ঢাকার মতিঝিলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সারাদেশে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। আজকে এর কলেজ শাখা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস:

বর্তমানে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ যেখানে অবস্থিত অতীতে সেখানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের এজিবি কলোনীর (তৎকালীন সিজিএস কলোনি) কর্মচারীদের ক্যান্টিন ছিল। ১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ এজিবি কলোনীর কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির উদ্যোগে ঢাকার মতিঝিলে একটি টিনশেড বেড়ার ঘরে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

এরপর ১৯৬৮ সালে জুনিয়র স্কুল এবং ১৯৭২ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ হাই স্কুলে উন্নীত হয়, এখন তা কলেজ (দ্বাদশ শ্রেণি) পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে৷ মতিঝিল ক্যাম্পাসের ১ একর ১৮ শতাংশ জমি ১৯৮০ সালে তত্‍কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ করেন৷

১৯৯০-৯১ শিক্ষা বছরে সরকারের নির্দেশে মতিঝিল ক্যাম্পাসে স্কুল ভবনের পূর্বদিকে ছাত্রীদের জন্য কলেজ শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ ১৯৯০ সালে কলেজ ভবন ও ২০০৪ সালে একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিলে মূল শাখাসহ বনশ্রী এবং মুগদায় আরও দুইটা শাখা আছে। প্রতি বছর বোর্ড পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফল করার পাশাপাশি বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি শাখায় প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে সগৌরবে এগিয়ে চলছে। প্রতিষ্ঠানের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিক্ষাসহপাঠক্রম কার্যক্রমেও এ প্রতিষ্ঠানের সাফল্য বরাবরই উল্লেখযোগ্য।

●প্রতিষ্ঠানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি এখানে তুলে ধরা হলো-

অবস্থান: মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
ধরন: বেসরকারি
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬৫ (১৫ই মার্চ থেকে চালু হয়)
প্রতিষ্ঠান কোড: ১০৮২৭৭
অধ্যক্ষ: ড. শাহান আরা বেগম
শ্রেণী: প্রথম থেকে দ্বাদশ
তালিকাভুক্তি: ১৯৭৩
ক্যাম্পাসের ধরন: শহরে অবস্থিত
অ্যাথলেটিক্স: ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি ইত্যাদি
নীতিবাক্য: হে রব আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর
মাস্কট: বইয়ের সঙ্গে আলোকিত মোমবাতি এবং পাতার ঝাড়
শিক্ষা বোর্ড: ঢাকা
শাখা সংখ্যা: ৩
বার্ষিক ম্যাগাজিন: প্রত্যাশা
সংক্ষিপ্ত নাম: ISC
ফোন: ৯৩৩০১৭৭ (মতিঝিল)
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: idealschoolandcollege.edu.bd

কলেজ বিস্তারিত:

মতিঝিল ক্যাম্পাসে মোট জমির পরিমাণ ১ একর ২৬ শতাংশ (কলেজ ও ইংরেজি মাধ্যম সহ)। প্রতিটি তলার ক্ষেত্রফল প্রায় ২০,০০০ বর্গফুট। কলেজ শাখা ২টি ভবন নিয়ে গঠিত: ৫ তলা বিশিষ্ট কলেজ ভবন ও ১০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন। বর্তমানে কলেজে প্রায় ২৪০০ জন ছাত্রী রয়েছে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন দুইটিতে মোট ১২০ টি কক্ষ রয়েছে।

প্রশাসনিক ভবনে রয়েছে টিচার্স রুম, অধ্যক্ষ রুম, লাইব্রেরী, ক্যাফেটেরিয়া। আর একাডেমিক ভবনের কক্ষগুলোতে ক্লাস চলে। পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আলাদা কোন পরীক্ষা কক্ষ নেই। শ্রেণীকক্ষগুলোতেই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।

কলেজ শাখায় মোট আসন সংখ্যা ১০৪৫। বিজ্ঞান বিভাগে বাংলা ভার্সনে আসন সংখ্যা ৫৮৫, বিজ্ঞান বিভাগ ইংরেজি ভার্সনে আসন সংখ্যা ৮০, মানবিক বিভাগ বাংলা ভার্সনে আসন সংখ্যা ১৯০ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ বাংলা ভার্সনে আসন সংখ্যা ১৯০টি।

এস‌এসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তি হবার সুযোগ পায়।

কলেজের ক্লাস মর্নিং শিফটে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টায় ক্লাস শুরু হয়ে ১২.২০ এ শেষ হয়, তবে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহারিক ক্লাসের সময়ের উপর ভিত্তি করে অধিক সময় (সাধারনত দুপুর ১.৪০ পর্যন্ত) লাগতে পারে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ ও আনুগত্যবোধ জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিদিন ক্লাস শুরুর ১৫ মিনিট পূর্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ শুরুর প্রথমেই পবিত্র কুরআন থেকে আয়াত পাঠ, তারপর জাতীয় সঙ্গীত এবং শপথ বাক্য পাঠ করা হয়। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার।

কলেজের নির্ধারিত পোশাক রয়েছে। সাদা কামিজ, সাদা সালোয়ার, সাদা এপ্রোন (ফুল হাত), সাদা মোজা ও কেডস হল কলেজ নির্ধারিত পোশাক। এপ্রোনে দুটি পকেট দেওয়া থাকে, একটির উপর প্রতিষ্ঠানের লোগো ও সেই সাথে শিক্ষার্থীর বিভাগ লেখা থাকে।

শীতকালীন পোশাক নেভী ব্লু কার্ডিয়ান। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানের লোগো সম্বলিত ব্যাগ। ভর্তির নির্ধারিত দিনই পোশাকের মাপ দিতে হয়। ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে পোশাকসমূহ নির্ধারিত মূল্যে (২০০০-৩০০০ টাকা) কলেজ থেকে সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া প্রতিটি শিক্ষার্থী পরিচয় সম্বলিত আইডি কার্ড ব্যবহার করে থাকে।

বিবাহিত মেয়েরা অত্র কলেজে ভর্তি হতে পারে না। যদি পাঠ-চলাকালীন অবস্থায় কোন ছাত্রীর বিবাহ হয় তবে প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

এস‌এসসি পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্রের মূলকপি ভর্তির সময় জমা দিতে হয়। জমা দেয়ার আগে অবশ্যই ছাত্রীর নিজের নিকট ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্রের ফটোকপি রাখতে হবে।

শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডায়েরি, সিলেবাস ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রদানের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, আচার-আচরণ, দৈনিক রিপোর্ট অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসাবে একাডেমিক ডায়েরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শ্রেণিভিত্তিক বছরের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস বই আকারে প্রদান করা হয়। সিলেবাসে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নের ধরণ, মানবন্টন এবং সমগ্র বছরে পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠানের রুটিনসহ ফলাফল ঘোষণার দিন, তারিখ, সময় নির্দিষ্ট করা থাকে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক প্রতিষ্ঠানের সারা বছরের একাডেমিক কার্যক্রম, বিভিন্ন প্রকার ছুটি, প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক অনুষ্ঠান, জাতীয় অনুষ্ঠান, বাৎসরিক বিভিন্ন পরীক্ষা এবং ফলাফল ঘোষণার তারিখ সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।

সকল সেশনের বেতন ঐ সেশনের প্রথম মাসের ৫, ১৫, ও ২৫ তারিখে পরিশোধ করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদি ছুটির ক্ষেত্রে খোলার তারিখে বেতন প্রদান করতে হয়। ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ অতিরিক্ত কিছু ফি প্রদান করা আবশ্যক। ভর্তি ফি প্রায় ১১০০০/= টাকা, মাসিক বেতন প্রায় ১৮০০-১৯০০ টাকা।

পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষার ফি প্রদান করতে হয় এবং অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে জরিমানা প্রদান করতে হয়। দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দরিদ্র তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে।

কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, কম্পিউটার ল্যাবসহ ৩য় তলায় অডিটোরিয়াম, ২য় তলায় নিজস্ব নামাজের ঘর এবং নিচতলায় খাবারের জন্য ক্যান্টিন রয়েছে।

সুপেয় পানির ব্যবস্থা, সার্বক্ষনিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য ১২০ শঠ থেকে ২৫০ শঠ পর্যন্ত ৫টি জেনারেটর, নিজস্ব সাবস্টেশনসহ সার্বক্ষনিক তদারকির জন্য ডাক্তার ও নার্স নিয়োজিত আছে। কলেজ ভবনের নিচতলায় কলেজের লাইব্রেরীর অবস্থান।

বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ের বই ছাড়াও অন্যান্য সহ শিক্ষামূলক বইয়ের সমন্বয়ে এই লাইব্রেরীতে প্রায় ৩,০০০ বই রয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকিকরণ করার জন্য শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদানসহ ডেসবোর্ডে এন্ট্রি করা হয়।

এছাড়া দশতলা একাডেমিক ভবনে লিফট‌ সুবিধাও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক কোন হল নেই। খেলাধুলার জন্য একটি খেলার মাঠ রয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সৈনিকদের স্মরণে ২০০৯ সালে এ ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি শহীদ মিনার নির্মিত হয়।

শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। মতিঝিল থেকে বেশ কয়েকটি রুটে শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য নিজস্ব বাস রয়েছে। দূরত্ব ভেদে বাস ভাড়া কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

●সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম:

খেলাধুলা:
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিজস্ব ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, কাবাডি ইত্যাদি দল রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিনি হ্যান্ডবল, স্কুল কাবাডি, ভুইয়া ভাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট, ইন্টার স্কুল সিক্স-এ-সাইড, ঢাকা মহানগর স্কুল মাদ্রাসা ফুটবল টুর্নামেন্ট সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা দাবাসহ বিভিন্ন ইনডোর খেলায়ও অংশগ্রহণ করে।

প্রকাশনা:

প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর প্রত্যাশা নামক ম্যাগাজিন প্রকাশ করে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লেখা স্থান পায়।

এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, বোর্ড পরীক্ষাগুলোর ফলাফল, শিক্ষক ও কর্মচারীদের তালিকা এবং বার্ষিক অনুষ্ঠানাদির সচিত্র প্রতিবেদনও অন্তর্ভুক্ত থাকে।

বার্ষিক অনুষ্ঠানাদি :

প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও বার্ষিক বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বই উৎসব, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ প্রভৃতি।

সাংবৎসরিক ভাল ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি গণিত, বাংলা, ইংরেজি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তি, সর্বোচ্চ উপস্থিতি, বাংলা-ইংরেজি সুন্দর হাতের লেখা, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, ছড়া গান, রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত, হামদ, নাত, কেরাত, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, রচনা প্রতিযোগীতা, উত্তম আখলাক ও শ্রেষ্ঠ স্কাউটার ইত্যাদি বিষয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানসমূহ যেমন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ সরকারি নির্দেশ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে উদযাপন করা হয়, প্রয়োজনে অতিরিক্ত নির্দেশনা থাকলে তাও পালন করা হয়।

বি.এন.সি.সি :

১৯৮২ সালে এ প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসি দল গঠিত হয়। এটি বি.এন.সি.সি ৪ রমনা ব্যাটেলিয়ানের আলফা কোম্পানির ২নং প্লাটুন। বাংলাদেশের বেসরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে এখানেই প্রথম বি.এন.সি.সি প্লাটুন খোলা হয়েছে।

২০১৭ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসির একটি ব্যান্ড দল অনুমোদন পায়। প্রতি বছর বিএনসিসির ক্যাডেটবৃন্দকে দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়।

স্কাউট:

বাংলাদেশ স্কাউট, ঢাকা মেট্রোপলিটন এর ২৭নং দল হচ্ছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্কাউট গ্রুপ। এখানে ৩টি কাব দল, ৩টি স্কাউট দল, ২টি গার্ল ইন কাব দল, ২টি গার্ল ইন স্কাউট দল এবং ১টি গার্ল ইন রোভার স্কাউট দল আছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে ৪০ জন বেসিক কোর্স সম্পন্ন এডাল্ট লিডার আছে, তন্মধ্যে ১৫ জন দলের সাথে যুক্ত।

প্রতি বছরই এ প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্কাউট প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড ও শাপলা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে থাকে।

স্কাউটের কার্যক্রমের অংশ হিসাবে দক্ষতা যাচাইয়ে প্রতিবছর জন্য নিয়মিতভাবে প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন তাঁবু বাস অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে ১ দিনের ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্কাউট সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এ প্রতিষ্ঠানের স্কাউটবৃন্দ ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, জাপান, সিঙ্গাপুর, হল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ভুটান, ইউকে, শ্রীলংকা, ইত্যাদি দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জাম্বুরিতে অংশ গ্রহণ করেছে।

রেড ক্রিসেন্ট:

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানের স্কুল ও কলেজ উভয় শাখায়ই রেডক্রিসেন্ট দল চালু হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। প্রতি বছর নতুনভাবে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী সদর দপ্তরের প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য। সকল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবসে অত্র প্রতিষ্ঠানের রেডক্রিসেন্টের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে।

ক্লাবসমূহ:

Ideal Debating Club (IDC)
Ideal Science and Technology Aiming Research Council (ISTARC)
Ideal English Language Club (IELC)
Ideal Association of Informatics and Technology (IAIT)

সর্বশেষে যেটি না বললেই নয়, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর আদর্শের জন্য অনন্য। শিক্ষার্থীদের প্রশংসনীয় সফলতার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের কঠোর নিয়ম নীতি এবং পরম অনুসরণীয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কারনে চিরকাল এর শ্রেষ্ঠত্ব বজায় থাকবে।

এখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে ISCian হতে পারা নিঃসন্দেহে গৌরবের। অনাগত সকল ISCian এর জন্য প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো।

©️সাজিয়া আফরিন মুনিয়া
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এইচএসসি ১৯ ব্যাচ

ভর্তি নিয়ে যেকোনো প্রশ্নের জন্য যোগ দাও আমাদের গ্রুপে