মাসরুফ হোসেনঃ

ভারতবিদ্বেষ বাংলাদেশে নতুন কিছু না, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ইত্যাদি কারণে এই বিদ্বেষ যে খুব অযৌক্তিক তাও বলা যাবেনা।

ভারতীয়রা আমাদের দেশে বসে আমাদের চাকুরি ব্যবসা সব নিয়ে গেলো এই হায়-আফসোস তো আমরা প্রায়ই করি। আজকের লেখাটা আমার গত এক বছরের আমেরিকা থাকার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে করা কিছু পর্যবেক্ষণ।

বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং আমেরিকাতে পড়তে আসা একজন গ্রাজুয়েট ছাত্র হিসেবে আমার মতামত হচ্ছে, আমাদের প্রত্যেকের আর সব কিছু ভুলে সবার আগে ভারতীয়দের গুনগুলো আয়ত্তে আনার চেষ্টা করা উচিত আগামী বিশ বছর।

কথায় কথায় ভারতীয়দের গালি দেয়ার আগে আমাদের নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।

আমেরিকার আইটি সেক্টর প্রায় দখলে রেখেছে ভারতীয়রা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন কোনও ডিপার্টমেন্ট নাই যেখানে ভারতীয় প্রফেসর নাই।

হার্ভার্ডের টপ দুটো স্কুল- আন্ডারগ্রাড কলেজ আর বিজনেস স্কুল-দুটোর ডিনই ভারতীয় আমেরিকান।এরা ভারতে জন্মেছেন, তারপর আমেরিকা এসে এখানের টপ স্কুলের চূড়ায় উঠেছেন।

গুগল,মাইক্রোসফট সহ বড় বড় কোম্পানিগুলোর সিইও দের কথা আমরা জানি, এরা ভারতীয় নাহলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এগুলো যদি বাদও দেই, একেবারে মাঝারি বা ছোট কোম্পানিগুলোরও একই অবস্থা।

আমেরিকার যেখানে তাকাবেন সেখানে ভারতীয়রা।”ভারতীয় বংশোদ্ভূত” শুধু না, খাঁটি ভারতে জন্মানো ভারতীয়রাও একই সময়ে অন্যান্য যে কোনও জাতির চাইতে এগিয়ে(চীন বাদে)।

এমাইটিতে আমার সহপাঠী ভেদা- সাউথ ইন্ডিয়ার ছেলে।তামিলনাড়ুর অখ্যাত একটা ভার্সিটি থেকে চলে এসেছে এমাইটিতে মাস্টার্স করতে।

হাজার হাজার আছে এমন, আমরা শুধু আইআইটির নাম জানি- ভারতের শত শত ভার্সিটি আছে যাদের পড়াশোনার মান অতি উন্নত, যাদের নাম শুনলেই আমেরিকানরা বোঝে যে এখানের প্রোডাক্ট উন্নত।

বাংলাদেশের এমন কোনও ভার্সিটি নাই (বুয়েট কিছুটা) এখানের বড় বড় কোম্পানিগুলো এক নামে চেনে।আপনি আইআইএম বা আইআইটি গ্রাজুয়েট হলে সিভিতে তা লিখে যে পাত্তা পাবেন, বাংলাদেশের কোনও ভার্সিটি থেকে পড়ে তার ছিটেফোঁটাও পাবেন না।

ভারতীয়দের সবচেয়ে বড় গুণ দুটো-

এক) ওদের নজর উপরে আর

দুই) সাফল্যের প্রচন্ড ক্ষুধা।

আমাদের ভেতরে একশতে নিরানব্বই জনের এই জিনিস নাই।

হার্ভার্ডে পড়তে আসার পেছনে যে কজনের মতামত কাজ করেছে তাদের মধ্যে আমার ভারতীয় সহপাঠী অঙ্কিত অন্যতম।

রেজাল্টের পর নিজেরাই খুঁজে বের করলাম কে কোথায়- হোয়াটসাপে কথা হল।তখনও সিদ্ধান্ত নেইনি হার্ভার্ড আসব নাকি।জর্জটাউন ফুল ফান্ডিং অফার করেছে, এদিকে হার্ভার্ড আসতে হলে সেলফ ফিনান্সে পড়তে হবে,লোনের পেছনে দৌড়াতে হবে, ভিসাতে অনিশ্চয়তা।

সব শুনে অঙ্কিত বলল, তার কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে (আরেকটা আইভি লীগ স্কুল) ফুল ফান্ডিং হয়েছিল, কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত স্বপ্ন পূরণের জন্য সে জায়গাজমি বিক্রি করে হার্ভার্ড আসছে, লোনও নিয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এরকম রিস্কি সিদ্ধান্ত সে কেন নিলো?

ও স্রেফ তিনটা শব্দ বলল- ইয়ার, দেখ লেঙ্গে।

এই যে আত্মবিশ্বাস, অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হবার মত মনোবল, এগুলো ভারতীয়দের মজ্জাগত।

এই পোস্টে চাইলে হাজার হাজার দ্বিমত করা যায়, সাফল্য মানেই আমেরিকা এসে পড়াশোনা করা কিনা এইটা বলে আমাকে একগাদা গালিও চাইলে দিতে পারেন।

এগুলো পাশ কাটিয়ে সারমর্মটা বোঝার চেষ্টা করেন- ব্যতিক্রমগুলো বাদ দিলে একজন এভারেজ ভারতীয় আর এভারেজ বাংলাদেশীর ভেতরে যোগ্যতার ঘাটতি কত আলোকবর্ষ সেটা নিজেই দেখতে পাবেন।

সত্যিটা হচ্ছে, দে রুল। যদি আমরা এখনো সচেতন না হই, আগামী পঞ্চাশ বছরেও তাই হবে।

#২

ভারত আমাদের চাইতে আগে স্বাধীনতা পেয়েছে, ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চাইতে উন্নত, ভারত একটি বিশাল দেশ, ভারতের জনসংখ্যা আর আমাদের জনসংখ্যার অনুপাত এক না- এরকম অনেক শক্ত যুক্তি আগের লেখাতে শুভানুধ্যায়ীরা প্রদান করেছেন।

তাঁদের মতে, এই কারণগুলোর ফলে,সেইসাথে ভারত সরকারের নানা জনমুখী পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ভারত আমাদের চাইতে এগিয়ে আছে।

কথাগুলো পুরোপুরি মিথ্যে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একটা রসিকতাবিশেষ, আমাদের পলিসিমেকারদের সন্তান সন্ততিরা এদেশে পড়েনা- গবেষণায় আমাদের বাজেট শুনলে ফকিরও লজ্জা পাবে- এগুলো সবই বুঝলাম।।

এই জিনিসগুলো এমন সব দিক যা একজন সাধারণ ছাত্রের হাতে নেই। যার মানে হচ্ছে, এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

আমাদের নিয়ন্ত্রনের ভেতরে তাহলে কি আছে?

চেষ্টা, পরিশ্রম করার ইচ্ছা, মানসিক দৃঢ়তা। কেউ মুখে তুলে খাইয়ে দেবে এই প্রত্যাশা না রাখা।

বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন, ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের চাইতে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা এই গুণগুলো বেশি রাখে?

ভারতীয় প্রফেশনালদের চাইতে এভারেজে প্রফেশনাল গুণাবলী বাংলাদেশি প্রফেশনালদের বেশি?

ভিসা সংক্রান্ত একটা পরামর্শের জন্য একটা আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্লাটফর্মে পোস্ট দিয়েছিলাম। সেই পোস্ট দেখে গত এক বছর ধরে দক্ষিণ ভারতের একটা মেয়ে অন্ততঃ বিশটা ইমেইল করেছে, স্টেটমেন্ট অফ পারপাস নিয়ে প্রশ্ন করেছে, প্রতিটা লাইন চেক করিয়েছে- সোজা কথা, আঠার মত লেগে থেকেছে।

ওর বয়েস মাত্র চব্বিশ, অথচ পাস করার সাথে সাথেই ওর নজর সোজা আমেরিকার টপ স্কুলগুলোতে। হার্ভার্ডে হয়নি ওর, কিন্তু ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো আর জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে পার্শিয়াল ফান্ডিং সহ এ্যাডমিশন হয়েছে।

এই মেয়ে অতি অখ্যাত একটা জায়গায় পড়াশোনা করেছে, রেজাল্টও এক্সট্রা অর্ডিনারি না(খুব খারাপও না যদিও)। ওই প্রোফাইল নিয়ে ওই দুটো ভার্সিটি সে ক্রাক করেছে স্রেফ ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রমের জোরে।

অসম্ভব বিনয়ী, শিখতে আগ্রহী এবং একেবারেই হামবড়া ভাব নেই এই মেয়েটির, ছোট্ট দেশ “বাংলাদেশের” কারো কাছে সহায়তা চাইতে ওর জাত চলে যায়নি।

বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে আসা নিরানব্বই ভাগ ইমেইল এর সারমর্ম হচ্ছে-

“bi Havad e porta cai kebaba ke korta hoba baalan.”

[বাকি এক পারসেন্ট হচ্ছে আমার আশা ভরসার পাত্র, ওদের জন্য ভালবাসা]

এই নিরানব্বই ভাগ বীরপুঙ্গবেরা এতই ব্যস্ত, এনারা গুগলে গিয়ে ভার্সিটির ওয়েবসাইট ঘাঁটার চেষ্টাটুকু করতেও রাজী নন- তাঁদের ইচ্ছে অন্য কেউ ওটা করে দেবে।

বন্ধু নুরুন্নবীকে (হার্ভার্ডের পোস্ট ডক) মাঝে মাঝে এক দুজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে নিজে লজ্জা পেয়েছি।এনাদের এ্যারোগ্যান্স, ইমেইল চালাচালির ধরণ আর প্রচ্ছন্ন অলসতার যে নমুনা- তাতে ভারতের ছেলেমেয়েরা কেন এগিয়ে যায় বেশ ভালভাবেই বোঝা যায়। সবাই এক নন, ব্যতিক্রম আছে অবশ্যই- কিন্তু ওই যে, ব্যতিক্রম তো আর উদাহরণ না।

সোজা কথায় বলি, আমাকে গালি দিলে দেন।আমাদের নজর ছোট, আচার আচরণ ভিখারীর মত, সাফল্য বা উন্নতির জন্য যে রাক্ষুসে ক্ষুধা লাগে ওই জিনিস আমাদের নাই।এই জিনিস সরকার তৈরি করে দেয়না, এটা নিজে নিজে তৈরি করতে হয়।

আর সরি টু সে, এই ইন্টারনেট আর ফেসবুকের যুগে “ভারত আমাদের আগে স্বাধীনতা পেয়েছে” টাইপ অজুহাত ধোপে টেকেনা। ফ্রিকিং নেপালও আমাদের চাইতে এগিয়ে এই দিক দিয়ে- বিশ্বাস না হয় খোঁজ নিয়ে দেখেন আশে পাশে।

বিসিএস এই দুনিয়ার শেষ কথা না।এই অবিশ্বাস্য সুন্দর পৃথিবীতে এমপিথ্রি গাইডের বাইরেও একটা বিশাল সাম্রাজ্য আছে।

আপনি ফেসবুকে এই লেখাটা পড়ে যখন হোয়াটসাপে বান্ধবীর সাথে ইমো চালাচালি করছে , আপনার পাশের দেশের ভারতীয় ছেলেটা তখন এমআইটির ওয়েবসাইট ঘাঁটছে। আপনি পাস করে বেরুতে বেরুতে সে আপনার বসের বস হবে।

এইটাই কি চান আপনারা?

#৩

প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন ভারত? ভারতের সাথে তুলনাটা কেন দিচ্ছি? জাপান চীন আমেরিকা বা ইউরোপীয় দেশ না কেন?

উত্তরটা হচ্ছে, ভারতের সাথেই আমাদের সংস্কৃতিগত মিল সবচাইতে বেশি।খাওয়া দাওয়া, সংস্কৃতি এমনকি ভাষাতেও প্রচুর মিল আমাদের।কলকাতার একটা ছেলে আর ঢাকার একটা ছেলে পাশাপাশি বসলে পার্থক্য করাটা খুব কঠিন।

পার্থক্যটা হয়ে যায় কিসে জানেন? তাদের মেধায়, পরিশ্রমে, লেগে থাকায় আর যোগ্যতায়। এগুলো গড গিফটেড না, এগুলো তাদের অর্জন।

স্বীকার করি ভারত আমাদের চব্বিশ বছর আগে স্বাধীন হয়েছে, তারা শিক্ষাদীক্ষায় অনেক আগে থেকেই সচেতন।

আমাকে এই জিনিসটা একটু বোঝান, মধ্যবিত্ত পরিবারে ঢাকায় জন্ম নেয়া,বেড়ে ওঠা একজন ছেলে বা মেয়ের সাথে কলকাতায় জন্ম নেয়া কারো প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা বা যোগ্যতায় কি এতই বেশি পার্থক্য যে একশ বছর আগে পড়াশোনা করা শুরু করেছে এই অজুহাতে ঢাকার ছেলেটা সারাজীবন পিছিয়েই থাকবে?

আমাদের ক্রিকেট টিম এই ভারতকেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছে, সিরিজ জিতেছে। আমাদের সাকিব আল হাসান এই বিশ্বকাপেই এমনভাবে পারফর্ম করেছে যে যাদের নিয়ে যেভাবেই বিশ্ব একাদশ বানানো হোক না কেন, তাকে বাদ দেবার উপায় নেই।

বলছিনা সাকিব সবাইকে হতে হবে, সাকিব তো সাকিবই। কিন্তু মাইন্ডসেটটার কথা ভাবেন একবার- সাকিব যদি ভাবত যে ভারত টেস্ট খেলে সেই ১৯৩০ সাল থেকে, অস্ট্রেলিয়ানরা শারীরিকভাবে আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা একেকজন অসুর- এইগুলা ভাবলে তো ভাই তার ক্রিকেট খেলাই ছেড়ে দেয়া উচিত।

ভারতের কথা বলে ভারতীয়দের তৈলমর্দন আমার উদ্দেশ্য না।আমি ভারতীয় কোম্পানিতে চাকুরি করিনা, ভারতীয়দেরটা খাই-পরি না।

আমি খালি ব্যথিত হই স্বজাতির হিপোক্রেসিতে, তাদের ব্যর্থতায়, তাদের ক্ষমাহীন আলস্য আর নির্লজ্জ্ব সব অজুহাতে।

আমেরিকায় কেউ খুব জোরে শব্দ করে বাইক বা গাড়ি চালালে সুন্দরী মেয়েরা কমেন্ট করে- he is overcompensating for a small d*ck.

আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেনীর এই কথায় কথায় অজুহাত, সীমাহীন এ্যারোগ্যান্স আর মাত্রাছাড়া আলস্য আসলে একটা জিনিসই প্রকটভাবে প্রকাশ করে- যোগ্যতার হিসেবে আমরা এক একটা জ্যাকশিট, যোগ্যতার অভাব আমরা তাই ওসব দিয়ে পূরণ করি।

আমার ভালো লাগে কাদের জানেন? মধ্যপ্রাচ্যের খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে। এরা আমাদের শিক্ষিত শ্রেনীর মত সুযোগ সুবিধা পায়নি- কিন্তু যতটুকু পেয়েছে তার দশ গুন নিজের রক্ত পানি করে ফেরত দিয়েছে মাতৃভূমিকে।

মামা চাচা ছাড়া চাকুরি হয়না? কথাটা সত্য, আমেরিকাতেও।এটাকে ওরা বলে নেটওয়ার্কিং- নিজের ক্যারিয়ারের স্বার্থে ভারতীয়রা পাগলের মত লিঙ্কড ইন প্রোফাইল খুলে নেটওয়ার্কিং করে, একশ জায়গায় ইমেইল করে, হাজার জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে। রক্ত সম্পর্কের মামা চাচা না থাকলে ওরা আসমান থেকে ওই মামা চাচা পয়দা করে।

আর আমরা কি করি? ফেসবুকের ইনবক্সে লিখে পাঠাই- bi ad me plz ame o umreka gay te ci

আমার স্বপ্ন কি জানেন?

এমনটা থাকবেনা- পাল্টাবে। গুগল হেডকোয়ার্টার্সে গিয়ে হিন্দির পাশাপাশি বাংলাও শুনব, হার্ভার্ড ক্যান্টিনে সালাদ কেনার সময় পাশে দেখব কোনও বাংলাদেশি প্রফেসরকে, বিবিসি সিএনএন এ দেখব বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদেরকে।

এমাইটিতে প্রফেসর হাজির রাহমানদাদের রুমে ইরানের একটা বিশাল পতাকা দেখেছি। একদিন ওদের ডীনের রুমে দেখব বিশাল লাল সবুজ পতাকা।

বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে দখল নিতে দেখব বিশ্ব বাজারের।

ইন্টারভিউ বোর্ডে বাংলাদেশি কাউকে দেখে অন্য ক্যান্ডিডেটদের হিন্দিতে বলে উঠতে শুনব- ইয়ে বঙ্গাল কাঁহাসে আ গিয়া? আব হাম সাব খাল্লাস!

আসবে না এমন দিন!

লেখকের পরিচয় :

এ এস পি
বাংলাদেশ পুলিশ

(হার্ভার্ডে মাস্টার্সরত)

আরো পড়ুন কী শেখালো হার্ভার্ড?

[সতর্কতাঃ আক্রমণাত্মক পোস্ট-নিজ দায়িত্বে পড়ুন।এটি পলিটিকালি কারেক্ট লেখা নয়, আর ডিসক্লেইমার দিতে গেলে ওভারজেনারালাইজেশন ইত্যাদি নিয়ে একগাদা কথা বলতে হবে।সে লাইনে যাচ্ছিনা, ইচ্ছেমত দ্বিমত/সমালোচনা করতে পারেন]