সাবজেক্ট রিভিউ : #বনবিদ্যা#পরিবেশবিজ্ঞান
.
প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া প্রচুর বন ও বনজ সম্পদের সংরক্ষণ ও সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার জন্য শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়াতে বনবিদ্যা বিষয়ের সর্বপ্রথম পথিকৃৎ ‘ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রি’ এর যাত্রা শুরু ১৯৭৬ সালের নভেম্বর এর ১ তারিখ থেকে । শামসুল আনোয়ার স্যার ছিলেন এর প্রথম ডিরেক্টর।
.
প্রথমে শুধু প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ পাওয়া ‘সহকারী বন সংরক্ষক’দেরকে প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্সে ডিগ্রী দেওয়া হলেও কয়েকবছর পরেই শুরু হয় অনার্স ডিগ্রি দেওয়া। প্রথম প্রথম কোনো ছাত্রী ভর্তি করানো হতো না। শুরুতে বিজ্ঞান অনুষদের পশ্চিম পাশে নিউট্রন জেনারেটর বিল্ডিং এ,তারপর বর্তমান মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ওখানে ক্লাস হতো। পরে ১৯৯৩ সালে বিশ্বব্যাংক এর অর্থায়নে গড়া বর্তমান দক্ষিণ ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হয়। এটাই বর্তমান ঠিকানা।
.
১৯৯৬ সালে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস শুরু হয়, তারপর ইন্সটিটিউট এর নামকরণ করা হয় ‘ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস’, যা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ‘ইফেস্কু’ হিসেবে বহুল পরিচিত।এতো বছর বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসলেও এই বছর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে স্বতন্ত্র ‘ফ্যাকাল্টি অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস’ এবং তার অধীনে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ নামে নতুন বিষয় খোলার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।কয়েক বছরের মধ্যে ‘ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইকোট্যুরিজম’ নামে আরো একটা বিষয় খোলা হতে পারে। এই ইন্সটিটিউটে পূর্বে বিদেশি ছাত্র এবং শিক্ষক থাকলেও বর্তমানে তা আর নেই।
.
#পড়ালেখার_ধরণ : ইন্সটিটিউট এর শুরু থেকেই সেমিস্টার পদ্ধতি প্রচলিত। পুরো দেশে যখন ৩ বছরের অনার্স ডিগ্রি ছিলো, তখনো ইফেস্কু থেকে অনার্স ডিগ্রি দেওয়া হতো ৪ বছরের। প্রতি সেমিস্টারে ভাইভা সহ মোট ২৪ ক্রেডিটের ৭টি/৮টি করে কোর্স পড়তে হয় উভয় বিষয়ের শিক্ষার্থীদের। ৪ বছরে প্রায় ১৯২ ক্রেডিট এর উপর পড়ালেখা করতে হয় যা বাংলাদেশে অন্যতম সর্বোচ্চ।৪ বছরের মোট কোর্স সংখ্যা মোটামুটি ৫০টি। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, কম্পিউটার এপ্লিকেশন, ইকোনোমিক্স,সোশায়লজি, এটমোস্পেয়ারিক এন্ড ওশানিক সায়েন্স, জিআইএস প্রভৃতি কমন কোর্সের সাথে রিলিভেন্ট কোর্সগুলো তো আছেই। প্র‍্যাক্টিক্যাল, টিউটোরিয়াল, ক্লাস এটেন্ডেন্স এবং ফাইনাল এক্সামের উপর মার্কিং করা হয়। প্রত্যেক কোর্সের এর ৩ টা করে টিউটোরিয়াল যার বেস্ট ২টার গড় বিবেচনা করা হয়। প্র‍্যাক্টিক্যাল, টিউটোরিয়াল এবং ফাইনালে আলাদা আলাদাভাবে পাশ করতে হয়। কোনো বিষয়ে বা কোনো সেমিস্টারে পরপর দুইবার ফেইল করলে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায়, বিদায় নিতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের প্রায় ৫০% কোর্স একই যার ক্লাসও হয় একসাথে।
.
#রেজাল্ট : দুইটা বিষয়েই রেজাল্ট বেশ ভালো উঠে। ইদানীং ইন্ডিভিজুয়াল সেমিস্টারে ৪ আউট অব ৪ ও পাচ্ছে অনেকে। ৮ সেমিস্টার শেষে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই ৩.৪০-৩.৫০ এর উপরে থাকে সিজিপিএ।
.
#অবকাঠামোগত_সুবিধা : ইন্সটিটিউট এ ৮ টি ল্যাব(বায়োলজিক্যাল সায়েন্স ল্যাব, ফিজিক্যাল সায়েন্স ল্যাব, কেমিস্ট্রি ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, জিআইএস ল্যাব, এনভায়রনমেন্ট ল্যাব, সোসাইটি এন্ড এনভায়রনমেন্ট ল্যাব, সিড রিসার্চ ল্যাব, ৬ টি ক্লাসরুম, একটি গ্যালারি, একটি কনফারেন্স রুম এবং একটা বিষয় ভিত্তিক বইয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, নিজেদের একটা নার্সারি, স মেইল এবং অনেকগুলো এক্সপেরিমেন্টাল প্লট আছে। ইফেস্কু স্টুডেন্টদের জন্য ‘মাস্টারদা সূর্যসেন হল’ নামে আলাদা একটা হল,যার ছাত্র ও ছাত্রী ব্লক রয়েছে। একটা ইন্সটিটিউট এর জন্য একটা হল, এমন শুধু ঢাবি’র আইবিএ তেই আছে আর। ছাত্রদের ব্লকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আসন আছে, ছাত্রীদের ব্লকে অবশ্য প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক আসন। ছাত্রছাত্রীদের ট্যুরের জন্য রয়েছে ২ টি নিজস্ব বাস।
.
#টিচার_সংখ্যা : বর্তমানে মোট ২৯ জন শিক্ষক আছেন যার ৪ জন শিক্ষা ছুটিতে আছেন। ২৯ জনের মধ্যে ১৭ জন অধ্যাপক, ১জন সহযোগী অধ্যাপক, ১০ জন সহকারী অধ্যাপক এবং ১ জন লেকচারার।আমাদের ২৯জন শিক্ষকের মধ্যে ১৯ জনই পিএচডি সম্পন্ন করা শিক্ষক।
.
#সেশনজট : ইন্সটিটিউট এর হাজারো উজ্জ্বল গল্পের মধ্যে যে জিনিসটা নেগেটিভ হিসেবে ধরা যায় তা হলো সেশনজট। ইন্সটিটিউটে অনার্সে বর্তমানে প্রায় দেড় বছরের সেশনজট আছে যা মাস্টার্স সহ ২বছরেরো বেশি। তবে বর্তমান ডিরেক্টর ড. দানেশ স্যারের অধীনে এবং অন্যান্য স্যারদের একান্ত প্রচেষ্টার ফলে আমরা আস্তে আস্তে জট নিরসনের দিকে আগাচ্ছি। সর্বশেষ দেওয়া এক্সামের ভিত্তিতে ১৩-১৪ সেশন ১ বছরের, ১৪-১৫ সেশন ৮মাসের, ১৫-১৬ সেশন ৪ মাসের জটে আছে। ১৬-১৭ সেশনে এখনো পর্যন্ত জট নেই। তাই আশার আলো দেখা যেতেই পারে!
.
#কে_কোথায়_এলামনাইরা(সাবেক শিক্ষার্থীরা) : এ পর্যন্ত ইন্সটিটিউট থেকে ১০৩২ জন স্নাতক সম্পন্ন করেছে। সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দাঁড় না করানো গেলেও উল্লেখযোগ্য কিছু বলছি… আমাদের সাবেক ভাইয়া/আপুদের মধ্যে নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যেমন আছে, তেমনি টরেন্টো ইউনিভার্সিটি, মিনোসাটা ইউনিভার্সিটি, নর্থ ক্যারিলোনা ইউনিভার্সিটি, মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি সহ বিশ্বের অনেক প্রথিতযশা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেও আছেন। প্রশাসনে যুগ্ম সচিব হিসেবে আছেন যেমন বেশ কয়েকজন সুদূর আমেরিকায় নিউ ইয়র্ক ট্রাফিক পুলিশ অফিসার হিসেবেও আছেন।
.
বন কর্মকর্তা হিসেবে আছেন যেমন, বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবেও আছেন।আইইউসিএন, ইউএনডিপি, এফএও এর মতো বিশ্বের নাম করা সংস্থায় যেমন আছে,তেমনি আছে দেশে কাজ করা নামকরা অনেক বহুজাতিক কোম্পানি তে। তবে হ্যা, বেশিরভাগই আছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাংকে। বেকারের সংখ্যা নাই বললেই চলে। চাকরি পেতে কারো দেরী হয়, কারো হয় না কিন্তু যতটুকু দেখেছি বেকার থাকতে দেখিনি।
.
#জবসেক্টর : উপরের এলামনাইদের অবস্থান টা পড়েছো? এখানে বেশিরভাগই কিন্তু ফরেস্ট্রি বা এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস রিলেটেড জবে নাই! উনারা এসব জায়গায় আছে কিন্তু ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার ফলেই… কেউ চটকদার কথা বলুক বা না বলুক, এটাই আমাদের দেশের আজকের বাস্তবতা। ফরেস্ট্রি এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিজ্ঞানের একটা ফলিত শাখা, গবেষণার বিষয়। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশ হিসেবে বাজেটের একটা বিরাট অংশ যেখানে ভর্তুকি দিতে দিতেই চলে যায়, সেখানে গবেষণায় অর্থায়ন করা কষ্টসাধ্য। তাই অন্যান্য বিষয়গুলোর মতোই চাকরির মেইন ভরসা বিসিএস এবং ব্যাংকের মতো কমন সেক্টর গুলো। তবে সেখানেও আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কৃতিত্বপূর্ণ ফল করে চলেছে। আচ্ছা চলো দেখে নিই, ফরেস্ট্রি এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এর নিজস্ব চাকরিক্ষেত্র গুলো কি কি:
.
বনবিদ্যা এবং পরিবেশবিজ্ঞান উভয়ের:
★স্পারসো তে রিসার্স অফিসার হিসেবে
★IUCN
★বিভিন্ন এনজিও-র বনবিদ্যা রিলেটেড শাখা আছে যেখানে বন ও পরিবেশবিদ্যার নিজস্ব সেক্টর বিদ্যমান ( প্রশিখা, ব্র‍্যাক, কেয়ার ইন্টারনেশনাল)
★ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট
★ প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ
★মাছ ও বন্যপ্রাণী সেবা অধিদফতর
★জাতীয় বন পরিসেবা
★UNDP
★USDA
★FAO
★BMD
★অরণ্যক ফাউন্ডেশন
.
শুধু বনবিদ্যার:
★বিসিএস এ টেকনিক্যাল ক্যাডারে ( ACF হিসেবে)
★BFRI (এটা নিয়ে কেউ ভুল তথ্য দিতে পারে। আগে বনবিদ্যার ছাত্রছাত্রীরা আবেদনের সুযোগ না পেলেও সর্বশেষ নিয়োগবিধিতে তা সংশোধন করা হয়)
★ ওয়াইল্ড লাইফ বায়োলজিস্ট হিসেবে চিড়িয়াখানায়
★ বিভিন্ন চা বাগানে এবং চা উৎপাদক ইন্ডাস্ট্রি তে
★সকল পাল্প, পেপার, রেজিন, রাবার, প্লাইউড, হার্ডবোড মিলে
★বাংলাদেশ ফরেস্ট একাডেমী
★BFIDC
★BCIC
★CHTDB
★৩ টা ফরেস্ট স্কুলে
★FDTC ইত্যাদি
.
শুধু পরিবেশবিজ্ঞানের :
★EIA রিপোর্ট তৈরিতে স্পেশালিষ্ট হিসেবে
★ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া অদূর ভবিষ্যৎ এ বাধ্যতামূলক হয়ে পড়বে নিশ্চিতভাবে
★প্রত্যেক মন্ত্রনালয়ে ‘এনভায়রনমেন্ট সেল’ খোলা প্রক্রিয়াধীন
★ মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট
★ এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি ইত্যাদি
.
বাংলাদেশে মাত্র ৩ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে বনবিদ্যা এবং ৬-৭ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবিজ্ঞানের উপর ডিগ্রি দেওয়া হয়। সুতরাং, পোস্টের সংখ্যা কম হলেও, পোস্ট বনাম প্রতিযোগীর অনুপাত কিন্তু অন্য অনেক বিভাগের তুলনায় অনেক কম!
.
#স্কলারশিপ : আশা যাক, নিজেদের বিষয় নিয়ে গলা ফাটানোর মতো জায়গাটাতে!  তুমি কি বাইরে পড়ালেখা করতে আগ্রহী? মাস্টার্স, পিএইচডি বা পোস্ট ডক্টরাল করতে চাও বিশ্বের সেরা সব প্রতিষ্ঠান থেকে? স্বাগতম! তোমার জন্যই বনবিদ্যা, তোমার জন্যই পরিবেশবিজ্ঞান! যদি পড়ালেখা করো, যদি রিসার্চ করার মানসিকতা থাকে, যদি ইংলিশে ফ্লুয়েন্ট হও, যদি শুধুমাত্র এই ৩ টা ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করতে পারো, স্কলারশিপ এর স্বপ্ন থাকলে চোখ বন্ধ করে বেছে নাও দুইটা কোর্সের একটাকে। বাংলাদেশ থেকে একজনও বাইরে পড়তে গেলে সেটা তুমিই হবা! 
.
#আরো_কিছু : আমাদের ইফেস্কুর অবস্থানগত কারণে আমরা নিজেদেরকে একটা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দাবি করলেও বাড়াবাড়ি হবেনা তেমন! ১৭৫৪ একরের চবির দক্ষিণ ক্যাম্পাসে শুধু এই একটাই ইন্সটিটিউট। একাডেমিক ভবনকে মাঝে রেখে দুই পাশে হলের ছাত্র ও ছাত্রী ব্লক। একটু দূরেই দৃষ্টিনন্দন প্রশাসনিক ভবন। বসন্তে ইফেস্কু হয়ে উঠে যেনো একটা জীবন্ত পার্ক! প্রতিদিনিই ভীড় করে কত সৌন্দর্যপিয়াসু মানুষ! এর মাঝেই অবিরাম চলে আমাদের পথচলা! অনার্স/মাস্টার্স লাইফের এই সময়টাতে একসাথে থাকা,খাওয়া, উঠাবসা সিনিয়র-জুনিয়র-ক্লাসমেটদের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে তুলে এক নিবিড় বন্ধন যাকে উল্ল্যেখ করবো ‘Sibling from Different Mother’ হিসেবে। শুধু যাদেরকে ছাত্র অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের সাথে না, বরং এই সম্পর্ক বিদ্যমান আরো ২০-২৫ বছর আগে পাশ করে যাওয়া বড় ভাই/আপুটার সাথেও। এটা আমাদের একটা অনন্য দিক।
.
আরেকটা অনন্য দিক হচ্ছে, আমাদের ট্যুর। ৮ সেমিস্টারে অন্তত ৮ টা ট্যুর। ছাত্রাবস্থায় ঘুরা হয়ে যেতে পারে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, নর্থ বেঙ্গল, সুন্দরবন, সিলেট, রাঙ্গামাটি, সীতাকুণ্ড ইত্যাদি ইত্যাদি!
.
আমাদের নিজস্ব যে জব সেক্টর গুলো প্রায় সব ফিল্ডে। ফরেস্ট্রির ছাত্রদের দূর্গম পাহাড়ে ফার্স্ট সেমিস্টারে ১০ টা গাছ লাগাতে হয়, যার পরিচর্যা করতে হয় ৮ম সেমিস্টার পর্যন্ত। যদি কষ্ট ভাবো, কষ্ট! যদি এডভেঞ্চার ভাবো, তাই-ই।
.
সকল মন্দেরও ভালো দিক থাকে, সকল ভালোরও মন্দ দিক থাকে! হাজারো ভালোর মাঝে সেশনজট আমাদের খারাপ দিক হয়ৎবা! যদি বের হওয়ার খুব বেশি তাড়া না থাকে, তবে ফরেস্ট্রি/এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস হতে পারে তোমার জন্য একটা বেটার চয়েজ। কথা বলতে না জানা, এই প্রকৃতিকে সুস্থ রাখার সৌভাগ্য কয়জনেরই বা হতে পারে বলো!
.
বিশাল বড় রিভিউ হয়ে গেলো! না?! শেষ করছি, আমাদের এক স্যারের একটা উক্তি দিয়ে। ‘অনেক মানুষ বুড়ো বয়সে নাতিপুতিকে গল্প শোনানোর গল্প পায় না! আর, ইফেস্কু স্টুডেন্টদের গল্প হয়ৎ শেষই করতে পারবে না এই জীবনে!’ মিথ্যা না কথাটা!
.
নবীনদের সু-স্বাগতম আত্মার এই বন্ধনে।
.
লিখেছেন:
এ. এস. এম. ইব্রাহীম সাজ্জাত, বনবিদ্যা
.
সহযোগিতায়:
ইসমাইল হোসেন বাহাদুর, বনবিদ্যা
জুনায়েদ আহমেদ, পরিবেশবিদ্যা
.
৩ জনই ২০১৪-১৫ সেশন এবং ইফেস্কু ৩৬ তম ব্যাচের সদস্য।
.