গতকাল প্রথম পর্বে আইবিএ কি এবং কেন এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম,তারপরও অনেকেরই আইবিএ নিয়ে ব্যাসিক কিছু প্রশ্ন রয়েই গেছে দেখলাম। তাই সম্মধে ডিটেইলস আলোচনা করার পূর্বে এ পর্বে তোমাদের ব্যাসিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি….

আইবিএ হলো ইন্সটিউট অফ বিজনেস এ্যাডমিন্নট্রেশন বা ব্যাবসায় প্রসাশন ইউনিট যেখানে ব্যাবসায় প্রশাসন সংক্রান্ত উচ্চতর ডিগ্রি দেওয়া হয়।

ভাইয়া আমি তো সায়েন্সের স্টুডেন্ট/আর্টস ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্ট আমি কি আইবিএ পরী ক্ষা দিতে পারবো?? নাকি শুধু ব্যাবসায় প্রশাসনে অধ্যায়নরত ছেলেমেয়েরাই দিতে পারবে??

আইবিএ ব্যাবসায় প্রশাসন ইউনিট হলেও যেকোনো ফ্যাকাল্টি র ছাত্রছাত্রীরাই এমবিএ তে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আবেদনের নুন্যতম যোগ্যতা থাকলেই আপনি আইবিএ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।

আইবিএ পরীক্ষাতে কখন অংশগ্রহণ করতে পারবো?? কি যোগ্যতা প্রয়োজন??

আইবিএ একটি ইন্সটিইট যার অধীনে রয়েছে-

১.বিবিএ(ব্যাচেলর অফ বিজনেস এ্যাডমিন্সট্রেশন)
২.এমবিএ(মাস্টার অফ বিজনেস এ্যাডমিন্সট্রেসন)
এখানে বিবিএ হচ্ছে অনার্স পরীক্ষা যা আপনাকে এইচএসসি পরবর্তী গ ইউনিটের পরীক্ষা র মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে হয়।আর আমি যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছি তা হলো এমবিএ যেটা স্নাতক পযায় শেষে অংশগ্রহণ করতে হয়। মিনিমাম সিজিপিএ রিকোয়ারমেন্ট ২.৫+ যেকোন বিভাগ হতে।

ভাইয়া আমি তো ন্যাশনাল ভার্সিটিতে অমুক সাবজেক্টে পড়ি,আমি তো ডিগ্রি তে পড়ি,আমি তো বিশ্ববিদ্যালয় র নিচের দিককার সাবজেক্টে পড়ি,আমি কি আইবিএ তে অংশগ্রহণ করতে পারবো??

অবশ্যই পারবা,মিনিমাম সিজিপিএ ২.৫+ থাকলেই তুমি অংশগ্রহণ করতে পারবা।আইবিএ তোমার প্রতিষ্ঠান কে জাজ করবে না বরং তোমার কোয়ালিটি কেমন এটাই মেইন ফ্যাক্ট।

সবই বুঝলাম,এই আইবিএ(এমবিএ) কি বাংলাদেশের সব সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রদান করে থাকে??

না ভাই,শুধুমাত্র-
১.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২.জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩.রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
এই মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হতেই আইবিএ তে অধ্যায়ন করা যায়।

আমি তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি,সায়েন্সের ভাল সাবজেক্টে পড়ি,আমি কেন এই ঘোড়ার ডিম আইবিএ তে পড়বো??

যদি এই দাম্ভিকতা মনের মধ্যে পুষে রাখো তাহলে বলবো বোকার স্বর্গে আছো।তুমি কি জানো আইবিএ তে পড়া বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই বুয়েট,কুয়েট,চুয়েট,ঢাবি র সায়েন্সের স্টুডেন্ট?? বর্তমান যুগে ব্যাবসা সংক্রান্ত সম্যক ধারণা না থাকলে বিশ্বের সাথে তাল মেলানো কষ্ট।বাংলাদেশের মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এই ডিগ্রি দেওয়ার কারণে চাকরির পিছনে আপনার ছুটতে হবেনা বরং উচ্চ বেতন সমৃদ্ধ চাকরি তোমার পিছনে ঘুরবে কোনো সন্দেহ নেই।এবার ভেবে দেখো কেন পড়বে আইবিএ তে।

অনেক কথা হলো,এই পর্বে আইবিএ সম্মধে আরেকটু জানাঃ

আইবিএ(এমবিএ) দুই প্রকার।
১.রেগুলার এমবিএ
২.এক্সিকিউটিভ এমবিএ

আইবিএ এমবিএ সাধাররণত বছরে দুবার নেওয়া হয়। জুলাই মাসে একবার(রেগুলার এমবিএ) এবং ডিসেম্বর মাসে(এক্সিকিউটিভ এমবিএ)।
রেগুলার এমবিএ তে সময় লাগে ২ বছরের মত। খরচ ৮৭ হজার+ টাকা,সপ্তাহে ৪ দিন যেখানে ৫ টি সাবজেক্ট নিতে হয় এবং রেগুলার ক্লাস করতে হয়। আর এক্সিকিউটিভ এমবিএ সময় লাগে ৩.৫ বছরের মত, যেখানে সাবজেক্ট নিতে হয় ২-৩ টি এবং বিকালে ক্লাস হয় তবে এক্সিকিউটিভ এমবিএ তে ভর্তি হতে আপনার কমপক্ষে ৩ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং এক্সিকিউটিভ এমবিএ তে খরচের পরিমাণ ও বেশি। রেগুলার এমবিএ তে সিট ৬০টি আর এক্সিকিউটিভ এমবিএ তে ১২০টি।

কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন,কি কি বিষয় কিভাবে পড়বেন,কি কি বই ফলো করা উচিত হবে এবং আইবিএ তে পড়তে পারলে জব Opportunity, কি কি সুবিধা পাবেন এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পরবর্তী পর্বে করবো ইনশা আল্লাহ….
.
আব্দুস সালাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়