খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সুমিত কান্তি সাহা এবং আকাশ খন্দকার একটি মাস্কের প্রোটোটাইপ করেছে। মাস্কটির নামকরণ করা হয়েছে M17210-SANDWICH Mask।

গত ৮ ই মার্চ, বাংলাদেশে ধরা পরে প্রাণঘাতী নোবেল করোনা ভাইরাস। দিন দিন কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করতে করছে। কিন্তু শুরু থেকেই আমাদের দেশে পিপিই মাস্ক সহ যাবতীয় চিকিৎসা সামগ্রী যথেষ্ট ঘাটতি বিদ্যমান।

কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবেলায় মাস্কের ব্যবহার তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে । সাধারণ ফেব্রিক বা সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যাবহার করে পূর্ণাঙ্গ ধুলোবালি প্রতিরোধ সম্ভব নয় আর ভাইরাসের মত ন্যানো পার্টিকেল তো অসম্ভব। এক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী N-95 মাস্ক।কিন্তু বাংলাদেশের সবার পক্ষে N-95 মাস্ক সংগ্রহ এবং ব্যাবহার করা অসম্ভব।

এই বৈশ্বিক মহামারীতে কুয়েটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় বর্ষের দুই ছাত্র সুমিত কান্তি সাহা এবং আকাশ খন্দকার একটি মাস্কের প্রোটোটাইপ করেছে। তারা এই মাস্কের নাম রেখেছে M17210-SANDWICH Mask।

M17210-SANDWICH Mask, এই মাস্কটি কার্যকর দিক থেকে অন্য যেকোনো মাস্ক থেকে কার্যকর ,দাম হাতের নাগালেএবং ওয়াশ করে কটন ফেব্রিক মাস্কের মতই বার বার ব্যবহার করা যায়।

মূলত মাস্কটি ৩ টি স্তর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।একেবারে উপরে আছে নন ওভেন লেয়ার, মাঝখানে রয়েছে সবচেয়ে ওভেন কাপড়ের স্তর।

যেটি নিরাপদ লেয়ার এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ওভেন কাপড়ের স্তর হিসেবে ভাইরাসের প্রবেশের জন্য প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে। মাস্কের সাথে থাকা ফিল্টার স্তরটি আলাদাভাবে রিপ্লেসেবল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

এই সান্ডডুইচ মাস্কের সুবিধা হলোঃ-

১. মাস্কের অতিরিক্ত এন্টিমাইক্রোবিয়াল লেয়ার আরও বেশি সেফটি নিশ্চিত করবে।

২. মাস্কটি ওয়াশেবল, ২-৩ বার ধুয়ে সাধারণ মাস্কের ন্যায় ব্যবহার করা যাবে ।

৩. মাস্কের ফিল্টার-এ কেমিক্যালি ট্রিটেড ওভেন ফেব্রিক থাকবে যেটা রিপ্লেসেবল পরিবর্তনযোগ্য।

৪. মাস্কের এক্সট্রা লেয়ার ন্যাচারাল এন্টিমাইক্রোবিয়াল ফেব্রিকের তৈরি, তাই ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর।

উক্ত কাজে কুয়েট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকগণ তাদের এই সামগ্রিক সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বাস্ত করেছেন।

KUET TEXTILE CLUB এর পক্ষ থেকে সুমিত এবং আকাশ তাদের এই কাজের জন্য শুভকামনা জানানো হয়েছে ।

উদ্ভাবক সুমিত এবং আকাশ বলেন,

“এই মাস্ক বিক্রি করে কোন ধরনের মুনাফা গ্রহণ করবে না , শুধুমাত্র উৎপাদন খরচ বাবদ মাস্ক পিছু ৩০-৪০ টাকা প্রতিটি মাস্ক বাবদ খরচ হতে পারে।”

আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুত সময়ে সুমিত এবং আকাশের উদ্ভাবিত স্যান্ডুইচ মাস্কের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ শুরু করা হবে।

– নাজমুল হাসান আনান

কুয়েট