১। ১৩ জন প্রফেসর! বাংলাদেশের বিভিন্ন ভার্সিটির ইন্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গুলোর মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা ডিপার্টমেন্টে ১০+ প্রফেসর অাছে।
২। ১৭ জন পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক সংখ্যা ৩৩ জন।
৩। উন্নত ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ। সিভিল এ যত ধরনের ল্যাব এবং ইকুইপমেন্ট লাগে সব অাছে এখানে। নেদারল্যান্ড গভর্নমেন্ট এর অর্থায়নে সাউথ এশিয়ার সবচেয়ে বড় মাল্টি-পারপাস টিল্টিং ফ্লিউম চুয়েট সিভিলের দখলে। এছাড়াও রয়েছে –

১। Transportation Engineering lab
২। Cement-testing lab
৩। Geotechnical lab
৪। Hydraulics lab
৫। Environment lab
৬। Structure lab (২টা )
৭। Surveying lab
৮। Materials lab
৯। Computer lab.
১০। Drawing lab.

ল্যাবগুলো বেশ উন্নত। ল্যাবগুলোতে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি আছে যেগুলো বাংলাদেশে শুধুমাত্র BUET এবং CUET এ ই অাছে। বেশ কয়েকটা ল্যাব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত! ক্লাসরুমগুলোও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

৪। চুয়েট সিভিলের আন্ডারে কতগুলো রিসার্চ সেন্টার রয়েছে যা এই ডিপার্টমেন্টকে আরো বেশী সমৃদ্ধ করেছে। Institute of Earthquake Engineering Research বাংলাদেশের একমাত্র আর্থকোয়াক রিসার্চ সেন্টার। যদিও মেইনলি এটি হায়ার রিসার্চ করার জন্য কিন্তু অান্ডারগ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের এটি বিভিন্ন কোর্স, সেমিনার অফার করে থাকে। এছাড়া রয়েছে River research center, Disaster department, International training network (ITN) যেখানে কোন স্টুডেন্ট চাইলে রিসার্চ এবং স্কিল ডেভেলপ করতে পারবে।

৫।”International Conference on Advance Civil Engineering ” দেশের সবচেয়ে বড় সিভিলের এই কনফারেন্স প্রতি দুই বছর পর পর চুয়েট অায়োজন করে থাকে। এ বছর কক্সবাজারের সায়মন বিচ রিসোর্টে অায়োজিত এ কনফারেন্সে দেশী-বিদেশী প্রায় সাড়ে তিনশত গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছিল। AIT (Thiland), IIT (india), HU(Japan) ইউনিভার্সিটির বেশ-কয়েকজন প্রসিদ্ধ প্রফেসর এবং বাংলাদেশের জামিলুর রেজা স্যার, বুয়েটের কয়েকজন প্রফেসর বোর্ড মেম্বার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ( check website for photo & further info.)

৬। সিভিল ইন্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন দিকের উপরে নিজস্ব সেমিনার রুমে ফ্রিকুয়েন্ট সেমিনার হয় এখানে। এত বেশী সেমিনার হয় যে মাঝে-মাঝে “সেমিনার” জিনিসটা বিরক্তিকর লাগে। এছাড়াও IEB-Chittagong সেন্টার এ বিভিন্ন সেমিনারের জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠানো হয়।

৭। স্ট্রং এলুমোনাই। দেশের সিভিলের সেক্টরগুলোর একটা বড় অংশ যে চুয়েট-সিভিলের দখলেএকটু খোজ-খবর নিলেই জানতে পারবা। লাস্ট বিসিএস(PWD) এ ও তো ফার্স্ট চুয়েট-সিভিলের এক অাপু । দেশের বাহিরে ইউরোপ, অামেরিকা, কানাডা, দুবাই, কাতার অষ্ট্রেলিয়াসহ প্রভুতি দেশে চুয়েট সিভিলের এক্স স্টুডেন্টরা রিসার্চার, অনেক নামী-দামী ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার, ইনস্টিটিউশনের হেড, ইন্জিনিয়ার হিসেবে অাছেন। যাস্ট একটা এক্সাম্পল দেই, কাতার ওয়ার্ল্ড কাপের জন্যে পুরো কাতারকে সাজাতে, বিভিন্ন স্টেডিয়াম নির্মানের জন্যে বিশ্বের সেরা সেরা 22 জন সিভিল ইন্জিনিয়ারকে সিলেক্ট করা হয়। তার মধ্যে একজন চুয়েটের অাব্দুল্লাহ অাল মামুন স্যার/ভাই।

৮। প্রসাশন খুব ই স্ট্রিক্ট। সেশনজট নাই কোন। যা কিছু হোক না কেন চার বছরেই বের করে দিবো । পুরো চুয়েট চলে একদিকে তো সিভিল ডিপার্টমেন্ট অারেকদিকে।
৯। জব ফেসিলিটিজ ; কোন ভার্সিটির কোন ডিপার্টমেন্ট ই অাসলে কাউকে জব দেয় না। জব খুজে নিতে হয় নিজেকে।

সিভিল জবের জন্যে স্বর্গ হচ্ছে “চিটাগাং”। যেহেতু চুয়েট চিটাগাংয়ে সো এটা একটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট। অার বাংলাদেশে সিভিলের জব সেক্টরটা বেশ বড়। এছাড়াও ব্যাংক, নৌবাহিনি, সেনাবাহিনী, সড়ক ও জনপথ, LGED, LGRD, WASA, CDA, পরিবেশ অধিদপ্তর, PWD, টেলিফোন কোম্পানি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি, রাজউক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্জিনিয়ারিং সেকশন সহ প্রভুত সরকারি জবে প্রচুর চুয়েট সিভিলের স্টুডেন্ট কর্মরত। সো জব লাইফে একটা এডভান্টেজ তো থাকবেই।

১০। যুগের সাথে তাল মেলাতে সিলেবাস নিয়মিত অাপডেট হয়।
১১। সার্ভেয়িং ; চুয়েটের সার্ভেয়িং নিয়ে কিছু বলবো না। তোমরা নিজেরা একটু খোজ-খবর নিয়ে দ্যাখো, যে চুয়েট-সিভিলের সার্ভেয়িং কি জিনিস!! l
১২। চুয়েট-সিভিলের নেগেটিভ দিক হচ্ছে এখানে প্যারা বেশী। চার বছরে প্রচুর পেঈন খাইতে হয়। ভালো ইন্জিনিয়ার হইতে হলে একটু পেঈন তো খাইতে হবে।

এই হচ্ছে সংক্ষেপে চুয়েট-সিভিলের সারমর্ম ! ফর ফারদার ইনফরমেশন চেক ওয়েবসাইট। তোমার প্যাশন যদি হয় সিভিল ইন্জিনিয়ার হওয়া তবে এখানে পড়তে পারো। ইচ্ছার বিরুদ্ধে, কিংবা কারো কথা শুনে প্রভাবিত হয়ে এইখানে ভর্তি হইওনা। এজ এ সিনিয়র এইটা তোমাদের প্রতি উপদেশ থাকলো। বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিগুলোর সব ডিপার্টমেন্ট ই ভালো। সব ডিপার্টমেন্টেটের ই জব এবং রিসার্চ ফ্যাসিলিটি ভালো। প্যাশনকে প্রাধান্য দাও। বেস্ট অফ লাক।

জুনিয়রদের জন্য কষ্ট করে লিখেছেন :- Milu Mehedi ভাই, সিভিল ১৩( শেষ বর্ষ), চুয়েট

CUET Review Page