সাবজেক্ট রিভিউ: #মাইক্রোবায়োলজি 
.
১৯৯৪ সালে প্রখ্যাত মাইক্রোবায়োলজিস্ট প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার স্যারের হাত ধরে যাত্রা শুরু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্ট এর। জীববিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত এই বিভাগ টি সময়ের পরিক্রমায় হয়ে উঠেছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটা বিভাগ। ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা হবে উক্ত বিভাগের ২২ তম ব্যাচ। বর্তমানে ২৩ জন শিক্ষক উক্ত ডিপার্টমেন্টে কর্মরত আছেন।
.
#পড়ালেখার_ধরন : মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ইয়ার সিস্টেম প্রচলিত। সাধারণত আগস্ট মাসের মধ্যে সব ক্লাস শেষ হয়ে যায়। সেপ্টেম্বর মাস পি.এল. হিসেবে বন্ধ থাকে এবং অক্টোবর থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। যেসব কোর্স পড়ানো হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: মাইক্রোবিয়াল ইকোলজি, ব্যাক্টেরিয়োলজি, এলগোলজি, মাইকোলজি, মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজি, এগ্রিকালচারাল মাইক্রোবায়োলজি, হিউম্যান ফিজিওলজি, ভাইরোলজি, ইমিউনলজি, সেল বায়োলজি, এনভায়রনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি, মাইক্রোবিয়াল টেকনোলোজি, বায়োইনফরমেটিক্স, ফুড ফিশারিজ এন্ড বেভারেজ মাইক্রোবায়োলজি, বায়োপ্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসিউটিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি ইত্যাদি। প্রতি ইয়ারে ৯-১০ টা করে ৪ ইয়ারে প্রায় ৪০ টার মতো বিষয় পড়ানো হয় যেগুলো ২ অথবা ৩ ক্রেডিট করে।
.
#সেশনজট : মাইক্রোবায়োলজি তে পড়ে ‘সেশনজট’ নামক শব্দটার স্বাদ গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। ৩ বছর ৯ মাসের মধ্যেই অনার্স লাইফ সম্পন্ন হয়ে যায়।
.
#রেজাল্ট : মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের রেজাল্ট খুবই ভালো। বেশিরভাগেরই ৩.৫ এর উপরে থাকে(আউট অব ৪ স্কেল)। সর্বোচ্চ ৪ আউট অব ৪ ও উঠে।
.
CU Admission Test Help Desk
.
#চাকরিক্ষেত্র : দেশে ৫ টি সরকারি এবং ৩ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি পড়ানো হয়।তাই মাইক্রোবায়োলজি গ্রাজুয়েট এর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম হওয়ায় চাকরিক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও তুলনামূলক সহজ। যেসব প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের কাজ করার সুযোগ আছে:
.
#দেশে :
★Pharmaceutical industry
★Food industry
★ICDRB & Research project সমূহে ও আনুসাংগিক কাজে
★Medical college, Diagnostic centre গুলোতে Microbiologist হিসেবে
★অন্যান্য গবেষণা কর্মে যেমন Biotechnological work, Immunological research.
★BCSIR
★এয়ারপোর্টেও মাইক্রোবায়োলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়।
★এছাড়াও ব্যাংক, বিসিএস এর মতো কমন সেক্টর গুলো তো আছেই।
.
#বিদেশে :
বিজ্ঞানের ফলিত বিষয় হিসেবে মাইক্রোবায়োলজির রয়েছে বিদেশে প্রচুর স্কলারশিপ এবং কর্মক্ষেত্রে সুবিধা। যেমন:
★Agricultural research
★Environmental sector
★Pharmaceutical industry
★Public health
★Immunological sector
★Biotechnological/ Formulation sector
★এছাড়াও বিভিন্ন জীবানুজাত রোগের গবেষণায়- যেমন AIDS, SARS ইত্যাদি।
.
মাইক্রোবায়োলজি এমন একটা সেক্টর যেখানে তোমার একটা আবিষ্কার বদলে দিতে পারে পুরো বিশ্ববাসীর ভাগ্য! নবীন তোমায় স্বাগতম মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে।
.
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ওয়েবসাইট : http://www.mbcu.ac.bd/
.
Copyright : CU Admission Test Help Desk
.
তথ্যসহযোগিতায় : ফাবিহা জামান নীতু, মাইক্রোবায়োলজি, ২০১৫-১৬ সেশন।
.
অনুলিখন : ইব্রাহীম সাজ্জাত, ফরেস্ট্রি।