ভাইরে/আপুরে!
ইংলিশ এ ভালো লিখতে পারা কত্ত যে বিশাল কাজে আসে তা আমার ৩০ বছর প্রফেশনাল জীবনে নিজে দেখছি।
Power of Written Expression একটা বিশাল সম্পদ ভাইরে। যারা সারাজীবন তথাকথিত ভালো জায়গায় পইড়া, তথাকথিত ভালো রেজাল্ট করছেন লেকিন ভালো লিখতে শিখেন নাই তারা অনেক পিছাইয়া পইড়া আছেন।
যারা কিছুদিন চাকরী করতেছেন বা বাইরে পড়তে গেছেন তারা ভালোই জানেন ইংলিশ এ ভালো লিখতে জানা কি জরুরি।
তবে ভয়ের কারন নাই কোন! এর জন্য ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কোন দরকার নাই। দরকার নাই হাজার টাকা খরচ কইরা কোন কোর্স করার। চলেন ইংলিশ লিখার রেসিপি দেইখা আসি!
উপকরণ!
১. ভালো ডিকশনারি আর গ্রামার বই! ভাইরে, বেশ কিছুদিন আগে উত্তরার বিডিআর মার্কেটের পুরান বই এর দোকান থিকা একটা গুপ্তধন পাইছি। Oxford Set, নীচে ছবিতে দিলাম।
মাত্র ৪০০ টাকা রাখছে!!! অই ব্যাটা জানেও না কি বিক্রি করলো। নীলক্ষেতেও পাওয়া যাবে।
Dictionary, Grammar আর Quotation বই – Mother of All English Language Reference!
২. বই, বই আর বই। ভাইরে! লিখতে জানতে হইলে শুধু A B C D আর গ্রামার শিখলে কিচ্ছু হবে না। ছোট বেলায় আম্মা আমার শয়তানী থামানোর জন্য গানের মাস্টার রাখছিলো! তাল লয় শিখছিলাম! তার মানে কি আমি অরিজিত সিং হইছি?
(অবশ্য অই মাস্টার ২ মাস টিকছিলো কেবল!)। ভালো লিখতে শিখার জন্য অনেক অনেক অনেক পড়তে হবে। আমি যেইটা করি সেইটা হইলো কোন বই পড়ার সময় কোন ভালো বা ইন্টারেস্টিং expression বা sentence দেখলে মার্কার দিয়া আন্ডারলাইন কইরা রাখি।
আমার বইগুলাই হইয়া যায় ভবিষ্যৎ এর Ready Reference! ঠিক তেমনি কোন গানের লিরিক্স বা মুভির ডায়লগ শুনলে নোট কইরা রাখি। এমনে করতে করতে আপনের নিজের ভিতরেই ভালো expression লিখার আইডিয়া আসবে।
যারা এখনো তেমন কইরা পড়া শুরু করেন নাই তারা এক লাফে অরুন্ধতী রয় ধইরেন না। কমিক্স বা হালকা কিছু দিয়া শুরু করেন, আস্তে আস্তে একটু ভারী বা সিরিয়াস দিকে যান।
৩. নিজের ইচ্ছা। এইটা আপনে নীলক্ষেত বলেন আর আমাজন বলেন, কোথাও কিনতে পারবেন না। কোনো দামেও বিক্রি হবে না। বারাক ওবামা কইলেও এইটা কেউ ডেলিভারি দিবে না। ইচ্ছা আপনের নিজের সম্পদ। ভালো লিখতে পারেন বা না পারেন – সব কিছুই আপনের ইচ্ছার গুন বা দোষ।
রান্না পদ্ধতি!
১. প্রথমেই Basic Grammar টা জাইনা নেন। স্কুলে পরীক্ষার জন্য পড়ছেন Tense/ Parts of Speech! কতটুকুন শিখছেন তা নিজেই জানেন! পারলে Oxford গ্রামার বা ইন্টারনেট থিকা ঝালাই কইরা নেন। Grammar Einstein হইবার দরকার নাই। Just basic grammar!
২. রুটিন কইরা প্রতিমাসে ৪/৫ টা বই শেষ করা চাই। সাথে সাথে ইংলিশ গান লিরিক্স সহ শুনেন। মুভি ডায়লগ খেয়াল করেন। পারলে নোট বই এ লিখা রাখেন।
৫ বছর পর এই নোট বই এর দাম হবে ১ কোটি টাকা। আমি বললাম তো! নিজের বাচ্চার জন্য রাইখা যাইবেন গিফট হিসাবে।
৩. প্রতি একদিন পর পর ১ পাতা অবশ্য অবশ্যই লিখবেন। মজার জিনিশ, নিজের এক্সপেরিয়েন্স, আশে পাশে যা দেখেন লিখবেন। প্লিজ। এক পাতা। হাতে বা কম্পিউটার এ। ফাইল কইরা রাখবেন। ৩ মাসে ৪০/৫০ পাতা।
প্রতি পাতা ৫ মিনিট লাগলে তিন মাসে মাত্র ৫ ঘন্টা। মাত্র এক রাতের ঘুম এর সমান। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ। বছরে ২০ ঘন্টা। ৪ রাত ঘুম এর সমান পুরা এক বছরে। মাত্র। প্লিজ!
এক বছরে নিজের পার্থক্য নিজে দেইখা আনন্দে একটু চোখের পানি না আসলে কি আর বলমু। দেইখেন ভাই। দেইখেন। প্লিজ!
শেষ কথা!
ক্যাডেট কলেজে থাকা অবস্থায় আমার আব্বা মাসে একটা কইরা ইংলিশ চিঠি পাঠাইতে কইতো। লাল কালি দিয়ে correct কইরা আবার ফেরত পাঠাইতো আব্বা।
কত যে লিখাইছে আর correct কইরা পাঠাইছে। আস্তে আস্তে শিখছি। হাল ছাড়ি নাই।
সৃস্টিকর্তার কৃপায় US, UK, Singapore আর South Africa থিকা আমার English novel THE PEACEKEEPER বাইর হইছে।
Amazon এ SHABBIR AHSAN লিখা search করলেই পাইবেন। বিদেশে ৩০ টা ম্যাগাজিন আর দেশে ২/৩ পত্রিকায় রিভিউ বাইর হইছে।
জার্নি টা সহজ ছিলো না। হাল ছাড়ি নাই ভাইরে।
অনেক কষ্ট করছি। এখনো পড়তেছি, শিখতেছি।
এই বুড়া বয়সে আমি পারলে আপনে না ক্যানো? What excuse do you have? HAPPY WRITING!
Writer: Shabbir Ahsan,
Operations Advisor, World Bank,Bangladesh Section,
Former Major, Bangladesh Army.
MBA from IBA,DU,
BSc(eng) in CE, BUET
লেখকের আরো লেখা পড়ুনঃ
- যশোর বোর্ডে প্রথম হওয়ার গল্প – শাব্বির আহসান
- তিন সাবজেক্টে ফেল করেও যশোর বোর্ডে প্রথম- শাব্বির আহসান
- লাইফ লেসন ফ্রম অ্যা ফিফটি ইয়ারস ওল্ড
- হতে চাইলে Harvard’ian
- Ultimate Excel Treasure- Shabbir Ahsan
- How to improve English Writting
- How to write a RESUME
- Failure in Admission test? Then CA, CFA, CMA, MCIPS, FCS, IBA waiting for you
[শাব্বির আহসান। সোশ্যাল একটিভিস্ট।
জন্ম অক্টোবর ১৯৬৮। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বুয়েটে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ-ও করেন ম্যানেজম্যান্ট ও ফিনান্সে। শিক্ষাজীবন শেষে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক এ মেজর অবসর গ্রহণের পূর্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন, অংশগ্রহণ করেছেন প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে (গালফ ওয়্যার, ১৯৯০-১৯৯১)। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন সাফল্যের সাথে কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার মিশনে কাজ করেন।
শাব্বির আহসানের বই ‘দ্য পিসকিপার’ তার এসব অভিজ্ঞতার আলোকেই লেখা। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই বইটি প্রকাশিত হয়। সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর শাব্বির আহসান লেখালেখিতে আগ্রহী হন।
অবশ্য এর পূর্বে কিছুকাল কর্পোরেট জগতেও পদচারণা ছিল তার। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পে কাজ করেছেন পরামর্শক হিসেবে। এসময় তিনি প্রচুর বই পড়তেন। পাশাপাশি অব্যহত রেখেছিলেন দেশ-বিদেশে ভ্রমণ।
বাবা ছিলেন বুয়েটের প্রথম ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় মাস্টার্স। স্ত্রী ফাহিমা রুশদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনােবিজ্ঞানে পড়াশােনা করেছেন আর কন্যা ফাইজা পড়াশােনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই অর্থনীতিতে।
বই পড়তে অত্যন্ত ভালােবাসেন আর ভালােবাসেন দেশে-বিদেশে ঘুরতে। ফেসবুকে লেখালেখি করেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে হাজারো তরুনের মেন্টর। পড়তে, চিন্তা করতে ও লেখালেখি করতে ভালোবাসেন]