এইচএসসি তে গোল্ডেন পেলাম না।যদিও ফাইভ ছিল কিন্তু পয়েন্ট কমের কারণে বুয়েটে এক্সাম দিতে না পারার সম্ভাবনা ছিল শতভাগ।
বুয়েটের জন্য কোচিং করছিলাম কিন্তু বুয়েটেই এক্সাম দিতে পারবনা।আশেপাশের লোকদের কথায় জীবনের অবস্থা কাহিল। তবুও আশা ছিল যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করছিলাম তাই ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া যেতে পারে।তাই ভার্সিটির জন্য পড়া শুরু করলাম।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সাম খুব বেশি ভাল হয়নি।
তবুও আশা ছিল।পরেরদিন জগন্নাথে পরীক্ষা ছিল।মনোবল আগের মত ছিল না।পরীক্ষা মোটামুটি হয়েছিল।পরেরদিন জাবির এ ইউনিটে পরীক্ষা ছিল।খুবই খারাপ হলো পরীক্ষা।পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ কমে গিয়েছিল আগেই।জাবির এ এর পরীক্ষার পর আর আগ্রহই থাকলনা।
আমার আপু আমাকে অনেক বুঝিয়ে বহুত কষ্টে রাজি করালো এইচ ইউনিটে এক্সাম দিতে।মন খারাপ করেই এক্সাম দিলাম।এইচ ইউনিটের পরীক্ষা ভালই হলো।পরের দিন জাবির এ তে রেজাল্ট দিল,হয়নি।মন মানসিকতার অবস্থা বলার মত ছিলনা।পরে এইচ এর রেজাল্ট দিল।
পজিশন ১৩০।কিন্তু সিট যে মাত্র ২৮!তবুও আশা জাগল।ডি ইউনিটে দিতে গেলাম।পরীক্ষা ভাল হলোনা।হল থেকে বের হয়ে দেখি আপু আমার রেজাল্ট চেক করার চেষ্টা করছে।ঢাবির রেজাল্ট দিয়েছে। কাপা কাপা হাতে লগ ইন বাটনে ক্লিক করলাম।দেখি উত্তীর্ণ… পজিশন ১৬০৭!পাশে থাকা ভার্সিটির এক পরিচিতি ভাইকে জড়িয়ে ধরলাম।
মনটা খুশিতে ভরে গেল।অতঃপর আমি বুয়েটে এক্সাম দিতে পেরেছিলাম কিন্তু হয়নি।রুয়েট কুয়েটের প্রতি আগ্রহ ছিলনা।তাই এক্সাম দেয়নি।মেডিকেলে এক্সামের দিন অনেকটা সখ করে এক্সাম দিতে গিয়েছিলাম।কারণ ঢাবিতে হওয়াতে মন অনেকটা হালকা ছিল।
আর এক্সাম দেয়নি।আমার ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল..
ঢাবি এ-১৬০৭
জাবি এ-হয় নাই
জাবি এইচ-১৩০
জাবি ডি-৬৫১
জবি এ-১২০
বুয়েট -হয়নাই
মেডিকেল -৩৯৫৭(নেত্রকোনা সরকারি মেডিকেল কলেজ)
S M Kamrul Hasan