দেশে চলমান ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সারাদেশে সতর্ক অবস্থা ও নজরদারির পাশাপাশি অনলাইনেও নজরদারি করছেন পুলিশের সাইবার ক্রাইমের একাধিক ইউনিট।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, একটি নির্দিষ্ট মৌলবাদী গোষ্ঠী সরাসরি মাঠে ভাস্কর্যবিরোধী তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি অনলাইনেও অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

দেশে ও বিদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

সাইবার পুলিশ এসব পোস্ট দাতাদের শনাক্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন কৌশলে পোস্টগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

জানতে চাইলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-কমিশনার আ ফ ম আল কিবরিয়া বলেন, ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে অনেকেই উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

আমরা তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। উস্কানিমূলক পোস্ট দাতাদের শনাক্ত করতে পারলেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সাইবার ক্রাইম বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, উস্কানিমূলক পোস্টাদাতাদের বেশিরভাগই ফেক আইডি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া অনেকেই দেশের বাইরে থেকে এসব অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব উস্কানিমূলক পোস্টদাতাদের শনাক্তের পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টগুলো ডিলিট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সাইবার ক্রাইমের একজন কর্মকর্তা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জামায়াতপন্থী একাধিক পেজ ও গ্রুপ ভাস্কর্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি তৎপর। তারা ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ভাস্কর্য নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে রাতের আঁধারে যার যার অবস্থান থেকে ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার আহ্বানও জানিয়েছে।

অনলাইনে ভাস্কর্য নিয়ে অপতৎরতা নিয়ে প্রায় ২৫টি ফেসবুক আইডি শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সাইবার পুলিশ সেন্টার।

এসব ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সাইবার পুলিশ সেন্টারের একজন কর্মকর্তা জানান, শনাক্ত করা ফেসবুক আইডিগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি আইডির পরিচালনাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, আমাদের সাইবার ক্রাইম বিভাগের সদস্যরা অনলাইনে অপতৎপরতাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছে।

অনলাইনে যারা উস্কানিমূলক পোস্ট দিচ্ছে তাদের কঠোর নজরদারি করার পাশাপাশি শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।