আমি বিসিএস ক্যাডার হওয়াকে কখনোই আমার একমাত্র অপশন বানাইনি! হাতে তিনটি অপশন রেখেছিলাম

১) বিসিএস পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে সরকারি চাকুরি করা!

২) সাংবাদিক হওয়া ( আমার মনে হয় দুর্দান্ত কাজ করার সুযোগ সবসময় থাকে এই পেশায়)

এবং

৩) বাবা, মায়ের রেখে যাওয়া ভূ সম্পত্তিতে কাজ করে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা!

নিজের হয়েছে বলে বলছি না, না পাওয়ার বেদনা একজন বিসিএস ক্যাডারেরও অনেক থাকে! দূর থেকে সবাইকে বেশ সুখী মনে হলেও প্রত্যেকেরই কাছের গল্প আলাদা এবং সুখ, দুঃখে পরিপূর্ণ!

এই সমাজ সকলের মাঝে বিসিএস নামে যে হাইপ তুলে দিয়েছে সেটি থেকে বের হবার চেষ্টা করুন! না পাওয়া মানেই শেষ নয় বরং এটি একটি নতুন শুরু!

একটু মেধা আর যোগ্যতার মিশেল ঘটাতে পারলে আপনি সকল বিসিএস ক্যাডারগণের জন্যও বিশেষ কেউ হয়ে উঠতে পারেন! যদি সেটা নাও হয়ে উঠতে পারেন, তাতেই বা কি আসে যায়?

পরিশ্রম করুন, নিজ যোগ্যতায় চলুন, প্রত্যাশার সংকোচন ঘটান, ঋনাত্মক মানুষ এড়িয়ে চলুন আর আত্ম সন্তুষ্টি রাখুন!

অমুক কত সুখী তা না দেখে আপনি নিজে কতটায় সুখী সেটিকে বিবেচনায় নিন, দেখবেন জীবন অনেক রঙিন হয়ে উঠবে! অন্যের কাছে সেরা না হয়ে নিজের কাছে সেরা হয়ে উঠুন।

অন্যের বাহবায় কিইবা আসে যায় যদি আপনি নিজে সুখী না থাকেন? নিজের অহংবোধে আঘাত করার সুযোগ কাছের মানুষকেও দেবেন না!

স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্নের পথে হাঁটুন! স্বপ্ন ভেঙে গেলে, পরের স্বপ্নকে লালন করে এগিয়ে যান, তবুও হাঁটুন তা যেন থেমে না যায়! আপনাকে হাঁটতেই হবে স্বপ্নকে স্পর্শ করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত!

লেখাঃ ইফতেখাইরুল ইসলাম
এডিসি, ওয়ারি জোন
সাবেক শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়