বিজ্ঞান শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ১৯৫৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এটি এবং ঢাকার মধ্যে ২য় সেরা সরকারি কলেজ।কলেজটি ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেটে অবস্থিত।

সরকারি বিজ্ঞান কলেজ

সরকারি বিজ্ঞান কলেজ

ক্যাম্পাস🏘:
প্রায় ০৯ একর আয়তনের বিশাল ক্যাম্পাসের এই কলেজটি অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। ব্যস্ততম ঢাকার কোলাহল নেই সবিকের ক্যাম্পাসে। একতলা টিনশেড ভবনের সুপরিসর একাডেমিক ভবনে ক্লাস করলে সত্যিকার অর্থেই শরীরে আলাদা ভাব আসে। হয়ত ভাবছ টিনশেড ভবন, কি কদাকার নিশ্চয়! 🤧🤧🤧

কিন্তু ইট-পাথরের যান্ত্রিক ঢাকা শহরে এই টিনশেড(স্মার্ট সিলিং সমৃদ্ধ😋) বিল্ডিংয়ে আলাদা প্রাণ পাবে কথা দিচ্ছি, আর একতলা হওয়ায় ভবনের পরিসর একটু চিন্তা করে নাও। কলেজের নিজস্ব একটি মসজিদ রয়েছে।

খেলাধুলা এবং শরীরচর্চার জন্য রয়েছে বিশাল মাঠ (হয়ত পড়াশোনার চাপে খেলার সময় তেমন পাবা না কিন্তু গর্ব করার মত কিছু বটে)।

ঢাকার মধ্যে এমন ক্যাম্পাস পাওয়া অসম্ভব। কলেজের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। লাইব্রেরির সংগ্রহে প্রায় ৬০০০ এর অধিক বই রয়েছে এবং প্রতি বছর প্রচুর বই সংযোজন করা হয়।ফার্স্ট ইয়ার হয়ত তোমাদের নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসা-যাওয়া করতে করতেই কেটে যাবে।

কলেজের রয়েছে একটি সুবিশাল অডিটোরিয়াম। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কলেজে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়া হয়।শিক্ষার্থীদের আইসিটি বিষয়ে পারদর্শী করার জন্য রয়েছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল কম্পিউটার ল্যাব। কলেজে একটি ক্যান্টিন রয়েছে।

আবাসন ব্যবস্থা🏠:

দেশের বিভিন্ন জেলা হতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে হল সুবিধা। কলেজের দুটি হল রয়েছে যেগুলোতে সিট সংখ্যা ৩০০। হলের পরিবেশ অত্যন্ত চমৎকার এবং সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত।হলের খাবার মান এবং পড়ালেখার পরিবেশ অত্যন্ত ভালো।

সার্বক্ষণিক শিক্ষক দ্বারা হল মনিটরিং করা হয়। হলের ব্যাপারে বড় ভাইদের আস্ক করতে পারো এবং তোমাদের মধ্যে যারা সত্যিকার অর্থেই আবাসন সমস্যায় পড়বে তারা হলে সিটের আশা করতে পারো।

কো- কারিকুলার এক্টিভিটিজ🏋:
সুশিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক মৃল্যবোধ বিকাশ এবং নেতৃত্বের গুণাবলি প্রস্ফুটিত করার লক্ষ্যে কলেজে বিভিন্ন ক্লাবের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বিতর্ক ক্লাব🙅
সাইন্স ক্লাব🔬
আইসিটি ক্লাব🖲
কালচারাল ক্লাব💃
স্পোর্টস ক্লাব🏏
ফটোগ্রাফি ক্লাব📷
কুইজ ক্লাব📃
ক্লাবগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আয়োজন করে।
তাছাড়া ও কলেজের স্কাউট এবং বিএনসিসির কার্যক্রম রয়েছে।

পরিবহন ব্যাবস্থা🚓:

দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য কলেজে স্পন্দন-১ এবং স্পন্দন-২ নামে দুটি বাস🚌 রয়েছে। ঢাকার অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে থেকেও কলেজে উপস্থিতি নিশ্চত করা যাবে।

ভর্তি📋:
কলেজে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়।নূন্যতম যোগ্যতা GPA-5
মার্কসের ক্ষেত্রে(১১৩০-১১৫০)
তবে এটা প্রতিবছর ভেরি করে।

শিক্ষক🕵:
কলেজের শিক্ষকরা অত্যন্ত ছাত্রবান্ধব এবং হেল্পফুল।শিক্ষকরা পাঠদানে অত্যন্ত দক্ষ, বিনয়ী,উদার এবং মিষ্টভাষী।আন্তরিকতার­ অভাব পাবে না নিশ্চিত । আমাদের অধ্যক্ষ জনাব বনমালী মোহন ভট্টাচার্য স্যারের ব্যবহার সত্যিই অভিভাবকোচিত।

ভিপি ম্যামের একাডেমিক উন্নয়নের যা আন্তরিকতা👌👌! এসব গুনাগুন বড় ভাইদের জিজ্ঞাসা করলে সত্যতা পাবে আর সব শিক্ষক বিসিএস ক্যাডার।

ফলাফল📈:
কলেজের রেজাল্ট অত্যন্ত ভালো।গতবছর ৪৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ -৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিবছর বুয়েট সহ মেডিকেল ও ঢাবিতে আমাদের বিজ্ঞানের ছেলেদের ছড়াছড়ি রয়েছে। তাছাড়া প্রতিবছর প্রায় সব শিক্ষার্থী পাবলিকে চান্স পেয়ে থাকে।

খরচ💰ঃ
খরচ বলতে সরকারি কলেজ হিসেবে তেমন খরচ নেই। দু বছরে পড়াশোনা করতে একাডেমিক চার্জ ১০হাজার টাকার বেশি লাগবে না(ভর্তি ফি সহ যা যা আছে সব মিলিয়ে)। সুতরাং এ নিয়ে তোমাদের টেনশনের কোন প্রয়োজন নেয়।

শুধু থাকাটা নিয়ে ভাবলেই হবে। আর হলে সিট পেলে মোটামুটি সস্তাতেই ঢাকা থাকতে পারবা(ঢাকা দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর)।

সবশেষে তোমরা ছোটভাইদের প্রতি এটা বলতে পারি যে, ইন্টারমিডিয়েট পড়াশোনা বেশিরভাগ নিজেই করতে হবে। কিন্তু সঠিক গাইডলাইন পেতে তুমি যদি সীমিত ব্যয়ে একটি স্বনামধন্য কলেজের খুঁজ করে থাকো তাহলে সরকারি বিজ্ঞান ইজ দ্যা বেস্ট।সরকারি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা সারা দেশের। সুতরাং তাদের সাথে মিশে তুমি মূলত দেশের সাথেই পরিচিত হতে পারবে। আর উপরে ফ্যাসিলিটিস তো বললাম-ই।

সবার জন্য শুভ কামনা রইল।

-সামির খান রনি
-মোহাম্মদ ইকরাম
HSC Candidate-2020

Join For Admission Information