গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংসের গ্রিল পরখ করে দেখার অপেক্ষায় ইট জাস্টের এক কর্মী। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বে প্রথম গবেষণাগারে তৈরি ‘মুরগির মাংস’ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর। বিবিসি জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর এমন এক ধরনের ‘ক্লিন মিট’ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে, যা সরাসরি জবাইকৃত প্রাণী থেকে আসা নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক স্টার্টআপ কোম্পানি ‘ইট জাস্ট’ ল্যাবে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির অনুমতি চাইলে তাতে অনুমোদন দেয় সিঙ্গাপুরের সরকার।

এই কৃত্রিম মাংস প্রথমে নাগেটে ব্যবহৃত হবে। তবে সেটি কবে বাজারে আসবে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি উৎপাদক কোম্পানি ইট জাস্ট।

স্বাস্থ্য, প্রাণী কল্যাণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে ভোক্তাদের উদ্বেগের কারণে বিশ্বব্যাপী সাধারণ মাংসের বিকল্পের চাহিদা বেড়েছে।

লন্ডনের বার্কলেজ ব্যাংকের মতে, আগামী দশকের মধ্যে সাধারণ মাংসের বিকল্পের বাজার ১৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের মাংস শিল্পের ১০ শতাংশ।

‘বিয়ন্ড মিট’ ও ‘ইমপসিবল ফুড’র মতো উদ্ভিজ্জ মাংস প্রায়শই বিভিন্ন সুপার শপ বা রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়। কিন্তু ইট জাস্টের উদ্ভাবিত মাংস একেবারেই আলাদা, কারণ সেটি ল্যাবে প্রাণীর পেশিকোষ থেকে জন্মেছে।

ইট জাস্ট এ ঘটনাকে ‘বৈশ্বিক খাদ্য শিল্পের জন্য যুগান্তকারী’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং তারা আশা করছে যে, অন্য দেশগুলোও এখন সিঙ্গাপুরকে অনুসরণ করবে।

বিশ্বে এখন দুই ডজনের মতো কোম্পানি রয়েছে,  যারা গবেষণাগারে মাছ, গোমাংস এবং মুরগির মাংস তৈরির চেষ্টা করছে।