[ পুরোটা পড়ার জন্য বলা হলো। কারন পুরোটা পড়লে আপনাদের মনে ভাইবা + ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে আর কোনো কনফিউশন থাকবে না আশা করি। পোষ্টটি যে কোনো সময় কাজে লাগবে। তাই শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন। ]
**** **** **** **** **** **** **** **** **** **** ****
✳ ✳ ভাইয়া, ভাইবা কবে ??
:
** সব ইউনিটেরি ভাইবা হবে নভেম্বরের ১৮, ১৯, ২০ ও ২২ তারিখ। আর C1 ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা + ভাইবা হবে ১৮ থেকে ২২ তারিখের মধ্যেই। ইউনিট/পজিশন/রোল ভিত্তিক কার, কোনদিন, কোথায়, কয়টার সময় ভাইবা/ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে সেটার বিস্তারিত নোটিশ খুব শিঘ্রই ওয়েবসাইটে দিবে। ওয়েট করুন।
.
.
✳ ✳ যাদের সিরিয়াল এসেছিলো তাদের সবাইকেই ভাইবায় ডাকবে নাকি জাস্ট আসন সংখ্যার ৫ গুন সিরিয়াল পর্যন্ত ডাকবে? আর যদি ৫ গুন ডাকে তাহলে বাকিদের কি ডাকবে না??
:
** খুব বেশিদূর পর্যন্ত ওয়েটিং যাবে না তাই কতৃপক্ষ আপনাদের কথা মাথায় রেখে ৫ গুন (শুধুমাত্র A ইউনিটে ১০ গুন) পর্যন্ত ভাইবায় ডাকবে। বাট তাই বলে যে বাকিদের ডাকবে না তা কিন্তু না। যাদের ডাকবে তাদেরকে নিয়েও যদি সিট ফাকা থাকে তাহলে পুনরায় ৫ গুনের পরের সিরিয়াল দের ডাকবে। বাট এই ৫ গুন দিয়েই আসন ফিল আপ হলে আর ডাকবে না। আর একটা চরম সত্যি কথা হলো A, C (science group), D ও H ইউনিট ব্যতিত অন্যান্য ইউনিটে যারা ৫ গুণের বাইরে আছেন তাদের ডাকার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। কারন B, C, E, F, I ইউনিটে ওদের দিয়েই মানে ৫ গুন দিয়েই সিট ফিল আপ হয়ে যাবে।
.
[ #বিঃদ্রঃ C1 ও G ইউনিটে যেহেতু জাস্ট সিলেক্টেড রোল দিয়েছে সুতরাং C1 & G ইউনিটে সিলেক্টেড সবাইকেই ডাকবে। কোনো ৫ গুন হিসাব করতে হবে না। ]
.
@by মহব্বত হোসেন (জয়)
.
✳ ✳ ৫ গুন বলতে ছেলে মেয়ে মিলে মোট আসনের ৫ গুন নাকি ছেলে মেয়ের আলাদা আলাদা আসনের ৫ গুন??
:
** ছেলে মেয়ের আলাদা আলাদা ৫ গুন। 
যেমন, D ইউনিটে ছেলেদের সিট ১৬০ টি এবং মেয়েদের সিট ১৬০ টি। তার মানে ছেলেদের ৮০০ এবং মেয়েদেরও ৮০০ মেরিট পজিশন পর্যন্ত ডাকবে। 
.
কোন ইউনিটে কতটি আসন সেটা জানলে আপনারা নিজেরাই বুঝে যাবেন কতদূর পর্যন্ত ডাকবে। তো চলুন ইউনিট ভিত্তিক আসন সংখ্যা জেনে নেই।
A ইউনিট : Male 235 , Female 175 (১০ গুন ডাকবে)
B ইউনিট : Male 163 , Female 163
D ইউনিট : Male 160 , Female 160
E ইউনিট : Male 100 , Female 100
F ইউনিট : Male 30 , Female 30
G ইউনিট: Male 25 , Female 25
H ইউনিট: Male 28 , Female 28
I ইউনিট : Male 15, Female 15
.
[ #বিঃদ্রঃ উপরের আসন সংখ্যা দেখে নিজেই বুঝে নিন কতদূর পর্যন্ত ডাকবে। আর C ইউনিটের গ্রুপ ভিত্তিক আপডেট আসন সংখ্যা যেহেতু এবার জানায়নি So ওয়েবসাইটে নোটিস দেয়া পর্যন্ত ওয়েট করুন। তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি শোনেন।
.
C ইউনিটে ইংরেজি বিভাগের জন্য ছেলেদের 175 এবং মেয়েদের 175 পর্যন্ত ডাকতে পারে।
.
C ইউনিটে IR, History, Philosophy, Bangla, Journalism, Archaeology — এই ৬ টা সাবজেক্টে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ছেলেদের 285 পর্যন্ত, মেয়েদের 285 পর্যন্ত ডাকতে পারে।
.
C ইউনিটে IR, History, Philosophy, Bangla, Journalism, Archaeology — এই ৬ টা সাবজেক্টে মানবিক বিভাগের জন্য ছেলেদের 390 পর্যন্ত, মেয়েদের 390 পর্যন্ত ডাকতে পারে।
.
C ইউনিটে IR, History, Philosophy, Bangla, Journalism, Archaeology — এই ৬ টা সাবজেক্টে কমার্স & অন্যান্য বিভাগের জন্য ছেলেদের 140 পর্যন্ত, মেয়েদের 140 পর্যন্ত ডাকতে পারে। ]
✳ ✳ ভাইবায় কি কাউকে বাদ দেয়া হয়? ভাইবায় কি কোনো মার্ক আছে? ভাইবার জন্য কি কোনো পড়াশুনা করতে হবে ?? 
::
** G ইউনিট (IBA) এবং C1 ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাট্যকলা + চারুকলা বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য ইউনিটের মানে A, B, C, D, E, F, H, I ইউনিটের ভাইবায় কোনো মার্ক নাই। যেহেতু মার্ক নাই সেহেতু ভাইবা থেকে বাদ দেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। জাস্ট attend করতে হবে, সিগনাচার মিলাবে যেটা ভর্তি পরীক্ষার সময় দিছিলেন এবং হাতের লেখা মিলাবে যেই ২ লাইন ভর্তি পরীক্ষার সময় লিখতে হয়েছিলো। যারা attend করবে তাদের মধ্য থেকে ভর্তি পরীক্ষার মেরিট অনুযায়ী নতুন একটা মেরিট দিবে।
.
.
✳ ✳ ভাইভায় কি ফরমাল ড্রেস পড়তে হয়??
:
** ভাইয়া এটা চাকরীর ভাইভা না যে ফরমাল ড্রেস পড়তে হবে। যেহেতু ভাইভায় কোনো মার্ক নাই সেহেতু যে কোনো কিছু পড়ে আসতে পারেন। বাট G (IBA) ইউনিটের ভাইভায় যেহেতু ৫ মার্ক আছে সেহেতু জাস্ট G ইউনিটের ভাইভায় ফরমাল ড্রেস পড়ে আসতে হবে।
.
.
✳ ✳ ভাইভায় কি কি সাথে নিয়ে আসতে হবে??
:
** SSC এর মূল সার্টিফিকেট, HSC এর মূল মার্কশীট, অনলাইনে সাবজেক্ট চয়েস দেয়ার প্রিন্ট কপি(not C1) এবং জাবির এডমিট কার্ড অবশ্যই সাথে নিয়ে আসতে হবে। কিছু জমা নিবে না। জাস্ট দেখবে।
এবং সেইসাথে SSC এর মূল সার্টিফিকেট ও HSC এর মূল মার্কশীট এর ১ কপি করে ফটোকপি নিয়ে আসতে হবে।ফটোকপিগুলো ভাইবা বোর্ডের স্যারকে দিয়ে অবশ্যই সত্যায়িত করে নিবেন।
✳ ✳ আমার মেইন কাগজপত্র তো অন্য/অমুক জায়গায় জমা আছে। তাহলে আমি কি ভাইভা দিতে পারবো না??
:
** যাদের মেইন কাগজপত্র অন্য জায়গায় জমা আছে তারা যেই জায়গায় ভর্তি আছেন ওখানকার ভর্তির প্রমানপত্র/ভর্তির ব্যাংক রশিদ নিয়ে আসবেন। প্রমানপত্র বলতে একটা জিনিস প্রমাণ করার জন্য মানে আপনি যে অন্য জায়গায় ভর্তি আছেন সেটা প্রুভ করার মত যত documents আপনার কাছে আছে সব নিয়ে আসবেন। আর যাদের পজিশন খুব কাছাকাছি & জাবিতেই ভর্তি হবেন তারা এখনি মেইন কাগজপত্র তুলে ফেলুন। কারন ৩ ডিসেম্বর থেকেই ১ম মেরিটের ভর্তি সম্পন্নকরনের জন্য মেইন পেপারসগুলো অবশ্যই লাগবে। আর যারা দুরের পজিশনে আছেন মানে জাবিতে হতেও পারে আবার নাও পারে তারা তো রিস্ক নিয়ে মেইন কাগজ তুললে যদি শেষে জাবিতেও না হয় তাহলে ২ কুলই হারাবেন। So, দুরের পজিশনে যারা আছেন তাদের মধ্যে যদি কেউ অন্য জায়গায় ভর্তি থাকেন তবে সেখানে ভর্তির প্রমানপত্র/ব্যাংক রশিদ নিয়ে আসবেন।
✳ ✳ সাবজেক্ট চয়েস কবে & কিভাবে দিতে হয়? এটা কি ঢাবির মত অনলাইনে দিতে হয়??
:
** হুম এবার অনলাইনে দিতে হবে। ভাইবায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের (A ইউনিটে আসন সংখ্যার ১০ গুন, বাকিগুলো ৫ গুণ) অনলাইনে সাবজেক্ট চয়েস দিতে হবে ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে। উল্লেখ্য F, G, H, I ইউনিটের চয়েস দিতে হবে না। চয়েস দেয়া শেষে পূরণকৃত চয়েস ফর্মের প্রিন্ট কপি অবশ্যই ভাইবার দিন সাথে করে নিয়ে আসতে হবে। C1 এর প্রিন্ট কপি লাগবে না। আর চয়েস শুধুমাত্র তারাই দিতে পারবে যাদের ভাইবায় ডাকবে। 
.
[ #বিঃদ্রঃ আফাততো শুধু C1 ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাট্যকলা + চারুকলার জন্য অনলাইনে একটা ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। বাকি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে অনালাইনে চয়েস দিতে হবে।
✳ ✳ ভাইয়া যদি আমার একিদিনে/একি সময়ে ২টা ইউনিটের ভাইভা পরে তাহলে আমি কি করবো??
:
** কোনো প্রার্থীর একাধিক ইউনিট/ইনস্টিটিউটে একই সময়ে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে প্রার্থী ইউনিটে/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে সময় ও তারিখ সমন্বয় করে নিতে পারবে।
 ✳ ভাইয়া আবেদন কবে, কার কাছে করবো??
:
** আবেদন এই মুহুর্ত থেকে থেকে শুরু করে ভাইভার ২দিন আগেই স্ব স্ব ইউনিটের ডিন অফিসে করবা। স্ব স্ব ইউনিটের অফিস মানে নিচের প্রশ্নের উত্তর দেখেন।
.
.
✳ ✳ অমুক ইউনিটের আবেদন কোথায় করবো? অমুক ইউনিটের ভাইভা কোথায় হবে?? 
:
** কোন ইউনিটের ভাইভা কোন ভবনে হবে & কোন ইউনিটের জন্য কোথায় আবেদন দিতে হবে চলুন দেখে নেয়া যাকঃ
** Unit A, H = গাণিতিক ও পরিসংখ্যান ভবন (Math & Statictics Building)
.
** Unit B, F, G = সমাজবিজ্ঞান ভবন (Social Science Building)
.
** Unit C = নতুন কলা ভবন (New Arts Building)
.
** Unit C1 = পুরান কলা ভবন (Old Arts Building)
.
** Unit D = জীববিজ্ঞান অনুষদ (পুরান কলায় অবস্থিত) 
.
** Unit E = Business Studies Building (জীববিজ্ঞান অনুষদের একদম পাশেই)
.
** Unit I = Bangabandhu Institute of Comparative Literature & Culture (জীববিজ্ঞান অনুষদের একদম পাশেই)
.
[ #বিঃদ্রঃ উপরের উল্লেখিত অফিসগুলোতে গেলেই ওরাই বলে দিবে কোথায় কার কাছে আবেদন করতে হবে। আর সেটাও যদি না পারো তাহলে ভাইভার দিন একটু সকালে এসে ঐ ২টা ইউনিটের ডিন অফিসে গিয়ে বললেই ওরাই টাইম ম্যানেজ করে দিবে। আমার একটা ছোট ভাই গতবার একিদিনে ৪টা ইউনিটের ভাইভা দিছে। So, এই বিষয় নিয়ে টেনশন করার দরকার নাই। তদ্রূপ একিদিনে যদি জাহাঙ্গীরনগর & অন্য ভার্সিটিতে ভাইভা/অন্য কাজ থাকে তাহলেও উপরের নিয়ম follow করে আবেদন করবা। 
. ✳ ✳ ভাইয়া ধরুন আমার ভাইভা ৯:৩০-৪:৩০ পর্যন্ত। তো আমি কি দুপুর ১ টার পরে গিয়ে ভাইভা দিতে পারবো??
:
** না এই ভুলটা করতে যাবেন না। একেবারে ভাইভার শুরুর টাইম থেকেই থাকবেন। আসলে ওখানে মেরিট পজিশন অনুযায়ী ডাকবে। So, আপনার যদি পজিশন একটু দুরে হয় তাহলে একটু লেট করে এলেও সমস্যা নাই। But আমি বলবো একদম প্রথম থেকেই সবাই present থাকবেন।
.
.
✳ ✳ ভর্তি হতে কি কি লাগবে? কত টাকা লাগবে??
:
** ভর্তি হতে যা যা লাগবেঃ
.
১) SSC মার্কশীট/গ্রেডশীট, SSC সার্টিফিকেট, HSC মার্কশীট/গ্রেডশীট ও HSC সার্টিফিকেট।
( যদিও এবার HSC এর সার্টিফিকেট চেয়েছে বাট অনেকের কলেজে তো এখনো সার্টিফিকেট আসেনি সুতরাং HSC সার্টিফিকেট না হলেও চলবে )
.
২) ভর্তি বাবদ ১২,০০০ – ১৪,০০০/- টাকা লাগবে। একেক ডিপার্টমেন্ট একেক রকম ভর্তি ফি। 
.
৩) অভিভাবকের মাসিক আয়ের সনদপত্র।
.
[ এটি জাবির মেইন গেইট { ডেইরি গেইট } এর যেকোনো ফটোকপির দোকান থেকেই সংগ্রহ করা যাবে। মূল্য ৫ টাকা। ভাইবা দিতে এসেই এটি সংগ্রহ কইরেন সবাই। ]
.
৪) মেডিকেল সনদপত্র ( জাবি চিকিৎসা কেন্দ্র হতে )
.
[ ভর্তি নিশ্চিতকরণের দিনে অথবা ভাইবার দিনে জাবি মেডিকেল থেকে এটা সংগ্রহ করা যাবে। কোনো মেডিকেল চেক আপ / টেস্ট করবে না। জাস্ট লাইনে দারায় ৫০ টাকা দিয়ে নিতে হবে। এটা সত্যায়িত করার লাগবে না কারন ওরাই সত্যায়িত করে দিবে এটা। ] ]
.
৫) উপরে উল্লিখিত সকল কাগজপত্রের ১ কপি করে সত্যায়িত ফটোকপি।
.
.
✳ ✳ কোটার আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগবে? কিভাবে কি করতে হবে??
:
** মুক্তিযোদ্ধা কোটা (সন্তান + নাতি / নাতনী) , ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও অনগ্রসর সম্প্রদায় এবং দলিত সম্প্রদায় কোটা, খেলোয়াড় কোটা (শুধুমাত্র বিকেএসপি ও জাতীয় দলের খেলোয়াড়) , পোষ্য কোটা ও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। আবেদনের নিয়ম ও কি কি পেপারস লাগবে সেটা ওয়েবসাইটে দেয়া নোটিশে দেখুন। কোটার ভাইবা আলাদাভাবে পরবর্তীতে নেয়া হবে। আর যাদের মেরিটে ডাকবে আবার কোটাও আছে তারা এখন মেরিটের সাথেও ভাইবা দিবেন এবং পরে কোটার ভাইবাও দিবেন।
♦♦♦ এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও তারিখের লিস্ট দিলাম দেখে নিন।
.
★ ইউনিট অফিস কতৃক চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২৭ নভেম্বর। 
.
[ #বিঃদ্রঃ যাদের ভাইবায় ডাকা হবে তাদের মধ্যে যারা আসবে না তাদের বাদ দিয়ে ফাইনাল মেরিট লিস্ট দিবে ২৭ নভেম্বর। এবং সেই লিস্ট থেকেই ভর্তি শুরু হবে। ]
.
.
★ ১ম মেধাতালিকা থেকে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ করতে হবে আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে।
.
[ #বিঃদ্রঃ অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নিয়ম ওয়েবসাইটে দেয়া নোটিশে দেখুন। উল্লেখ্য অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর পূরণকৃত ফর্ম প্রিন্ট করবেন অবশ্যই। ]
.
.
★ অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ভর্তি নিশ্চিতকরণের জন্য নিচের পেপারসগুলো জাবি রেজিস্টার অফিসে জমা দিতে হবে ৩ থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই। পেপারসগুলো হলঃ
1) অনলাইনে সাবজেক্ট চয়েসের পূরণকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
2) SSC ও HSC এর মুল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট {HSC সার্টিফিকেট না হলেও চলবে}।
3) অভিভাবকের আয়ের সনদপত্র।
4) মেডিকেল সনদপত্র ( জাবি চিকিৎসা কেন্দ্র হতে )।
5) উপরে যেগুলো বললাম সবগুলোর ১ কপি করে সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
.
উল্লেখ্য, উল্লিখিত পেপারসগুলো ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা না দিলে কিন্তু ভর্তি বাতিল হবে।
★ ১ম মেধাতালিকা থেকে ভর্তির পর শুন্য আসনের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ ডিসেম্বর।
.
.
★ ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১০ ডিসেম্বর।
.
[ #বিঃদ্রঃ আমাদের জাহাঙ্গীরনগরে কিন্তু অটো মাইগ্রেশন। মানে আপনার সাবজেক্ট চয়েস + আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে অটো মাইগ্রেশন হবে। এর জন্য আপনাকে কিছুই করতে হবে না। যেহেতু অটো মাইগ্রেশন So দেখে শুনে সাবজেক্ট চয়েস দিয়েন। সাবজেক্ট চয়েস নিয়ে বিস্তারিত পোষ্ট এর লিংক সবার নিচে দিছি দেখেন ।
.
.
★ দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ১২ ডিসেম্বর। 
.
★ ২য় মেধাতালিকা থেকে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ করতে হবে আগামী ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর।
.
[ #বিঃদ্রঃ ধরুন A ইউনিটে ছেলেদের ১০০ টি সিট। মানে ১০০০ সিরিয়াল পর্যন্ত ভাইভায় ডাকলো। ধরুন ১০০০ জনের মধ্যে ৩০০ জন ভাইভা দিলো না। যারা দিলোনা তাদের বাদ দিয়ে যারা যারা ভাইভা দিবে তাদের মেরিটের ভিত্তিতে পুনরায় একটা ভাইভা মেরিট দিবে যেটা থেকে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। তো ছেলেদের ১০০ টি সিট মানে ১ম মেধাতালিকায় ভাইভা মেরিটের জাস্ট ১০০ জনকেই সাবজেক্ট দিবে এবং তাদের ভর্তির তারিখ হলো ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। দেখা গেলো, ১০০ জনের মধ্যে ৩০ জন ভর্তি হলো না। মানে ১০১-১৩০ ভাইভার মেরিট পর্যন্ত এই ৩০ জনকে ২য় মেধাতালিকায় সাবজেক্ট দিলো। এই ৩০ জনের ভর্তির তারিখ হচ্ছে আগামী ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর। ]
.
@by মহব্বত হোসেন (জয়)
.
★ ২য় মেধাতালিকা থেকে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ভর্তি নিশ্চিতকরণের জন্য উপরে বলা নিয়ম অনুযায়ী জাবি রেজিস্টার অফিসে উল্লিখিত পেপারসগুলো জমা দিতে হবে ২০ ডিসেম্বরেই।
.
.
★ ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ২য় দফায় মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ ডিসেম্বর। 
.
.
★ আসন শুন্য থাকা সাপেক্ষে ইউনিট অফিস কতৃক ৩য় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। 
.
[ #বিঃদ্রঃ ঐযে একটু আগে উদাহরণ দিয়েছিলাম মনে আছে? বলেছিলাম যে, ১ম মেধাতালিকার যতজন ভর্তি হবে না সেই কয়েকজন হলো ২য় মেধাতালিকা। আবার ২য় মেধাতালিকা থেকে যতজন ভর্তি হবেনা ততজনই হলো ৩য় মেধাতালিকা। So, তখন উদাহরণে লাস্ট ১৩০ ভাইভা মেরিট পর্যন্ত গিয়েছিলো এটা বলেছিলাম। ধরুন, ২য় মেধাতালিকার ৩০ জনের মধ্যে ১০ জন ভর্তি হলো না। মানে ১৩১-১৪০ ভাইভা মেরিট হলো ৩য় মেধাতালিকা। ৩য় মেধা থেকে ভর্তি হবার পরেও যদি সিট ফাঁকা থাকে তাহলে পরে সবাইকে একসাথে আসতে বলবে। সবাইকে বলতে ১৪১ থেকে ১০০০ পর্যন্ত যারা ভাইবা দিয়েছিলো। ১৪১ & ১০০০ কেন বললাম বুঝেছেন? ঐযে উদাহরণ দিচ্ছিলাম যে, ধরুন A ইউনিটে ছেলেদের ১০০ টা সিট। ভাইভায় ডাকলো ১০০০ পর্যন্ত। আর লাস্ট ৩য় মেধাতালিকা কতদূর পর্যন্ত গিয়েছিলো মনে আছে? ১৪০ পর্যন্ত। So, যদি ৩য় মেধা থেকে ভর্তির পরেও যদি সিট ফাঁকা থাকে তাহলে পরবর্তীতে ৩য় মেধাতালিকার পরের জন থেকে শুরু করে ১০ অথবা ৫ গুন পর্যন্ত যতজন ভাইভা দিয়েছিলো তাদের সবাইকে ডাকবে। ]
.
★ ৩য় মেধাতালিকা থেকে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ করতে হবে আগামী ২ ও ৩ জানুয়ারি।
.
.
★ ৩য় মেধাতালিকা থেকে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ভর্তি নিশ্চিতকরণের জন্য উপরে বলা নিয়ম অনুযায়ী জাবি রেজিস্টার অফিসে উল্লিখিত পেপারসগুলো জমা দিতে হবে ৬ জানুয়ারিতেই।
.
.
★ ৩য় মেধা থেকে ভর্তি হবার পরেও যদি সিট ফাঁকা থাকে তাহলে ৭ জানুয়ারি সবাইকে একসাথে আসতে বলবে। সবাইকে বলতে যারা ভাইবা দিয়েছিলো কিন্তু ১ম/২য়/৩য় মেধতালিকায় চান্স পায়নি তারা সবাই। দুপুর ২টার মধ্যেই যারা আসবে ওদের মধ্য থেকে মেরিটের উপর ভিত্তি করে শুণ্য আসন পূরণ করা হবে। ওদের অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ করতে হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। এবং অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ভর্তি নিশ্চিতকরণের জন্য উপরে বলা নিয়ম অনুযায়ী জাবি রেজিস্টার অফিসে উল্লিখিত পেপারসগুলো জমা দিতে হবে ৯ জানুয়ারিতেই।
.
.
✳ ✳ জাবিতে কি 2nd Time থাকবে? আগামীবার পরীক্ষা দিতে পারবো??
:
** এই বিষয়ে এখনো কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। যদিও 2nd time off হওয়ার possibility কম তারপরেও by chance যদি বন্ধও করে তবে সেটার বিষয়ে সিন্ধান্ত হবে এবারের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে মানে সামনের বছরের মার্চ / এপ্রিলের দিকে। বাট এখন পর্যন্ত যেহেতু 2nd time বন্ধের ব্যাপারে কোনো নোটিশ হয়নি So জাবিতে 2nd time আছে। So, আপনারা যারা ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা দিবেন তারা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেন।
.
.
♦♦♦ রেড এলার্টঃ আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের নিয়ম হলো যারা ক্লাস শুরুর ১ম ১০ দিনের মধ্যে ৪/৫ দিন অনুপস্থিত থাকবে তাদের ভর্তি অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে। So, আপনাদের মধ্যে যদি কেউ জাবিতে ভর্তি থেকে 2nd টাইমের প্রিপারেশন নিতে যেতেও চান তাহলে অন্তত ১ম ১০ দিন ক্লাস কইরেন। ক্লাস শুরুর ১ম ১০ দিন ক্লাস করলে পরবর্তীতে সারাবছর ক্লাস না করলেও আপনার ভর্তি অক্ষুণ্ণ থাকবে মানে পরের বছর এসে রিপিটার হিসেবে Readmit হতে পারবেন।
.
.
♦♦ এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিংক দিলাম দেখে নিন।
.
★ প্রথমেই ভাইবা + ভর্তি কার্যক্রম সহ সকল প্রকার তথ্যের অফিসিয়াল পিডিএফ ডাউনলোড লিংকঃ
.
★ জাবির নাট্যকলা & চারুকলা বিভাগের ভাইভা সম্পর্কিত বিস্তারিত পোষ্ট দেখতে ভিজিট করুন নিচের লিংকে
.
★ জাবির IBA এর ভাইভা সম্পর্কিত বিস্তারিত পোষ্ট দেখতে ভিজিট করুন নিচের লিংকে
.
★ সাবজেক্ট চয়েস সম্পর্কিত A টু Z বিস্তারিত তথ্য দেখতে ভিজিট করুন নিচের লিংকে :-
.
✔✔ C1 ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাট্যকলা + চারুকলার জন্য নিচের লিঙ্কে গিয়ে ফর্ম পূরন করতে হবে
.
ফর্ম পূরণ করতে হলে বিল নম্বর লাগবে। যাদের বিল নম্বর হারিয়ে গিয়েছে তারা নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
.
প্রশ্ন: আমি আমার বিল নম্বর হারিয়ে ফেলেছি। বিল নম্বরটি পুনরুদ্ধার করা যাবে কি?
.
উত্তর: বিল নম্বর পুনরুদ্ধারের জন্য ল্যাপটপ/কম্পিউটার দিয়ে https://ju-admission.org/apply/forgot_pin লিংকে ঢুকে ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করে Submit করুন। স্ক্রীনে আপনার ভুলে যাওয়া বিল নম্বরটি দেখতে পাবেন। ধন্যবাদ!
.
এরপরেও যারা বিল নম্বর রিকভার করতে পারবেন না তারা আমার সাথে যোগাযোগ কইরেন। আমি রিকভার করে দিবো। 
উল্লেখ্য, C1 এর মত হয়তো বাকি ইউনিটগুলোরও সাবজেক্ট চয়েস দেয়ার সময়ে বিল নম্বর লাগবে। সুতরাং এখন থেকেই বিল নম্বর নিজের সংগ্রহে রাখুন।
.
.
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। এইভাবে বিস্তারিত বলার পরেও না বুঝলে আমি আসলেই ব্যর্থ। যাই হোক, কারো মনে প্রশ্ন থাকলে দয়া করে আবারো পোষ্টটি পড়ুন + উপরে যেই লিংক গুলো দিলাম সেগুলোতে ঢুকে দেখুন। ইন-শা-আল্লাহ উত্তর পেয়ে যাবেন। তবুও প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
.
আর পোষ্টটি কেমন লেগেছে সেটা লিখে কমেন্ট কইরেন। আর সামনে কি কি বিষয়ে পোষ্ট চান সেটাও লিখবেন। সবাই ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন আমার জন্য। আর আপনাদের জন্যও দোয়া + অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।