সাবজেক্ট রিভিউ :
মার্কেটিং বিভাগ (বানিজ্য অনুষদ)
.
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রসাশন অনুষদের অধীনে এই সাবজেক্টটি পড়ানো হয় । আজকের কমপিটিটিভ জব সেক্টরে, মার্কেটিং থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন কমল্পিট করার পর, নিজের ক্যারিয়ারকে কোনদিকে নিয়ে যেতে পারবেন, এই ডিপার্টমেন্ট এ সেশন জট কেমন, এসকল তথ্য ছাড়াও আরো বিভিন্ন দিকে আলোকপাত করব আমরা আমাদের আজকের রিভিউ এ।
.
১৯৯২ সনে এ জে এম নুরুদ্দিন চৌধুরী স্যারের হাত ধরে ডিপার্টমেন্টের পথচলা শুরু । প্রথমে “ল” ফ্যাকাল্টিতে অস্থায়ী ক্লাস চললেও এখন ব্যাবসা প্রশাসন অনুষদের পঞ্চম তলায় ডিপার্টমেন্টের যাবতীয় কার্যক্রম হয়ে থাকে । আধুনিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান আছে বিভাগটিতে।
খুব সন্বামধন্য অনেক শিক্ষকের ছোয়া পেয়েছে ডিপার্টমেন্ট টি যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম (পারভেজ), প্রফেসর ড.সোলাইমান সহ আরো অনেকেই।
.
#পড়াশোনার_ধরনঃ
চবির অনেক ডিপার্টমেন্টে ইয়ার বেসিসে পরীক্ষা হলেও মার্কেটি ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষা হয় সেমিষ্টার বেসিসে। এখানে প্রতি বছরে আপনাকে দুইটি এক্সাম দিতে হবে অর্থাৎ প্রতি ছয় মাসে ১ সেমিষ্টার কাউন্ট করা হয় ।
৪ বছরের অনার্সে ৮ টি সেমিষ্টারে মোট ৩৮ টি কোর্স পড়ানো হয় এখানে।
মার্কেটিংয়ের প্রোগ্রাম মানে পুরো চবি কাপানো প্রোগ্রাম । ডিপার্টমেন্টের এই প্রোগ্রামের কাজের সাথে জড়িত থেকে আপনি নিজের অর্গানাইজিং স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন সিনিয়র জুনিয়র অসাধারণ এক বন্ডিংয়ে আবদ্ধ এই বিভাগে।
.
#সেশনজটঃ
স্টুডেন্ট লাইফের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটে যায় এই সেশনজটে পড়ে।
আলহামদুলিল্লাহ, বিবিএ এর প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট, সেশন জট আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে এনেছে ।
মার্কেটিং বিভাগের চিত্রটাও অনুরূপ। মার্কেটিং বিভাগের সবচেয়ে জুনিয়র দুটি ব্যাচ এখন পর্যন্ত কোনো সেশনজট পায়নি।
সিনিয়র ব্যাচগুলো কিছুটা জটে থাকলেও খুব শীঘ্রই সেই জট কেটে যাবে বলে আশাবাদী ডিপার্টমেন্টের বর্তমান চেয়ারম্যান স্যার।
.
#রেজাল্টঃ
স্যারদের সঠিক নির্দেশনায়, এবং নিয়মত ক্লাস নেয়ার কারনে ডিপার্টমেন্টের রেজাল্ট খুব ভাল হয় । ২০১৫-২০১৬ সেশনে ২৪ তম ব্যাচে হায়েস্ট জিপিএ ছিল ৩.৯৫ আউট অফ ৪.০০.
.
#জব_সেক্টরঃ
হ্যা, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিকসে আসুন। মার্কেটিং পড়াশোনা শেষ করে আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে পাবেন।
জব সেক্টরে এমবিএ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এজন্য অনেকেই অন্য কোনো সাবজেক্টে অনার্স শেষ করে এমবি এ করেন। ঠিক একইভাবে অনেক কোম্পানির প্রায়োরিটির জায়গা থাকে মার্কেটিং থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন কমপ্লিট ও এমবিএ ধারী এপ্লিক্যান্ট ।
যেকোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির দ্বার সবসময় খোলা থাকবে আপনার জন্য। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর টেরিটোরি অফিসার, মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে জব করতে পারবেন।
এছাড়াও Branding নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে । খুব ইজিলি যেকেনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ব্র‍্যান্ড ম্যানেজার পোষ্টে এপ্লায় করতে পারবেন আপনি ।
আমাদের বিগত ব্যাচের সিনিয়রেরা বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিভিন্ন পোষ্টে আছেন, জব পাবার ক্ষেত্রে সেখান থেকে এক্সট্রা একটি ফেসিলিটি পেতেই পারেন ।
মার্কেটিং থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন কমপ্লিট করলে আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি বিজনেসের অন্য যেকোনো সেক্টরে মুভ করতে পারবেন, যেমন আপনি চাইলেই এইচ আরে মুভ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ব্যাংক জব, বিসিএস সহ অন্যান্য জবগুলোতেও এপ্লাই করতে পারবেন।
.
ডাইনামিক এই বিভাগে আপনাকে স্বাগতম।
.
.
লিখেছেন:
সাব্বির রেজা খান
মার্কেটিং বিভাগ (চবি), ২০১৫-১৬ সেশন।