মাস্টার্স বা পিএইচডিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক ধরণের পোস্ট প্রায়ই দেখি — ভর্তিচ্ছু কেউ কোনো প্রফেসরকে ইমেইল করেছেন। তার পরে প্রফেসর এক সময়ে একটা জবাব দিয়েছেন। এর মানে কী — প্রফেসর কি আগ্রহ দেখিয়ে ফান্ডিং দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নাকি এইটা জেনেরিক রিপ্লাই?
প্রায়ই এসব পোস্টে অনেকে বিজ্ঞের মতো অভিমত দেন, পজিটিভ রিপ্লাই — ফান্ডিং নিশ্চিত ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিভ্রান্তি বাড়া, পকেটের পয়সা শুধু শুধু এপ্লিকেশন ফীতে খরচ হওয়া, আর টেনশনে মাথার চুল পেকে যাবার আগে এই লেখাটা একটু পড়ে দেখুন।
প্রফেসরেরা ভর্তির মৌসুমে প্রতিদিন অনেক অনেক ইমেইল পান ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। আর দৈনন্দিন কাজের জন্য শ-খানেকের মতো ইমেইল তো আছেই। এই অবস্থায় ইমেইল ম্যানেজ করার জন্য প্রফেসরেরা নানা কায়দা করেন। প্রফেসরের ইমেইল পেলে তাই একটু বুঝে নিতে হবে আসলে সেটা কী রকমের ইমেইল জবাব।
দেখা যাক নিচে —
১) আমার সাথে কাজ করতে চাও ভালো কথা। তবে তার আগে ভর্তিটা হয়ে নাও। ভর্তি হতে হলে এপ্লিকেশন করো। —-
এই রকমের জবাব হলো জেনেরিক রিপ্লাই বা ফর্ম লেটার। এটা ভদ্রতা বশত প্রফেসর জবাব দিয়েছেন। টাইপও সম্ভবত করেননি — একটা টেক্সট ফাইলে এই জবাবটা তৈরী করা আছে, সেখান থেকেই কপি পেস্ট করে দিয়েছেন।
এই প্রফেসরের আপনার প্রতি তেমন আগ্রহ নাই। হতে পারে সেটা আপনার প্রোফাইলের জন্য, অথবা তার গ্রুপে আরএ নেয়ার দরকার নাই। এই জবাবটা মোটেও “পজিটিভ রিপ্লাই” না। এই জবাব পেয়ে ইয়াহু বলে এপ্লাই করতে চলে যাবেন না।
২) আমার সাথে কাজ করতে চাও? আচ্ছা ভর্তির স্টেটমেন্ট অফ পারপাজে আমার নাম উল্লেখ করতে পারো। —
এই প্রফেসর আগেভাগে ফান্ডিং দিয়ে রিস্কে যেতে চান না। আরএ নেয়াটা তার জন্য অতো জীবন মরণ সমস্যা না এই মুহুর্তে। তবে হালকার উপরে ঝাপসা একটা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, যাতে ভর্তি কমিটি এই শিক্ষার্থীকে নিলে তাঁর দিকে পাঠিয়ে দেয়। এটা হালকা উষ্ণ (কবোষ্ণ) জবাব।
এইখানে এপ্লাই করতে পারেন। আরো লেগে থাকলে ভাগ্যে কিছু জুটতে পারে।
৩) আমার সাথে কাজ করতে চাও? আচ্ছা তোমার একটা পরীক্ষা নেই, অমুক বিষয়ে কিছু লিখে পাঠাও ইত্যাদি ইত্যাদি। —-
এই প্রফেসরের লোক দরকার। তবে সাবধানী মানুষ। যাচাই করতে চান কেমন হবেন আপনি। তাই কাজ দিয়ে চেক করে নিতে চাচ্ছেন। লক্ষণ ভালো।
৪) আমার সাথে কাজ করতে চাও? তোমার ফোন বা স্কাইপ নাম্বার কতো? কখন কথা বলতে পারবা? —
ইনার জরুরি ভিত্তিতে আরএ লাগবে। ইন্টারভিউতে ঝামেলা না করলে ভাগ্যে ফান্ডিং জুটার সম্ভাবনা বেশ ভালো।
যাহোক, মোটামুটি ভাবে সব প্রফেসর এই চার রকমের যে কোনো একভাবে জবাব দিবেন। ভদ্রতার জন্যই দেয়া জবাবকে ফান্ডিং এর গ্যারান্টি মনে না করে আসলে কী রকমের আভাস পেলেন, উপরের হিন্ট থেকে বুঝে নিতে শিখুন।
লেখকঃ রাগিব হাসান
Associate Professor at UAB – The University of Alabama at Birmingham
Former NSF/CRA Computing Innovation Fellow and Assistant Research Scientist at Johns Hopkins University
Former Graduate Research Assistant at University of Illinois Urbana-Champaign
Former Software Engineering Intern at Google
Former Research assistant at National Center for Supercomputing Applications
Former Lecturer, Computer Science and Engineering at Bangladesh University of Engineering and Technology
Studied Computer Science & Engineering at Bangladesh University of Engineering and Technology
Studied Computer science at University of Illinois Urbana-Champaign