সাবজেক্ট রিভিউ :
#মেরিন_সায়েন্স
#ফিশারিজ
#ওশানোগ্রাফী
.
#অনুষদ : ফ্যাকাল্টি অফ মেরিন সায়েন্সেস এন্ড
ফিশারিজ
.
১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম নেয় ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজী এন্ড ওশানোগ্রাফী। সেই থেকে এই ইন্সটিটিউটের পথচলা। যা পরবর্তীতে ইন্সটিটিউট অফ মেরিন সাইন্সেস এন্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়।
.
এই ইন্সটিটিউটের অধীনে তিনটি ডিসিপ্লিন আছে:
(১) মেরিন সাইন্স : এটি মেরিন সায়েন্স। অনেকে একে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ভেবে ভুল করেন।সামুদ্রিক প্রাণীসম্পদ নিয়ে পড়ালেখা।
.
(২) ফিশারিজ : শুধু মাছ নিয়ে নয়, জলভাগের সব খুটিনাটি বিষয় বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে আলোকপাত করা হয়।
.
(৩) ওশানোগ্রাফি : আমাদের দেশে হাতে গোনা অল্প সংখ্যক জায়গায় আধুনিক বিশ্বের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ আছে।
.
গত ২৫ শে মে ২০১৭ ইং তারিখে একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এই ইন্সটিটিউটকে ফ্যাকাল্টিতে এবং তিনটি ব্রাঞ্চকে আলাদা তিনটি ডিপার্টমেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
.
#পড়াশোনা_ধরণ :
পড়াশোনার মান যথেষ্ট ভালো। এই অনুষদে রয়েছে দেশে বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন বেশ কিছু শিক্ষক। পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বই নেই। ক্লাস লেকচার, বিশাল সেমিনার, ইন্টারনেট সব মিলিয়েই পড়াশোনা​। বছরে একবার করে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ট্যুরে নিয়ে সাবজেক্ট কোর্স রিলেটেড পড়াশোনা হয়। এছাড়াও বছরে কয়েকবার ছোট খাটো স্থানীয় ট্যুর তো আছেই।
.
#ল্যাব_ফ্যাসিলিটি:
দুটি মাত্র ল্যাব নিয়ে এই অনুষদে ল্যাবের কাজ গুলো হয়। পূর্বে শুধুমাত্র মেরিন সাইন্স ছিল বলে কোনো সমস্যা হতো না। ২০১১ সালে ওশানোগ্রাফি এবং ২০১২ সালে ফিশারিজ নামক আলাদা দুটি বিভাগ নতুন খোলার কারণে এখন কিছুটা সমস্যা হয়। টোটাল ৫ টি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে মাল্টিমিডিয়া সহ। ইন্সটিটিউটে রয়েছে নিজস্ব শীততাপ নিয়ন্ত্রিত লাইব্রেরী, যেখানে বিভাগীয় অসংখ্য বই এবং জার্নাল রয়েছে!
.
তবে ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই। শীঘ্রই বিশাল জায়গা জুড়ে নতুন ভবনের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে যেটা হবে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা সম্পন্ন ভবন।
.
#রেজাল্ট:
এখানকার রেজাল্ট বরাবরই ভালো। প্রতিবছর বেশিরভাগ রেজাল্ট ৩.৫ এর উপর থাকে। সর্বোচ্চ ৩.৯ পর্যন্তও হয়।
.
#সেশনজট :
অন্যন্য ডিপার্টমেন্টের মতো এখানেও রয়েছে সেশনজটের কালো ছায়া! প্রায় দেড় বছরের মতো সেশনজট রয়েছে! যা কমানোর কাজ চলছে। আশা করা যায় একদিন কোনো জট থাকবে না।
.
#জব_সেক্টর :
৩টি বিভাগেরই জব সেক্টর প্রায় একই। এগুলো হল :
(১) Biogeochemistry and ecosystem dynamics
(২) Coastal processes
(৩) Geology and geophysics
(৪) Hydrographic surveying
(৫) Modelling and forecasting
(৬) Paleooceanography
(৭) Fisheries officers
(৮) NGOs
(৯) Hatchery management
(১০) BORI
.
কক্সবাজারে নির্মাণাধীন আছে সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট যেখানে অনেক চাকরিক্ষেত্র সৃষ্টি হবে নিশ্চিতভাবে।
.
এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা মূলক প্রজেক্টে মেরিন সায়েন্টিস্ট হিসেবে যোগদান করা যাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। আর বিভিন্ন পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার সুযোগ তো আছেই।
.
ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিসিএস এ রয়েছে টেকনিক্যাল ক্যাডার এর সুবিধা।
.
তাছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ফরেইন স্কলারশিপ এর বেশ ভালো সুবিধাই আছে এই ডিসিপ্লিন গুলোর।
.
জানার কোনো শেষ নেই! আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের​ মতে সাগরের শুধুমাত্র ৫% সম্পর্কে আমরা জানি। প্রতিদিন নিত্যনতুন তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে সাগর নিয়ে। তাই ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে গবেষনার অপার সম্ভাবনা। শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য নয়, জানার জন্য অনেক বিষয় আছে। সাগরের গভীরে লুকিয়ে আছে অনেক সম্ভাবনা!
.
সেসব সম্ভাবনাময় জ্ঞানের জগতে স্বাগতম।
.
.
লিখেছেন : সাজিয়া আফরিন নিশি
ফিশারিজ বিভাগ (চবি), ২০১৪-১৫ সেশন।