্রোলিয়াম sector সহ আরো অনেক sector কেমিকৌশলীরা কাজ করে থাকেন। হাজার হাজার অসংখ্য বিক্রিয়া এখানে প্রাধান্য পায় না, এইখানে চেনা জানা কয়েকটি বিক্রিয়াকে কিভাবে ইন্ড্রাস্টি লেভেলে নিয়ে যেয়ে মানুষের উপকারে বিস্তরভাবে তৈরি করা যায় এইটা প্রাধান্য পায়। ল্যাবরেটরিতে তৈরি যে কোনো জিনিস ইন্ড্রাস্টিতে বিস্তর আকারে তৈরি করতে গেলে অনেক ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যা একজন কেমিস্টের জন্য বড় একটি সীমাবদ্ধতা হিসেবে দাঁড়ায়।

প্রকৃতপক্ষে এখান থেকেই একজন কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারের যাত্রা শুরু হয় এবং তাদের কেমিস্টদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি skillful হিসেবে দেখা যায়। অনেক বেশি পরিমাণ প্রোডাক্ট তৈরি করতে গেলে কাচামালের দ্রব্য সরবরাহ ও এইটা কন্ট্রোল করা, প্রোডাক্ট উৎপন্ন হওয়ার সময় উৎপন্ন তাপকে নিয়ন্ত্রণ করা, ইন্ড্রাস্টির মেশিন অন রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সহ নানান জটিলতা দেখা যায় যা একজন কেমিস্ট এর জন্য সমাধান করা অনেক কঠিন ও প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে যা কেমিক্যাল ইন্জিনিয়াররা সহজে সমাধান করে থাকে।

তাছাড়া একজন কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ার রি-অ্যাক্টর ডিজাইন, উৎপাদ তৈরির হিসাব করা, বাজেট তৈরির যাবতীয় হিসাব করা, রি-অ্যাক্টরের পার্টস সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া, অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া ইত্যাদি অনেক কাজ করে থাকে। কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং পড়ানো শুরুর সময় যেই কোর্সগুলো করানো হয় তা একজনকে অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও মনোযোগী করে তোলে। কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারদের অনেক সময় ইউনিভার্সাল ইন্জিনিয়ার বলা হয়। কারণ তাদের জ্ঞানের পরিধি ও ভিত্তি অনেক মজবুত হয়। কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এর জব সেক্টর বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি।

কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং পড়ে যে সকল বিষয়ে দক্ষ হওয়ার সুযোগ থাকে :

• Ag Chemicals • Alternative Energy • Asset Integrity and Reliability • Auditing • Biochemical Processes • Bio energy • Bio fuels (Energy) • Bio-materials • Biomedical Engineering • Bio-nanotechnology • Bio-processing • Biosensors / Devices • Biotech (Process Safety) • Business Strategy and Economics • Carbon Management • Case Studies (Sustainability & Environment) • Catalysts • Chemical Engineering Practice • Chemical Reaction Engineering • Chemical Reactivity Hazards • Chemical Security • Chemicals & Materials

• Communication Skills • Compliance with Standards • Computing and Systems Engineering • Conduct of Operations • Consequence Modeling • Contests • Contractor Management • Design/Green Engineering • Dust Hazards • Efficiency (Energy) • Elements of Process Safety • Emergency Management • Energy (Sustainability & Environment) • Energy Policy • Energy-Water Nexus • Environmental Sustainability • Equipment • Fluids Handling • Food (Biological Engineering) • Food (Chemicals & Materials) • Food (Sustainability & Environment) • Fossil Fuels • Hazard Identification and Risk Analysis • Heat Transfer • Incident Investigation • Industrial Biotechnology • Industrial Gases • Instrumentation • Intellectual Property • Licensing and the PE Exam • Manage Risks

• Management and Supervisory • Management of Change • Management Review and Continuous Improvement • Mass & Energy Transfer • Materials • Measurement and Metrics • Measuring Sustainability • Metabolic Engineering • Metals • Mixing • Molecular, Cellular, & Tissue Engineering • Nano-materials • New Research Areas • Nuclear Engineering • Operating Procedures • Operational Readiness • Petrochemicals • Pharmaceutical Engineering & Drug Delivery • Pharmaceuticals (Chemicals & Materials) • Physical Properties • Plant Operations • Polymers & Composites • Process Control

• Process Design & Development • Process Knowledge Management • Process Safety • Process Safety Competency • Process Safety Culture • Process Safety Technical Areas • Product Design • Protein Engineering • Research and Development • Safe Design • Safe Work Practices • Safety Instrumentation Systems • Separations • Shale Gas • Social Aspects (Sustainability & Environment) • Solar Energy • Solids Handling & Particle Technology • Specialty Chemicals • Stakeholder Outreach • Stem Cell Engineering

• Sustainability & Environment • Sustainability Metrics for Energy Systems • Sustainable Supply Chains • Synthetic Biology • Thermodynamics • Transport Phenomena • Transportation Safety • Understand Hazard & Risk • Upstream • Venting & Emergency Relief • Waste Valorization • Water (Sustainability & Environment)

এছাড়াও কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এর বিস্তৃতি আরো অনেক ক্ষেত্র তৈরি করে যা চাকরির বাজারে অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে। জব মার্কেটের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারদের চাকরীর বাজার অনেক ডিমান্ডিং।

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কেমন? এই field এ job sector টাই বা কেমন? যতদিন এই পৃথিবীতে শিল্প কারখানা থাকবে ততদিন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা থাকবেই। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ, শিল্পক্ষেত্রে সে দিনদিন দ্রুত যতই অগ্রসর হচ্ছে। কাজেই এখানে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে।  কিন্তু সে হিসেবে দেশে অত কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু আসছে না। এর কারণ হল, আমাদের দেশে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার সুযোগ খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ই দেয়।

আমাদের দেশে পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এ { ৬০ টা সীট }, খুলনা প্রকৌশল ও বিশ্ববিদ্যালয় (KUET) এ { ৩০ টা সীট },এ সাবজেক্ট পড়া যায়, …শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (SUST) { ৬০ টা সীট } এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (JUST) { ৪০ টা সীট } কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সাইন্সেস, পড়াশোনা করা যায়। দেশের বাইরেও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের দারুণ চাহিদা।

AlChE এর এক জরিপ অনুযায়ী ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ একজন গ্রাজুয়েট এর বার্ষিক বেতন প্রায় 110000 ডলার!!! যুক্তরাজ্যে টাকার অঙ্কটা গড়ে প্রায় 28000 পাউন্ডস, যা সর্বোচ্চ 70000 পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে! এজন্যেই বলা হয়ে থাকে, “Chemical Engineering is one of the highest paid job at any level among the engineering jobs all over the world. They’ve got the third highest paid range of salary among all the jobs!!” বাংলাদেশের জরিপ অনুসারে কেমিক্যাল ইঞ্জিয়ারদের আয় $99443

আরও একটা জরিপ অনুসারে বাংলাদেশে কেমিক্যাল ইঞ্জিয়ারদের গড় আয় মাসে ৫৩,৩৯৫ টাকা। দেশেও বিদেশে কেমিকৌশলীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। salary-র দিক থেকে কেমিকৌশলীরা third highest pay-range লাভ করে।

তাছাড়া একজন কেমিকৌশলী আন্ডারগ্র্যাড/পোষ্ট গ্র্যাজুয়েশনে petroleum engineering কে major হিসেবে নিতে পারে, যা পৃথিবীর highest paid engineering branch। এছাড়া কেমিকৌশলে পড়ে environmental engineering এ study করার সুযোগ আছে। বর্তমানের ইন্জিনিয়ারিং সেক্টরে সবচেয়ে highest paid jobs পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইন্জিনিয়ারিংও হচ্ছে কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এর সাব সেক্টর ।

অনেকেরই ভুল ধারণা থাকে যে দেশে কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারদের চাকরী নাই । বাংলাদেশে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার যেসব জায়গায় কাজ করতে পারে, সেগুলো হল – ১. সার কারখানা, ২.পেপার মিল, ৩.সুগার মিল, ৪. গ্লাস ও সিরামিক শিল্প, ৫. পেইন্টস কারখানা, ৬. ঔষধ শিল্প, ৭. ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানি, ৮. টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, ৯. কসমেটিকস কোম্পানি, ১০. পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রি, ১১. পারমাণবিক প্ল্যান্ট, ১২. সিমেন্ট কারখানা, ১৩. ট্যানারি কারখানা, ১৪. বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি ।

এছাড়াও সব প্রকার তেল, মোম, লুব্রিকেন্টস,সবান ডিটারজেন্ট,ফারমেন্টেশন কোম্পানি গুলা তে অহরহ চাকরি রয়েছে ।

দেশে একজন কেমিকৌশলী KAFCO, UNILEVER, Chevron, Nestle, BCIC-র সার কারখানা গুলো কিংবা Renata, Beximco-র মতো ওষুধ কোম্পানিতে নিজেদের career develop করতে পারে। কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এ পড়ে অতি সহজেই বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য ফান্ডিং পাওয়া যায় । তাছাড়া এখান থেকে অন্য কোনো সেক্টরে যাওয়াও অতি সহজ । তাই এখানে আফসোসের কোনো সু্যোগ নেই ।

Higher studies এর ক্ষেত্রে chemical engineering এ funding অন্যান্য engineering ডিপার্টমেন্টের তুলনায় বেশি ও সহজলভ্য।   কেমিকৌশলীরা কেন কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে? প্রকৃতপক্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে- সীমিত সম্পদ এবং সময়ের সর্বোচ্চ ব্যাবহারের মাধ্যমে সর্বোত্তম মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন কিংবা সুদুরপ্রসারী উৎপাদন পরিকল্পনা করা। সোজা কথায় যেটার নাম Optimization. সকল প্রকৌশলীকেই এই কাজটিই করতে হয়। কিন্তু একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারকে যেহেতু সরাসরি একটি সম্পুর্ন প্রসেস/উৎপাদন প্রক্রিয়া ডিজাইন বা তদারক করতে হয়, সেহেতু তাকে মোটামুটি সবধরনের বিষয়ই আয়ত্তে রাখতে হয়। এবার আসি কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এ কি কি পড়ানো হয় তা নিয়ে ।

Chemical Engineering এ যে সকল বিষয় পড়ানো হয় আর যে সকল বিষয় দক্ষ হলে এক জন ভালো Chemical Engineer হওয়া যায়…. • Physics • calculus • Physical Chemistry • Geometry • Differential Equation • Electronics • General Chemistry • Organic chemistry • Computer Science • Materials • Environmental Science • Reactor design • Processes Design • Reactor Kinetics • Statistics • Mechanical • Thermodynamic • Mechanics • Engineering • Atmospheric physics • Biology • Biochemistry • Processes dynamic • Economics • Nanotechnology • Advanced chemistry

কুয়েটের কেমিকৌশলে এজন্য মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিকাল, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও মেটালার্জির প্রাথমিক ধারনা থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজম্যান্ট কিংবা পরিসংখ্যান-অর্থনীতিও পড়ানো হবে । আর কেমিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারিং এর অনন্য কোর সাব্জেক্টগুলো বাদ দিলে, অন্যান্য ডিপার্ট্মেন্টের থেকে কেমিকৌশলে মোট ৯ ক্রেডিট(২টা থিউরী, ২টা ল্যাব) কেমিস্ট্রি বেশী পরতে হয়, যা Environmental Engineering কিংবা Chemical Process Industry তে বাকীদের থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে রাখে।

এছাড়া আন্ডারগ্র্যাড শেষবর্ষে এসে বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারীং/ ন্যাচারাল গ্যাস ইঞ্জিনীয়ারিং/ পেট্রোলিয়াম ইঞ্জীনিয়ারিং এ মেজর নেয়ার সুযোগ থাকে বুয়েটে। কুয়েটে আসা একজন নবীন শিক্ষার্থী হয়তো এসব নন-ডিপার্টমেন্টাল বিষয় পড়তে অনীহা দেখাতে পারে কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এইসব কারনেই কেমিকৌশল স্পষ্টতই এগিয়ে থাকে।

KUET কেমিকৌশল ডিপার্টমেন্ট টা কেমন হবে?

তুমি দুনিয়ার যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন ডিপার্টমেন্টেই ভর্তি হও না কেন,সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ডিপার্টমেন্ট টা কেমন,এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়/ডিপার্টমেন্ট যতই ভালো হোক,তুমি যদি খাপ খাওয়াতে না পারো তখন কিন্তু সমস্যা। মেকানিক্যাল ফ্যাকাল্টি তোমাদের সিনিয়র!! কুয়েটে সব ডিপার্টমেন্টের মধ্যে ফ্যাকাল্টি-কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্টেই সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কটা সবচেয়ে বেশি আন্তরিক হবে আশা করা যায়। এতটাই আন্তরিক যে,আমরা কখনোই বলতে পারি না আমাদের ডিপার্টমেন্টে 1টা ব্যাচ আছে/হবে,আমরা বলি আমাদের ডিপার্টমেন্টে একটা পরিবার আছে আর আমরা সবাই সে পরিবারের সদস্য !

শুধু তাই নয়, নবীনদেরকে স্বাগত জানাতে ও তাদের যে কোন সমস্যায় তাদেরকে সহযোগিতা করতে senior রা reception আয়োজন করে থাকে । আর যেহেতু তোমরা কুয়েটে ভর্তি হচ্ছ, সুতরাং কুয়েটের সেশনজটের না থাকার কথা তোমাদের অজানা থাকার কথা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি টার্ম ৬ মাসে শেষ হয়। শেষকথা অনেক সাধনার পর কুয়েটে ভর্তি হবার সুযোগ পেয়েছ,তাই তোমাদের অভিনন্দন। কিন্তু ভর্তি হবার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা,কুয়েট একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং-ই পড়ানো হয়,অন্য কিছু না। তাই একজন প্রকৌশলী হবার স্বপ্ন নিয়ে তারপর যদি কুয়েটে ভর্তি হও তাহলে সবচেয়ে ভালো।

আর যখন তুমি কুয়েটে ভর্তি হচ্ছ তখন কিন্তু তোমার উপর দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেল ! তুমি যদি ভাব তুমি বাবার আয়ে কুয়েটে পড়ছ তাহলে কিন্তু ভুল !!! গরিব কৃষক আয়ে,অশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত গার্মেন্টস কর্মীর আয়ে আমরা সবাই কুয়েটে পড়ি। আমরা কুয়েটে যে খরচ দেই সেটি কিন্তু ইঞ্জিন্যারিং পড়ার প্রকৃত খরচ না,প্রকৃত খরচ হল তুমি একই বিষয় পড়তে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে যে খরচটি দিতে সেটি।

আর তোমার এই খরচটি কমিয়ে আনতে দিনভর কষ্টের পর একজন কৃষককে পায়ে হেঁটে ট্যাক্স দিয়ে আসতে হয়,একজন গার্মেন্টস কর্মীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওভারটাইম করতে হয় ! কুয়েটে প্রতিটি বিভাগেই তোমার স্বপ্নপূরণের সুযোগ রয়েছে। তুমি তোমার পচ্ছন্দমত যে কোন বিভাগ বেছে নিতে পারো। তুমি যেন তোমার পড়াশোনা টা উপভোগ কর সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

©️ ১. শাহরিয়ার আজিজ

২. মেহেদী হাসান অনিক

৩. রিয়াজুল জান্নাত

৪. আতিকুর রহমান

কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাচ : ২ক১৮