২রা এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ঢাবি ‘প্রযুক্তি ইউনিট ’অধিভুক্ত ৭টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেযে অনলাইনে ভর্তির আবেদন । শেষ হবে ৩০শে এপ্রিল।
ভর্তি পরিক্ষা ১৬ই জুন। এ ইউনিট এ ৭ টি কলেজে মোট ১৪৫৫ টি আসনের জন্য ভর্তি নেয়া হবে।
প্রযুক্তি ইউনিট অনুরূপ মডেল টেস্ট দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিতে এনরোল করো https://onusheelon.engineersdiarybd.com/course/du-tech/
চলুন জেনে নেয়া যাক এ ব্যাপারে কিছু প্রশ্নের উত্তর–
ঢাবি প্রযুক্তি ইউনিট কী?
– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজী ইউনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন টেষ্টের একটি ইউনিট, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন ইউনিট নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি কার্যক্রম কন্ট্রোল করে মোট (ক,খ,গ,ঘ,চ)আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ টি ইন্সটিটিউট এর ১ টির জন্য আলাদা ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া কন্ট্রোল করে আই বি এ ইউনিট এর মাধ্যমে। এবার আসি ঢাবি এডমিশনের অন্য ২ টি ইউনিট নিয়ে… *হোম ইকোনোমিক্স ইউনিট
প্রযুক্তি ইউনিট:
প্রযুক্তি ইউনিট হলো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সমন্বয়কারী ইউনিট অনেক টা বিগত সময়ের অনেকটা বি আই টি এর মতো যেখানে ছিলো-
*বি আই টি,খুলনা,
*বি আই টি,চট্টগ্রাম,
*বি আই টি,রাজশাহী
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজী ছিলো CEC, KEC, REC এর সমন্বয়কারি, যা তিনটি কলেজ কে সমন্বয় করে এদের নাম পরিবর্তন করে ও এর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটায়।
এর সাথে টেকনোলজী ইউনিটের ডিফারেন্স এটুকু এই ইউনিট শুধু মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। এমন কাজ টা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, যারা সরাসরি সব মেডিকেল কলেজ গুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।
অধিক মেডিকেল কলেজ ও ভিন্ন পাবলিক বিস্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকার কারনে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলোর মতো মেডিকেলের ভর্তি প্রক্রিয়া শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রন করতে পারে না।
৫ টি কলেজের জন্য মেডিকেলের ন্যায় ১ টি পরীক্ষা হয়,পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকে মেরিট পজিশন অনুযায়ী সাবজেক্ট ও কলেজ পাওয়া যায়।
১-১৮০ পর্যন্ত মেরিটে থাকা সবাই তাদের ইচ্ছে মতো কলেজ ও সিট খালি থাকা সাপেক্ষে মেরিট পজিশন অনুযায়ী সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারে।
তার বাহিরে থাকলে নির্দিষ্ট মেরিট লিষ্ট অনুযায়ী আবেদন করতে হয়। কলেজে ভর্তির পর ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ কিংবা কলেজ চেঞ্জের কোন সুযোগ নেই।
ভর্তির নির্দিষ্ট সময় থাকা অবস্থায় কলেজ চেঞ্জ করতে হলে ভর্তি বাতিল করে নতুন কলেজে ভর্তি হতে হবে।
বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
সরকারি-৪টি
পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ)-১টি
প্রাইভেট-2টি
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
সরকারি-৬টি
সরকারি ৪ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৩ টি ঢাবি অধিভুক্ত আরেকটি শাবিপ্রবি অধিভুক্ত
প্রাইভেট ২ টি এবং পিপিপি ১টি ঢাবি অধিভুক্ত।
উপরোক্ত ঢাবি অধিভুক্ত মোট ৬টি কলেজ কে ঢাবি সমন্বয় করেছে টেকনোলজী ইউনিট দ্বারা।
যেখানে আছে
১।ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
EEE(60) 2008
CE(60) 2014
CSE(60) 2017
২।ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
EEE(60) 2013
CE(60) 2013
CSE(60) 2017
৩)বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
EEE(60) 2017
CE(60) 2017
৪। নিটার
টেক্সটাইল -(২৯০) 2010
+ আইপিই- (১৪০) 2016
+ FDAE (৭৫) 2017
+ EEE (৬0) 2019
+ CSE (১২০) 2019
= ৬৮৫
৫।শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
Textile(120) 2010
+ FDAE (30) 2020
+ EEE (50) 2020
+ CSE (50) 2020
= 250
৬। কে এম হুমায়ুন কবির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
সিভিল (৫০) 2019
সিএসই (৩০) 2021
৭। সাইক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজমেন্ট
সিভিল (২০) 2021
সিএসই (২০) 2021
ইইই (২০) 2021
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলা কি পাবলিক না প্রাইভেট নাকি ন্যাশনালের মতো?
*MEC/FEC/BEC কি পাবলিক না ন্যাশনালের মতো?
– প্রথমে পাবলিক বলতে আমরা কি বুঝি?
অবশ্যই পাবলিক বলতে বুঝিয়েছ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান।
যার প্রধান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশে এমন বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে ৪০ টি
যার মধ্যে সাধারন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ১৩ টি
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ৫ টি
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৩ টি
কৃষি ও ভেটেরেনারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫ টি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯ টি
টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ১ টি
বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ৪ টি
এর বাহিরে পাবলিক অথবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বলতে কিছু নেই।
এবার আসি ন্যাশনালের বিষয়ে –
বাংলাদেশের সকল ডিগ্রি এবং স্নাতক সম্মান সমমান কলেজ গুলোকে সমন্বয় করতে একটি বিশেষ আইনে (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়,যা বাংলাদেশে ডিগ্রি এবং স্নাতক সম্মান সমমান কোর্স গুলোকে কলেজের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করে।
এটি একটি বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ।
এরপর আসি এ ছাড়া বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চ শিক্ষার জন্য অন্যান্য
প্রতিষ্ঠান নিয়ে,
বাংলাদেশে ঢাবি/রাবি/চবি এর অধীনে এসব কলেজ রয়েছে। সামনে হয়তো অতি শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের অধীনে এসব কলেজ চলে যাবে। এর মতো সরকারি নার্সিং কলেজ ও রয়েছে তারাও ঢাবির অধীনে রয়েছে।
এছাড়াও আছে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সেগুলো ঢাবি ও শাবিপ্রবির অধীনে।
আরোও আছে সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সেগুলো বুটেক্স এর অধীনে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজ গুলোর মতো শুধু মাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উচ্চ শিক্ষা অধিভুক্ত কলেজ নির্ভর।
উপরের সকল মেডিকেল , নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সরকারি অধিভুক্ত স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান এরা পাবলিক কিংবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ন্যাশনাল নয় ।
মেডিকেল কলেজ গুলোতে যেমন সেইম খরচ এগুলাতেও। এখন মেডিকেল এ কিছু জায়গায় পড়াশোনার খরচ বেশি কারন ওইটা ভিন্ন সেক্টর , তাই বুঝিয়ে বললে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো সেইম খরচ।
এবার বিষয় টি একটু অন্যরকম হচ্ছে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজ নিয়ে –
এখন কথা হচ্ছে অধিভুক্ত ৭ কলেজ কে ঢাবি তাদের সাধারন ডিগ্রি কলেজ হিসেবে অধীনে নিয়েছে , এখন এগুলার সাথে অন্য কিছু গুলিয়ে লাভ নেই। যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অতীতেও যেভাবে স্বতন্ত্র ভাবে ছিলো ঢাবি/রাবি /চবি অধীনে রুয়েট/চুয়েট/কুয়েট/ ডুয়েট এদের ন্যায় এখনো SEC/MEC/FEC/BEC চলছে। একই ভাবে মেডিকেল চলছে।
বাস্তবতা হলো এরকম প্রতিষ্ঠানের সাথে ৭ কলেজ নিয়ে জল ঘোলা করা বোকামি ছাড়া কিছু না,যেখানে মেডিকেল কলেজের ন্যায় ইঞ্জিনিয়ারিং/টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয় ভাবে নেয়া হচ্ছে তাহলে সেটার মর্ম আর কাউকে না বুঝালেও চলে।
এই প্রত্যেক টি মেডিকেল/ইঞ্জিনিয়ারিং/টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কেও ই যার অধীনে থাক তারা নিজেদের পরিচয়ে চলে। ঢাবি কিংবা বুটেক্স শুধু তাদের একাডেমিক কিছু কাজ আর সার্টিফিকেট দেয় ।
তারা সবাই নিজেদের প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা বজায় রেখে চলে। আশা করি এই বিষয় টা নিয়ে মনে থাকা প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে গেছো।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলার সার্টিফিকেট কেমন? ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সার্টিফিকেট কি ঢাবি দিবে? এ বিষয়টা আজকে ক্লিয়ার করবো, এই প্রশ্নের পিছনে স্টুডেন্টরা একটা উত্তর ই আশা করে যে সার্টিফিকেট টা ঢাবি দিবে আর এতেই তারা বলে আলহামদুলিল্লাহ, অনেকে খুশি হয় এখানে পড়েই ঢাবির সার্টিফিকেট টা পাওয়া যাবে আর কি লাগে, এতেই সব।
আবার অনেকে জিজ্ঞেস করে ভাই ঢাবির অরজিনাল সার্টিফিকেট টা তো দিবে? যাই হোক এর পরিষ্কার উত্তর টা আজকে পেয়ে যাবে। তার আগে ১ টা প্রশ্ন করবো,
Certificate Of Mymensingh Engineering College
আচ্ছা তোমরা কি জানো মেডিকেল কলেজের সিস্টেম টা কি?
এখানে সার্টিফিকেট টা কে দেয়,সমাবর্তন কই হয় অথবা এরা কার অধিভুক্ত(তোমরা যাকে আন্ডার বলো)?
না জানলে বিষয় টা বলেই দেই, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মেডিকেল কলেজ DU/RU/CU/SUST এর অধিভুক্ত, ভার্সিটি গুলোর ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের আন্ডার এ এদের অধিভুক্তি।
এখন কখনো কি এখান থেকে পাস করে কাউকে বলতে শুনেছ এমবিবিএস পাস করেছি ঢাবি থেকে বলতে?তাঁরাও সমাবর্তন সেসব ভার্সিটি তেই করে। আর তাদের সার্টিফিকেট টা সেসব ভার্সিটি ই দেয়।
অরিজিনাল ই দেয় ,নীলক্ষেতের বানানো ডুপ্লিকেট না তবে এবার জানতে হবে তোমাকে ঢাবি আসলে কাদের কে নিজের পরিচয়ে স্থান দেয়-
ঢাবিতে যারা চান্স পেয়ে হলের অ্যালোটমেন্ট নির্দিষ্ট ফ্যাকাল্টির জন্য পায় তারাই ঢাবির নিজস্ব ফ্যাকাল্টির নিজস্ব স্টুডেন্ট, এর বাহিরে ওই ঢাবির লোগো তে কখনোই তুমি ঢাবিয়ান বলিতে অথবা এর থেকে চাকুরি গত ও কোনো আলাদা সুবিধা পাবা না।
এবার আসি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বেলায় কী হয়- আগে রুয়েট/চুয়েট/কুয়েট যখন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছিলও তখন তারা মেডিকেল কলেজের মতোই ছিলো, আর পরিচয় তাও তেমন ই দিতো।
সার্টিফিকেট টা কে দিবে তা নিয়েও মাথা ব্যাথা ছিলো না তারা বলতো তারা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করছে ওমুক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে, জব সেক্টরে ওই কলজের নাম টা দেখেই প্রায়োরিটি দিতো।
আর এখন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিস্টেম থাও সেইম, আগের মতোই ভার্সিটির ফ্যাকাল্টির আন্ডারেই আছে স্পেশাল কিছুই না।
কিন্তু তোমরা যারা অধিভুক্ত/সার্টিফিকেট টা ঢাবি দিবে তাই আহামরি ভাবছো। এমন ভাবনা টা যেমন মেডিকেল ভাবতে ভুলে যাও তেমন এখানেও ভাবতে হবে আর এটাই সত্যি।
এখানে হিসেব করতে হবে টোটালি মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে। নট আন্ডারে অথবা ঢাবির সার্টিফিকেট টা পাবো ওই ভাবে।আশা করি বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে গেছে।
টিচার কারা?
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব শিক্ষক রয়েছেন। রুয়েট,কুয়েট, চুয়েট, ডুয়েট ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্ররাই আমাদের বর্তমান শিক্ষক।
আরো কিছুঃ
*ভাই এখানে পড়লে কি ঢাবিয়ান বলা যাবে?
-নাহ, কখনো দেখেছো মেডিকেল কলেজের কেও ঢাবিয়ান বলে বেড়ায়?
*ভর্তি পরীক্ষা কোথায় হবে?
-ঢাকা বিশ্ববিদ্য়ালয় ও তার আশেপাশে সিট পড়বে.
*ভাই এখান থেকে কি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট দিবে?শুনলাম ঢাবি নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট দেয় না,তাহলে এখানে কিভাবে দিবে?
-প্রথমেই বলবো ভুল শুনেছ,ঢাবি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট দেয়,আর এক মুহূর্তের জন্য তোমার কথা মেনে নিলে বলা যায় – ঢাবি তো এমবিবিএস এর সার্টিফিকেট ও দেয় কিন্তু তা মেডিকেল কলেজ কে। ঠিক তেমন ই ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট দেয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কে।
*ভাই এখান থেকে পড়লে কি তা বুয়েট/চুয়েট/রুয়েট/কুয়েটের সমান হবে? কলেজের সাবজেক্ট ভেলু কি তাদের সমান? অমুক-তমুক ভার্সিটির সমান?এখান থেকে পড়ে কি চাকরি পাওয়া যাবে?
-এগুলা টোটালি ফালতু প্রশ্ন ছাড়া কিছু না,ইঞ্জিনিয়াররিং কলেজ গুলা কোনভাবেই তাদের সাথে এভাবে ডিরেক্টলি আর ইনডিরেক্টলি তুলনায় যেতে পারবে না। আর জব? তা নিয়ে পরে ভেবো, আগে চান্স পেয়ে নাও।
*এখান থেকে পড়লে বিদেশে স্কলারশীপ পাওয়া যায়?
-অবশ্যই যায়।
*পড়তে খরচ কেমন?
-উপরের লিঙ্ক গুলা তে এর ডিটেলস আছে।
এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কোথায় হয়?আবেদন কি ভাবে করতে হয়?
-ঢাবির অন্য সকল ইউনিটের মতোই ঢাকাতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।আর আবেদনও অন্য সকল ইউনিটের মতো ঢাবির ওয়েবসাইটে গিয়ে করতে হবে।
ঢাবির প্রযুক্তি ইউনিটের ক্লাস কোথায় হয়?
– ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নিটার এবং স্টেক। কলেজগুলোর নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস হবে।
প্রশ্ন কেমন হয় আর কতো পেলে চান্স পাওয়া যাবে?
-প্রশ্ন নরমাল এ ইউনিটের মতোই হবে,বেসিক ক্লিয়ার রাখা গুরুত্বপূর্ণ।আরকতো পেলে চান্স,সেটা প্রশ্ন কেমন হলো তার উপর ডিপেন্ড করে।
ভর্তি প্রসেস
– ভর্তি পরীক্ষার পর তোমার সিরিয়াল অনুসারে মেক,ফেক, নিটার,স্টেক এ আবেদন করবে।তারপর সিরিয়াল অনুযায়ী ভর্তি কার্যকম হবে।
কোটা আছে?
– হ্যা,মুক্তিযোদ্ধা,আদিবাসী এবং ডিজেবলদের জন্য ৫% কোটা আছে।
এগুলা মোটামুটি প্রযুক্তি ইউনিট সম্পর্কে কমন প্রশ্ন।আর এই ইউনিটের সাব্জেক্ট ইইই,সিভিল, CSE, টেক্সটাইল,আইপিই। মেক, ফেক পাবলিক।খরচ অন্য সকল পাবলিক প্রতিষ্ঠানের মতোই।সার্টিফিকেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর,অনার্সের নয়।
যাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন,কিন্তু জিপিএর জন্য পরীক্ষা দিতে পারোনাই অথবা চান্স হয়নাই তাদের জন্য পারফেক্ট সুযোগ
*সেকেন্ড টাইম আছে?
– নাই।
আবেদনের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
*2nd time নেই, তবে আগেরবছর অন্য কোনো ইউনিটে পরীক্ষা না দিয়ে ইম্প্রুভমেন্ট পরীক্ষা দিলে আবেদন করা যাবে।
*আবেদনের যোগ্যতা – SSC+HSC = 6.50 (এইচ এস সি তে গণিত, পদার্থ ও রসায়ন থাকতে হবে এবং কোনোটাতে জিপিএ ৩ এর নিচে নয় )
*আবেদন শুরু – ২ এপ্রিল, ২০২৩
*আবেদন শেষ – ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
*ভর্তি পরীক্ষা – ১৬ জুন, ২০২৩
*পরীক্ষার সিট পড়বে ঢাবি এরিয়ায়। (ইডেন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল)
*পদার্থ -৩৫,রসায়ন- ৩৫,গণিত – ৩৫,ইংরেজি- ১৫। মোট =১২০
*সময়- ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট
* ৪৮ এ পাশ।
* নেগেটিভ মার্কিং নেই।
* ক্যালকুলেটর নেই।

সিট সংখ্যা – (২০২১ অনুযায়ী)
সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ৩ টি। যথা-
*ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়রিং কলেজ -ইইই (৬০) + সিভিল (৬০) + সিএসই (৬০)=১৮০
*ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ -ইইই (৬০) + সিভিল (৬০) + সিএসই (৬০)=১৮০
*বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-ইইই (৬০) + সিভিল (৬০)=১২০
*পিপিপি ১ টি। নিটার- টেক্সটাইল -(290)+ আইপিই- (140)+ FDA 75+ EEE 60+ CSE 120= 685
NITER-FDE (75) (4,85000 BDT)
NITER- CSE (120) (4,85000 BDT)
NITER – EEE (60) (4,85000 BDT)
*প্রাইভেট 3 টি। STEC-TEXTILE(১২০) পরীক্ষার ফি আর রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়া খরচ ৪৫৩০০০ টাকা
STEC – FADE (৩০)
STEC – CSE (৫০)
STEC – EEE (৫০)
KM HK EC – CIVIL(50) (4,44, 000 BDT)
KM HK EC – CSE (30) (4,44, 000 BDT)
SITM – CE(20) 2021 (3,85,300 BDT)
SITM – CSE(20) 2021
SITM – EEE(20) 2021
*মোট সিট সংখ্যা- 1555
আবেদনের নিয়মাবলি:
১। ঢাবি ভর্তি ওয়েবসাইটে ভর্তির সাধারন নির্দেশাবলি থাকবে।
২। প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তির আবেদন করার জন্য ঢাবি ভর্তি ওয়েবসাইটে লগইন বাটনে ক্লিক করতে হবে
৩। আবেদন/লগইন বাটনে ক্লিক করার পর এইচ এস সি এবং এস এস সির পরীক্ষার রোল ,পাসের সন ও বোর্ডের নাম প্রদান করে অগ্রসর বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং পরবর্তী পাতায় প্রার্থীর এইচ এস সি ও এস এস সি এর তথ্যাবলি দেখা গেলে নিশ্চিত করেছি বাটনে ক্লিক করতে হবে ।
৪। উল্লেখিত Equivalence ID এইচ এস সি ও এস এস সি এর রোল এর স্থানে ব্যাবহার করে যথা নিয়মে টাকা জমা দেয়ার রশীদ গ্রহন করতে হবে ।
ভর্তি পরীক্ষা
১ । ভর্তি পরীক্ষা ১২০ মার্ক এর, প্রশ্ন ১২০টি, প্রতিটি প্রশ্নে ১ নাম্বার, MCQ পরীক্ষা হবে,কোন লিখিত পরীক্ষা হবে না । সময় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
২ । মোট ১২০ টি প্রশ্ন হবে ১২০ নম্বরের ।
৩ । ইংরেজী ১৫,গনিত ৩৫,রসায়ন৩৫,পদার্থ ৩৫
৪ । পাশ নম্বর ৪৮ ও কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই।
৫। ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না ।
ফলাফলঃ
১ । মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে অর্জিত মেধাস্কোর অনুসারে মেধা তালিকা করা হবে যেখানে SSC পরীক্ষার প্রাপ্ত জি পি এ (৪র্থ বিষয় সহ) এর ৬ গুন ও HSC এর ১০ গুন । এইচ,এস,সি এবং এস,এস,সি রেজাল্ট থেকে আসবে ৮০ নাম্বার। সর্বমোট ২০০ নাম্বারের উপর মেধাক্রম তৈরি করা হবে।
২ । ৪৮ এর কম পেলে মেধাস্কোর করা হবে না ।
৩ । ফলাফল এস এম এস ও ঢাবি ওয়েবসাইটে ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে।
সংযুক্তিঃ
বিগত বছরের প্রশ্ন ২০১৫-১৬ঃ https://www.facebook.com/download/preview/194515384437393
প্রশ্ন ২০১৬-০১৭: https://www.facebook.com/download/preview/148925512424326
2017-18: PDF, Photo Album- 1, Album 2
18-19 Link
এক ফোল্ডার এ সব প্রশ্ন
2020-21 Qsn in Facebook Group
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ
ময়মনসিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ
কে এম হুমায়ুন কবীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউ
সাবজেক্ট চয়েজ দেয়ার পুরো প্রক্রিয়া