আমাদের পরবর্তী শতাব্দীতে পৃথিবীর প্রথম মাথা ব্যথার কারণ হবে শক্তি। যারা শক্তি উতপাদনে Revolution আনতে পারবে তারাই প্রভাব বিস্তার করতে পারবে World Economy তে ।

শক্তির নবীন তম ইফেক্টিভ উতস হচ্ছে পারমাণবিক শক্তি।
There is a Big bUt এই পারমানবিক শক্তির জন্য যে ধরণের ইউরেনিয়াম প্রয়োজন তাও কিন্তু পৃথিবীতে Limited.

তো আমাদের নজর দিতে হবে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে, মানে যা আমরা প্রকৃতি থেকে পাবো আর যায় কোনো শেষ হবার সম্ভবনা কাছাকাছি সময়ে নেই।

যেমন সূর্য!

এখন কথা হল এই শক্তি কত টুকু ইফেক্টিভ!
আমি আমার শক্তি নিয়ে একটি লেখায় বলেছিলাম শুধু ওয়াশিংটন শহর কে বিদুৎ দিতে গেলে সোলার প্যানেল বসাতে হবে পুড়ো অস্ট্রেলীয় মহাসাগর এর উপর! বোঝাই যাচ্ছে এটা সমাধান না।

তবে কি করতে পারি আমরা!

ফরাসিতে একটি প্রবাদ আছে তুমি যতটা সামনে এগো তে চাইবে,প্রথমে তোমাকে ঠিক তত টা পেছনে যেতে হবে!

আমাদের শক্তির চাহিদা পূর্ণ করতে পারে কিন্তু আমাদের পৃথিবীই। কিন্তু কিভাবে??

পৃথিবীর গঠন থেকে আমরা জানি আমরা লাভার সাগর এ ভাসছি। এই লাভা থেকে যদি আমরা কোনো শক্তি উতপাদন করতে পারি তবেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হতে পারে।

এখন উন্নত দেশ গুলোর কয়েকটিতে আগ্নেয়গিরি থেকে লাভার তাপ থেকে শক্তি উতপাদন করছে। যেমন Iceland. তবে তা খুব সীমিত পরিমানে। আর এর শক্তি উৎস কে বলা হয় “The Geothermal Energy” কিন্তু সব আগ্নেয়গিরি থেকে কিন্তু শক্তি উতপাদন ও সম্ভব না।

কারণ হচ্ছে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির আশেপাশে কিন্তু পাওয়ার প্লান্ট বানানো টা বোকামি।

এজন্য খুঁজতে হয় খুব রিসেন্ট সুপ্ত অবস্থায় গেছে এমন আগ্নেয়গিরি।

এখন সব দেশে তো আগ্নেয়গিরি নেই তবে তারা কি করবে!!

এখানেই আমার চিন্তা,
যদি আমরা কোনোভাবে কৃত্রিম ভাবে লাভা বের করে আনতে পারি বা লাভার থেকে তাপশক্তি নিয়ে নিতে পারি তবেই কিন্তু সমাধান হচ্ছে।

শুনতে হাস্যকর হলেও এটা কিন্তু সমাধান হতেই পারে। ধরুন বাংলাদেশ বংগপসাগর এমন একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানো যেতে পারে লোকালয় থেকে দূরে।

The Geothermal Energy

The Geothermal Energy

এখন আসি সীমাবদ্ধতায়

১. পৃথিবীর Upper surface i mean “crust” মানে যার উপর আমরা বসবাস করি তার গভীরতা ৮-৪০ কি:মি:!এর নিচেই রয়েছে উত্তপ্ত লাভা।মানে গলিত পাথর।

মানুষ এখন পর্যন্ত মানুষ অতো গভীর ভাবে খনন করতে পারে নি। মানুষ সর্বচ্চো খনন করেছে প্রায় ১২ কি:মি:[12,262 metres (40,230 ft)] রাশিয়ার কয়লা খনি The Kola Superdeep Borehole যেটি Kola peninsula রাশিয়া তে অবস্থিত,

কিন্তু এর পর কয়লা খনির ইঞ্জিনিয়ার রা খনন কাজ বন্ধো করতে বাধ্য হয় অতিরিক্ত গরম এর জন্য। কারণ ওই গরমে তাদের মেশিন গুলো কাজ করা বন্ধো করে দিয়েছিল।

২.অত্যাধিক ব্যয়বহুল! এ ধরণের খনন কাজ করতে একদম নতুন ধরনের ইকুইপমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।

৩.উপরে যে খনিটির কথা বলেছিলাম সেটি খনন কাজে সময় লেগেছি প্রায় ২০ বছর । যদিও খনিটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কয়লা উত্তলোন।

৪.প্রকৃতি নিজেই, লাভা এতো চাপে আছে যে একবার যদি অবাধ্য হয়ে যায় তবে পরিনিতি হতেই পারে একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এতো চাপ আর তাপ যে ভূমিকম্প ঘটিয়ে মূহুর্তে যেকোনো ছোট দেশ বাংলাদেশ এর মত দেশকে শেষ করে দিতে পারে।

কিন্তু যদি এমন পাওয়ার প্লান্ট বানানো সম্ভব হয় তবে কিন্তু একটা পাওয়ার প্লান্ট ই শক্তি যোগাতে পারবে পুরো বাংলাদেশ এর।

আমি জানি সীমাবদ্ধতা অনেক, আর খুব কঠিন কঠিন তবুও সম্ভবনা কিন্তু প্রচুর ।

যদিও হাস্যকর শোনাচ্ছে এই বড় বড় সীমাবদ্ধ থাকায় , তবুও হতেই পারে এটা আগামীকাল এর সমাধান ☺।

©AbhiIDT