অনেকেই বিভিন্ন সাব্জেক্ট গুলোর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছো।কি কি পড়ায়,চাকরির বাজার কেমন ইত্যাদি।তাদের জন্য এই পোস্ট। যাতে এই সাব্জেক্ট টা সম্পর্কে ধারণা কিছুটা ক্লিয়ার হয়।
এখানে কিছু কথা বলে রাখা প্রয়োজন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরিক্ষেত্র এতটাই বিস্তৃত যে এই একটি পোস্টে সবকিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর সুযোগ থাকে না। তাই একদম বেসিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
সিলেবাসের হালকা ধারণা :
যন্ত্রকৌশল নাম দেখে শুধু যন্ত্র নিয়েই পড়ে থাকবে এমনটি যারা ভেবে রেখেছো, তারা চলো, দেখে নেই এর পরিধি…
তোমার প্রিয় সেই গণিত, পদার্থবিজ্ঞান অথবা রসায়ন কে বিদায় দিয়ে একমুখী কোনো বিষয় নিয়ে পরে থাকতে হবে এমন ধারণা সার্বিকভাবে ভুল প্রমাণিত হয় একমাত্র যন্ত্রকৌশলে। এমনকি যন্ত্রকৌশল পড়তে হলে তোমাকে sociology,economics,accounting এর মতো আর্টস কমার্স এর সাব্জেক্ট ও পড়তে হবে।😁😁😁😁।কারণ এসকল বিষয়ের সাথে যন্ত্রকৌশল ওতপ্রোতভাবে জড়িত….
একটু ক্যালকুলেশনের ভুল বিশাল কোন বিমান যেমন ভূপাতিত করতে পারে, তেমনি কয়েক মিলি সেকেন্ডের ব্যবধান যেকোন রেসিং কার অথবা রকেটের জন্য বিশাল ব্যর্থতা ডেকে আনতে পারে। তাই যন্ত্রকৌশল হলো #গণিতের গোলকধাঁধায় পূর্ণ একটি জগৎ
অন্যদিকে যন্ত্রকৌশলে আসবে আর কম্পিউটার বিষয়ে বিস্তারিত জানবেনা তা কি করে হয়! হ্যা, এখানে মেজর কোর্স হিসেবেই প্রোগ্রামিং শেখানো হয়, “
এছাড়াও মাইনোর হিসেবে থাকবে #ইলেক্ট্রিক্যাল_ইঞ্জিনিয়ারিং এর জটিলতর সার্কিট এনালাইসিস…এছাড়াও ইলেকট্রনিকস এর আরও অনেক কিছুই শেখানো হয়, যেগুলো এখানে লিখে শেষ করা যাবেনা!
এবার আসি #ড্রয়িং নিয়ে। মেশিন নিয়ে পড়বে অথচ #মেশিন_ডিজাইন করবেনা তা কি হয়? হ্যা, একজন আর্কিটেক্ট এর মত তোমাকেও ড্রইং বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হবে!
শুধু সাদা কাগজে আকাআকি করেই ক্ষান্ত হওয়া যাবেনা! সেটি আবার 2D/3D মডেল হিসেবে কম্পিউটারে গ্রাফিকাল আউটপুট আনতে হবে। এক কথায় নিজের হাত এ জড় অবয়বকে যেন জীবন্ত করে তোলা!!
তাই মেজর কোর্স হিসেবে মেশিন ডিজাইনিং এর জন্য অটোক্যাড, সলিডওয়ার্কস এর মত বাঘা বাঘা সফটওয়্যার শেখানো হয়…
এছাড়া কোডব্লক্স, ম্যাটল্যাব ইত্যাদি এনালিটিকাল সফটওয়্যারের দক্ষতা অর্জনের ইচ্ছা হবে বাস্তব!!!
অন্যদিকে বিভিন্ন #ওয়ার্কশপ তোমাকে হাতেকলমে দক্ষ করে তুলবে। শেখাবে, কিভাবে গলিত লোহা থেকে ইঞ্জিন স্ট্রাকচার তৈরি(কাস্টিং) করতে হয়! শেখাবে, জটিল কিছু মেশিন কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয়। সেসব মেশিন ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কত দামী হতে পারে, হয়ত আন্দাজই করতে পারবেনা।
অনেকেই এতক্ষণ একটি বিষয় নিশ্চই মিস করছিলে?.. #রোবটিক্স!! ঠিক ধরেছি তো? ৪র্থ বর্ষে রোবটিক্স এর ওপর পড়াশোনা আছে।এছাড়া এখানে RMA, ASSRO এর মত সংগঠন আছে।যেগুলোতে অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে তুমি রোবটিক্স সম্পর্কে বিশদ ধারণা লাব করতে পারবে। অন্যদিকে বর্তমানের অতি জনপ্রিয় #বায়োমেডিকালও কিন্তু মেকানিক্যাল এবং ইইই এর কম্বিনেশন থেকেই উৎপত্তি ঘটেছে!
কি অবাক হচ্ছো? এতকিছু কিভাবে একটি ডিসিপ্লিনের আওতাভুক্ত হতে পারে! হ্যা,
মেকানিক্যালই হচ্ছে সবচেয়ে #বহুমুখি ইঞ্জিনিয়ারিং সাব্জেক্ট, যেটি থেকে তুমি পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই রিলেটেড যেকোন পছন্দসই ক্ষেত্রে সুইচ করে ফেলতে পারো!
এইবার #সিলেবাস সংক্রান্ত কথা আর দীর্ঘ না করি….যেহেতু সেক্টরটা একটু বড়, তো সিলেবাসটাও একটু বড় হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে এমন না যে খুব কঠিন। সবই সহজ, শুধু ইচ্ছাটা থাকতে হয় আরকি, তাহলেই রপ্ত করতে হিমশিম খাবে না….
প্রথমে কিছু মিথ দূর করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে কেন জানি লোকমুখে এটা প্রচলিত যে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের নাকি কোনো চাকরি নেই। কিভাবে এই কিংবদন্তি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লো সেটা জানা নেই, তবে বাস্তব পরিস্থিতি একদমই এমন না। যারা এমনটা বলেন তারা হয়তো কোনরকম তথ্য-উপাত্ত না ঘেঁটেই এমন মনগড়া কথা বলেন।
এবার আসা যাক দ্বিতীয় মিথ সম্পর্কে। অনেকেই বলবে মেকানিক্যালে নাকি পড়াশোনা বেশি করা লাগে। এটা কিছুটা সত্য। এর কারণ হচ্ছে মেকানিক্যালের পড়াশোনার ব্যাপ্তি অনেক বেশি। এই বিষয়ের ফিল্ড অফ ইন্টারেস্ট এত বেশি হবার জন্যই চাকরির বাজারে এর এত ভিন্নতা। তাই এমন সুযোগ পাওয়ার জন্য কষ্ট একটু বেশি করাই লাগবে, এটা বোঝার জন্য রকেটবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এরপর আসি তৃতীয় মিথ সম্পর্কে। আমাদের দেশে একটা বড় #misconception হচ্ছে, মেয়েরা নাকি Mechanical পড়তে পারে না! অথচ USA এর বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে Mechanical Faculty তে মেয়েদের পারসেন্টেজ প্রায় ৩৫-৪০%, যা ২০২০ সালের দিকে ৪৫-৪৬% -য়ে গিয়ে ঠেকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে পূর্বের রেকর্ড অনুযায়ী। তবে আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় ধারণা করা হয় এই ডিসিপ্লিনে ফিল্ড ওয়ার্ক বেশি…..এইটা ভুল !! সব প্রাইভেট কিংবা সরকারি কোম্পানি তে অন্যান্য ডিসিপ্লিনের মতোই আমাদের কাজও এসি রুমের মধ্যে হয়…. তবে উচ্চপদস্থদের স্পট ভিজিট করতে হতে পারে, যা নিঃসন্দেহে গর্বের সুযোগ…!!
অনেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর সরাসরি চাকরিতে ঢুকে যায়, আবার অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশে-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার জন্য যায়।
Higher_studies এ আসা যাক।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, Mechanical Engineering এমন একটা সাবজেক্ট যেটা পড়ে তুমি চাইলে CSE, EEE, IPE, Chemical, Civil, Petroleum Engineering রিলেটেড অনেক জবও করতে পারবে। কারণ মেকানিক্যাল এ তুমি পাচ্ছো নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ওপর #রিসার্চ এবং #হায়ার_স্টাডিজ এর সুযোগ-
- Acoustical engineering
- Aerospace engineering
- Automotive engineering
- Biomechanics
- Biomedical engineering
- Computational fluid dynamics
- Fluid dynamics
- Finite element analysis
- Friction stir welding (FSW)
- Green and Sustainable Technologies
- HVAC
- Heat transfer
- Industrial gas
- Industrial engineering
- Mass transfer
- Materials science
- Manufacturing process
- Mechatronics
- Metallurgy
- Microfluidics
- Marine engineering
- Nanotechnology
- Natural gas processing
-Neuclear reprocessing - Neuclear engineering
- Ocean Engineering
- Oil exploration
- Oil refinery
- Power generation
- Process control
- Process design
- Process development
- Process engineering
- Production engineering
- Renewable energy
- Safety engineering
- Semiconductor device fabrication
- Syngas production
- Textile engineering
- Thermodynamics
- Transport phenomena
- Unit operations
- Water technology
এবার আসি তোমাদের বহুল প্রতিক্ষিত চাকরির বাজার।BDjobs থেকে চাইলে চাকরি বাজার ঘুরে আসতে পার/ পেপারে দেখতে পার..সবগুলো EEE/ME, ME/IPE,CSE/ME, CE/ME এরকম লেখা দেখতে পাবে।আর ME based চাকরি তো আছেই। দেখে নিও।চাকরির অভাব নাই ঠিক আছে,
কিন্তু ভাল কিছু লুফে নিতে হলে কষ্ট করতেই হবে, তুমি যেটাতেই পড় না কেন! আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরিগুলোকে ২টি ভাগে ভাগ করা যায় ।
১) সরকারি চাকরি
২) প্রাইভেট/বেসরকারি চাকরি
১) সরকারি চাকরি
এখনকার দিনে সদ্য পাসকৃত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের মাঝে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর পেছনের কারণ হলো ভালো স্যালারি রেঞ্জ, চাকরি নিরাপত্তা এবং সামাজিক সম্মান। জাতীয় বেতন স্কেলের অষ্টম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে একজন সরকারি বেতনভুক্ত কর্মকর্তার মাসিক মূল বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী একজন সরকারি বেতনভুক্ত কর্মকর্তার মাসিক মূল বেতন হয় অনেকটা এরকম: (ছবিতে দেখুন)
সরকারি চাকরিকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। একটি হচ্ছে বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) এবং অন্যটি হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি পাওয়ার প্ল্যান্ট অথবা সরকারি মালিকানাধীন কলকারখানা অথবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরি। এই চাকরিগুলোর ক্যারিয়ার সেফটি যথেষ্ট ভালো। তাই এসব চাকরিতে ঢুকে চাকরি শঙ্কায় পড়তে হয় না কখনই।
সরকারি কোম্পানিসমূহ:
১. পেট্রোবাংলা এবং এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসমূহ
২. Bangladesh Chemical Industries Corporation (BCIC) এবং এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসমূহ
৩. বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসমূহ
৪. Bangladesh Power Development Board (BPDB)এবং এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসমূহ
৫. বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প
৬. Bangladesh Rural Electrification Board (REB)
৭. বিটাক
৮. বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশন
৯. বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন
১০. ওয়াসা
১১. বাংলাদেশ রোড এন্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি
১২. বিএস টি আই
১৩. বি এ ডি সি এবং
১৪.BCS (Technical+General )
১৫. BAPEX
১৬.Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC)
১৭. Bangladesh Rural Electrification Board (REB)
১৮. Power Grid Company of Bangladesh Limited (PGCB)
১৯. Electricity Generation Company of Bangladesh (EGCB)
এরকম অসংখ্য জায়গায় লোভনীয় বেতনে চাকুরী করার সুযোগ।
আরো কিছু জায়গাতে মেকানিক্যাল এর জব রয়েছে।
২) প্রাইভেট/বেসরকারি চাকরি
সরকারি চাকরিতে যাদের অনীহা তাদের মধ্যে বেসরকারি বা প্রাইভেট চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বড় অঙ্কের স্যালারির পাশাপাশি চাকচিক্যে ভরপুর অফিস, স্যুটেড-বুটেড কর্পোরেট লাইফ কে না চায়? সরকারি চাকরির মতো প্রাইভেট জব সেক্টরকেও দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমটিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ চাকরি বলা যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি মালিকানায় অথবা কোনো সংস্থার দ্বারা গড়ে ওঠে। অটোমোবাইল সেক্টরে রানার মোটর, উত্তরা মোটর, এসিআই মোটর, নিলয় মোটর, আফতাব অটোমোবাইল, রহিমা আফরোজ গ্লোব্যাট লিমিটেডের মতো বিভিন্ন কোম্পানি আছে। অটোমোবাইল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এসব কোম্পানিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির বেশ ভালো সুযোগ থাকে।
ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে ভালো ভালো কোম্পানি রয়েছে, যারা প্রতিবছর অনেক ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়। সেই সাথে কিছু সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, পাওয়ার প্ল্যান্টও আছে যেখানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নেওয়া হয়। আবার হোম অ্যাপ্লায়েন্স নির্মাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির বিরাট একটি ক্ষেত্র রয়েছে ।
দেশের শীর্ষ ১০ টি ঔষধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো হলোঃ (২০১৮ সালের IMS Health রিপোর্ট)
১. স্কয়ার
২. ইনসেপ্টা
৩. বেক্সিমকো
৪. রেনাটা
৫. হেলথকেয়ার
৬. অপসোনিন
৭. এসি আই
৮. এস্কেএফ
৯. এরিস্টোফার্মা
১০. একমি
কিছু বেসরকারি কোম্পানিসমূহ:
১. পাওয়ার প্লান্ট
২. টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি
৩. গ্লাস ইন্ডাস্ট্রি
৪. সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি
৫. স্টীল এন্ড রি রোলিং মিল(BSRM,KSRM,RSRM,CSRM,KDS Steel,Aks)
৬. ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি
৭. অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি
৮. ইলেক্ট্রনিক প্রোডাক্ট ম্যানুফেকচারিং ইন্ডাস্ট্রি
৯. WALTON Hi- Tech Industries LTD.
১০.PRAN RFL LTD.
১১.OBSIDIAN
১২. Landmark Bangladesh LTD
১৩. United Summit Coastal Oil
১৪.Bright Green Energy Foudation
১৫. The AIRCONS LTD.
১৬. E- Cool Resources LTD
১৭. New G Boiler LTD
১৮. Swiftex Situation
১৯.Transpower Engineering Corporation
২০. Crossing Point Limited
২১. Ecobit Limited
২২. EMACO Engineering of Technology
দুই ভাগের দ্বিতীয়টিকে মাল্টিন্যাশনাল বা বহুজাতিক কোম্পানি বলা যেতে পারে। মূলত যে কোম্পানিগুলোর পণ্যের বাজারের ব্যপ্তি পুরো বিশ্বজুড়ে থাকে, তাদেরই মাল্টিন্যাশনাল বা বহুজাতিক কোম্পানি বলা হয়ে থাকে। এই চাকরিগুলোও অনেক আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। বহু আকাঙ্খিত কিছু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, মেরিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু’জ, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, আরএকে পেইন্টস, বারজার পেইন্টস।ইত্যাদি।
মাল্টিন্যাশনাল_কোম্পানীসমূহঃ-
১. কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (KAFCO)
২. বিভিন্ন পাওয়ার প্লান্ট
৩. সিঞ্জেন্টা বাংলাদেশ লিমিটেড
৪. কোটস বাংলাদেশ লিমিটেড
৫. লিনডে বাংলাদেশ
৬. বুরো ভেরিটাস
৭. নেসলে বাংলাদেশ
৮. ইউনিলিভার
৯. ক্রিশ এনার্জি
১০. ABB
১১. লাফার্জ হোলসিম
১২. বার্জার পেইন্ট
১৩. রেকিট বেনকিজার
১৪. গোদরেজ
১৫. British American Tobaco Bangladesh
১৬.Chevron Bangladesh
১৭.Unilever Bangladesh Limited সহ আরও বেশ কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি রয়েছে।
টেক্সটাইল_কোম্পানি,এছাড়াও বস্ত্র রপ্তানিতে পৃথিবীর প্রায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা আমাদের এই বাংলাদেশে রয়েছে। অসংখ্য টেক্সটাইল কোম্পানি আছে যেগুলোতে প্রতিবছর প্রায় কয়েকহাজার Mechanical Engineer নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
-ACS Textiles
- DBL group
- Noman group
- NASSA group
- Beximco Textile
- Square Textile
- Sinha group
- Thermax group
- Viyellatex group
- Knit Concern group
- Sunman group
- Tanz Apparels
- East Bengal International
- One Tex BD Limited
মোটামুটি সব জায়গাতেই আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে পাশকৃত অনেক গ্যাজুয়েটগণ বড় বড় পজিশনে কর্মরত আছেন।
কারো শিক্ষক হবার ইচ্ছা থাকলে সেই ইচ্ছা পূরণের সুযোগও রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সিজিপিএ একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। বেশ ভালো সিজিপিএ ছাড়া বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকতার জন্য আবেদন করা যায় না। এক্ষেত্রে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রথম সারির ছাত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তবে ব্যাতিক্রমও লক্ষ্য করা যায়।
এছাড়াও নন-ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরেও চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। অনেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করে এমবিএ করে। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির সাথে এমবিএ’র কম্বিনেশনকে অনেকক্ষেত্রে বেশ ভালো রকম অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এছাড়া ব্যাংক সেক্টরে চাকরির সুযোগ থাকে অথবা বাংলাদেশ আর্মির ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে যোগদান করে (যেটি আবার একটি সরকারি চাকরি) একজন ইঞ্জিনিয়ার হবার পাশাপাশি একজন মিলিটারি সদস্য হবার গৌরব অর্জন করা যায়।
আমাদের দেশে একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাকরির ক্ষেত্র প্রায় এগুলোই। এর বাইরে যে থাকতে পারে না এমনটি নয়। তবে একদম প্রধান ক্ষেত্রগুলো নিয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।আর দেশে মাত্র কয়েক জায়গায় যন্ত্রকৌশল পড়ানো হয়। এর কারন একজন যন্ত্রকৌশল ছাত্রের পিছনে প্রচুর টাকা ঢালতে হয়। একেকটা ওয়ার্কশপের দুই তিনটা মেশিনের দাম যত টাকা তা দিয়ে কতিপয় অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের একটা গোটা ল্যাব বানানো সম্ভব….ছাত্র কম তো প্রতিযোগীও কম। ভেবে দেখতে পার। এটা এডভান্টেজ!!!
পরিশেষে বলতে হয় এত ভাল কিছু শুনে আবার নিজের ছোটবেলার স্বপ্নকে মেকানিক্যাল এ কনভার্ট করিও না।যন্ত্রকৌশল তোমার প্যাশন হলে তোমাকে এই দুনিয়ায় স্বাগতম। যাদের এটাতে প্যাশন নাই বিপদে পড়তে পারো। প্রথম কথা যন্ত্রকৌশল পড়তে হলে তোমাকে যন্ত্রের মতো চলতে হবে।পড়ার টেবিলে সময় দিতে হবে।ল্যাব ক্লাস থাকবে।রিপোর্ট থাকবে।এছাড়া এমন কিছু কোর্স আছে যা অনেক কে বিষিয়ে তুলতে পারে যদি পড়ার মাঝে আনন্দ খুজে নিতে না পারো।তবে এর মধ্যেও আশার বাণী হলো আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর শ্রদ্ধেয় স্যাররা খুব ই ফ্রেন্ডলি এবং আন্তরিক হওয়াতে অনেক কষ্ট ভুলে থাকতে পারবে।পুরা ইউনিভার্সিটি জুড়ে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষক দের নামডাক।
কিছু কিছু জিনিস সংগৃহীত ও পরিমার্জিত।
Ferdous_Salehin
ME_17
CUET