প্রফেসরদের ই-মেইল করার ব্যাপারে আমার মতামত-
১. প্রফেসরকে ই-মেইল দেওয়ার আগে যদি সম্ভব হয় ওনার গ্রুপের কোনো মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করুন। সম্ভব হলে গ্রুপের মেম্বারদের সাথে বন্ধুত্ব করুন। ফলে আপনি প্রফেসর ছাত্র নিবে কিনা জানতে পারবেন। যদি ছাত্র নিবে এমন কিছু আভাস পান তাহলে প্রফেসরকে ই-মেইল করুন।
২. ই-মেইল করবেন খুব সংক্ষেপে। ১-২ লাইনে আপনার পরিচয়। ২-৩ লাইনে গবেষণার আগ্রহ প্রকাশ। এর পর নিজের গবেষণা থাকলে ১-২ লাইনে তুলে ধরবেন। এর পর ১ লাইনে আপনার মোটিভেশন। তারপর সিভি সংযুক্ত করে পাঠিয়ে দিন।
৩. ই-মেইলের পুরো লেখা টাইপ করে লিখবেন। copy-paste করবেন না। তাতে বাক্য গঠন ভুল থাকলেও সমস্যা নাই। একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে যে, প্রফেসররা copy-paste পছন্দ করে না এবং লম্বা ই-মেইল পড়ার সময় নাই।
৪. যদি সম্ভব হয় আপনার ইন্সটিটিউট মেইল থেকে ই-মেইল দিবেন। জিমেইল বা অন্য কোনো মেইল থেকে দিলে অনেক সময় প্রফেসরের মেইলে সেটা স্পাম মেইলে চলে যায়। ফলে প্রফেসের মেইলটি আর চেক করে না। যাদের ইন্সটিটিউট ইমেইল নাই তাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো যে মেইল থেকে ই-মেইল করবেন সেটা যেন প্রফেশনাল মেইল হয়। মানে আপনার মেইলটা যেন কোনোভাবে স্পামে না যায়।
এই ব্যাপারটা নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে। তার জন্য সঠিক ই-মেইল ব্যবহারের নিয়ম গুগল থেকে জেনে নিবেন।
৫. মেইলে আপনি অনেক জ্ঞানী সেটা প্রকাশ করবেন না। প্রকাশ করবেন আপনি অনেক বেশী পরিশ্রমী।
৬. ই-মেইল এর রিপ্লাই ১-২ মাসের মধ্যে না পেলে একই ই-মেইলে ভদ্রতার সহিত রিমাইন্ডার মেইল দিবেন।
৭. সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আপনার গবেষণার সাথে প্রফেসরের গবেষণা সামঞ্জস্য আছে কিনা। সামঞ্জস্য আছে এমন প্রফেসরকে ই-মেইল করবেন।
৮. linkedin, twitter ব্যবহার করুন। সেখানে আপনি প্রফেসরদের কানেক্ট করার চেষ্টা করবেন ফলে আপনিও কোনো সার্কুলার দিলে পেয়ে যাবেন। মাথায় রাখবেন আমেরিকা, ইউরোপের শিক্ষকরা linkedin, twitter বেশি ব্যবহার করে।
৯. প্রফেসরের গ্রুপের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। কোন বিষয়ে বেশি আগ্রহী সেটা বুঝার চেষ্টা করবেন।
আশুতোষ নাথ
গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট (রসায়ন)
ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস বোস্টন