প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবসৃষ্ট বির্পযয় মোকাবেলার শিক্ষায় সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানব হিতৈষী পেশাজীবী গড়ে তোলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ, পবিপ্রবি ত্রশিয়ার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বহুমুখী পাঠ্য বিষয় সম্বলিত ( Multidisciplinary) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি প্রদানের উদ্দেশ্যে বি.এস.সি ইন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (স্নাতক) কোর্সে ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে শুরু করে।

২৩ আগষ্ট ২০১১ খ্রি. তারিখ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশন ত্রর অনুমোদনক্রমে ” দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা” অনুষদ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন লাভ করে।

একটি নবীন ও বহুমুখী পাঠ্য বিষয় সম্বলিত ( Multidisciplinary) সম্ভাবনাময় অনুষদ হিসেবে CDMP ও HEQEP, UGC এর Academic Innovation Fund ত্রর সহায়তায় আন্তজার্তিক মানের অত্যাধুনিক সুযোগ -সুবিধা বিশিষ্ট ক্লাস রুম, নিজস্ব লাইব্রেরি, ও বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি সম্বলিত গবেষণাগারে একদল নিবেদিত প্রাণ উদ্যমী শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে এ অনুষদ হতে ৭ টি ব্যাচে ২৭৫ জন শিক্ষার্থী অর্নাস ডিগ্রী ত্রবং ১১০ জন শিক্ষার্থী মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

বর্তমানে এ সকল গ্রাজুয়েটদের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে, বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রণালয়, উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা কার্যালয়, আন্তজার্তিক সংস্থা ও সংগঠন এবং UN মিশন সহ বিশ্বের আরও অন্যান্য সেবাধর্মী দুর্যোগ প্রতিরোধী ও মানবহিতৈষী প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের জন্য অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অদ্য অনুষদে সর্বমোট ৫ টি বিভাগ বিদ্যমান এবং ২৫ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।

বিভাগ সমূহ হচ্ছে

১. ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং
২. ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
৩. ইর্মাজেন্সি ম্যানেজমেন্ট
৪. এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স
৫. জিও ইরফরমেশন সাইন্স ত্রন্ড আর্থ অবজারভেশন

শুরুতেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে কিছু বলা যাক।

সিডর আর আয়লার মত ঘূর্ণিঝড়ে ধরাশায়ী প্রিয় মাতৃভূমিকে ভবিষ্যত আতংক থেকে বাঁচানোর জন্য এই সাবজেক্ট চালু হয়। তাছাড়া এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে।

এ বিষয়ে পড়ালেখা শেষে সরকারের

পরিবেশ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়,
ফায়ার সার্ভিস,
এলজিইডি,
ভূমি অধিদফতর,
পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ইত্যাদিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সুযোগ থাকছে বিভিন্ন

ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন

এনজিও,
ডোনার এজেন্সি,
একাডেমিক ও রিসোর্স ইন্সটিটিউটসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে-
সেভ দ্যা চিলড্রেন,
কেয়ার বাংলাদেশ,
অ্যাকশন এইড,
ইউএনডিপি,
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা,
বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি।

এছাড়াও
ডিজাস্টার,
সাইক্লোন_শেল্টার_ডিজাইন,
রেসিস্টেন্ট বিল্ডিং তৈরি,
দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ত্রাণ ও সাহায্য ব্যবস্থাপনা,
টিমওয়ার্ক বিল্ডিং

সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। বেতনের কথা বলতে গেলে এ পেশার শুরুতেই ভালো বেতন ধরা হয়। অার সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভেদে অভিজ্ঞতা ও পদোন্নতীর ভিত্তিতে সম্মানী আরও বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, এনজিও, ডোনার এজেন্সি, একাডেমিক ও রিসোর্স ইন্সটিটিউটসহ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও চাকরির শুরুতেই স্মার্ট বেতন দিয়ে থাকে।

এবার আসি এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের ক্ষেত্রে,

দিনে দিনে বাপক হারে চাহিদা বাড়ছে পরিবেশবিদের।দেশীয় চাকুরী বাজার থেকে শুরু করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা ও চাকুরী বাজার পর্যন্ত পরিবেশ বিজ্ঞান/প্রযুক্তি/প্রকৌশলীদের(Environmental Science/Technology/Engineering) অপার সম্ভবনারদ্বার খুলে যাচ্ছে।

সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে নানান প্রকল্প ও গবেষণা খাদ সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশকে কেন্দ্র করে। কিন্তু অনেকে জানেই না উচ্চ শিক্ষায় পরিবেশ বিজ্ঞান বলে একটা বিভাগ আছে।

বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পরিবেশ বিজ্ঞান নামক বিভাগ খোলা হয়। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ঢাবি, শাবিপ্রবি(সাষ্ট), যবিপ্রবি(যাষ্ট), বশেমুরবিপ্রবি এ Environmental Science এর যাত্রা শুরু হয়।

এখন দেশের অনেক নামি দামি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খুলছে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয় টি। সুতরাং একটু ভাল ফলাফল করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার সুযোগ পাওয়া অবাক কিছু নয়।

পরিবেশবিদের প্রধান কাজ হইল পরিবেশের সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করা, দূষণ রোধ করা,পরিবেশ কে দূষণের হাত থেকে রক্ষাকরা।প্রতিটা ইন্ডাস্ট্রিতে দূষিত ডাস্ট নির্গত হয়। আর এখানে পরিবেশবিদ দের ফলিত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে দূষণের থেকে পরিবেশ কে রক্ষা করতে হয়। তাই তৈরি করতে হয় নানা ধরনের পরিবেশ বান্ধব মডেল।

সৌর বিদ্যুৎ মডেল,
পারমানবিক বিদ্যুৎ মডেল, কিংবা
বায়োগ্যাস প্লান্ট মডেলিং,
ওয়াটার ফিল্টার মডেল,রিসাইকেলিং মডেল ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে হয় একজন পরিবেশবিদকে।
আবহাওয়া তথ্য প্রযুক্তি,
মহাকাশ নিয়ে গবেষণা, কিংবা
কৃষিক্ষেত্রে ও কাজের সুযোগ আছে একজন পরিবেশবিদ এর।

বর্তমানে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগের ভিত্তিতে তে তৃতীয় স্থানে আছে Environment related subject গুলি। Commonwealth অধিভূক্ত বেশিরভাগ নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই সাবজেক্টের scholarship ও আছে ব্যাপক ।

বুয়েট চুয়েটেও আছে স্নাতকত্তর পড়ার সুযোগ। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক মাল্টিন্যাশনাল এনজিও তে রয়েছে চাকুরির সেক্টর।

সর্বোপরি, একটা কথাই বলতে চাই আসলে পড়াশুনা নিজের কাছে।

যদি তুমি জানো, যদি তুমি পারো, যদি তুমি বোঝো তবে বিশ্ববিদ্যালয়ও বড় ফ্যাক্ট হয় না। চাকরি ব্যাপারটা এরকম তুৃমি দিনশেষে যদি প্রমান করো তুমি যোগ্য তবে চাকরি তোমাকে খুঁজে নিবে।

ফ্যাকাল্টি ওয়েবসাইট

আরো পড়ুনঃ Department of Geography & Environmental Studies, University of Chittagong.

Soil, Water and Environment, DU

Environmental Science & Engineering (ESE) BUTex

Forestry and Environmental Science (FES)- SUST

Department of Forestry And Environmental Science – CU

PSTU Full Review

Information By: Jobaer Mahmud Toyon

ESDM 12, PSTU